২৩২টি পৌরসভায় পাঁচ দফায় যে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৮৩টিতে। রাজনীতিতে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জয় পেয়েছে ১১টিতে।
বাকি পৌরসভায় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টি ও জাসদ একটি করে এলাকায় জয় পেয়েছে।
বাকি ৩৬টি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের মধ্যে ৩৪ জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করেছেন। বাকি দুইজনের একজন বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেছেন। আর একজন কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, যদিও তার ভাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
বেশির ভাগ পৌরসভাতেই বিজয়ী আওয়ামী লীগ ও পরাজিত বিএনপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল অনেক। এর মধ্যে সিরাজগেঞ্জর তিনটি, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ফেনী পৌরসভাসহ বেশ কিছু এলাকায় ভোটের পার্থক্য ছিল অস্বাভাবিক। ফেনী পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রে ধানের শীষে কোনো ভোট পড়েনি।
এসব পৌরসভায় অর্ধেকের মতো এলাকায় ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। বাকিগুলোতে ভোট হয় ব্যালটে।
এই নির্বাচনেও বেশ কিছু এলাকায় উঠেছে কারচুপির অভিযোগ। বিএনপির কেন্দ্র থেকে নির্বাচনেকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এপ্রিল থেকে হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগাম বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দাবি করছে, ভোট হয়েছে সুষ্ঠু। নির্বাচন কমিশন কোথাও কোথাও সংঘাত-সহিংসতার বিষয়টি স্বীকার করলেও ভোটে কারচুপির অভিযোগ মেনে নেয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘ভোটে হারলে আওয়ামী লীগও কারচুপির অভিযোগ করত।’
এই ভোটকে ঘিরে দুই জন প্রার্থী, একজন প্রার্থীর ভাইসহ অন্তত ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে কাউন্সিলর পদে জয়ী এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে হামলায়।
ঝিনাইদহের শৈলকূপা পৌরসভায় সংঘর্ষে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইয়ের মৃত্যুর দিন নদী থেকে উদ্ধার করা হয় আরেক কাউন্সিলর প্রার্থীর মরদেহ। তার মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করে জানায়নি পুলিশ।
ভোটার ফিরলেও প্রশ্নহীন ভোট হয়নি কোথাও
নির্বাচনে বেশ কিছু এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় আলমডাঙ্গায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ হয়, যেখানে তিনি বলছিলেন ভোটের আগেই জয়ের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। বিপক্ষের দলের ভোটারদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসতে হবে যেন কেন্দ্রে না যায়।
আর ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় মহিলা লীগের এক কেন্দ্রীয় নেত্রী সমাবেশ করে বলেছেন, যারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে না, তারা যেন এলাকায় না থাকেন। তবে এসব ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
প্রতিটি পর্বেই বিএনপি এমনকি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা একাধিক নেতা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন কারচুপির অভিযোগ তুলে।
তবে অভিনব ঘটনার সাক্ষীও হয়েছে এবারের নির্বাচন। নোয়াখালীর বসুরহাট, কুষ্টিয়া, রাজশাহীর তানোরে বিএনপির প্রার্থী বলেছেন, ভোট বেশ ভালো হয়েছে। তবে কোথাও জিততে পারেনি বিএনপি। এর মধ্যে তানোরে তারা হেরেছে প্রথমবারের মতো।
ভোটার ফেরার নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর
গত ২৮ ডিসেম্বর ২৩টি পৌরসভা দিয়ে তৃণমূলে ভোটের এই লড়াই শুরু হয়। প্রথম দিনের ভোটের চিত্র ছিল চমক জাগানিয়া।
গত কয়েক বছর ধরে ভোটারের যে খরা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল, সেদিনের ভোট ছিল তার ব্যতিক্রম। প্রায় প্রতিটি পৌরসভায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। দিনাজপুর ও হবিগঞ্জের দুটি পৌরসভায় ভোট হয়েছে নির্ধারিত সময় চারটার পরেও। এর মধ্যে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ভোট হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত।
প্রথম ধাপে সারা দেশে মোট ৬৫ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি, আর সবচেয়ে বেশি পড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ৮৫ শতাংশ।
এই ধাপে বিএনপির পাঁচজন প্রার্থী ভোট বর্জন করেন কারচুপির অভিযোগ এনে। আর একজন নেতা ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
ভোটের সকালে কেন্দ্রে ব্যালট
দ্বিতীয় ধাপে ৫৭টি পৌরসভাতেও ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি অব্যাহত থাকে। এই ধাপে অভিনব একটি ঘটনা ঘটে, যা বাংলাদেশে ইতিহাসে এর আগে কখনও হয়নি। সেবার যেসব কেন্দ্রে সনাতন পদ্ধতিতে ব্যালটে ভোট হয়, সেগুলোতে ব্যালটপেপার পাঠানো হয় ভোটের দিন ভোরে। তবে যেগুলোতে ইভিএমে ভোট হয়, সেগুলোতে আগের দিনই কেন্দ্রে পাঠানো হয় ভোটের যন্ত্র।
এই ধাপে ভোট পড়ে ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ইভিএমে ভোটের হার ছিল ৫৮ শতাংশ আর ব্যালটে ৬৭ শতাংশ।
সর্বোচ্চ ভোটের হার তৃতীয় ধাপে
তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোট হয় ৩০ জানুয়ারি। সেদিনও সব কেন্দ্রে ব্যালটপেপার পাঠানো হয় ভোরে। এই পর্বে কোথাও ইভিএমে ভোট হয়নি।
এই ধাপে বেশ কিছু পৌরসভায় ভোটারদের মেয়র পদে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠে। তবে আগের দুই ধাপের মতো সেদিনের ভোটেও একাধিক পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা বলেছেন, ভোট হয়েছে সুষ্ঠু।
সেদিনের ভোটে ৪৫টি পৌরসভায় জয় পান নৌকা মার্কার প্রার্থীরা, বিএনপি জেতে তিনটিতে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ১৪টিতে।
তৃতীয় ধাপে কেবল ব্যালট পেপারে ভোটের হার আগের দুই ধাপের চেয়ে অনেক বেশি দেখিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে সেদিন ভোট পড়েছে ৭০.৪২ শতাংশ।
ভোটারদের ভয় দেখানোর ভিডিও
চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি কিছু পৌরসভায় ভোট হয় ব্যালটে, কিছু পৌরসভায় ভোট হয় ব্যালটে। এবারও যেসব এলাকায় ব্যালটে ভোট নেয়া হয়, সেগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠানো হয় ভোরে।
সেদিন ৫৩টি পৌরসভার মধ্যে ৪৮টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি জেতে একটিতে। আর চারটিতে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সেদিন ভোটের হার ছিল ৬১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রথম তিন ধাপের তুলনায় এদিন ভোটারের আগ্রহ ছিল কম।
এই ধাপেই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ভোটারদের বাধা দেয়ার বিষয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতার ভিডিও প্রকাশ হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। আর ভোটের দিন কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির দুই প্রার্থী ভোট বর্জন করে।
প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের
পঞ্চম দফার পৌর নির্বাচনে ২৯টি পৌরসভার সবগুলোতে ভোট হয় ইভিএমে। আগের চার ধাপের তুলনায় এদিন ভোটারের সংখ্যা কমই দেখা গেছে।
আগের চার ধাপের মতোই এবারও আওয়ামী লীগের জয়জয়কার দেখা গেছে। ২৭টি পৌরসভাতেই হয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। বিএনপি জিতেছে কেবল একটিতে। আর একটি জিতে নিয়েছেন নৌকা মার্কার মনোনয়ন না পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামা এক আওয়ামী লীগ নেতা।
এই ধাপে নির্বাচনি সহিংসতায় নীলফামারির সৈয়দপুর পৌরসভার একজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়। কারণ বর্তমান সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরাকর নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক কোনো ফ্লেভার নেই।
তিনি বলেছেন, তারপরও যাতে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন, সেটার অপশনও রাখা হয়েছে, অর্থাৎ ভোট ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে স্বাধীনভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন; রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। আবার চাইলে অনেকে রাজনৈতিক পরিচয়েও নির্বাচন করতে পারবেন, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হলরুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের অনেক সমর্থক-প্রার্থী আনঅফিশিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সুতরাং এটা বলার সুযোগ নেই যে, নির্বাচন অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন হচ্ছে না।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে এবং কোনোমতেই যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হয়। অন্যায়ভাবে কেউ যাতে কোনো প্রার্থীকে প্রচারে ও ভোটদানে বাধা দিতে না পারে। সবাই যাতে সমানভাবে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারে এবং ভোটরা যাতে স্বাধীনভাবে তার ভোট দিতে পারে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কার কোন আত্মীয় অংশ নিল বা কে অংশ নিল না- সেটা আমাদের বিষয় নয়; সেটা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক বিষয়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনি আইনে যদি কোনো ব্যক্তি ওই এলাকার ভোটার হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি কোনো আইনি ঝামেলা না থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। আমাদের আইনে আত্মীয়তার সঙ্গে কোনো সর্ম্পক নেই।’
এ সময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুজন সরকার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আমিনুর রহমান মিঞাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে, আগামী ৮ মে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এ নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।’
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’
নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।’
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।
‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
লুৎফুল হাবীব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।
আরও পড়ুন:প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।
হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার ক্রমিক নম্বর নিয়ে বুথ-৪ এ প্রবেশ করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যালট সংগ্রহ করলেন ভোটার। গোপন কক্ষে গিয়ে নিজের ভোট প্রদানও করলেন। ভোট দেয়া শেষে কক্ষের বাইরে গণমাধ্যমকর্মীরা ওই ভোটারের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানালেন, ‘ভোটার কীভাবে হলাম নিজেও বলতে পারি না।’
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচনে ভোট দিয়ে এক তরুণ ভোটার নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির ভোটার কীভাবে হওয়া যায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না কীভাবে ভোটার হলাম। আমাকে ফোনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে আমি চেম্বারের একজন ভোটার, তাই ভোট দিতে এসেছি।’
তার কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, তার নিজস্ব কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কি না? জবাবে তিনি জানান, তিনি একজন বাইক (মোটরসাইকেল) মেকানিক। তার নিজস্ব একটি প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের এখনও নামকরণও করা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা না হলে ট্রেড লাইসেন্স কীভাবে হলো বা আদৌ ট্রেড লাইসেন্স হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি আর কোনো জবাব না দিয়ে সরে পড়েন।
ভোট দিয়ে বের হচ্ছিলেন লিমন নামের আরেক ভোটার। তিনি জানান, সদর উপজেলার নারগুণ থেকে তিনি এসেছেন ভোট দিতে। তার ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না এবং কী প্রক্রিয়ায় ভোটার হলেন- জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি৷ এ সময় তাকে ক্যামরার সামনে কথা বলতে না করেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্যানেলের এক প্রার্থী।
ভোট দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন দুলালি ইসলাম। তিনি জানান, তার মামা একটি হিমাগারের ম্যানেজার। তিনিই তাকে ভোটার হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ‘দুলালি ফার্মেসী’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তার।
চেম্বারের ভোটার হতে প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন মনে নেই।’
এদিকে ভোটের একদিন আগে সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে ৭ কারণ উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দুটি প্যানেলের মধ্যে আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেল ভোট বর্জন করে। এ সময় প্রার্থীরা নির্বাচনের অনিয়ম, ভোটার তালিকা নিয়ে অসঙ্গতিসহ নানা কারণ উল্লেখ করেন।
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল প্যানেলটি। সে সময় ভোটের মাঠে থাকার কথা জানালেও অবশেষে ভোটের আগের রাতে তারা ভোট বর্জন করেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই অংশ নিয়েছে দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল।
চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিত্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
জাতীয় তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও সদস্য সচিব মো. মাহবুব আলম রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ ঠাকুরগাঁও চেম্বারের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, আমরা দেখছি এখানে সাধারণ শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোটার হয়েছেন। অনেকেই আছেন যারা কোনো ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত না।
‘তাহলে অন্য যে প্যানেলটি অভিযোগ করেছে- নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা হয়নি। সেটার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। এই নির্বাচনে ব্যবসায়ীরা তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছেন।’
ভোটারদের প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনি বোর্ডের আহ্বায়ক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী অভিযোগ করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট জানানোর সুযোগ ছিল। নির্ধারিত সময়র মধ্যে করা আপিলগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর অভিযোগ করায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু দীর্ঘ বছর যাবৎ ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির কমিটি ছিল না, তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে চেম্বারের প্রশাসনের দায়িত্ব দিয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন:নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।
সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
লুৎফুল হাবিব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।
দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন লুৎফুল হাবিব রুবেল। রোববার পর্যন্ত তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আর কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
সোমবার সকালে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল ও ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন দেলোয়ার হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুন্সি।
এ সময় জরুরি প্রয়োজনে তারা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে চড়ে কয়েকজন যুবক আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে বের হেলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়ির ভেতর মারধর অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যদের।
তারা আরও জানান, এক পর্যায়ে তারা দেলোয়ারকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। এ সময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দেলোয়ার হোসেনকে ছেড়ে দিলেও তার ভাই আলাউদ্দিন মুন্সিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবিবের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার থেকে পুলিশ দুর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্তে কাজ শুরু করেছে। আলাউদ্দিন মুন্সিকে উদ্ধারে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন:লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, যিনি আগে ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. লুৎফুল কবীর সরকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে এ ফল ঘোষণা করেন।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপনির্বাচনের ছয়টি কেন্দ্রের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক মোবাইল ফোন প্রতীকে পান ২৮২টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৭৩টি ভোট পান।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক মোবাইল ফোন প্রতীকে ৯ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
এ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের মমতাজ আলী ৫৮টি, চশমা প্রতীকের আশরাফ হোসেন বাদল সাতটি, আনারস প্রতীকের নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা শূন্য ভোট পেয়েছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান গত ২৭ নভেম্বর পদত্যাগ করায় পদটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য