× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশ্লেষণ
খুলে যাক স্কুল কলেজ
google_news print-icon

খুলে যাক স্কুল-কলেজ

খুলে-যাক-স্কুল-কলেজ
অচিরেই ক্লাস, পরীক্ষা চালু হোক। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের মতামত শুনুন। শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকার আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল, করোনাকালেও তা প্রমাণিত। কিন্তু অতিসতর্কতার ফলে সামাজিক অস্থিরতা কাম্য নয়।

করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থীদের সামাল দেয়ার যেসব বিকল্প উদ্যোগ তা প্রায় সবাই মেনে নিয়েছেন। কিন্তু সবকিছু যখন প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে, তখন শিক্ষা কর্তৃপক্ষের অনেক কিছুই আর মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। এর ফলে তারা রাস্তায় নেমেছেন, কেউবা চান পরীক্ষা দিতে, কেউ কেউ ফিরতে চান শ্রেণিকক্ষে।

প্রায় এক বছর আলাপ-আলোচনা করে, বিজ্ঞজনের পরামর্শ নিয়ে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষা বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বাস্তবতার কারণে বা বিকল্প না থাকায় অনেকেই তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া এখন সবকিছুই করোনাপূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে। তাই ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যত দেখানো হচ্ছে, ততই বাড়ছে ক্ষোভ ও অস্থিরতা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ক্ষেত্রেও সরকার সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়েছিল। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় ১৭ মার্চ। যদিও ওই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য জনমত সৃষ্টি হয়েছিল, মূল ধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পক্ষেই অবস্থান নেয়। এর ফলে সরকারের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়াটা হয়তো সহজ হয়েছিল।

এখনও কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। ঢাকা ছাড়াও পরীক্ষা ​দেয়ার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

পরিস্থিতি​ পর্যালোচনা করে বলা যায়, শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নানা সিদ্ধান্তহীনতা, অস্পষ্ট বক্তব্য এবং কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল না থাকাসহ নানা কারণে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে অস্থি​রতা ছড়িয়েছে। এটা যে ইচ্ছাকৃত তা নয়, তবে কোটি কোটি শিক্ষার্থী নিয়ে সরকারের যে বিভাগ কাজ করে, সেখানে আরও বেশি সতর্কতা ও শৃঙ্খলা কাম্য। শিক্ষা নিয়ে একটি বক্তব্য, মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে দেশের সর্বত্র। এ নিয়ে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয় ব্যাপক।

খুলে যাক স্কুল-কলেজ
দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল প্রাঙ্গণে শিশুদের এমন উচ্ছ্বাস স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সময় ঘোষণা করেছেন ২৪ মে। এতে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। কারণ গত মাস দুয়েকের যে আলোচনা তাতে মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এই ধারণা পেয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরাও প্রস্তুত হয়েছেন। কিন্তু প্রায় তিন মাস পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আকস্মিক ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আবার স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত বিষয়ে সভা ডাকা হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার। তিন মাস পরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত দিয়ে স্কুল-কলেজ ১ মার্চ থেকে খোলা হবে কি না, সেই আলোচনা চলছে চারদিকে।

শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন চলছে, তা মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান তিনটি বড় পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঘিরে। গত সোমবার যারা শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ফলো করেছেন, তাদের অনেকেরই মন্তব্য হচ্ছে, শিক্ষামন্ত্রী বাছবিচার ছাড়াই তাৎ​ক্ষণিক এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের শেষ ভাগে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৪ মে, কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তো পরীক্ষা চলছে। এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওই পরীক্ষাও বন্ধ থাকবে।

এরপর দেশজুড়ে অস্থি​রতা ছড়াতে থাকে। সোমবার রাত ৯টার দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, পরীক্ষা যথারীতি চলবে। আবার রাত সাড়ে ৯টায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।

কী অদ্ভূত কাণ্ড! শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি বা অনাপত্তি নিয়েই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা শুরু করেছিল যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে। এই পরীক্ষা শুরুর প্রেক্ষাপট কিন্তু ভিন্ন।

মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিনটি পরীক্ষা চলছিল, এসব পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্নাতক সম্মান ফাইনাল পরীক্ষা, যেখানে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ২৬ হাজার। এই পরীক্ষার্থীরা আসলেই হতভাগা। তাদের পাঁচটি পরীক্ষা হওয়ার পর গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হয়। বাকি ছিল দুটি পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষা ও ভাইবা নিয়ে তাদের বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে চাইছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই সুখ ওদের কপালে সইল না। করোনার আগে পাঁচটিসহ সাম্প্রতিক সময়ে সবকটি পরীক্ষা শেষ হলো। কিন্তু বাকি রয়ে​ গেল মৌখিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষার জন্য যদি তাদের তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে ফল প্রকাশেও লাগবে আরও তিন-চার মাস সময়। তাহলে বছর প্রায় শেষ হয়ে আসবে। অথচ গত বছরের জুনে তাদের স্নাতক সম্মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল।

খুলে যাক স্কুল-কলেজ
পরীক্ষা চালু রাখার দাবিতে সম্প্রতি রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলনে নামে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

আবার স্নাত​কোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষাও শুরু হয়ে​ছিল। তাদের পাঁচটি পরীক্ষা শেষ হয়েছে, দুটি বাকি আছে। মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। এরাও আটকে গেল। এই স্তরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাও শুরু করেছিল। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৩ মার্চ। তারাও আটকে গেল।

এই তিনটি পরীক্ষা শুরু করলেও পাইপলাইনে ছিল আরও চারটি বড় পরীক্ষা। কথা ছিল আগের তিনটি স্তরের পরীক্ষা শেষ হলেই পরের চারটি স্তরের পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু সরকার চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করে দেয়ায় সেশনজট আরও বেড়ে যাবে।

আসলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ও দৃশ্যমান কাজ পরীক্ষা নেয়া ও ফল প্রকাশ করা। বছরে প্রায় ২০০ পরীক্ষা নেয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। এর অধীনে কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাদের লক্ষ্য থাকে পড়াশোনা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যুদ্ধে নেমে পড়া, হতদরিদ্র মা-বাবার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করা।

যাই হোক, সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় কিন্তু ভিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যা একই যাত্রায় দুই ফলের মতো। অধিভুক্ত সাতটি কলেজের বিষয়ে কিন্তু ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ​ক্ষ। এর কারণ, শিক্ষার্থীদের রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন। যেহেতু আন্দোলনের মুখে সাত কলেজের স্থগিত করা পরীক্ষা চালু হয়েছে, সেহেতু এবার মাঠে নেমেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে, আবার ছেড়েও দেয়া হয়েছে। ​আগামী রোববার পর্যন্ত চূড়ান্ত সময় দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, তিন মাস পরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক হয়েছে। তার মানে ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও হয়তো ওই সময়ে খুলবে। সরকারের এই অতিসতর্কতা অনেকেরই পছন্দ হয়নি।

দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন প্রতিদিন পাঁচ-সাতের কাছাকাছি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে চলছে। রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড়ে চলা দায়, সড়কে যানজট লেগে​ই থাকছে। এই দৃশ্য দেখে কষ্টে থাকা শিক্ষার্থীরা আর চুপ থাকতে পারছেন না। অনেকের টিউশনি ছুটে গেছে। হল বন্ধ থাকায় ঢাকায় এসে অবস্থান করার সুযোগ নেই। সেশনজট হাতছানি দিচ্ছে। কবে পরীক্ষা হবে, কবে ফল প্রকাশ হবে, সেই অনিশ্চয়তা ভর করেছে। করোনায় অভিভাবকদের অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। করোনায় অভিভাবকহারা সন্তানের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার।

খুলে যাক স্কুল-কলেজ
পরীক্ষা চালু রাখার বিষয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ছবি: নিউজবাংলা

করোনা প্রত্যেক পরিবারের ওপর কমবেশি কালো থাবা বসিয়েছে। প্রচণ্ড ঝড়ে লন্ডভন্ড হওয়ার পর গাছপালা যেমন উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে, অসংখ্যা পরিবারের অবস্থা ঠিক তেমনই। এর মধ্যে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী থাকা পরিবারগুলোতে অস্থিরতা চলছে। এসব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিক​ক্ষে আনা জরুরি।

গত প্রায় এক বছরে মোবাইল ফোন, ট্যাব ও ল্যাপটপে শিক্ষার্থীর আসক্তি​ কতটা বেড়েছে তা চারপাশে তাকালেই টের পাওয়া যায়। চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশে চশমাওয়ালার সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়েছে, শিক্ষার্থীদের অনেকেরই চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্রমাগত লোপ পাচ্ছে। দিনভর এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত এসব গ্যাজেট হচ্ছে শিক্ষার্থীর নিত্যসঙ্গী। অনেক মা-বাবাই এমন পরিস্থিতিতে অসহায়। সারা দিন মোবাইল ফোন বা ট্যাব হাতে সন্তান কী করছে, কার সঙ্গে যোগাযোগ করছে, তার মনমানসিকতায় কী প্রভাব ফেলছে, এসব নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই।

এই প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও শিক্ষার্থীদের তা মানতে উদ্বুদ্ধ করা বা প্রয়োজনে বাধ্য করার দায়িত্বটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে অভিভাবকের উচিত তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পাঠানো, শিক্ষকের দায়িত্ব তাকে বুঝিয়ে বাসায় বা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া। মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা এবং শরীরের তাপমাত্রা দেখাসহ কিছু স্বাস্থ্যবিধি ​মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করলে শিক্ষাবিদ, অভিভাবক থেকে শুরু করে আমজনতারও আপত্তি থাকবে না। গত দেড়-দুই মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না, এমন মতামত কিন্তু কেউ দেননি। অতএব, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের মতামত শুনুন। শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকার আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল, করোনাকালেও তা প্রমাণিত। কিন্তু অতি সতর্কতার ফলে সামাজিক অস্থিরতা কাম্য নয়।

শরিফুজ্জামান পিন্টু, সাংবাদিক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

মানবদেহের স্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকি
ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মরা মুরগির বাচ্চা ও পঁচা ডিম। পুকুরের মাছকে সস্তা খাবার দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব উপায়। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদুল হক তার পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করেছেন। সেই পুকুরটি পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু সালেক। সেই পুকুরের মাছকে সাধারণ খাবারের বদলে খাওয়ানো হচ্ছে জীবন্ত, মরা মুরগির বাচ্চা ও নষ্ট-পঁচা ডিম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করে পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি ব্রেন্ডার মেশিনে সেদ্ধ করে পুকুরে মাছকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের আশেপাশে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী এই এলাকার মানুষ।

তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে পুকুরের মালিককে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এদিকে পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চার অভিযোগ পুকুরের কর্মচারিরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন পুকুর মালিক।

পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মোহন কুমার বলেন, হ্যাচারী থেকে নষ্ট ও পঁচা ডিম নিয়ে এসে মাছকে খাওয়ায়। এতে করে পুকুরের পানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গোসল করা যায়না। প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। নিষেধ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরের পাড়ে রাখা হয়। তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া এরপর যখন আগুনে জ্বাল দেওয়া হয় তখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাড়িতে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার নিষেধ করেছি, কিন্তু আমাদের কথা শোনেনা।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রিফাত ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন আমরা এই দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই পঁচা ডিম আমাদের এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

পুকুরের কর্মচারী বিশ্বনাথ চন্দ্র বলেন, আমরা জামালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারী থেকে পঁচা ডিম নিয়ে আসি। সেই ডিমের সাথে কিছু বাচ্চাও থাকে। তারপর সেগুলো ব্রেন্ডারে সেদ্ধ করে মাছকে খাওয়াই।

পুকুরের মালিক আবু সালেক বলেন, এই পুকুরটি আমি পরিচালনা করি। এখানে রুই, কাতলা, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেছি। গ্রামবাসীরা যে মরা মুরগি বা পঁচা ডিমের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, আমাদের পুষ্টির বিশাল একটা অংশ পূরণ করে মাছ। যদি মাছকে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার দেওয়া হয় তাহলে সেই মাছ খেলে মানবদেহে জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এটা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, কোথাও পরিবেশ দূষণ সংস্ক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষের ক্ষেত্রে কোন চাষী যদি সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে বা অপদ্রব্য ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কোন মাছ চাষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Numbership Election system must pass in Parliament Amir Khasru

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।

বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিবর্তনের কথা কথা বলা হচ্ছে, তবে এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলগুলো ঐকমত্য হয়ে, সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির বিষয়ে কোন দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেড নিয়ে সংসদে আসে। যে কোন বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। এই পর্যায়ে এটা কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে না।’

সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, ইতিমধ্যে সবকিছু বলা হয়েছে। অনেকগুলো তো বিএনপি প্রস্তাব, সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবে না এসব বিএনপি'রই প্রস্তাব। সুতরাং ঐকমত্য হওয়া নয় কোথায়? তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বাকশাল করতে চাচ্ছি না। এটা বাকশাল না। সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো এখন ঐক্যমত্যের মাধ্যমে, এর বাইরে যেগুলো থাকবে প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে করতে হবে।’

লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন তো দেড় দুই মাস ছিল, তার আগে থেকে বছরের পর বছর যারা রাস্তায় ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলছি। কারণ এই ঐক্যটা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা শুধু নির্বাচন বলে কোন কথা নয়, আমাদের ৩১ দফার উপরে যে ঐকমত্য সংস্কারের বিষয়ে যে ঐকমত্য, এগুলো আমরা কীভাবে আগামী দিনে বাস্তবায়ন করব নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদেরকে রায় দেয়, সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

মন্তব্য

ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

পরকীয়ার জেরে প্রবাসী স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী জেল হাজতে
ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে প্রবাসী স্বামী আলমাস খান কে (৪০) হত্যা করার অভিয়োগ উঠেছে খোদ স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩) এর বিরুদ্ধে। গত শনিবার দিবাগত রাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ । ঘটনার পর থেকে আরেক আসামী পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখ (৫৫) রয়েছে আত্ম গোপনে ।এ নিয়ে নিহতের পিতা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়ীত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে আটকসহ তাদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার (০২ জুলাই) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এ সময় নিহতের পিতা হাতেম খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রবাসীদল ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলী সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন ।

তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়ীত থাকার সন্দেহে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম কেআটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। অতি দ্রত আলী শেখকে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান মানববন্ধন থেকে।

পরে এলাকার কয়েকশত নারীপুরুষ বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে । এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
Duplex house in Keraniganj

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (০২ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন ডুপ্লেক্স বাড়িতে ছাদের মাধ্যমে ৬-৮ জনের একটি ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা ঘরের সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা বাড়ির চাবি আদায় করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।

ডাকাত দল প্রায় ৬.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকা নগদ অর্থ এবং একটি সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা নিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় বাড়ির কোনো সদস্য শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

ভুক্তভোগী ও বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ছাদের দিক থেকে কয়েকজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই আমাদের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ফেল পরে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের চাবি নিয়ে যায়। তারা ঘর তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। আল্লাহর রহমতে তারা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। তবে পরিবারের সবাই এখন আতঙ্কে আছে।

ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু, সিআইডি এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, অপরাধীদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
The bodies of two children were recovered after 22 hours of disappearing in Brahmaputra

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের পাগলায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘন্টা পর নিখোঁজ দুই শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। বুধবার (০২ জুলাই) পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশুরা হলো, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় উঠেন ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পূর্বেই ডুবে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে শাপলা আক্তারের (১৫) মরদেহটি ঘটনাস্থলের খানিকটা দুর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খোঁজতে বের হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

মন্তব্য

বিশ্লেষণ
3 youths killed on the Chuadanga border

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।

নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে