× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

মতামত
That movie has increased the division in India
google_news print-icon

যে সিনেমা ভারতে বিভাজন বাড়িয়েছে 

যে-সিনেমা-ভারতে-বিভাজন-বাড়িয়েছে 
দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এ কাশ্মীর উপত্যকার মুসলমান জনতা উপেক্ষিত, কারণ এটি পরিচালকের লক্ষ্যই ছিল না। যে প্রোপাগান্ডা ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে, তার জন্য এই বাস্তবতা অসুবিধাজনক এবং অস্বস্তিকর। ফলে মানুষকে উসকানি দেয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে সত্যের একটি ছোট অংশকে সম্পূর্ণ সত্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে সফলভাবে।

কোনো সুপারস্টার ছাড়াই দুই সপ্তাহে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলল দ্য কাশ্মীর ফাইলস। এখনও হইহই করে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্সে চলছে। কাহিনিকার ও পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রীর এই ফিল্ম বক্স অফিসে ঝড় তোলার পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক ও বোদ্ধা মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটির সমর্থনে আসরে নেমেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশনের মধ্যে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘যারা সব সময় মতপ্রকাশের অধিকার নিয়ে সোচ্চার, তারা গত কয়েক দিন ধরে খুবই বিচলিত হয়ে পড়েছেন। দ্য কাশ্মীর ফাইলসকে তথ্যের নিরিখে বিশ্লেষণ করার বদলে শিল্পের নিরিখে বিচার করার জায়গায় তারা এই ফিল্মটিকে কলঙ্কিত করছেন, সুনামহানি করছেন। কেউ সত্যকে সামনে আনছেন, আর সেই সত্যকে কিছু মানুষ স্বীকার করতেই প্রস্তুত নন।' মোদি বলেছেন, 'সত্যকে ঠিকভাবে দেশের সামনে আনতে হবে। এটাই দরকার। যারা মনে করেন এটা ঠিক নয়, তারা আরেকটি সিনেমা বানান। কে মানা করেছে?'

প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণের পরেই বিজেপিশাসিত রাজ্য গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ ও গোয়ায় করমুক্ত করে দেয়া হয়েছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস। আধুনিক ভারতের ইতিহাসবিদ, মহাত্মা গান্ধীর জীবনীকার রামচন্দ্র গুহ টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ফিল্মটির চিত্রনাট্য খুবই বাজে, সত্য বিকৃত করা হয়েছে এবং কাশ্মীর ফাইলস-এর একমাত্র উদ্দেশ্য আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’

ফিল্মটি নিয়ে যে বিতর্ক, তা নিয়ে আলোচনা করার আগে দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর কাহিনিতে একটু আলোকপাত করা যাক। কৃষ্ণ পণ্ডিত একজন যুবক, যিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচন জেএনইউ-এর নির্বাচনের দ্বারা অনুপ্রাণিত। অধ্যাপক রাধিকা মেনন তার পরামর্শদাতা। কৃষ্ণ একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত হওয়ার কারণে বর্তমান শাসকদের কাশ্মীর সম্পর্কিত বক্তব্য অসাড় প্রমাণ করার জন্য একজন আদর্শ প্রার্থী। কৃষ্ণের দাদু পুষ্কর নাথ পণ্ডিত একজন বাস্তুচ্যুত কাশ্মীরি পণ্ডিত, যিনি ডেমেনশিয়ায় ভুগে মারা যান। কৃষ্ণ দাদুর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে কাশ্মীরে যান এবং তাদের পৈতৃক বাড়িতে তার দেহভস্ম ছিটিয়ে দেন। তিনি যখন পৌঁছান, তাকে পাঁচ ব্যক্তি স্বাগত জানায়, যারা তার জন্য অপেক্ষা করছিল: ব্রহ্মা দত্ত, যিনি একজন প্রাক্তন ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা অফিসার এবং তার স্ত্রী লক্ষ্মী দত্ত; ডা. মহেশ কুমার, যিনি একজন ডাক্তার এবং বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন; একজন অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি, হরি নারায়ণ এবং বিষ্ণু রাম নামে একজন সাংবাদিক।

এদের সবার বয়স ৭০-এর কোঠায়, তারা বৃদ্ধ, ক্লান্ত এবং তিক্ত। তারা সবাই কৃষ্ণের দাদুকে চিনতেন এবং তার অতীত সম্পর্কে জানতেন। কৃষ্ণের কোনো ধারণাই ছিল না যে তার বাবা, মা এবং বড় ভাইকে কাশ্মীরে জঙ্গিরা হত্যা করেছে। রাধিকা মেননের মাধ্যমে তার মগজ এমনভাবে ধোলাই হয়েছে যে তিনি প্রাথমিক সত্যগুলো গ্রহণ করতে অক্ষম। তবে ধীরে ধীরে তিনি তার পরিবার সম্পর্কে সত্যটি আবিষ্কার করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত বদলে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে তিনি একটি বক্তৃতায় রাধিকা মেননের বক্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে এবং প্রকাশ্যে কঠোর ভাষায় খণ্ডন করেন। তার বাকপটু বক্তব্য শ্রোতাদের বিস্মিত এবং কিছুটা বিব্রত করে।

২০০৩ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় নন্দীমার্গ গণহত্যায় তার দাদুর সামনে জঙ্গিদের হাতে তার মা এবং ভাই-বোনের হত্যার হৃদয়বিদারক দৃশ্য দিয়ে ফিল্মটি শেষ হয়।

আমি ফিল্ম বোদ্ধা নই। তাই এই ফিল্মটি নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষ্য অনুযায়ী 'শিল্পের নিরিখে বিচার করার' দুঃসাহস আমি দেখাব না। তবে একটা উদ্ধৃতি দিতে চাই শিল্পের নিরিখ সম্পর্কে। মুম্বাইয়ের তরুণ চিত্রনাট্যকার দারাব ফারুকী একটি ইংরেজি ওয়েব পোর্টালে লিখেছেন, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস প্রকৃতপক্ষে সত্যকে নিপুণভাবে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে, সত্যকে চেরি-পিক করে এবং সত্যকে আবেগগতভাবে শোষণ করে। ফলে চলচ্চিত্রটি শেষ পর্যন্ত বিশুদ্ধ সালফিউরিক অ্যাসিড (ভিট্রিওল) এবং ঘৃণার একটি মিশ্রণে পরিণত হয়েছে।

‘সহানুভূতি জাগিয়ে তোলা এবং মানুষকে একত্রিত করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিষয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তবে খুব দ্রুত এটি সত্যিকারের দুষ্ট এবং নৃশংস কিছুতে পরিণত হয়েছে।... আমি বিশ্বাস করি শিল্প বা কারিগরের প্রকৃত কাজ না করে এটিকে শুধুমাত্র প্রচারধর্মী ছবি বানানো হয়েছে। প্রোপাগান্ডার সংজ্ঞা অনুসারে এই ছবিতে তথ্য, যুক্তি, অনুমান, অর্ধ-সত্য বা সরাসরি মিথ্যা প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ছবিটি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করে, যা একতরফা এবং সত্যকে আংশিক বা সুবিধাজনকভাবে উপস্থাপিত করেছে।’

আমি প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ অনুযায়ী দ্য কাশ্মীর ফাইলসকে তথ্যের আধারে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্তৃত্বাধীন পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ও আশীর্বাদ পেয়েছে ছবিটি। কারণ ছবিটি হিন্দুদের (কাশ্মীরি পণ্ডিত) ওপর মুসলমানদের অত্যাচারের কথা বলে, সংঘ পরিবারের রাজনৈতিক প্রচারের যা সারবস্তু। গত তিন দশক ধরে জম্মু-কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা রক্ত ঝরিয়ে চলেছে। হাজারে হাজারে নিরীহ সাধারণ মানুষ, সে হিন্দু হোক বা মুসলমান, খুন হয়েছে। ভয়ে, আতঙ্কে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে কয়েক হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার তাদের বংশানুক্রমিক ভিটেমাটি ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র। এসবই কঠিন বাস্তব।

এ ফিল্মে এই বাস্তবতার সামগ্রিক প্রতিফলন নেই। ছবিতে এমন একটিও মুসলিম চরিত্র নেই যিনি সহানুভূতিশীল। প্রতিটি মুসলিম চরিত্র হয় প্রতারক বা খারাপ। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিত সংগ্রাম সমিতির মতে, কাশ্মীরে ৩৫৭ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, সরকারি-বেসরকারি সমস্ত রকম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হাজার হাজার মুসলমান নাগরিক সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে। কেন এই মুসলমানদের খুন করা হয়েছিল, সেই বিষয়টি চলচ্চিত্রে কখনই বলা হয়নি। হাজার হাজার মুসলিম শিশু অনাথ হয়েছে। হাজার হাজার মুসলিম নারী বিধবা হয়েছে। এসবের কোনো উল্লেখ ‘তথ্যের আধারে নির্মিত’ দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এ নেই।

কাশ্মীরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, সে হিন্দু হোক বা মুসলমান। রিপোর্ট অনুযায়ী, জঙ্গিরা মুসলিমদের বিরুদ্ধেও নৃশংসতা চালিয়েছে। কাশ্মীরে আটকে পড়া মুসলমানদের পালানোর জায়গা নেই। তারা ছায়ায় লুকানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু চরমপন্থিদের সহজ লক্ষ্য ছিল। এই অসহায় পরিবারগুলোকে যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তার একটিও উল্লেখ নেই এ ফিল্মে।

দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এ কাশ্মীর উপত্যকার মুসলমান জনতা উপেক্ষিত, কারণ এটি পরিচালকের লক্ষ্যই ছিল না। যে প্রোপাগান্ডা ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে, তার জন্য এই বাস্তবতা অসুবিধাজনক এবং অস্বস্তিকর। ফলে মানুষকে উসকানি দেয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে সত্যের একটি ছোট অংশকে সম্পূর্ণ সত্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে সফলভাবে। নিরীক্ষণ ছাড়াই তথ্য পেশ করা হয়েছে বড় পর্দায়। হত্যাকাণ্ডের মাত্রা অতিরঞ্জিত, সম্ভবত এর কারণ অগ্নিহোত্রী মনে করেন ‘গণহত্যা’ শব্দটি শুধুমাত্র সংখ্যার বিষয়।

সুনীল পণ্ডিতা, যিনি উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলা থেকে পালিয়ে এসেছেন জম্মুর উদ্বাস্তু কলোনিতে, তিনি দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে তার আওয়াজ তুলে এটিকে একতরফা গল্প বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ছবিটির লক্ষ্য হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ প্রসারিত করা। পণ্ডিতা অভিযোগ করেছেন, ছবিটি সম্পর্কে মতপ্রকাশের পরেই বিজেপি কর্মীদের দ্বারা তাকে হয়রানি ও হুমকি দেয়া হয়েছিল। পণ্ডিতা বলেন, ‘ওরা মাতাল ছিল, আমার বাড়ির বাইরে এসে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে আমার বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার স্ত্রী দুইবার অজ্ঞান হয়ে যায়, অন্যরা ভয়ে আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেয়নি।’

এ ফিল্মে সত্যকে বিকৃত করে দেখানোর অভিযোগও আছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ দ্য কাশ্মীর ফাইলসকে একটি প্রচারধর্মী ফিল্ম বলে অভিহিত করেছেন। এই ফিল্মে কাশ্মীর থেকে পণ্ডিতদের পলায়নকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফারুক আব্দুল্লার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা। তখন জম্মু-কাশ্মীরে ছিল রাষ্ট্রপতির শাসন এবং কেন্দ্রে ছিল বিজেপি সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিং-এর নেতৃত্বাধীন সরকার।

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ একটি ইংরেজি সাময়িক পত্রিকার সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেছেন, ‘আমরা তৎকালীন রাজ্যপাল (জম্মু-কাশ্মীর) জগমোহন মালহোত্রাকে ভুলতে পারি না, যিনি পণ্ডিতদের বাসে তুলে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমরা আপনাদের দুই মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনব, কারণ আমাকে বিদ্রোহীদের দোষ দিতে হবে, বল প্রয়োগ করতে হবে, যা আপনাদের প্রভাবিত করতে পারে। ৩২ বছর হলো, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কোথায়? আমি মনে করি না যে আমি এই ঘটনার জন্য দায়ী।’

ফারুক আবদুল্লাহ আরও বলেন,‘সে সময় আমি সেখানে শাসন করিনি। জগমোহন আসতেই হাল ছেড়ে দিলাম। আমি বললাম, পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করুন। দিল্লি আমাকে বিশ্বাস করেনি, ওকে (জগমোহন) বিশ্বাস করেছিল। ওর শাসনের প্রথম দিনেই প্রাণ হারায় ৫০ জন। সেখানকার ইনচার্জও উনিই ছিলেন। তিনি কি পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিলেন? মানুষ যদি সত্য জানতে চায়, তাহলে তাদের কথা বলা উচিত তৎকালীন আইবি প্রধান বা তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্তমানে কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে।’

ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনি যখন একজন সৎ বিচারক বা কমিটি নিয়োগ করবেন, তখন পুরো সত্য বেরিয়ে আসবে। এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা জানতে পারবেন। ফারুক আবদুল্লাহ দায়ী হলে ফারুক আবদুল্লাহ দেশের যেকোনো কোণে নিজেকে ফাঁসি দিতে প্রস্তুত। আমি বিচারের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু যারা ওই ঘটনার জন্য দায়ী নয়, তাদের দোষারোপ করবেন না।’

এই ফিল্ম কী প্রচারের জন্য তৈরি, তা বোঝা যায় কিছু দর্শক বা শাসক দলের নেতাদের প্রতিক্রিয়ায়। উত্তর ভারতজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিল্মটির বক্স অফিস সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় হিন্দু পুরুষদেরকে মুসলিম মহিলাদের বিয়ে করার আহ্বান জানানো হচ্ছে এবং ‘মোল্লা কাটে যায়েঙ্গে, রাম রাম চিল্লায়েঙ্গে’ বলে স্লোগান দেয়া হচ্ছে, আসলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অগ্নিহোত্রী ঘৃণার একটি বড় প্রবহমান স্রোত তৈরি করেছেন।

বিভিন্ন সিনেমা হলের ভেতরে এবং বাইরে, কাশ্মীর ফাইলস-এর দর্শকদের সামনে কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতাদের মুসলমানবিরোধী উত্তেজক বক্তৃতার ভিডিও ক্লিপিং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ সাহেব সিং ভার্মার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে একটি সিনেমা হলে দেয়া তার বক্তৃতায় বলতে শোনা যায়: ‘আমরা যদি ধর্মনিরপেক্ষতা না ত্যাগ করি, তবে কাশ্মীরের পরে কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গেও এর পুনরাবৃত্তি হবে। আমরা দিল্লির দাঙ্গা দেখেছি, যেখানে তাহির হুসেন নেগিকে হত্যা করেছিল।’

একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে উগ্র দক্ষিণপন্থি সংগঠন হিন্দুসেনা নেতা সুশীল তিওয়ারি লখনৌতে সিনেমাটি দেখার পরে হিন্দুদের সতর্ক করে ভাষণ দিচ্ছেন। তার বক্তব্য: ‘হিন্দুরা যদি এখনও না জাগে, তাহলে ৩০ বছর আগে কাশ্মীরে যা হয়েছিল, ১৫ বছর পরে সারা দেশে তার পুনরাবৃত্তি হবে।’

সাম্প্রদায়িক ঘৃণাত্মক ভাষণের জন্য পরিচিত দিল্লির হিন্দুত্ববাদী যুব কর্মকর্তা রাকেশ সিসোদিয়া, জাতীয় রাজধানীসংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে প্রজেক্টরে দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেখাচ্ছেন। তার ফেসবুক পৃষ্ঠায় তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে উত্তেজক পোস্ট দিয়েছেন, যে পোস্টে বলা হয়েছে: ‘কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার প্রতিশোধ নেয়া উচিত, আপনার আশপাশের মুসলমানরা এই মুহূর্তে অল্প সংখ্যায়, কিন্তু তাদের সংখ্যা বাড়লে সর্বত্র এই পরিস্থিতি তৈরি হবে। (মুসলিমদের থেকে) সাবধান।’

এ রকম অসংখ্য ভিডিও সিনেমা হল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, আক্রমণাত্মক যুবকেরা উত্তেজক বক্তৃতা দিয়ে শারীরিক সহিংসতা এবং মুসলমানদের বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছে। এই ভিডিওগুলোর মধ্যে কয়েকটি বিজেপি নেতাদের দ্বারা জনপ্রিয় হয়েছে, সম্ভবত এটা বোঝানোর জন্য যে ছবিটির সাথে সাধারণ হিন্দুরা একাত্মতা অনুভব করছেন। বক্স অফিসের থেকেও অনেক অনেক বড় এই সাফল্য। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উচ্ছেদ, রক্তপাত নিয়ে ছবি তৈরি করার মূলে ধর্মীয় বিভাজনকে আরও ব্যাপক করে তোলার যে ভাবনা, তা সফলভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী।

ইতিহাস যারা চর্চা করেন, তারা হয়তো জানবেন হেলেন বার্থা আমালি লেনি রিফেনস্টাল-এর কথা। তিনি ছিলেন একজন জার্মান চলচ্চিত্র পরিচালক, ফটোগ্রাফার এবং অভিনেত্রী। তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন নাৎসি প্রচারে তার প্রধান ভূমিকার জন্য। ১৯৩০-এর দশকে তিনি নাৎসি প্রচারমূলক চলচ্চিত্র ট্রায়াম্ফ ডেস উইলেন্স (‘ট্রায়াম্ফ অফ দ্য উইল’) এবং অলিম্পিয়া পরিচালনা করেন।

দুটি ছবির বিষয়বস্তুর জন্য নয়, রিফেনস্টাল বিশ্বব্যাপী মনোযোগ ও প্রশংসা পেয়েছিলেন চলচ্চিত্র দুটিকে ব্যাপকভাবে সবচেয়ে কার্যকর এবং প্রযুক্তিগতভাবে উদ্ভাবনী প্রচারমূলক চলচ্চিত্র হিসেবে তৈরির জন্য। নুরেমবার্গে ৭ লাখ সমর্থকের অংশ নেয়া নাৎসি পার্টির কংগ্রেসে ট্রায়াম্ফ অফ দ্য উইলকে(১৯৩৫) সর্বকালের সেরা তথ্যচিত্রগুলোর একটি বলা হয়। এটি শুধু সিনেমায় নয়, প্রচারের ক্ষেত্রেও একটি মাস্টারক্লাস, কারণ এটি জার্মান পুরুষত্বের আদর্শ সংস্করণ– স্বর্ণকেশী, নীল চোখের, সুঠামদেহী এবং নাৎসি জার্মানির অনবদ্য সাংগঠনিক দক্ষতা দেখায়।

স্থান-কাল-পাত্রের পরিবর্তনে দলের সম্মেলনে নয়, দলীয় সাংসদদের সভায় নরেন্দ্র মোদি এই ছবির বিরোধীদের তিরস্কার করেছেন। সংবাদমাধ্যম মোদির এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে কোটি কোটি মানুষের কাছে।

আর একটি উদ্ধৃতি দিয়ে এই লেখা শেষ করব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক অলডাস হাক্সলি বলেছিলেন, ‘প্রোপাগান্ডা জনপ্রিয় অনুভূতি ও আকাঙ্ক্ষার ধারাবাহিক আন্দোলনকে শক্তি ও দিকনির্দেশনা দেয়। কিন্তু এটা এই আন্দোলনগুলো তৈরি করতে খুব বেশি কিছু করে না। প্রচারক এমন একজন ব্যক্তি, যিনি ইতোমধ্যে বিদ্যমান একটি ধারাকে প্রবাহিত হতে সাহায্য করেন। যে দেশে জল নেই, সেখানে সে নিরর্থক খনন করে।’

ভারতে খালবিল-নদীর অভাব নেই। বোঝা যায় একটা দ্বিতীয় শ্রেণির ফিল্মের ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা।

আরও পড়ুন:
দুই সপ্তাহে ২০০ কোটির রেকর্ড গড়ল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’
১১ দিনে ১৭৯ কোটি আয় করল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’: আয়ের সঙ্গে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা
পঞ্চম দিনেও কাঁপাচ্ছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

মতামত
KGF 2 has crossed Rs 600 crore in 7 days

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’ কেজিএফ রকিং স্টার যশ।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু

যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু

ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।

হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।

আরও পড়ুন:
বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

মতামত
Kolkata International Film Festival starts on 25th April

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।

আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি

পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।

এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।

চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।

২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।

চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।

শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।

মন্তব্য

মতামত
Priyanka Nicks daughters name is public

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক তারকা দম্পতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের। এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।

সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।

কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।

জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।

সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।

অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।

এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

মতামত
Akshay apologized

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয়

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।

নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।

সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।

তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’

তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।

আরও পড়ুন:
‘বচ্চন পাণ্ডে’-তে আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক অক্ষয়ের
টুইটারে আবদার, ভক্তের জন্মদিনে অক্ষয়ের শুভেচ্ছা
সূর্যবংশী: ১০ দিনে আয় ছাড়াল ২০০ কোটি  
অক্ষয়ের ‘সূর্যবংশী’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিলেন কৃষকরা
কিংবদন্তি ইয়ান কার্দোজোকে নিয়ে সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

মন্তব্য

মতামত
Yash wants a heroine in her Bollywood debut

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ ভারতের কন্নড় সিনেমার রকিং স্টার যশ। ছবি: সংগৃহীত
১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।

শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।

আরও পড়ুন:
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

মতামত
What is the difference between Southern and Bollywood Sanjay Dutt

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত
সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি।’

বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।

কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।

বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।

‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’

সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।

আরও পড়ুন:
‘সঞ্জু বাবা’র ৬২
মান্যতাই সঞ্জয় দত্তের জীবনের আলো
ক্যান্সারকে হারিয়ে ঠিকই ফিরব: সঞ্জয় দত্ত

মন্তব্য

মতামত
Mother is Kajal Agarwal

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।

এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’

চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল
কাজল আগারওয়াল ও তার স্বামী গৌতম কিসলু। ছবি: ইনস্টগ্রাম

সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’

শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মন্তব্য

p
উপরে