ধীরে ধীরে ডিজিটাল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সেবা সহজলভ্য হওয়ার ফলে যেকোনো ধরনের তথ্য ও সেবা পাওয়া এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ এবং কার্যকর হয়েছে।
দেশের পুঁজিবাজারও এর ব্যতিক্রম নয়। শেয়ার বাজারে ডিজিটাল সেবা হচ্ছে তথ্য ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিনিয়োগসহ অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদানের ডিজিটাল ব্যবস্থা। ডিজিটাল ব্যবস্থায় বিনিয়োগকারীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন।
ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে যেকোনো স্থানে বসেই সহজেই বিনিয়োগকারীরা নিজেরা তাদের পোর্টফোলিও পরিচালনা করতে পারবেন। এ মাধ্যমে লেনদেনও সম্পন্ন হয় দ্রুত সময়ে এবং এটা একই সঙ্গে ব্যয়সাশ্রয়ী, পাশাপাশি নিশ্চিত হয় স্বচ্ছতা।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ইলেকট্রনিক ট্রেডিংয়ের সূচনা হয়।
এর আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শেয়ার কেনাবেচা হতো। পরে ২০১৬ সালে ডিএসই ট্রেডিং অ্যাপ উন্মোচন করে। বর্তমানে ডিএসই-তে ব্যবহার করা হচ্ছে সেন্ট্রালাইজড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘ফ্লেক্স টিপি।’
ডিএসইর উদ্যোগের পরে নিজেদের সেবাকে বিনিয়োগকারীর আরও কাছে নিয়ে যেতে কিছু কিছু ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অথবা তৃতীয় পক্ষের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রমে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে শুরু করেছে। তারা সেবা দিচ্ছে অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) অ্যাপের মাধ্যমে, যা সহজেই গুগল প্লে স্টোর অথবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।
অনেক সময় দেখা যায়, ঝামেলা মনে করে অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকছেন।
তবে ডিজিটাল সেবার আওতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বিনিয়োগকারীরা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোনেই লেনদেন সম্পন্ন করা যাচ্ছে।
সে ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে জেনে নিতে হবে কোন অ্যাপটি পুঁজিবাজারে লেনদেনের জন্য সবচেয়ে ভালো। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীকে আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বিনিয়োগের উদ্দেশ্য, ঝুঁকি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা রাখা এবং বিনিয়োগের ঝুঁকি গ্রহণে সক্ষমতা রয়েছে কি না তা জানা।
পুঁজিবাজারে লেনদেনের প্রক্রিয়া এবং ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীকে প্রথমেই জেনে নিতে হবে।
বাজারে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ খাতে দীর্ঘদিন কাজ করছে। লেনদেন, বিনিয়োগের গতিপ্রকৃতি, সেখান থেকে লাভবান হবার উপায়, নানা নিয়মনীতি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন।
সম্প্রতি পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
নিজস্ব ওএমএস ব্যবহার করে মার্জিন ঋণ ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ নতুন বিনিয়োগকারী যুক্ত করা সম্ভব।
ডিজিটাল সুবিধা প্রচলিত হওয়ার আগে পুঁজিবাজারের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে অনেক সময় ব্যয় করা লাগত, ব্রোকারেজ হাউস বা স্টক একচেঞ্জে সশরীরে হাজির থাকা লাগত।
ডিজিটাল মাধ্যমের সবচেয়ে বড় সুবিধাই হচ্ছে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে লেনদেন করার সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারী।
সে ক্ষেত্রে এনবিএল সিকিউরিটিজসহ নানা প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা যায়। যারা পুঁজিবাজারের লেনদেনকে ডিজিটাল মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে।
শিগগিরই এনবিএল সিকিউরিটিজ চালু করবে এর নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যেন বিনিয়োগকারীরা যেকোনো স্থান থেকে অর্ডার পরিচালনা করতে পারেন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং তাদের সেবা প্রদানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কল সেন্টার সেবা। প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত ভিত্তিতে আর্থিক তথ্য ও গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে এর ডিজিটাল সেবাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে স্বাচ্ছন্দ্যে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্ভাবনী নানা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে এনবিএল সিকিউরিটিজসহ পুঁজিবাজারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। শেয়ারবাজারে আগ্রহীরা যেন ভবিষ্যতে সহজে ও দ্রুত সময়ে বিও হিসাব খুলতে পারেন এবং মার্জিন লোন সুবিধা ও অ্যাপের মাধ্যমে দেশ বা বিদেশের যেকোনো স্থান থেকে লেনদেন করার সুযোগ উপভোগ করেন, পাশাপাশি পুঁজিবাজার সম্পর্কিত তথ্য ই-মেইলে প্রদান করতে পারেন এ জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এসব সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে, তাদের আর্থিক প্রশিক্ষণে, বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের অ্যাকসেস বৃদ্ধিতে এবং লেনদেন সুরক্ষিত করতেও ভূমিকা রাখছে, যা এ খাতের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লেনদেন এবং এর মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াই এ বিনিয়োগের কারণ।
এ ক্ষেত্রে কেবল পুঁজিবাজার বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা থাকলেই হবে না, পাশাপাশি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবস্থা এবং লেনদেনের স্বচ্ছতা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন। ডিজিটাল সেবাগুলো গ্রহণের মাধ্যমে তাদের এ কাজটি আরও সহজ ও কার্যকর হচ্ছে। বিনিয়োগ করার মধ্য দিয়ে এক দিকে যেমন বিনিয়োগকারী সফল হতে পারেন, অপরদিকে তেমনি সমৃদ্ধ হতে পারে তালিকাভুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দেশের অর্থনীতি।
লেখক: জোবায়েদ আল মামুন হাসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য