× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

মতামত
Prime Ministers visit to India Issues to focus on
google_news print-icon

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: মনোযোগ পেতে পারে যেসব ইস্যু

প্রধানমন্ত্রীর-ভারত-সফর-মনোযোগ-পেতে-পারে-যেসব-ইস্যু
ফাইল ছবি
আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উষ্ণ করবে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করবে। সেই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের কিছু অমীমাংসিত ইস্যু এই সফরে বাড়তি মনোযোগ পেতে পারে, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার বাইরে।

বাংলাদেশ ও ভারত ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি, জাতীয় সংগীত এবং অন্য অনেক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার দৃঢ়তা এবং বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে, যা গড়ে উঠেছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগ ও সদিচ্ছার আলোকে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এই দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক শুধু রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বিস্তৃত হয়েছে কৌশলগত ক্ষেত্রেও।

বাংলাদেশের বন্ধুভাবাপন্ন এই দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছিলেন। ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের এই সরকারি সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

আশা করা হচ্ছে, এই সফর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উষ্ণ করবে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করবে। সেই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের কিছু অমীমাংসিত ইস্যু এই সফরে বাড়তি মনোযোগ পেতে পারে, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার বাইরে।

এবারের সফরে বাংলাদেশ চাইছে দুই দেশের মধ্যে যে সর্বোচ্চ সম্পর্ক, তা আরও একবার প্রমাণ করতে। বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, এমন যে মনোভাব ভারতের তৈরি হয়েছে তা দূর করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এক ডজনের ওপর চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি প্রস্তুতিমূলক বৈঠক যতগুলো করা সম্ভব, সেগুলো আগস্ট মাসেই হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমানা, সামুদ্রিক বিরোধসহ অনেক বড় সমস্যা সমাধান করেছে এবং দুই দেশের সম্পর্ক ২০ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিপক্ব।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে গঙ্গা চুক্তির ২৬ বছর পর কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর (এমওইউ) হতে যাচ্ছে। সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারত থেকে কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি পাওয়ার আশা করছে।

এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন বিষয়ক দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যু সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে কুশিয়ারা স্মারক সই হওয়ার পাশাপাশি তিস্তার বিষয়ে একটি সমাধান আসতে পারে।

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত একমাত্র বাধা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। খোঁজা হচ্ছে রাজনৈতিক সমাধানও। শেখ হাসিনার আসন্ন সফরে এ বিষয়ে একটি ফল পেতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য সব সময়ই উদ্বেগের। সে জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের যেকোনো পর্যায়ের আলোচনায় সীমান্ত হত্যা এবং শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা অন্যতম ইস্যু। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে। এবারের আলোচনায়ও সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ জোর দেবে। মানব, মাদক ও সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গ আলোচনায় আসতে পারে।

এবার সফরের অর্থনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তি ‘সেপা’ (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট)। এই চুক্তি হলে ভারত ও বাংলাদেশের পণ্য দুই দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যান্টি-ডাম্পিং নীতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন হতে পারে। জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা চাওয়াসহ এ সফরে প্রায় ১০ থেকে ১২টি চুক্তি ও সমঝোতা হতে পারে। এই সফর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সহযোগিতামূলক কাঠামোর মধ্যে কিছু সমস্যা সমাধান করা প্রয়োজন। প্রথমত, আন্তঃসীমান্ত নদীর পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সীমান্ত হত্যা এবং সীমান্তজুড়ে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্যের ইস্যুটি দুই দেশের মধ্যে বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দুই দশকে বিএসএফ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। নিয়মবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ড এড়াতে যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিয়মিত বৈঠক জোরদার করা যেতে পারে। তৃতীয়ত, মিথ্যা খবর, গুজবের পাশাপাশি আর্থসামাজিক ইস্যুতে অপপ্রচারের দিকেও নজর দিতে হবে।

এর কারণ হলো সংখ্যালঘু নিপীড়ন সম্পর্কে গুজব তাদের সমকক্ষদের মধ্যে প্রায়ই সহিংসতা এবং নেতিবাচক অনুভূতি উসকে দেয়। অবশেষে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের কাছ থেকে আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে। নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ভারতকে মিয়ানমারের ওপর তার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করা উচিত।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতির পরিবর্তনশীল প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য বিকল্প উপায় দেখতে হবে। ভারত ও বাংলাদেশ বেশির ভাগ বিষয়ে কমবেশি একমত হয়েছে। এই স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। তিস্তা নদী এবং রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো ভারতকে কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন না হয়। বেআইনি ব্যবসা, পাচার এবং গবাদিপশুর চোরাচালান, বিশেষ করে মাদকদ্রব্যের ক্ষেত্রেও নজর রাখতে হবে। ভারত ও বাংলাদেশকে অবশ্যই সার্ক, বিমসটেক এবং বিবিআইএনের মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোতে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সীমান্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ, প্রতিরক্ষা এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বহুমুখী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় কাজ করতে হবে।

লেখক: আকিব রহমান শান্ত

[email protected]

আরও পড়ুন:
‘পাকিস্তানিরাও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায়’
শেখ হাসিনার বহরে হামলা: এবার আইনজীবীকে হত্যার হুমকি
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য শুরু
শেখ হাসিনার বহরে হামলা: অস্ত্র আইনে বিচার শুরু
১/১১-এর সরকার ও শেখ হাসিনার কারামুক্তি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

মতামত
Indias Lok Sabha polls begin amid chances of BJP hat trick

বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু

বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে শুক্রবার ভোট দেয়ার পর আঙুলের কালি দেখাচ্ছেন তিন ভোটার। ছবি: প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া
ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হ্যাটট্রিক তথা টানা তৃতীয় জয়ের সম্ভাবনার মধ্যে শুক্রবার দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে আজ ভোট হচ্ছে।

সাত ধাপের এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সব আসনে ভোট হচ্ছে তামিলনাড়ু (৩৯), রাজস্থান (১২), উত্তর প্রদেশ (৮), উত্তরাখণ্ড (৫), অরুণাচল প্রদেশ (২), মেঘালয় (২), আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (১), মিজোরাম (১), নাগাল্যান্ড (১), পুদুচেরি (১), সিকিম (১) ও লাক্ষাদ্বীপে (১)। এর বাইরে আসাম ও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি করে আসনে, বিহারের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের তিনটি, মণিপুরের দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্রিশগড়ের একটি করে আসনে ভোট হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চার রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে আজ ভোট।

ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।

লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।

আরও পড়ুন:
লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার

মন্তব্য

মতামত
Voting for the Lok Sabha elections began on Friday

লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার

লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের ২৯টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১৮টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একইসঙ্গে এদিন ভোটগ্রহণ হবে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬০ ও সিকিমের ৩২টি আসনে।

ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে শুক্রবার। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে সাত দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে ৪২টি আসন। শুরুর দিনে এই রাজ্যে তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। আসন তিনটি হলো-কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার।

বাকি ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একইসঙ্গে এদিন ভোটগ্রহণ হবে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি আসনে।

ভারতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো হলো- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু, সিকিম, রাজস্থান, পদুচেরি, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, লাক্ষাদ্বীপ, জম্মু ও কাশ্মীর, ছত্রিশগড়, আসাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৩০৩, কংগ্রেস ৫২, সমাজবাদী পার্টি ৫, বহুজন সমাজ পার্টি ১০, তৃণমূল ২২, ডিএমকে ২৩, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ২২ ও টিডিপি ২টি আসনে জয় পেয়েছিল।

গত নির্বাচনে গোটা দেশে নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির ৪০ জন, তৃণমূলের ৯ জন, কংগ্রেসের ৬ জন, ওডিশার বিজেডির ৫ জন মিলিয়ে সর্বমোট ৭৮ জন।

এ বছর ভারতে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন (১৮-১৯ বছর বয়সী) এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার।

মন্তব্য

মতামত
83 dead in Pakistan Afghanistan due to storm

ঝড়ে পাকিস্তান আফগানিস্তানে ৮৩ প্রাণহানি

ঝড়ে পাকিস্তান আফগানিস্তানে ৮৩ প্রাণহানি পাকিস্তানের পেশোয়ারে সোমবার বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে বিভিন্ন বয়সী লোকজন। ছবি: এপি
পাকিস্তানজুড়ে ঝড়ে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় আফগানিস্তানে ৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশটিতে আহত হয়েছেন ২৭ জন।

ঝড়ের সময় বজ্রপাত ও প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় সীমান্তবর্তী দুই দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে কমপক্ষে ৮৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে আল জাজিরা।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানজুড়ে ঝড়ে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বেশির ভাগ প্রাণহানি হয় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায়, যেখানে প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় ভূমিধসে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপড়ে যায় গাছ।

দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিতে ধসে যায় বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র জানান, অঞ্চলটিতে বৃষ্টিজনিত কারণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও বৃষ্টি হতে পারে।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ব্যাপক বৃষ্টি হয়। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে বন্যায় সাতজন প্রাণ হারান।

বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ার এবং বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কুয়েটার সড়ক।

এমন বাস্তবতায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।

আফগানিস্তানে বন্যা

দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশটিতে আহত হয়েছেন ২৭ জন।

তিনি জানান, বন্যায় ছয় শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ২০০ গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।

ওই মুখপাত্র জানান, বন্যায় বিপুল কৃষিজমির পাশাপাশি ৮৫ কিলোমিটারের বেশি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
সরকার গঠন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানে সরকার গঠনে ঐকমত্য, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ-প্রেসিডেন্ট জারদারি
ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেব না: ইমরান

মন্তব্য

মতামত
The school bus overturned in Haryana on the morning of Eid killing 6 children The driver was drunk

ঈদের সকালে হরিয়ানায় স্কুলবাস উল্টে ৬ শিশু নিহত, ‘মদ্যপ ছিলেন’ চালক

ঈদের সকালে হরিয়ানায় স্কুলবাস উল্টে ৬ শিশু নিহত, ‘মদ্যপ ছিলেন’ চালক ছুটির দিনেও শিশুদের আনতে বাস পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত
বাসটি জিএল পাবলিক স্কুল নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের ছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ঈদের দিন সরকারি ছুটি থাকা সত্ত্বেও স্কুলটি খোলা ছিল।

ঈদের দিন সকালে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি স্কুলবাস উল্টে ৬ শিশু নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২০ জন।

মহেন্দ্রগড় জেলার কানিনা শহরের কানিনা-দাদরি সড়কে বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাসটি জিএল পাবলিক স্কুল নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের ছিল বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ঈদের দিন সরকারি ছুটি থাকা সত্ত্বেও স্কুলটি খোলা ছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতকের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে ৩৫ থেকে ৪০টির মতো শিশু ছিল। দুর্ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ৬ জনকে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি একজনকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণ পর তারও মৃত্যু হয়।

বাসচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায় পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগের পর চালক মদ্যপ ছিলেন কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১২ আহত শিক্ষার্থীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রোহতকের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মহেন্দ্রগড় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ধারণা, বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে। তিনি মদ্যপ থাকার কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মহেন্দ্রগড় জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আরশ ভার্মা বলেছেন, ‘বাসচালকের (মদ্যপ থাকার) বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার একটি মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়েছে।’

সরকারি নথি থেকে এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও পরে তা আর নবায়ন করা হয়নি।

দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সাইনি।

এক এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কানিনায় স্কুলবাস দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। যারা নিষ্পাপ শিশুদের হারাল, ওইসব পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’

ছুটির দিনেও কেন স্কুলটি খোলা ছিল, তার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী সীমা ত্রিখা।

মন্তব্য

মতামত
13 were killed when a truck overturned on the way to a shrine in Pakistan

পাকিস্তানে মাজারে যাাওয়ার পথে ট্রাক উল্টে নিহত ১৩

পাকিস্তানে মাজারে যাাওয়ার পথে ট্রাক উল্টে নিহত ১৩ ট্রাক খাদে পড়ে ঘটেছে হাতহতের ঘটনা। ছবি: জিও নিউজ
বেলুচিস্তান সরকারের একজন মুখপাত্র জি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে মাজারে যাওয়ার পথে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রাক খাদে পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে বেলুচিস্তানের হাব জেলায় শাহ নুরানী মাজারে যাওয়ার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জিও নিউজ জাানিয়েছে।

বেলুচিস্তান সরকারের একজন মুখপাত্র জি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সিন্ধুর ঠাট্টা থেকে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী ট্রাকটি খুজদার জেলার শাহ নুরানি মাজারে যাওয়ার সময় হাব জেলায় খাদে পড়ে যায়।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি জেলা প্রশাসনকে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্তব্য

মতামত
Now the junta is helping those Rohingyas

এখন সেই রোহিঙ্গাদেরই সহায়তা নিচ্ছে জান্তা

এখন সেই রোহিঙ্গাদেরই সহায়তা নিচ্ছে জান্তা ২০১২ সালে রাখাইনের বসতি থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর অনেক রোহিঙ্গা বিভিন্ন শিবিরে থাকতে শুরু করে। ছবি: বিবিসি
দেশটির অন্য অংশে বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জান্তাও বিপুল সংখ্যক সৈন্য হারিয়েছে। তারা নিহত ও আহত হয়েছে এবং অনেক আত্মসমর্পণ করেছে।

মিয়ানমারে হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করার প্রায় সাত বছর পর এখন তাদেরই সাহায্য নিচ্ছে দেশটির সামরিক জান্তা।

রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে বিবিসি সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জনকে সাম্প্রতিক সপ্তাহে যুদ্ধরত জান্তার পক্ষে লড়াই করার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে।

নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ছদ্মনাম ব্যবহার করেছে বিবিসি।

৩১ বছর বয়সী রোহিঙ্গা মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি ভীত ছিলাম, কিন্তু আমাকে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।’

রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছের একটি শিবিরে থাকেন তিনি। এক দশক ধরে বাস্তুচ্যুত অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা এ ধরনের শিবিরে থাকছেন।

গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে একদিন রাতে মোহাম্মদের কাছে আসেন এক শিবিরনেতা। তাকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে বলে জানান ওই নেতা।

মোহাম্মকে তখন বলা হয়েছিল, এটা সেনাবাহিনীর আদেশ। আদেশ পালন না করলে তার পরিবারের ক্ষতি করা হবে।

বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে, সেনা কর্মকর্তারা শিবিরগুলোর (ক্যাম্প) আশপাশে ঘোরাফেরা করেন। তারা তরুণ রোহিঙ্গাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীতে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

২০১২ সালে রাখাইনের বসতি থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করা হয়। এরপর অনেক রোহিঙ্গা বিভিন্ন শিবিরে থাকতে শুরু করেন। পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ও নিধন অভিযান শুরু করলে ওই সময় সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

ওই সময় মিয়ানমারে হাজারো রোহিঙ্গা হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

সম্প্রতি আরাকান আর্মি নামক একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে রাখাইনে বিশাল এলাকা হারানোর পর একই সেনাবাহিনী এখন রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ করছে।

দেশটির অন্য অংশে বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জান্তাও বিপুল সংখ্যক সৈন্য হারিয়েছে। তারা নিহত ও আহত হয়েছে এবং অনেক আত্মসমর্পণ করেছে।

আরও পড়ুন:
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, ছয় শিশুসহ দগ্ধ ৯
অস্ত্রসহ আটক ২২ রোহিঙ্গার ১১জন রিমান্ড শেষে কারাগারে
গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
মিয়ানমারের পাঁচ গ্রাম থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রোহিঙ্গাদের
রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরে পৌঁছেছে নৌবাহিনীর ৫ জাহাজ

মন্তব্য

মতামত
Cold room in Mumbai to fight fire

দাবদাহ মোকাবিলায় মুম্বাইয়ে কোল্ড রুম

দাবদাহ মোকাবিলায় মুম্বাইয়ে কোল্ড রুম দাবদাহ মোকাবিলায় মুম্বাইয়ে কোল্ড রুমের ব্যবস্থা করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। ছবি: এনডিটিভি
নগর কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হিট স্ট্রোক রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৪টি বড় হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের কোল্ড রুমে দুটি করে শয্যা থাকবে। হিট স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য মেডিক্যাল অফিসার এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

দাবদাহ মোকাবিলায় ভারতের মুম্বাইয়ের নগর কর্তৃপক্ষ শহরের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রোগীদের জন্য কোল্ড রুমের ব্যবস্থা করেছে এবং সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ হিট স্ট্রোকের ওষুধ মজুত রেখেছে।

তীব্র দাবদাহ ও গরম বাড়তে পারে এমন শঙ্কা থেকে কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে শুক্রবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়।

কোল্ড রুম এমন একটি কক্ষ যেটি কম তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়।

মহারাষ্ট্রের রাজধানী শহর মুম্বাইয়ের গভর্নিং সিভিক বডি বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন বলছে, তারা শহরের ১০৩টি ওষুধের দোকান শীতাতপনিয়ন্ত্রীত করা হয়েছে।

সিভিক বডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হিট স্ট্রোক রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৪টি বড় হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের কোল্ড রুমে দুটি করে শয্যা থাকবে। হিট স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য মেডিক্যাল অফিসার এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এপ্রিল এবং মে থেকে তুলনামূলকভাবে গরম বাড়তে থাকে। তাই এ সময় হিট স্ট্রোকের প্রবণতাও বেড়ে যায়।

নাগরিক সংস্থাটি হিট স্ট্রোক এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে।

আরও পড়ুন:
লোকসভা ভোটের দিন-তারিখ ঘোষণা
নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত পাশে থাকায় নির্বাচনে অন্যরা হস্তক্ষেপ করতে পারেনি: কাদের
নির্বাচনের আগে পেট্রল ডিজেলের দাম কমাল ভারত
মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু

মন্তব্য

p
উপরে