× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

মতামত
Do or die game for Bangladesh
google_news print-icon
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলছি

বাংলাদেশের জন্য ডু অর ডাই খেলা

বাংলাদেশের-জন্য-ডু-অর-ডাই-খেলা
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। ছবি: সংগৃহীত
শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর টিম টাইগার, তবে এ ম্যাচে শুধু জিতলেই এখন চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে নানা সমীকরণের দিকে। কেননা বাংলাদেশের সুপার ফোর-ভাগ্য নির্ভর করবে মঙ্গলবার আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ওপরও।

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ‘বি’ গ্রুপকে আগে থেকেই বলা হচ্ছিল গ্রুপ অফ ডেথ। এই গ্রুপে ইতোমধ্যে প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের কাছে ৫ উইকেটের হার দিয়ে এশিয়ান মিশন শুরু করেছে সাকিব আল হাসানের দল। ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি ‘ডু অর ডাই’-এ পরিণত হয়েছে।

শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর টিম টাইগার, তবে এ ম্যাচে শুধু জিতলেই এখন চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে নানা সমীকরণের দিকে। কেননা বাংলাদেশের সুপার ফোর-ভাগ্য নির্ভর করবে মঙ্গলবার আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ওপরও।

ক্রিকেট দুনিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক নবীন আফগানিস্তান। আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২০০৯ সালে। আর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ১৯৮৬ সালে। যদিও মূল সমস্যা হলো আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ হলেই বাড়তি মানসিক চাপ ভর করে বাংলাদেশ দলের ওপর।

অতীতের ম্যাচগুলোতে আফগানিস্তানের সঙ্গে পরাজয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দর্শকের বিরূপ সমালোচনার মুখে পড়েছিল। আর কেনই বা সমালোচনা করবে না। বোমার শব্দ আর বারুদের গন্ধে বেড়ে ওঠে আফগান শিশুরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান যেন এক মৃত্যুপুরী। স্বল্পসময়ে আবির্ভাব হলেও দারুণ ক্রিকেট খেলে মোহাম্মদ নবী, রশিদ খানরা।

টাইগারদের এ ম্যাচটি আজ পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়। বাঁচা-মরার এ লড়াইয়ের আগে একটু পেছনে তাকাতে চাই। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, গত এশিয়া কাপেও ‘বি’ গ্রুপে ছিল আফগানিস্তান, যেখানে তাদের সঙ্গী ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শক্তিমত্তার বিচারে গ্রুপের আন্ডারডগ ছিল আফগানিস্তান। সেবার গ্রুপ পর্বে তারা যা করে দেখিয়েছে, সেটাই বা কতজন ভেবেছিল? প্রথমে শ্রীলঙ্কা, এরপর বাংলাদেশকেও হারিয়েছে হেসেখেলেই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়ে সব হিসাব পাল্টে দিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা সেই রিদম ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত আসরের পুরোনো কাসুন্দি নতুন করে ঘাঁটার কারণ, এবারের আসরেও একই গ্রুপে পড়েছে এই তিন দল। এসব কথা বলার কারণ সর্বশেষ আসরের মতো এবারও আফগানরা শক্তিমত্তার বিচারে আন্ডারডগ, কিন্তু বাস্তবচিত্র আর পরিসংখ্যান অনেকটাই ভিন্ন। এই যেমন বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের শেষ ওয়ানডে সিরিজের কথাই ধরুন না। সেখানে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে জিতে ধবল ধোলাই হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। ওই সিরিজে তামিম ইকবালের অবসরের নাটকের পর ২০১৫ সাল থেকে ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশের মাঠে আধিপত্য বিস্তার করে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল আফগানিস্তান।

এবার একটু পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিতে চাই। বলা হয়ে থাকে পরিসংখ্যান একটা গাধা। কারণ পরিসংখ্যান দিয়ে কিছু যায়-আসে না; যদি না দল মাঠের খেলায় ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে। পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশই। দুই দল এখন পর্যন্ত ১৪ বার এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে উভয়ের মোকাবিলা করেছে। এর মধ্যে ৮টিতে জয় টাইগারদের ও ছয়টিতে জয় রশিদ বাহিনীর।

এশিয়া কাপের এবারের আসরটা যেহেতু ওয়ানডে ফরম্যাটে হচ্ছে, তাই বাংলাদেশ কিঞ্চিত স্বস্তিতে থাকতেই পারে, তবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। একদিকে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং অনভিজ্ঞ তরুণ ক্রিকেটার, অন্যদিকে আফগানদের রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, ফজল হক ফারুকির মতো অভিজ্ঞ বোলার।

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা নড়বড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। এই মুহূর্তে ওপেনার, খেলোয়াড়দের সামর্থ্য আর ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের আগে নানা নাটকীয়তার পর বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ান। সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেছেন, এই টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালের না থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য ক্ষতি।

ওপেনিংয়ে এখন পর্যন্ত একবারও তামিমকে আউট করতে পারেননি মুজিব উর রহমান। ইনিংসের শুরুর দিকে দুজনের চারবারের দেখায় সবকটিতে জিতেছেন তামিম ইকবাল। এদিকে অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান লিটন দাসও নেই। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের গুরুদায়িত্ব থাকবে মুশফিকুর রহিমের কাঁধেই। তরুণ তাওহীদ হৃদয়ের দারুণ সম্ভাবনা আছে নিজেকে উজাড় করে দেয়ার। এ ছাড়া রয়েছে দলের ব্যাটিংয়ের লোয়ার মিডল অর্ডারে পরীক্ষিত পারফর্মার না থাকার বিষয়টি।

শামীম পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন, মেহেদি মিরাজ, মাহেদি হাসানরা ব্যাটিংয়ের সাত নম্বরে খেলতে পারেন, কিন্তু একমাত্র মেহেদি মিরাজ বাদে অন্য কারও পরিসংখ্যান বা সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই তেমন আশা জাগানিয়া নয়।

বাংলাদেশ দলের মূল শক্তি সবসময়ই ছিল স্পিন বোলিং আর মিডল অর্ডার ব্যাটিং। বর্তমানে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফাস্ট বোলিং। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানদের বিপক্ষে ভালো করতে হলে সব বিভাগেই ভালো করতে হবে। ব্যাটিংয়ে ফর্মে রয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে অসাধারণ খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম শুধু অভিজ্ঞতার হিসেবেই নয়, পারফরম্যান্সের দিক থেকেও নিশ্চিতভাবে দলের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা।

বোলিংয়ে বাংলাদেশ দলের প্রধান শক্তির জায়গা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ ছাড়া নাসুম, মিরাজকে নিয়ে গঠিত স্পিন অ্যাটাক যেকোনো দেশকে ভোগাতে যথেষ্ট। পেসার তাসকিন, মুস্তাফিজ, হাসান মাহমুদের ওপর বাড়তি নজর থাকবে।

ভুলে যাবেন না আফগানিস্তানের টপ-অর্ডারের সঙ্গে বাংলাদেশের টপ-অর্ডারের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। আফগানিস্তানের টপ-অর্ডার দলের প্রয়োজনে দ্রুতগতিতে রান তুলতে সক্ষম। ওপেনিংয়ে আছেন মারকুটে ক্রিকেটার হজরতুল্লাহ জাজাই। মেরে খেলতে পছন্দ করেন জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ যেকোনো বড় দলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন।

মাত্র ২৪ ওয়ানডেতে এরই মধ্যে ৫টি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন গুরবাজ। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সব মিলিয়ে আফগানদের ইনিংসের ভিত গড়ার দায়িত্বটা তার কাঁধেই থাকছে। গুরবাজের সঙ্গে ওপেন করবেন ইব্রাহিম জাদরান। তার সাম্প্রতিক ফর্ম খুব একটা ভালো না হলেও ইতোমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। বড় মঞ্চেই স্বরূপে ফিরবেন এই ওপেনার, এমনটাই চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই দুজনের ব্যাকআপ হিসেবে আছেন রিয়াজ হাসান।

তিন নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে থাকবেন রহমত শাহ। চারে খেলবেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। অধিনায়কত্ব সামলানোর পাশাপাশি দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যাট হাতেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। পাঁচে খেলবেন নজিবুল্লাহ জাদরান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার মিডল অর্ডারে বড় ভরসার নাম। তার পাওয়ার হিটিং বাংলাদেশের বড় চিন্তার বিষয়।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা পেয়ে গেছে ফজল হক ফারুকিকে নিয়ে। আফগানিস্তানের বাঁ হাতি এই ফাস্ট বোলার বাংলাদেশের টপ-অর্ডারকে বেশ ভুগিয়েছেন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। তাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকার নাম রশিদ খান। মুজিব-রশিদদের ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত হয়েছিল টাইগাররা।

আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের মূল শক্তি স্পিনাররাই। দেশটির স্কোয়াডে আছে বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার। ১৭ জনের স্কোয়াডে ব্যাটিং-বোলিং দুটিই করতে পারেন ছয়জন। এসব বিষয় নিয়ে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ দলের বাড়তি পরিকল্পনা থাকবে। পরিকল্পনা থাকবে আফগানিস্তানেরও। তাই লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না।

ইতোমধ্যেই লাহোরে পৌঁছে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। ইতিবাচক দিক হচ্ছে লাহোরের উইকেট সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হয়ে থাকে। বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরু কিংবা বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন কি সেটি ধরতে পারবেন নাকি প্রথম ম্যাচের মতোই ভুল করবেন? টসে কে জিতছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। টসে জিতে ব্যাটিং বা বোলিং নেয়ার ক্ষেত্রে অধিনায়কদের বেশ ভাবতে হয় এখানে। প্রথম কারণ, এই ফরম্যাটে লক্ষ্য জানা থাকাটা ভালো, আবার লক্ষ্য যদি সামর্থ্যকে ছাড়িয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে বিপদ। তাই নিজেদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে পরিকল্পনার বাস্তবায়নটা মিললেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

আর শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের কন্ডিশন, উইকেট, প্রতিপক্ষ আর নিজেদের শক্তিমত্তা সবদিক বিবেচনায় এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ হিসেবেই থাকবে রশিদ খান-মুজিব উর রহমানরা। কাগজে-কলমে আফগানদের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ। অতীত সমীকরণ কথা বলছে টাইগারদের হয়ে, কিন্তু মাঠের লড়াইয়ের আগে হলফ করে বলা মুশকিল কে জিতবে।

বাংলাদেশ সমীকরণে এগিয়ে থাকলেও মাঠের লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই আফগানিস্তান। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান দলটি ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকেই দারুণ খেলছে। এশিয়ার ছোট দল হয়েও চোখ রাঙাচ্ছে বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে আমি বাজিটা রাখব বাংলাদেশের পক্ষে।

বাংলাদেশ এই ম্যাচ জিতেই পরবর্তী রাউন্ড, অর্থাৎ সুপার ফোরে খেলবে। কেননা গত আসরে প্রথম ম্যাচ হেরেও এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আর্জেন্টিনাও বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হেরেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাই আমরাও আশা করতেই পারি টিম টাইগার্স শেষ পর্যন্ত সব বাধা অতিক্রম করে চ্যাম্পিয়নের মতো কামব্যাক করবে।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক বাংলা

আরও পড়ুন:
একাই লড়লেন শান্ত, ১৬৪ রানে থামল বাংলাদেশ
শান্তর অর্ধশতকের পর সাজঘরে হৃদয়
৪ উইকেটে ১১৫ রান বাংলাদেশের
এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, নেই রিয়াদ
বিশ্বকাপে ‘ইনজুরি’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

মতামত
Rumana Ahmed sought justice from BCB

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বিসিবির কাছে বিচার চাইলেন রুমানা আহমেদ

বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।

গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’

২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।

বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।

দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’

৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।

মন্তব্য

মতামত
Tamims condition should improve at rest Doctor

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক তামিমের স্বাস্থ্যের অবস্থা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর (ডানে) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ। ছবি: ইউএনবি
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে। রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’

সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।

‌‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।

‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’

আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।

‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা সাকিব জ্যোতি তামিমদের
নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম

মন্তব্য

মতামত
The ring is worn on Tamims heart

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।

বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।

ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।

‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
টানা দুই জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

মন্তব্য

মতামত
Cricketer Shakibs property in the Czech Digon case

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ


চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি সাকিব আল হাসান। ছবি: বাসস
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।

আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।

আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।

আরও পড়ুন:
হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে পলক
বাসসের এমডিসহ তিনজনের নামে যুগান্তর সম্পাদকের মামলা
ঘুষের মামলায় তারেক রহমান ও বাবরসহ আটজন খালাস
অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা আলামত জব্দের অনুমতি পেল আইসিটি

মন্তব্য

মতামত
Tamim Iqbal at the hospital with chest pain

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।

তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।

‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’

টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
সরকারি হাসপাতালে দুই দিন ধরে নেই পানি, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজন
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

মন্তব্য

মতামত
Inter University Cricket Tournament Revised in the Permanent campus of Canadian University

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আন্তবিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল অনুুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন। ছবি: সিইউবি
এ টুর্নামেন্টে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।

গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।

সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।

সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের টাইটেল স্পন্সর সেনোরা
টাইগারদের লড়াকু পুঁজি
আফগানিস্তান ২৩৫ রানে অলআউট
চট্টগ্রাম টেস্টে তিনদিনেই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
রানপাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশ ধুঁকছে

মন্তব্য

মতামত
Fortune Barisal started the BPL with a win

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে সোমবার। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

সোমবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।

১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছতে মাঠে নেমে বরিশাল তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায়। জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।

পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে তিন উইকেটে ৩০ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।

এরপর তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়। কিন্তু কাইল মেয়ার্স (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) দ্রুত আউট হওয়ায় বরিশাল আরও বিপদে পড়ে যায়।

অর্ধেক ওভার মাঠে গড়ানোর আগেই বরিশাল অর্ধেক উইকেট হারিয়ে বসে। ১৩তম ওভারে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।

ম্যাচের এই পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জয়ের শক্তিশালী জুটি গড়েন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।

এর আগে ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।

বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির। ১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন।

এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।

আরও পড়ুন:
বিপিএলের মাসকট ‘ডানা ৩৬’ উন্মোচন
ড্রাফট শেষে বিপিএলে সাত দলের স্কোয়াড
প্রথমবারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
ফাটাফাটি লড়াই হবে ফাইনাল মহারথে
দ্য গ্রেট ওয়াল মুশফিকের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে ফাইনালে বরিশাল

মন্তব্য

p
উপরে