× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
আ লীগ ৪৮ স্বতন্ত্র ৪ বিএনপি ১
google_news print-icon

আ. লীগ ৪৮, স্বতন্ত্র ৪, বিএনপি ১

আ-লীগ-৪৮-স্বতন্ত্র-৪-বিএনপি-১
সাতক্ষীরা পৌরসভায় একটি কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের ধীর্ঘ সারি। ছবি: রফিকুল ইসলাম শাওন
প্রথম তিন দফা পৌর নির্বাচনের মতো চতুর্থ দফাতেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিপুল ব্যবধানে জিতেছে। এবারও বিভিন্ন পৌরসভায় যেমন ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে, আবার কারচুপির অভিযোগ এনে ৯টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীদের ভোট থেকে সরে দাঁড়াতেও দেখা গেছে।

চতুর্থ দফার পৌর নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জয় পেয়েছেন সিংহভাগ পৌরসভায়। ৫৫টি পৌরসভায় বিএনপি এবার জয় পেয়েছে কেবল একটিতে।

বাকিগুলোর মধ্যে দুটিতে ফলাফলের মীমাংসা হয়নি। গোলযোগের কারণে যেসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে, সেসব কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা এগিয়ে থাকা প্রার্থীর ভোটের চেয়ে বেশি হওয়ায় সেখানে ভোট শেষেই হবে ফলাফল।

বাকি ৫৩টির মধ্যে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা জিতেছেন ৪৮টিতে। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা জিতেছেন চারটিতে।

প্রথম দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি, তৃতীয় দফায় ৩০ জানুয়ারিও একই চিত্র দেখা যায়। বিএনপির প্রার্থীরা খুব কমসংখ্যক পৌরসভায় জিতেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে তখনও ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের সিংহভাগই আসলে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনেরই নেতা।

ওই তিন দফার মতোই এবারও সিংহভাগ পৌরসভায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। কোথাও কোথাও আবার অভিযোগ এসেছে কারচুপির।

রোববার যেসব এলাকায় ভোট হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সাতটিতে বিএনপির প্রার্থীরা কারচুপির অভিযোগ এনে বর্জন করেছেন ভোট। একটিকে বিএনপির প্রার্থী আগে থেকেই ফলাফল বর্জন করেছেন। তবে বাকিগুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা ভোটে ছিলেন। তেমন কোনো অভিযোগও আনেননি।

রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চতুর্থ ধাপে ২৯ পৌরসভায় ভোট হয়েছে ইভিএমে, বাকি ২৬ পৌরসভায় ব্যালট পেপারে।

সব পৌরসভাতেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন নিউজবাংলার প্রতিনিধিরা। তাদের দেখা বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন, আর পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি।

সিলেটের কানাইঘাটে ভোট ঘিরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। সকালে কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে ভোটার উপস্থিতি। ভোট চলাকালে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

একই রকম দৃশ্য দেখা যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। সেখানে ইভিএমে ভোট হলেও কেউ কোনো সমস্যার কথা বলেনি। আর পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল ঢের বেশি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রার্থীসহ কেউ কোনো অভিযোগ তোলেননি।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয় রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী, তানোর ও তাহেরপুরে। চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ কেন্দ্রেই দেখা যায় ভোটারদের লম্বা লাইন।

নওহাটার একটি কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও ভোট প্রদান বিঘ্নিত হয়নি।

আ. লীগ ৪৮, স্বতন্ত্র ৪, বিএনপি ১

ময়মনসিংহের ফুলপুর ও ত্রিশালে ভোট হয় আমেজের সঙ্গে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভোটার। পৌরসভা দুটিতে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।

কুমিল্লার দাউদকান্দি ও হোমনায় ভোট হয় ইভিএমে। সেখানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি ছিল, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেয় তারা।

বাগেরহাট সদর পৌরসভায় সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে। ভোটারদের লাইনে নারীদেরই বেশি দেখা যায়; কোনো অনিয়মের অভিযোগও ওঠেনি।

যশোরের চৌগাছায় একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর ভয়ভীতির অভিযোগ ছাড়া সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। ভোটারদের উপস্থিতিও ব্যাপক। জেলার বাঘারপাড়া পৌরসভায় কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই দীর্ঘ লাইন।

অনিয়ম, কারচুপি ও নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ৯টি পৌরসভায় কয়েকজন মেয়র প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে, বরিশালের বানারীপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, বাগেরহাট, নাটোরের বড়াইগ্রাম ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। আর ঠাকুরগাঁও সদরে বিএনপির প্রার্থী আগেই ফলাফল বর্জন করেন।

রংপুর বিভাগ

লালমনিরহাট পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা রেজাউল করিম স্বপন জিতেছেন ১১ হাজার ৩৬ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৫ ভোট।

পাটগ্রামে আওয়ামী লীগের রাশেদুল হাসান সুইট জিতেছেন ১২ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল পেয়েছেন ২ হাজার ২২১ ভোট।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা। পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৯৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ ভোট।

রাণীংশকৈল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান ২ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসাইন পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬৯ ভোট।

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী জেলার তানোরে আওয়ামী লীগের ইমরুল হক ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ৭ হাজার ২১৭ ভোট।

গোদাগাড়ীতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল ইসলাম বাবু। পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির গোলাম কিবরিয়া রুলু পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯২ ভোট।

তাহেরপুরে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ। পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৪০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু নঈম শামসুর রহমান মিন্টু ৯০৩ ভোট পেয়েছেন।

পবা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হাফিজুর রহমান হাফিজ ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল বারি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৮৬ ভোট।

আ. লীগ ৪৮, স্বতন্ত্র ৪, বিএনপি ১

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভায় প্রথম নারী মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের রাবেয়া সুলতানা। পেয়েছেন ৯ হাজার ১৭৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার সোহেল পেয়েছেন ৮০০ ভোট।

আক্কেলপুরে আওয়ামী লীগের শহীদুল আলম চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলমগীর চৌধুরী বাদশা পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৬ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জয়ী নৌকা প্রতীকের মনিরুল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ওজিউল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৯৯ ভোট।

নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মাজেদুল বারী নয়ন জিতেছেন ১০ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইসাহাক আলী পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ ভোট। তিনি ভোট বর্জন করেছেন।

খুলনা বিভাগ

যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল জিতেছেন ৬ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা কামাল আহমেদে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭ ভোট।

একই জেলার বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান বাচ্চু জিতেছেন ৪ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবু তাহের পেয়েছেন ১ হাজার ১০৮ ভোট।

সাতক্ষীরা সদরে জয়ী হয়েছেন বিএনপির তাজকিন আহমেদ চিশতি। পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২১ ভোট।

বাগেরহাট পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের খান হাবিবুর রহমান। পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৩৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাইদ নিয়াজ হোসেন পেয়েছেন ৩৩৯ ভোট।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম জিতেছেন ১৩ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহজাহান কবির পেয়েছেন ৭৬৬ ভোট।

একই জেলার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের হাসান কাদির গনু জিতেছেন ৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম সবেদ আলী ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৩ ভোট।

এই দুটিতেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে।

রবিশাল বিভাগ

বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সুভাষ চন্দ্র শীল জিতেছেন ৫ হাজার ৪২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মিণ্টু পেয়েছেন ৬৯৮ ভোট।

একই জেলার মুলাদীতে আওয়ামী লীগের শফিকুজ্জামান রুবেল জিতেছেন ৭ হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা দিদারুল আহসান খান ২ হাজার ৬৫ ভোট।

আ. লীগ ৪৮, স্বতন্ত্র ৪, বিএনপি ১

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জিতেছেন ৩ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৫ ভোট।

ঢাকা বিভাগ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬২৭ ভোট।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এহেসান কুফিয়া পেয়েছেন ৬৯৭ ভোট। তিনি সকালেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

একই জেলার হোসেনপুর পৌরসভায় ৭ হাজার ৫১৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের আ. কাইয়ুম খোকন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৫১ ভোট।

করিমগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মুসলেহ উদ্দিন ১০ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২ ভোট।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী সরকার জিতেছেন ১১ হাজার ৩৫০, বিএনপির আলী আকবর জব্বার ৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে হয়েছেন দ্বিতীয়।

গোপালপুরে রকিবুল হক ছানা ১৮ হাজার ৯৬৭, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন ৪ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের নিমাই সরকার জিতেছেন ২ হাজার ১৯৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ২২৮ ভোট।

রাজবাড়ী পৌরসভায় জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর শেখ তিতু। পেয়েছেন ১৫ হাজার ২০৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী চৌধুরী পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৩ ভোট।

আ. লীগ ৪৮, স্বতন্ত্র ৪, বিএনপি ১

গোয়ালন্দ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম মণ্ডল ৬ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. নজরুল পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮৭ ভোট।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ফলাফল স্থগিত হয়েছে দুটি কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে।

মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম জিতেছেন ২০ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৮৬৮ ভোট।

নরসিংদীর মাধবদীতে আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেন মানিক জিতেছেন ১৭ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন অনু পেয়েছেন ৪২৪ ভোট।

নরসিংদী পৌরসভায় ফলাফল স্থগিত আছে।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফল স্থগিত করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে পরে ভোট নিয়ে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহের ফুলপুরের আওয়ামী লীগের শশধর সেন বিপুল জিতেছেন ৬ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা রফিকুল হাসান ৩ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে।

একই জেলার ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুজ্জামান আনিস জিতেছেন ১২ হাজার ২০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নবী নেওয়াজ সরকার ৭ হাজার ৪৮৬ ভোট।

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম খান জিতেছেন ২৯ হাজার ১২৯ ভোট পেয়ে। বিএনপির আবদুল্লাহ আল মামুন দ্বিতীয় হয়েছেন ৯ হাজার ৭৩৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

জামালপুরের মেলান্দহে আওয়ামী লীগের শফিক জাদেহী রবিন জিতেছেন ১৩ হাজার ৪৬০ ভোট পেয়ে। বিএনপির মনোয়ার হোসেন হাওলাদার দ্বিতীয় হয়েছেন ৩ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে।

শেরপুর পৌরসভায় ২৯ হাজার ৬ ৩৬ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৯৬ ভোট।

একই জেলার শ্রীবরদীতে ৬ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী লাল।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল হাকিম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪২ ভোট।

সিলেট বিভাগ

সিলেটের কানাইঘাটে আওয়ামী লীগের লুৎফুর রহমান ৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সোহেল আমিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৬ ভোট।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সাইফুল আলম রুবেল জিতেছেন ৬ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাজিম উদ্দিন শামছু পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৫ ভোট।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জিতেছেন আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা কাজল। ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জয়নাল আবেদীন আবদুল পেয়েছেন ৭৭৮ ভোট। তিনি অবশ্য কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন।

কুমিল্লার হোমনায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম জিতেছেন ১১ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল লতিফ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ ভোট।

একই জেলার দাউদকান্দিতে আওয়ামী লীগের নাঈম ইউসুফ সেইন জিতেছেন ১৪ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূর মোহাম্মদ সেলিম পেয়েছেন ৮২৯ ভোট।

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন মেজু জিতেছেন ১০ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবি আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৪৫৫ ভোট।

নোয়াখালীর চাটখিলে আওয়ামী লীগের নিজামউদ্দিন জিতেছেন ১১ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা বামাল পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬১ ভোট।

সোনাইমুড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নুরুল হক জিতেছেন ৯ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে। বিএনপির মোতাহের হোসেন মালিক দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ হাজার ১ ভোট।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও ফেনীর পরশুরামে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইয়ুব বাবুল ১৪ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়েছেন জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুল ইসলাম সওদাগর পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৪ ভোট।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে নৌকা প্রতীকে মাহবুবুল আলম খোকা জিতেছেন ১৫ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির আইনুল কবির ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯১৬ ভোট।

ভোটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ৫ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের সামছুল হক।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৮ ভোট।

রাঙ্গামাটি পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী জিতেছেন ২২ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মামুনুর রশীদ মামুন পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৫ ভোট।

বান্দরবান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জিতেছেন ৯ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাবেদ রেজা পেয়েছেন চার হাজার ৫৩৩ ভোট।

আরও পড়ুন:
নৌকাতেই ভরসা রাখল দাউদকান্দি-হোমনা পৌরবাসী
শ্বশুরের কাছে ‘কলিজার টুকরার’ হার
আখাউড়ায় বিরাট ব্যবধানে নৌকার জয়
শিবগঞ্জে জয়ী আওয়ামী লীগের মনিরুল
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে নৌকা জয়ী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
Government is committed to organizing elections within the stipulated time Chief Advisor

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: বাসস
ভোটের তারিখের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কোনো দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হবে না।

ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।

তিনি জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা হবে না।

ভোটের তারিখের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে সীমিতসংখ্যক সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই। আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

আরও পড়ুন:
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট হবে বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসঙ্গত: অর্থ উপদেষ্টা
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সেনাবাহিনীকে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

নির্বাচন
The chief adviser

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: ইউএনবি
আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

এর আগে গত ১৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ও কী ধরনের সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন, তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবস্থার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার আজকের মূল নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই পদবির কর্মকর্তাদের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।

কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়াও তিনি নিম্ন কর্মদক্ষতার ইউনিটগুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর ওপরও জোর দেন।

আরও পড়ুন:
সেনাবাহিনীকে পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক জাতিসংঘ মহাসচিবের
নওগাঁয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড

মন্তব্য

নির্বাচন
Elections from December to December of this year Chief Advisor

এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি সংস্কার কার্যক্রম আমাদের প্রত্যাশিত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস লাগতে পারে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সময়সূচি নির্ভর করবে সরকার গৃহীত প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যদি সংস্কার কার্যক্রম আমাদের প্রত্যাশিত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস লাগতে পারে।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যখন তাকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়, তখন তিনি ‘হতচকিত’ বোধ করেন।

বিবিসিকে ড. ইউনূস বলেন,‘আমি কখনও ভাবিনি যে আমি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেব। আমি আগে কখনও প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলাম না। তাই সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আমাকে উপায়গুলো খুঁজে নিতে হয়েছে।

‘যখন বিষয়টি ঠিক হলো, তখন আমরা সংগঠিতভাবে কাজ শুরু করলাম।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমার কাছে দেশের জন্য আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং অর্থনীতি পুনর্গঠন মূল অগ্রাধিকার ছিল।’

বিবিসির আজকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়, যা অধ্যাপক ইউনূস এ বছরের শেষের দিকে আয়োজনের আশা করছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

ঢাকার সরকারি বাসভবনে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় কি না। আমি তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন,‘নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি অর্থনীতি। এটি একটি বিচূর্ণ অর্থনীতি, একটি বিপর্যস্ত অর্থনীতি।

‘এমন মনে হচ্ছে যেন গত ১৬ বছর ধরে কোনো ভয়ংকর টর্নেডো চলছে আর আমরা এখন সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে টুকরোগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

আরও পড়ুন:
শ্রম আইনকে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সরকারি প্রাথমিকে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের যোগদান ১২ মার্চ
হাসিনার নৃশংসতার দলিল সংরক্ষণ করা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা
শেখ পরিবারের নামে থাকা ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

নির্বাচন
Before the advisor to the local government election

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে উপদেষ্টা আসিফ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মত তুলে ধরেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান।’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন।’

অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনগণের দাবি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারাও এ মতের পক্ষে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি যাচ্ছে। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় জনপ্রতিনিধিরা নেই। তাদের দায়িত্বগুলো বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা পালন করছেন।

‘সেই জায়গা থেকে তাদের যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, আজকের ডিসি সম্মেলনে আমরা সেগুলো শুনেছি এবং এগুলো অ্যাড্রেস করেছি।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারদের প্রত্যেকেই মূল দায়িত্বের বাইরে কিছু না কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের অতিরিক্ত সময়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সমস্যাটা হলো একজন অফিসার যখন নিজ দায়িত্বের বাইরে আরও দুই-তিনটা দায়িত্ব পালন করেন, তার পক্ষে কোনোটাই যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, যে কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে নিয়ে আসা উচিত।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সর্বশেষ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়েও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনও চলমান আছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও সরকার নেয়নি।

‘আশা করছি খুব দ্রুতই কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসবে। হয় আমরা দ্রুতই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করব, অন্যথায় প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মাথাব্যথা নেই, সংস্কার আগে: জামায়াত
ক্ষমতায় যে দলই আসুক, মিলেমিশে কাজ করব: মির্জা আব্বাস
ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ঠিক করতে হবে: সিইসি
অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে বদ্ধপরিকর সরকার: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

মন্তব্য

নির্বাচন
The importance of the chief adviser in the process of ensuring free and fair elections

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াব বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: পিআইডি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।

বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন কোনো বাধা বা হুমকি ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সেই প্রক্রিয়া তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ অভিমত দেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ডব্লিউইএফের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ক্লাউস শোয়াব ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল।’

তিনি উল্লেখ করেন, আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকার দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে তাদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করেছে।

ড. ইউনূস বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগই হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৮৪ বছর বয়সী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে এখন দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রক্রিয়াটি কেমন হবে। তারা কী ছোট পরিসরের সংস্কার কর্মসূচিতে যাবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চাইবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি মানুষ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েছি। আর যদি বলে, না আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার, তাহলে আমাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে।’

বর্তমান প্রজন্মকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি বর্তমান প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার কারণে তারা এখন শুধু বাংলাদেশি আর তরুণ নয়, বরং সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের অংশ হয়ে গেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, এ প্রজন্ম পুরোনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না। তাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণদের কাজের প্রতিটি অংশে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করা হবে।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর
পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইসিবির সহায়তা চান ড. ইউনূস
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে দুর্নীতি কমবে: বদিউল আলম
সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে এগিয়ে যেতে পারে: ফখরুল

মন্তব্য

নির্বাচন
Corruption in elections will be reduced if recommendations are implemented Badiul Alam

সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে দুর্নীতি কমবে: বদিউল আলম

সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে দুর্নীতি কমবে: বদিউল আলম নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি
বদিউল আলম বলেন, ‘হত্যাকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এটা জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নয়, নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে।

কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে বলে প্রকাশ করেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দেওয়া প্রস্তাব ও তা বাস্তবায়নে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের করণীয় নিয়ে এ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনের (আরএফইডি) সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ক্ষুণ্ন করা হয়নি; বরং এ সংস্থার ক্ষমতায়নে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।’

ফেরারি আসামি, বিচারিক আদালতে দোষী হলেই অযোগ্য, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত বা অর্থ পাচারকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

বিষয়টি বিতর্কিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, ‘হত্যাকারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এটা জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহিতায় আনতে গিয়ে তাদের ক্ষমতা খর্ব হবে না বলেও মত দেন তিনি।

এদিকে আরেক অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেড় সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র। চোখ এবং আঙুলে ক্ষতিগ্রস্তদের ইসির নির্দেশনায় দেওয়া হবে এনআইডি। নতুন ভোটার ছাড়াও স্মার্ট কার্ড এবং ভুল সংশোধনের সুযোগও পাবেন আহতরা।

‘এ ছাড়াও সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পাবেন এ সেবা।’

আরও পড়ুন:
সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে এগিয়ে যেতে পারে: ফখরুল
সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের জয়
আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি

মন্তব্য

নির্বাচন
Election preparation within the time frame announced by the government CEC

সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি

সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি: সিইসি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রবিবার এক অনুষ্ঠানে সিইসিসহ সংশ্লিষ্টরা। ছবি: ইউএনবি
নির্বাচন ভবনের অনুষ্ঠানে সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‌‘আমরা বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিন।

রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে রবিবার এক অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা জানান।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে কম সংস্কার হলে নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে।

নির্বাচন ভবনের অনুষ্ঠানে সরকারঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‌‘আমরা বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি।’

ওই সময় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সব সন্দেহ দূর করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘সংশয় দূর করার জন্য আমরা এটা (ভোটার তালিকা হালনাগাদ) করছি। আমরা মাঠে অনেক মানুষকে সম্পৃক্ত করছি।’

সারা দেশে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কিছু উপকরণ সহায়তা দেয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার ও ৪ হাজার ৩০০ ব্যাগ সিইসির কাছে হস্তান্তর করেন।

নাছির উদ্দিন জানান, তারা ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ বিশাল এ কর্মসূচিতে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, ‘এই ছয় মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য আমাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে হবে।’

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, তারা রাজনৈতিক বক্তব্য (বিতর্ক) করেন না এবং আইন ও বিধিবিধানের মধ্যে থাকবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’

ইউএনডিপির সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, তারা আমাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

আরও পড়ুন:
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের জয়
আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি
সংসদীয় পদ্ধতিতে সব নির্বাচনের প্রস্তাব দেবে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
ভোটবঞ্চনার দুঃখ ঘোচানোর অঙ্গীকার সিইসির

মন্তব্য

p
উপরে