চতুর্থ দফার পৌর নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জয় পেয়েছেন সিংহভাগ পৌরসভায়। ৫৫টি পৌরসভায় বিএনপি এবার জয় পেয়েছে কেবল একটিতে।
বাকিগুলোর মধ্যে দুটিতে ফলাফলের মীমাংসা হয়নি। গোলযোগের কারণে যেসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে, সেসব কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা এগিয়ে থাকা প্রার্থীর ভোটের চেয়ে বেশি হওয়ায় সেখানে ভোট শেষেই হবে ফলাফল।
বাকি ৫৩টির মধ্যে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা জিতেছেন ৪৮টিতে। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা জিতেছেন চারটিতে।
প্রথম দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৩০ জানুয়ারিও একই চিত্র দেখা যায়। বিএনপির প্রার্থীরা খুব কমসংখ্যক পৌরসভায় জিতেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে তখনও ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের সিংহভাগই আসলে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনেরই নেতা।
ওই তিন দফার মতোই এবারও সিংহভাগ পৌরসভায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। কোথাও কোথাও আবার অভিযোগ এসেছে কারচুপির।
রোববার যেসব এলাকায় ভোট হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সাতটিতে বিএনপির প্রার্থীরা কারচুপির অভিযোগ এনে বর্জন করেছেন ভোট। একটিকে বিএনপির প্রার্থী আগে থেকেই ফলাফল বর্জন করেছেন। তবে বাকিগুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা ভোটে ছিলেন। তেমন কোনো অভিযোগও আনেননি।
রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চতুর্থ ধাপে ২৯ পৌরসভায় ভোট হয়েছে ইভিএমে, বাকি ২৬ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে।
সব পৌরসভাতেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন নিউজবাংলার প্রতিনিধিরা। তাদের দেখা বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন, আর পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি।
সিলেটের কানাইঘাটে ভোট ঘিরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। সকালে কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে ভোটার উপস্থিতি। ভোট চলাকালে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
একই রকম দৃশ্য দেখা যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। সেখানে ইভিএমে ভোট হলেও কেউ কোনো সমস্যার কথা বলেনি। আর পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল ঢের বেশি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রার্থীসহ কেউ কোনো অভিযোগ তোলেননি।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয় রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী, তানোর ও তাহেরপুরে। চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ কেন্দ্রেই দেখা যায় ভোটারদের লম্বা লাইন।
নওহাটার একটি কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও ভোট প্রদান বিঘ্নিত হয়নি।
ময়মনসিংহের ফুলপুর ও ত্রিশালে ভোট হয় আমেজের সঙ্গে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভোটার। পৌরসভা দুটিতে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কুমিল্লার দাউদকান্দি ও হোমনায় ভোট হয় ইভিএমে। সেখানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি ছিল, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেয় তারা।
বাগেরহাট সদর পৌরসভায় সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে। ভোটারদের লাইনে নারীদেরই বেশি দেখা যায়; কোনো অনিয়মের অভিযোগও ওঠেনি।
যশোরের চৌগাছায় একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর ভয়ভীতির অভিযোগ ছাড়া সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। ভোটারদের উপস্থিতিও ব্যাপক। জেলার বাঘারপাড়া পৌরসভায় কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই দীর্ঘ লাইন।
অনিয়ম, কারচুপি ও নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ৯টি পৌরসভায় কয়েকজন মেয়র প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে, বরিশালের বানারীপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, বাগেরহাট, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। আর ঠাকুরগাঁও সদরে বিএনপির প্রার্থী আগেই ফলাফল বর্জন করেন।
রংপুর বিভাগ
লালমনিরহাট পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা রেজাউল করিম স্বপন জিতেছেন ১১ হাজার ৩৬ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৫ ভোট।
পাটগ্রামে আওয়ামী লীগের রাশেদুল হাসান সুইট জিতেছেন ১২ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল পেয়েছেন ২ হাজার ২২১ ভোট।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা। পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৯৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ ভোট।
রাণীংশকৈল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান ২ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসাইন পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬৯ ভোট।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী জেলার তানোরে আওয়ামী লীগের ইমরুল হক ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ৭ হাজার ২১৭ ভোট।
গোদাগাড়ীতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল ইসলাম বাবু। পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির গোলাম কিবরিয়া রুলু পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯২ ভোট।
তাহেরপুরে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ। পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৪০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু নঈম শামসুর রহমান মিন্টু ৯০৩ ভোট পেয়েছেন।
পবা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হাফিজুর রহমান হাফিজ ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল বারি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৬ ভোট।
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের রাবেয়া সুলতানা। পেয়েছেন ৯ হাজার ১৭৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার সোহেল পেয়েছেন ৮০০ ভোট।
আক্কেলপুরে আওয়ামী লীগের শহীদুল আলম চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলমগীর চৌধুরী বাদশা পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৬ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জয়ী নৌকা প্রতীকের মনিরুল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ওজিউল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৯৯ ভোট।
নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মাজেদুল বারী নয়ন জিতেছেন ১০ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইসাহাক আলী পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ ভোট। তিনি ভোট বর্জন করেছেন।
খুলনা বিভাগ
যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল জিতেছেন ৬ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা কামাল আহমেদে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭ ভোট।
একই জেলার বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান বাচ্চু জিতেছেন ৪ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবু তাহের পেয়েছেন ১ হাজার ১০৮ ভোট।
সাতক্ষীরা সদরে জয়ী হয়েছেন বিএনপির তাজকিন আহমেদ চিশতি। পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২১ ভোট।
বাগেরহাট পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের খান হাবিবুর রহমান। পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৩৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাইদ নিয়াজ হোসেন পেয়েছেন ৩৩৯ ভোট।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম জিতেছেন ১৩ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহজাহান কবির পেয়েছেন ৭৬৬ ভোট।
একই জেলার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের হাসান কাদির গনু জিতেছেন ৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম সবেদ আলী ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৩ ভোট।
এই দুটিতেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে।
রবিশাল বিভাগ
বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সুভাষ চন্দ্র শীল জিতেছেন ৫ হাজার ৪২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মিণ্টু পেয়েছেন ৬৯৮ ভোট।
একই জেলার মুলাদীতে আওয়ামী লীগের শফিকুজ্জামান রুবেল জিতেছেন ৭ হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা দিদারুল আহসান খান ২ হাজার ৬৫ ভোট।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জিতেছেন ৩ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৫ ভোট।
ঢাকা বিভাগ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬২৭ ভোট।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এহেসান কুফিয়া পেয়েছেন ৬৯৭ ভোট। তিনি সকালেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
একই জেলার হোসেনপুর পৌরসভায় ৭ হাজার ৫১৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আ. কাইয়ুম খোকন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৫১ ভোট।
করিমগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মুসলেহ উদ্দিন ১০ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২ ভোট।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী সরকার জিতেছেন ১১ হাজার ৩৫০, বিএনপির আলী আকবর জব্বার ৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।
গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা ১৮ হাজার ৯৬৭, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন ৪ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের নিমাই সরকার জিতেছেন ২ হাজার ১৯৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ২২৮ ভোট।
রাজবাড়ী পৌরসভায় জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর শেখ তিতু। পেয়েছেন ১৫ হাজার ২০৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী চৌধুরী পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৩ ভোট।
গোয়ালন্দ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম মণ্ডল ৬ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. নজরুল পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৭ ভোট।
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ফলাফল স্থগিত হয়েছে দুটি কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে।
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম জিতেছেন ২০ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৮৬৮ ভোট।
নরসিংদীর মাধবদীতে আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন মানিক জিতেছেন ১৭ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন অনু পেয়েছেন ৪২৪ ভোট।
নরসিংদী পৌরসভায় ফলাফল স্থগিত আছে।
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফল স্থগিত করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে পরে ভোট নিয়ে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহের ফুলপুরের আওয়ামী লীগের শশধর সেন বিপুল জিতেছেন ৬ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা রফিকুল হাসান ৩ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে।
একই জেলার ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুজ্জামান আনিস জিতেছেন ১২ হাজার ২০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নবী নেওয়াজ সরকার ৭ হাজার ৪৮৬ ভোট।
নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম খান জিতেছেন ২৯ হাজার ১২৯ ভোট পেয়ে। বিএনপির আবদুল্লাহ আল মামুন দ্বিতীয় হয়েছেন ৯ হাজার ৭৩৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জামালপুরের মেলান্দহে আওয়ামী লীগের শফিক জাদেহী রবিন জিতেছেন ১৩ হাজার ৪৬০ ভোট পেয়ে। বিএনপির মনোয়ার হোসেন হাওলাদার দ্বিতীয় হয়েছেন ৩ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে।
শেরপুর পৌরসভায় ২৯ হাজার ৬ ৩৬ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৯৬ ভোট।
একই জেলার শ্রীবরদীতে ৬ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী লাল।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল হাকিম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪২ ভোট।
সিলেট বিভাগ
সিলেটের কানাইঘাটে আওয়ামী লীগের লুৎফুর রহমান ৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সোহেল আমিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৬ ভোট।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সাইফুল আলম রুবেল জিতেছেন ৬ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাজিম উদ্দিন শামছু পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৫ ভোট।
চট্টগ্রাম বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা কাজল। ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জয়নাল আবেদীন আবদুল পেয়েছেন ৭৭৮ ভোট। তিনি অবশ্য কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন।
কুমিল্লার হোমনায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম জিতেছেন ১১ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল লতিফ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ ভোট।
একই জেলার দাউদকান্দিতে আওয়ামী লীগের নাঈম ইউসুফ সেইন জিতেছেন ১৪ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূর মোহাম্মদ সেলিম পেয়েছেন ৮২৯ ভোট।
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন মেজু জিতেছেন ১০ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবি আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৪৫৫ ভোট।
নোয়াখালীর চাটখিলে আওয়ামী লীগের নিজামউদ্দিন জিতেছেন ১১ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা বামাল পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬১ ভোট।
সোনাইমুড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নুরুল হক জিতেছেন ৯ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে। বিএনপির মোতাহের হোসেন মালিক দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ হাজার ১ ভোট।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও ফেনীর পরশুরামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইয়ুব বাবুল ১৪ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়েছেন জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুল ইসলাম সওদাগর পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৪ ভোট।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে নৌকা প্রতীকে মাহবুবুল আলম খোকা জিতেছেন ১৫ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির আইনুল কবির ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯১৬ ভোট।
ভোটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ৫ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের সামছুল হক।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৮ ভোট।
রাঙ্গামাটি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী জিতেছেন ২২ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মামুনুর রশীদ মামুন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৫ ভোট।
বান্দরবান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জিতেছেন ৯ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাবেদ রেজা পেয়েছেন চার হাজার ৫৩৩ ভোট।
আরও পড়ুন:ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। দেশের নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।
দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাগরিকদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে অনেক কোম্পানি বিনামূল্যে খাবার থেকে শুরু করে ফ্রিতে ট্যাক্সি পর্যন্ত অফার করেছে।
প্রতিবারই কম ভোটার উপস্থিতির জন্য খবরের শিরোনাম হয় কর্ণাটক রাজ্যের শহর বেঙ্গালুরু। তাই ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এসব সুবিধার মধ্যে ফ্রি বিয়ার, বিনামূল্যে ট্যাক্সি রাইড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো সুবিধাকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছে বিবিসি।
এছাড়া আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলে অনেক হোটেল ক্রেতাদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়াবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন না করার শর্তে স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতিকে ফ্রিতে বা বিশেষ ছাড়ে খাবার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।
এ বিষয়ে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি পিসি রাও ডেইলি মিররকে বলেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে হোটেলগুলো বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। কেউ কেউ বিনামূল্যে কফি, ডোসা দেবে। আবার কেউ কেউ গরমে ভোটারদের জুস খাওয়াবে। কিছু হোটেল তো খাবারের ওপর বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে দক্ষিণ ব্যাঙ্গালুরুতে। সেবার ওই নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারদের ৫৩.৭ শতাংশ নাগরিক ভোট দিয়েছিলেন।
ব্যাঙ্গালুরুর জনপ্রিয় পার্ক ‘ওয়ান্ডারলা’ ভোটারদের জন্য টিকিটে বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েছে। অন্যদিকে ভোট দিয়ে আসা প্রথম পঞ্চাশ জন ক্রেতাকে বিনামূল্যে বিয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘ডেক অফ ব্রুস’ নামের একটি পানশালা।
স্থানীয় রাইড শেয়ার অ্যাপ ‘ব্লু-স্মার্ট’ ভোটকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোটারদের রাইডে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া ‘র্যাপিডো’ নামের ট্যাক্সি শেয়ারিং কোম্পানি ভোটারদের বিনামূল্যে রাইড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মিস্টার ফিলি’স নামের একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ প্রথম ১০০ জন ভোটারকে বার্গার ও মিল্কশেকের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘এটি আসলে নাগরিকদের ভোটের গুরুত্ব বোঝানো এবং আমাদের গণতন্ত্র উদযাপনের উপায়।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগটি ব্যাঙ্গালুরুর নাগরিকদের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও পরিবর্তন আনতে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।’
উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হবে।
এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সাত ধাপে, চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে আগামী ১ জুন এবং ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটায় ও মুন্সীগঞ্জ সদরে নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই এমনকি প্রতীক বরাদ্দের আগেই চেয়ারম্যান নিশ্চিত হয়েছেন আইনজীবী এস এম সামশীল আরেফিন টিটু।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীর মধ্যে অপর দুজন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব।
তিনি জানান, এর আগে সোমবার বিকেলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকতার কাছে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্র দেন ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা দুই প্রার্থী হলেন, হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং অপরজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘আজ প্রতীক বরাদ্দ শেষে দুপুরের পর তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হবে।’
নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জনসহ ১১ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলায় পুরুষ ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ জন এবং নারী এক লাখ ২১ হাজার ৫৮ জনসহ মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ১২ জন। এ ছাড়া ১০৩ টি ভোট কেন্দ্র এবং বুথ রয়েছে ৬৬১টি। উপজেলায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮। এ উপজেলায় ব্যালটে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।
মুন্সীগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তিনজন
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিষয়টি সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী থাকলেও ওই পদগুলোতে একজন করে প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’
তিনি জানান, এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ কারণে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না এবং যথাসময়ে তাদের গেজেট প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি।
ষষ্ঠ ধাপের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর, মন্ত্রণালয় সচিব, সিনিয়র সচিব ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসেছিল কমিশন। সভার মূল বিষয় ছিল, যার যেটা করণীয় সেটা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেন যত্ন সহকারে করেন।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনী ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন তারা যাতে এই নির্বাচনটা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আরও সুন্দর ও স্বার্থকভাবে আয়োজন করেন, এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আমরা মূলত যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে থাকি, এই নির্বাচনে তার চেয়ে অধিক পরিমাণে মোতায়েনের প্রচেষ্টা করা হবে। যেহেতু উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে সম্পন্ন হবে, জেলা পর্যায়ে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রশাসনের সদস্য রয়েছে, তারা ওখানেই ধাপে ধাপে দায়িত্ব পালন করবে। তারা বলেছে, তাদের জনবলের ঘাটতি হবে না।
জাহাংগীর আলম বলেন, উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। জনবলের সংখ্যা উপজেলাভিত্তিক বাড়িয়ে দেয়া হবে।
বড় দল আসবে না, এর প্রভাব ভোটে থাকবে কি-না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেনি। দলীয় প্রতীক ছাড়া অনেক দল অংশ নিয়েছে তাই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। একই দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছে তাদেরও কিছু কিছু অনুসারীরা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাই কমিশন আশা করে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম নেয়া হবে যাতে নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি যেতে পারেন, যাতে নির্বাচনে তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়।
অন্য এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, আইনিভাবে যার ভোটে অংশ নেয়ার যোগ্যতা রয়েছে তিনি ভোটে অংশ নিতে পারেন। এখানে কোনো আইনি বাধা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধি যারা আগে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের নিকট আত্মীয়দের নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা তো আইন না, একটি দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একত্রিত করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা চাই অধিক সংখ্যক প্রার্থী আসবে। জনপ্রশাসন সমন্বিতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে। যত প্রার্থী আসবে স্থানীয় নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে বলে মনে করি।
পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ বিরোধী যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য তিনটি উপজেলাতে বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের চেষ্টা করব।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়িতে আগামী ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।
গত ২ এপ্রিল রুমার সোনালি ব্যাংকে ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হলেও পরে ছাড়া পান তিনি। পর দিন রুমায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফ-এর সদস্য অভিযানে নিহতও হয়েছেন।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সভায় নির্বাচন কমিশন সদস্য, সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় রোববার ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এ ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।
তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এ ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।
এ ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি রোববার শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আসন্ন তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন কে দেবে তা দলগুলোকে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আগামী ২৯ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যানভাইস চেয়ারম্যানমহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা বর্ণিত বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।
তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে।
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।
আরও পড়ুন:নাটোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দলের এক জরুরি সভা থেকে শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী ওহিদুর রহমান শেখ এ নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, এর আগে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ‘কেন তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও সভায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ এবং ছাত্রলীগের যে সব নেতা-কর্মী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে ১৫ এপ্রিল প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে মারধর এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, তাকে দলের সভাপতি আইনজীবী ওহিদুর রহমান শেখ ফোনে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।
গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা এবং তার দুই সহযোগীকে অপহরণ এবং মারপিট করে বাড়িতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন পাশার ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
বাদী জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটির মালিকানাও লুৎফুল হাবিব রুবেলের।
সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত দুজন আসামির একজন ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, লুৎফুল হাবিব রুবেলের নির্দেশেই তারা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য