এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত ‘এশিয়া কাপ’ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। টুর্নামেন্ট ভারত সব সময়ই ফেভারিটের তকমাটা নিজের করে রেখেছে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়ে বসে রয়েছে সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে সুপার ফোরে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই হেরে লড়াই থেকে ছিটকে গেছে সাকিব বাহিনী। ভারতের বিরুদ্ধে শুক্রবারের ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার।
বাংলাদেশ বিদায় নিলেও তুলনামূলক খর্ব শক্তির দল নিয়ে আলোচনা কিংবা হিসাবের বাইরে থেকেও ফাইনালের দৌড়ে টিকে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা। মনে করে দেখুনতো, এশিয়া কাপ শুরুর আগে একবারের জন্যও কেউ কি ভেবেছিল শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে। উত্তরটাও সবার জানা। অবশ্যই না, কেননা শ্রীলঙ্কার এই দলটা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে তাতে এমন ভাবাটাও দোষের কিছু নয়।
আপনার-আমার ভাবনা-চিন্তায় যা-ই থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা টিকে আছে। শুধু টিকে আছেই নয়, ফাইনালে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনাও রয়েছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের। সে লক্ষ্যেই আজ লঙ্কায় হতে চলেছে লঙ্কা কাণ্ড। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে পাক ফাইটাররা। শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচটি অঘোষিত সেমিফাইনালে পরিণত হয়েছে। কেননা ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালে উঠবে, তবে যদি বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়, তাহলে অঙ্কটা কী দাঁড়াবে?
এই ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। আজ কলম্বোতে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের ৭৩ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে কোনো ফলাফল না হলে কী হবে তখন? সেক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে এবং সমান পয়েন্টই থাকবে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার। তখন দেখা হবে নিট রানরেট আর সেটা হলে পাকিস্তানের কপাল পুড়বে। কারণ বাবর আজমদের (-১.৮৯২) চেয়ে ভালো নিট রান রেট (-০.২০০) রয়েছে শ্রীলঙ্কার। তাই তারা ফাইনালে উঠে যাবে। আসলে ভারতের কাছে ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তানের নিট রানরেট কমে গেছে। যেটা বড় ধাক্কা হয়েছে বাবরদের জন্য। পাকিস্তান তাই চাইবে, যেকোনো পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার যেন পুরো খেলাটাই হয়। খেলা না হলে লাভবান হবে শ্রীলঙ্কা। তাই আজ পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ শুধু শ্রীলঙ্কাই নয়, তার সঙ্গে বৃষ্টিও তাদের তৃতীয় এবং সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ।
যদিও ক্রিকেট বিশ্ব চাইবে ম্যাচটা পাকিস্তান জিতে আরও একবার পাক-ভারত যুদ্ধের দামামা বেজে উঠুক; কিন্তু আপনার-আমার চাওয়াতে কী আসে যায়। ভুলে গেলে চলবে না যে, গত আসরেও এই শ্রীলঙ্কা হিসাবের বাইরে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কেননা এই আসর এলেই নিভু নিভু প্রদীপ শিখা থেকে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটি।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ইনজুরি আক্রান্ত দুই পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহকে নিয়ে চিন্তায় পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে রউফ কোমর এবং নাসিম ডান কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন। তাদের ব্যাকআপ হিসেবে দলে ডাকা হয়েছে অনভিজ্ঞ দুই পেসার শাহনাওয়াজ দাহানি ও জামান খানকে। ফলে আসরের শুরুতে পাকিস্তান যে বিধ্বংসী পেস অ্যাটাক নিয়ে যাত্রা করেছিল সেই বর্শা খানিকটা হলেও ভোঁতা হয়েছে।
যদিও পাকিস্তান স্বয়ংসম্পূর্ণ দল। তাদের যেমন আছে ব্যাটিং লাইন, তেমনি আছে বিশ্বমানের বোলিং লাইনও। ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা বাবর আজম। তাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অন্যদিকে দুই ওপেনার ফাখার জামান ও ইমাম-উল-হক যদি শুরুটা ভালো করতে পারেন তাহলে রেজাল্ট তাদের পক্ষেও আসতে পারে।
এবার তাকাতে চাই দু’দলের পরিসংখ্যানের দিকে। পরিসংখ্যানে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত ১৫৫ বার ৫০ ওভারের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এতে এগিয়ে রয়েছে অবশ্য মেন ইন গ্রিনরাই। ১৫৫ ম্যাচের মধ্যে ৯২টিতে জয় পেয়েছে পাক ইউনিট। অন্যদিকে ৫৮ ম্যাচে জয় সাঙ্গাকারার উত্তরসূরিদের। লঙ্কানদের নিয়ে প্রতিটি লেখায় একটা কথা আমি সব সময়ই বলি আর সেটি হলো এশিয়ার বিশ্বকাপের মঞ্চটা বেশ পছন্দের শ্রীলঙ্কার। দেখুন না তাদের পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের পরিসংখ্যান। দু’দল এখন পর্যন্ত ১৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ১২টিতে জিতেছে আর হেরেছে মাত্র ৫টিতে! কি, চোখ কপালে উঠে গেল। ওঠারই কথা। ব্যবধানটা কিন্তু কম নয়।
গুরুত্বপূর্ণ এ লড়াইটাও আবার লঙ্কানদের ঘরের মাঠে। চেনা কন্ডিশনে এবং আপন মানুষজনের উপস্থিতিতে। তাই বাড়তি সুবিধাও পাবে নিঃসন্দেহে। কলম্বোর গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পিচ কন্ডিশন নিয়ে দু-চার কথা না বললেই নয়। যেহেতু টানা বৃষ্টির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবে আউটফিল্ড স্লো থাকবেই। আর এই পিচে ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচের মতো স্পিনাররাই থাকবেন চালকের আসনে। যদিও কলম্বোর পিচ আগে থেকেই স্পিন স্বর্গ, তবে বৃষ্টি সেটিকে আরও প্রকট করেছে। এই দিক থেকে দু’দলই সমানে সমানে। পাকিস্তান যখন পেসারদের ইনজুরি নিয়ে মাথায় হাত দিয়েছিল তখন এমন খবর তাদের জন্য স্বস্তিরই বটে। অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে লঙ্কার স্পিনাররা যেভাবে ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছে তাতে লড়াই জমে উঠবে বলার অপেক্ষায় রাখে না। তাই আজ হয়তো দু’দল বাড়তি স্পিনার নিয়েই মাঠে নামবে। এ ছাড়া মাঠে রান তাড়া করে জেতাটা কঠিন হবে, যা এবারের এশিয়া কাপে শতভাগ প্রমাণিত। বাংলাদেশ বলেন কিংবা পাকিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কা- নিজেই ছোট লক্ষ্যও তাড়া করে জিততে পারেনি। তাই লক্ষ্য থাকবে টসের ওপরও। টস জেতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এর ওপর নির্ভর করছে ম্যাচের পরিণতি।
গত এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা যেখান থেকে শেষ করেছে। এবার যেন ঠিক সে জায়গা থেকেই শুরু করেছে। শিরোপার লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছে দলটি। দ্বিতীয় সারির এই বোলিং অ্যাটাক নিয়ে টুর্নামেন্টে অনেকটা পথ অতিক্রম করেছে তারা। এখন দেখার পালা, গতবারের প্রতিশোধ নিয়ে পাকিস্তান ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে পারে কি না?
লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক বাংলা
আরও পড়ুন:দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য