× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

বাদশার বাদশাহী বিয়ে

বাদশার-বাদশাহী-বিয়ে
বরের বাবা শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলায় বিমান উড়তে দেখে ছেলের শখ হয়েছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। তখন মজার ছলে বলেছিলাম, বাবা তোমাকে হেলিকপ্টারে করেই বিয়ে দেব।’

নাম তার হারুন অর রশীদ বাদশা। বিয়ে নিয়েও ছিল তার বাদশাহী স্বপ্ন। বউ নিয়ে আসবেন উড়িয়ে। তাক লেগে যাবে এলাকায়।

সেই স্বপ্ন ঠিকই পূরণ করেছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার পাবনাপাড়ার গ্রামের প্রকৌশলী বাদশা। বিয়ের জন্য এক লাখ পঞ্চান্ন হাজার টাকায় ভাড়া করেন হেলিকপ্টার।

শনিবার দুপুর ১২টায় তাতে চেপেই বরের বেশে নাটোর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ির রাজাবাড়ি হাট গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন দুই দুলাভাই ও এক ভাগনি। বাকি বরযাত্রীরা রওনা দেন সড়ক পথে।

বিকেলে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে বাদশা যখন উপজেলার সোনাপুর মাঠে নামেন তখন সেখানে তাদের অভ্যর্থনা জানান স্বজনরা। ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসুক জনতাও।

বর ও কনে দুই জনেরই বাগাতিপাড়ার আর্মি ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বাউয়েট) পড়ালেখা। সেখান থেকেই পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ঠিক হয় বিয়ে।

বাদশার বাদশাহী বিয়ে

বাদশা বর্তমানে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

তার বাবা শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলায় বিমান উড়তে দেখে ছেলের শখ হয়েছিল হেলিকপ্টারে চড়ার। তখন মজার ছলে বলেছিলাম, বাবা তোমাকে হেলিকপ্টারে করেই বিয়ে দেব।’

বরের ভাগনি আফছানা খাতুন জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে মামার বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া একেবারে অন্যরকম ব্যাপার।

বাদশার বাদশাহী বিয়ে

বরযাত্রী দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহাবুর ইসলাম মিঠু বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা তার এলাকায় এটিই প্রথম। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়।

বর বাদশা বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার। বাবার চেষ্টায় সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।’

বাদশার বাদশাহী বিয়ে

প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কথা না বলে মিষ্টি হাসেন কনে উর্মী আক্তার এনি।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাদাত বলেন, থানায় জানিয়ে বিয়ের আয়োজন করায় হেলিকপ্টারসহ লোকজনের নিরাপত্তায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
The chairman tortured the goat thief by not finding the son and bringing the father

‘ছাগল চোর’ ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে এনে নির্যাতন চেয়ারম্যানের

‘ছাগল চোর’ ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে এনে নির্যাতন চেয়ারম্যানের আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ছবি: নিউজবাংলা
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান বিল্পব আমাকে বিষয়টা জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

নরসিংদীর মনোহরদীতে ছাগল চুরির অভিযোগ উঠেছে ১৮ বছর বয়সী ছাদিকুল নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কিশোরকে না পেয়ে তার বাবা আঙ্গুর মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় চেয়ারম্যানের লোকেরা। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে বন্দি করে নির্যাতন করা হয়।

রাত পৌনে ১টার দিকে নির্যাতিত আঙ্গুর মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন। স্বজনদের অভিযোগ, আপোষের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে। মঙ্গলবার রাতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন আটকে রাখা আঙ্গুরের স্ত্রী রিমা আক্তার।

এ বিষয়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে আঙ্গুরের মেয়ে ময়না আক্তার নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের লোক পরিচয় দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয় বাবাকে। তারা দুই দফায় ১০/১২জন লোক আসে তাদের মধ্যে মামুন, সাদ্দাম, নাজমুল নামে তিনজনকে চিনেছি বাকিদের চেহারা চিনি নাম জানি না। সঙ্গে আমার মাকেও নিয়ে যায়। পরে মাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার ভাইকে নিয়ে গেলে বাবাকে ছাড়া হবে। ভাই কোথায় জানিনা। এখনো মা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আছে বাবা বন্দি পরিষদের ভেতরে। এ ঘটনার বিচারের জন্য আমরা সকালে পুলিশের কাছে যাব।

অভিযুক্ত খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন বিপ্লব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে হেয় করতে অনেকে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। মূল বিষয়টা হলো আমার এলাকা থেকে গরু-ছাগল চুরির হচ্ছে ঘনঘন। গত বৃহস্পতিবার আঙ্গুরের ছেলে ছাদিকুল ছাগল চুরি করে ধরা খেয়েছে কটিয়াদি গ্রামে।

‘আজ আমার পরিষদে বিচার আসে চরসবুদ্ধি, পাড়াতলা, চরআহম্মদপুর গ্রামে থেকে ছাগল চুরি হয়েছে। এর মধ্যে চুরি হওয়া ছাগলের মালিক সোহাগ মিয়া, মানিক মিয়া ও শাহজাহান মিয়া বলেন পাড়াতলা গ্রামে আঙ্গুরের ছেলে ছাদিকুল তা চুরি করে পালিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পরে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আঙ্গুরের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে না পেয়ে আঙ্গুর মিয়াকে জিঙ্গাসা করতে পরিষদে নিয়ে আসে। এ খবর বিকেলে ৫টার দিকে পেয়েছি। পরে পরিষদে এসে তাদের বলে যাই ইফতার, তারাবী নামাজ শেষে শালিসে বসব। এরপর আমি থানা পুলিশকে বিষয়টা অবগত করে রাত ১০টার দিকে পরিষদে আসি।’

ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, তার হুকুমে আঙ্গুরকে তুলে আনা হয় নাই। বরং তার আসতে দেরি হওয়ায় গ্রাম-পুলিশের পাহারায় আঙ্গুরকে আটকে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তাকে কোনো নির্যাতন করা হয় নাই। আর টাকা চাওয়ার কোনো প্রমাণ দেখাতে বলেন আঙ্গুরের স্ত্রীকে।’

এদিকে খিদিরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিলের নিউজবাংলাকে বলেন, গত তিনদিন আগে ছাগল চুরি হয়ে যায় চরআহম্মদপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ছাদিকুলকে সন্দেহ করে চেয়ারম্যান বিপ্লবের কাছে লোকজন যায়। পরে সকাল ১০টার দিকে বিল্পবের লোকেরা সন্ত্রাসী কায়দায় ছাদিকুলের বাবা আঙ্গুরকে পরিষদে নিয়ে বন্দি করে রাখে।

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে চেয়ারম্যান বিল্পব আমাকে বিষয়টা জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
জামিন পেয়েই সাংবাদিককে ‘দাঁত ভাঙা’ জবাব দেয়ার হুমকি চেয়ারম্যানের
শিশু গৃহকর্মীর পায়ে গরম পানি ঢালার অভিযোগ, গৃহকর্ত্রী আটক
বিস্কুট খাওয়ার অভিযোগে শিশুকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ
যৌন হয়রানি প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা জানাল ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ফের পেছাল ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন

মন্তব্য

সারা দেশ
Polada got 12 days leave and went on permanent leave

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’ সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও গ্রামের বাড়িতে তার শোকগ্রস্ত মা ও বাবা। কোলাজ: নিউজবাংলা
মামুন মিয়ার বাবা চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল।’

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়ার বাড়িতে চলছে মাতম।

ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে পবিত্র নগরী মক্কায় যাওয়ার পথে সৌদি আরবের আসির অঞ্চলের আবহা জেলায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে একটি বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। যাত্রীদের মধ্যে ৩৫ বাংলাদেশি ছিলেন।

জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানায়, দুর্ঘটনাস্থলটি জেদ্দা থেকে আনুমানিক ৬০০ কিলোমিটার দূরে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হন।

প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি রয়েছেন। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন কুমিল্লার। তারা হলেন জেলার মুরাদনগরের মামুন, রাসেল মোল্লা ও দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার এলাকার গিয়াস হামিদ।

মামুনের বাড়ি মুরাদনগরের মোস্তাপুর গ্রামে। সৌদি আরবে ২২ বছর বয়সী এ যুবকের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন তার বাড়িতে।

‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’

বাড়িতে দেখা যায়, মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল তেমন কথা বলছেন না। মা মমতাজ বেগম ছেলের জন্য হাউমাউ করে কাঁদছেন। মোবাইলে ছবি দেখে বুক চাপড়াতে দেখা যায় তাকে।

আবদুল আওয়ালের তিন মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে মামুন মিয়া চতুর্থ। ছয় মাস আগে মামুন তার মামা ইয়ার হোসেনের মাধ্যমে সৌদিতে যান। সেখানে হোটেল বয় হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত মামুনের মামী তাসলিমা বেগম জানান, মামুন, তার মামা ইয়ার হোসেন এবং মামুনের ভাগ্নে জাহিদুল ইসলাম বাসে করে ওমরাহ করার জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা হন। পথে তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।

তাসলিমা আরও জানান, মামুন ও স্বজনদের বহন করা বাসটি ব্রেকফেল করে একটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পরে এতে আগুন ধরে যায়। মামুন গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি; আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়।

এ দুর্ঘটনায় মামুনের মামা ইয়ার হোসেন ও ভাগ্নে জাহিদ গুরুতর আহত হন। তারা মক্কার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামুনের বাবা আবদুল আওয়াল জানান, অন্তত ৯ মাস আগে মামুন ভিসার জন্য আবেদন করেন। বয়স কম হওয়ায় সে আবেদন বাদ দেয়া হয়। পরে ৬ মাস আগে ফের আবেদন করেন মামুন। ৫ লাখ টাকা খরচ করে তাকে সৌদিতে আরবে পাঠানো হয়। পুরো টাকা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার করা।

তিনি বলেন, ‘সৌদিতে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পাই রাত ১টার দিকে। আমার নাতি জাহিদ ফোন করে বলে নানা, মামুন মামা তো নাই। কলিজাডা ফাইট্টা গেছে কথাডা হইন্না। আমার ছেলের লাশটা আইন্না দাও; আমি দেখমু।’

ওই সময় তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমার পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি বলেন, ‘আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসনিকভাবে পরিবারটির জন্য যা করার দরকার আমরা তাই করব।’

কুমিল্লা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান দপ্তরের কর্মকর্তা দেব্রবত ঘোষ বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য যা যা করতে হয়, তার সবই করব।’

আরও পড়ুন:
কাভার্ড ভ্যান-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৩
বান্দরবানে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির ধাক্কায় হেলপার নিহত
সফরের আমন্ত্রণ সৌদি বাদশাহর, স্বাগত জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

মন্তব্য

সারা দেশ
Tanklori killed 2 in autorickshaw in Shahjadpur

শাহজাদপুরে অটোরিকশাকে চাপা ট্যাংকলরির, নিহত ২

শাহজাদপুরে অটোরিকশাকে চাপা ট্যাংকলরির, নিহত ২
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বাঘাবাড়ী থেকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা শাহজাদপুর যাওয়ার পথে গঙ্গাপ্রসাদ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্যাংকলরি সেটিকে চাপা দেয়।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তেলবাহী ট্যাংকলরির চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকায় হাটিকুমরুল-নগরবাড়ী মহাসড়কে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের একজন অটোরিকশাচালক উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নাববিলা গ্রামের আব্দুল হাই। অপরজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত মিজানুর রহমান পৌর এলাকার ছয়ানিপাড়ার বাসিন্দা। তাকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থা গুরুতর হলে রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বাঘাবাড়ী থেকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা শাহজাদপুর যাওয়ার পথে গঙ্গাপ্রসাদ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্যাংকলরি সেটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন আহত হন।

আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে চালকের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই আরেকজনের মৃত্যু হয়। নিহত অটোরিকশা চালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরেকজনের মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। আহত মিজানুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:
প্রতিবেশীর ‘দায়ের কোপে’ পান বিক্রেতা নিহত
অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, দুজন নিহত    
এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানানো হলো প্রতিবেদনে
কাভার্ড ভ্যান-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির ধাক্কায় হেলপার নিহত

মন্তব্য

সারা দেশ
Ayanis body has been recovered after rains in Chittagong

চট্টগ্রামে বর্ষা, আয়াতের পর এবার আয়নীর মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামে বর্ষা, আয়াতের পর এবার আয়নীর মরদেহ উদ্ধার স্কুলছাত্রী আবিদা সুলতানা আয়নী। ছবি: নিউজবাংলা
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, ‘১০ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী আবিদা সুলতানা আয়নী নিখোঁজের পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে একজনকে আটক করে। তার দেখানো মতে পাহাড়তলী থানার আলমতারা পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে আয়নীর মরদেহ পাওয়া যায়।’

চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৮ দিন পর চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া আবিদা সুলতানা আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় রুবেল নামের এক সবজি ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়েছে।

পাহাড়তলী থানার পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে বুধবার ভোরে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আবিদা সুলতানা আয়নী নগরীর পাহাড়তলী থানার কাজীর দিঘি এলাকার আব্দুল হাদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আটক সবজি ব্যবসায়ী রুবেলও একই এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, ‘১০ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী আবিদা সুলতানা আয়নী নিখোঁজের পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে একজনকে আটক করে। তার দেখানো মতে পাহাড়তলী থানার আলমতারা পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকা থেকে আয়নীর মরদেহ পাওয়া যায়।’

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার (এসপি) নাঈমা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিশুটিকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে রুবেল। এ সময় আয়নী চিৎকার করায় শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরবর্তী সময়ে মরদেহটি বস্তাবন্দির পর সবজির ঝুড়িতে করে রাতেই পুকুরপাড়া মুরগীর ফার্ম এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়।’

চট্টগ্রামে বর্ষা, আয়াতের পর এবার আয়নীর মরদেহ উদ্ধার

তিনি জানান, ঘটনার পর দাড়ি কেটে বেশ পরিবর্তন করলেও এলাকায় থেকে সবজি বিক্রি করে যাচ্ছিলেন রুবেল। তার আচরণে সন্দেহজনক কিছু না পাওয়ায় ঘটনার রহস্য উন্মোচনে সময় লেগেছে।

গত ২১ মার্চ আরবি পড়তে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ১০ বছর বয়সী আবিদা সুলতানা আয়নী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোথাও না পেয়ে থানায় মামলার চেষ্টা করেন স্বজনরা, কিন্তু থানায় মামলা না নেয়ায় মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের নারী শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২- এ মামলার আবেদন করেন শিশুটির মা।

মামলায় মো. রুবেল নামের সবজি বিক্রেতাকে আসামি করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শরমিন জাহান পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সরাসরি এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ওই শিশুর মা চট্টগ্রামে ও বাবা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মা চাকরিতে গেলে শিশুটি তার দাদির কাছে থাকত। কয়েক দিন আগে শিশুটি তার মাকে জানায়, স্কুলের এক বান্ধবী বিড়ালছানা কিনেছে, সেও কিনবে। পাশাপাশি জানায়, রাস্তায় বসা এক সবজি বিক্রেতা তাকে আরেকজনের কাছ থেকে বিড়ালের বাচ্চা এনে দেবে বলেছে, তবে শিশুটির মা তাকে জানিয়ে দেয়, কারও কাছে যেতে হবে না, বেতন পাওয়ার পর তিনিই কিনে দেবেন। এর কয়েক দিনের মাথায় শিশুটি বিকেলে আরবি পড়তে যাওয়ার পর আর ফিরে না এলে তার দাদি ফোনে কর্মস্থলে মাকে বিষয়টি জানান। এরপর শিশুটির মা দ্রুত এসে সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও তার মেয়েকে পাননি।

পরে শিশুটির মা আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন। সেখানে দেখতে পান, ঘটনার আগের দিন ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে স্কুলে বিরতির সময় রুবেল কৌশলে শিশুটিকে তার বাসায় নিয়ে যান। আর ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজে দেখতে পান, বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে শিশুটি বোরকা পরে আরবি পড়তে যাচ্ছিল। ওই সময় রুবেলের সঙ্গে সে কথা বলছিল। একপর্যায়ে রুবেল বাজারের থলেতে একটি বিড়ালছানা শিশুটির হাতে তুলে দেয়। এরপর রুবেল ও শিশুটিকে আর দেখা যায়নি।

শিশুটির পরিবারের ধারণা, বিড়ালছানার নাম করেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিশুটিকে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আয়নীকে রুবেল অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন শিশুটির মা।

চট্টগ্রামে গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে নিখোঁজের পর দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৪ অক্টোবর চিপস কিনতে বের হয়ে নগরীর জামালখান এলাকায় নিখোঁজ হয় ৭ বছর বয়সী মার্জনা হক বর্ষা। এর তিন দিন পর একই এলাকার একটি নালা থেকে বর্ষার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে লক্ষণ দাশ নামের এক দোকান কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

নিখোঁজের ৯ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত সন্দেহে আয়াতের পরিবারের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছিলেন বলে আদালতে জবানবন্দি দেয় আবির। এরপর পিবিআইয়ের কয়েক দফা চেষ্টায় নগরীর আকমল আলী সড়কের আশেপাশে বিভিন্ন জলাশয় থেকে আয়াতের খণ্ডিত পা ও মাথা উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন:
বরিশালে হোটেল কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গোমতীতে ভেসে উঠল আনসার সদস্যের মরদেহ  
সেচ পাম্পের পাইপে নারীর মরদেহ, স্বামী আটক
স্কুলছাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধার
খালে পড়ে নিখোঁজের ৩ ঘণ্টা পর ড্রেজার শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মন্তব্য

সারা দেশ
Heavy traffic jam in Ghazaria section of Dhaka Chittagong highway

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে তীব্র যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে তীব্র যানজট সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে যানবাহনের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ঢাকামুখী লেনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে যানবাহনের চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। যানবাহনের চাপে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও অংশে সৃষ্টি হয় যানজট।

মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে গজারিয়া অংশে যানজট চলে আসে যা পরবর্তীতে দাউদকান্দির টোল প্লাজা পেরিয়ে দাউদকান্দি মোহন সিএনজি পাম্পের সামনে পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

যানজটে আটকে থাকা আসলাম হোসেন জানান, তার বাসা গজারিয়ায়। তিনি বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করে ঢাকাতে চাকরি করেন। প্রতিদিনই পৌনে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন এবং যথাসময়ে অফিসে পৌঁছে যান। তবে আজকে মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে ৮টা বাজলেও তিনি মেঘনা টোল প্লাজা পার হতে পারেননি। সেজন্য বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান শুরু হয় মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে লগ্ন শুরু হয়। একবারের অষ্টমী স্নান উৎসব দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে স্নান করে পাপমুক্ত হন। হিমালয়ের মানস সরবরের পানি ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসে পূণ্য লাভের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে। সেখানে স্নান করে নিজেদের পাপমোচন করেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন এই অষ্টমী স্নানে।

আরও পড়ুন:
রমজানের প্রথম কর্মদিবসে স্থবির ঢাকা, পথেই ইফতার
রমজানে রাজধানীতে যানজট কমাতে ১৫ নির্দেশনা
অফিস সময়ে যানজটে থমকে যায় কুমিল্লা
ইজতেমার আগের দিন রাজধানীতে তীব্র জট
ঘন কুয়াশায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধে যানজট-ভোগান্তি

মন্তব্য

সারা দেশ
Torture video by calling the creditor a thief goes viral

পাওনাদারকে চোর আখ্যা দিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

পাওনাদারকে চোর আখ্যা দিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাগেরহাটের রামপালে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে শেখ আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনার দিন দুপুরে তাকে চাকশ্রি এলাকা থেকে ব্রীচাকশ্রী এলাকায় তুলে নিয়ে যান শেখ হাসান আলী ও বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর ভাগ্নে আবু সালেহসহ কয়েকজন। চুরির অপবাদ দিয়ে প্রায় ২২ ঘণ্টা নির্যাতনের পরে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

বাগেরহাটের রামপালে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে শেখ আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার ব্রীচাকশ্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার আব্দুল্লাহ বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ এলাকার শেখ গফুরের ছেলে। সে বর্তমানে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনার দিন দুপুরে তাকে চাকশ্রি এলাকা থেকে ব্রীচাকশ্রী এলাকায় তুলে নিয়ে যান শেখ হাসান আলী ও বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর ভাগ্নে আবু সালেহসহ কয়েকজন। চুরির অপবাদ দিয়ে প্রায় ২২ ঘণ্টা নির্যাতনের পরে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে চার দিন পার হলেও এ ঘটনার কোনো মালালা হয়নি। তবে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পর ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।

পাওনাদারকে চোর আখ্যা দিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল



ভুক্তভোগীর ভাষ্য, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ব্রীচাকশ্রী এলাকার শেখ হাসান আলীকে তিনি ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা ধার দেন। এ টাকা পরিশোধ না করে হাসান তার অটোরিকশা আব্দুল্লাহর কাছে বিক্রি করে দেন। তবে প্রতিদিন ভাড়া দেয়ার শর্তে অটোরিকশাটি হাসানই চালাতে থাকেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেন। পরে আব্দুল্লাহ অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেন। এ নিয়েই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

আব্দুল্লাহ বলেন, নির্যাতনের পর সাদা স্ট্যাম্পে আমার এবং আমার মায়ের স্বাক্ষর রেখে এবং ৩ লাখ টাকার দেওয়ার স্বীকারোক্তি রেখে ছেড়ে দেয়। আমাকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

প্রত্যক্ষদর্শী শেখ আব্দুল্লাহর বন্ধু প্রাইভেটকার চালক আল আমিন বলেন, ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও বেঁধে রাখা হয়। পরে তারা শুক্রবার দুপুরে আমাদের ছেড়ে দেয়।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ বলেন, আমার সামনে কোনো নির্যাতন হয়নি। আবু সালেহ আমার ভাগ্নে নয়।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্ববাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, যুবক আব্দুল্লাহর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। মারাত্মক ইনজুরি রয়েছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
বাবার আঘাতে প্রাণ গেল শিশুর
ঘর পেলেন সেই রতন কুমার
পিটিয়ে ভাঙা হলো পা, তুলে ফেলা হলো দুই চোখ
অসহায় মানুষের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা
সবজি ক্ষেতে অজগর

মন্তব্য

সারা দেশ
A farmer was killed in a fight over cows eating grass

গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে মারামারি, কৃষক নিহত

গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে মারামারি, কৃষক নিহত প্রতীকী ছবি
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, শুকুর মিয়া গরুর জন্য পতিত জমিতে ঘাস চাষ করেছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তার জমির ঘাস খেয়ে ফেলে একই গ্রামের সাঈদ আলীর ছেলে নায়েব আলীর গরু। এ নিয়ে নায়েবের সঙ্গে শুকুর মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে নায়েব আলী তার সহোদরদের নিয়ে শুকুরকে মারধর করেন।

সুনামগঞ্জে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে মারামারিতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মুসলিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষকের নাম শুকুর মিয়া (৪৫)। তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, শুকুর মিয়া গরুর জন্য পতিত জমিতে ঘাস চাষ করেছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তার জমির ঘাস খেয়ে ফেলে একই গ্রামের সাঈদ আলীর ছেলে নায়েব আলীর গরু। এ নিয়ে নায়েবের সঙ্গে শুকুর মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে নায়েব আলী তার সহোদরদের নিয়ে শুকুরকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তারা সবাই মিলে শুকুরের বুকে পা দিয়ে চেপে ধরেন, এতে নিস্তেজ হয়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল এসপি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গরুতে খাস খাওয়া নিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরে শুকুর আলী নামের একজন মারা গেছেন। অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন:
বাঁধ নির্মাণে গাফিলতির অভিযোগে ২ প্রকল্প সভাপতি আটক
হাওরে বাঁধের কাজ শেষের সময় জানাল পাউবো
গোহত্যা বন্ধ হলেই পৃথিবীর সমস্যা শেষ: ভারতের আদালত
‘ভালো লাগে, মানুষ খেলা দেখে আনন্দ পায়’
চুরি করতে গিয়ে প্রাণ গেল হাফিজারের

মন্তব্য

p
উপরে