× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
১৫ বছর পর ধামইরহাটে আবার নৌকা ধানের শীষের লড়াই
google_news print-icon

১৫ বছর পর ধামইরহাটে আবার নৌকা-ধানের শীষের লড়াই

১৫-বছর-পর-ধামইরহাটে-আবার-নৌকা-ধানের-শীষের-লড়াই
ধামইরহাটে মেয়র পদে লড়ছেন আ.লীগের প্রার্থী আমিনুর রহমান, বিএনপির মাহবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব হোসেন।
পৌরসভাটিতে মোট ভোটার ১২ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ২২৭ এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৪১৩ জন।

প্রায় ১৫ বছর প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভায়। আইনি জটিলতা কাটিয়ে হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা ও ধানের শীষ। ৩০ জানুয়ারি মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে রায় দেবেন পৌর এলাকার ১২ হাজার ৬৪০ জন ভোটার।

নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে, চাইছেন নিজের জন্য ভোট।

২০০৪ সালে জোট সরকারের আমলে নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা গঠন হয়। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভায় প্রথম প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চপল। সেই দায়িত্ব পালনের সময়েই ২০০৬ সালের ৩০ মে পৌরসভাটিতে প্রথম নির্বাচন হয়।

সেই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহবুবুর রহমানকে মাত্র ২৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমিনুর রহমান। কাউন্সিলররা শপথ নিলেও আইনি জটিলতার মেয়র আমিনুর রহমানের শপথ ঝুলে ছিল আরও সাত মাস।

পরে আবার বাড়ানো হয় পৌরসভার সীমানা। তখন স্থানীয় চার আদিবাসী এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের নিষ্পত্তি হয় গত বছরের প্রথম দিকে। এরপরই নির্বাচন কমিশন ধামইরহাটে ভোট নিতে তফসিল ঘোষণা করে।

নির্বাচনে আবারও পুরনো দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের আমিনুর রহমান ও বিএনপির সাবেক পৌর প্রশাসক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী চপল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

এ ছাড়া মেয়র পদে নারিকেল গাছ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও উমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

পাশাপাশি নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১৭ প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নৌকার প্রার্থী আমিনুর রহমান বলেন, ‘প্রায় ১৪ বছর ধরে আমি পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছি। দলমত নির্বিশেষে মানুষের সেবা করেছি। ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভাকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে পৌরসভার বাকি রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোড লাইট, আধুনিক পৌর ভবন নির্মাণ ও সুসজ্জিতকরণ করা হবে।’

পৌর এলাকায় দেড়শ সৌরচালিত বাতি বসানোর প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সামনের নির্বাচনেও পৌরবাসীর উন্নয়নে ভোটাররা তাকেই ভোট দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ধানের শীষের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ধামইরহাটবাসীর উন্নয়নে আমাদের পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভোট হলে বিপুল ভোটে আমি জয় পাব।’

ভোটের দিন প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো ও ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ আচরণের জোর দাবি জানান তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উমার ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি মহামান্য হাইকোর্টে পৌরসভার নির্বাচনের জন্য আইনি লড়াই করেছি। তার ফলে এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’

তিনি আশা করছেন, পৌরবাসী তার এ শ্রমের প্রতিদান দেবেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ৩০ জানুয়ারি ধামইরহাট পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে ৩৮টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

পৌরসভাটিতে মোট ভোটার ১২ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ২২৭ এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৪১৩ জন।

আরও পড়ুন:
দলীয় পদ নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
পাবনা পৌরসভায় নাগরিক মঞ্চের মেয়র প্রার্থীর ইশতেহার
হারাগাছে নৌকা পাবেন কে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
1 crore 26 lakh rupees were spent in the election

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলবই’

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলবই’ মঙ্গলবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ছবি: নিউজবাংলা
বক্তব্যর বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে, অনেকেই এরকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’

স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ্যে দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যের এক পর্যায়ে দুর্নীতি করার ঘোষণা দেন এ সংসদ সদস্য।

তার বক্তব্যের অংশবিশেষের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রকাশিত ওই ভিডিওতে আবুল কালাম আজাদকে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচটা বছর (২০১৪-২০১৮) বেতন ভাতার টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না; আগামীতেও থাকবে না। এবার (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আমি তুলব। যেভাবেই হোক তুলবই। এতটুক অনিয়ম আমি করবই। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’

প্রকাশ্যে সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। উনার বক্তব্য উনি বলেছেন, এখানে আমার কোনো কথা নেই।’

বক্তব্যর বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার বক্তব্যে এটা বোঝাতে চেয়েছি যে, অনেকেই এরকম করে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্যে তার সহকারী এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা দুর্নীতিতে উৎসাহিত হবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথের ল‌ংঘন, অন্যদিকে নির্বাচনি বিধিরও লংঘন।

‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনি প্রচারকাজে একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না।’

সংসদ সদস্যের কাছে গঠনমূলক বক্তব্যেরও প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।

মন্তব্য

নির্বাচন
Voting in 152 upazilas on May 8

১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে

১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৪৮১ উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। বাকি ১৪০ উপজেলায় স্বচ্ছ ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

এর আগে সকালে আগারগাঁও নির্বাচনে ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের ২৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৪৮১ উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

তার মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে। মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই ১৭ এপ্রিল, আপিল দায়ের ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, মনোনয়ন প্রত্যাহার ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। ভোট গ্রহণ ৮ মে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া, পরবর্তী ধাপের নির্বাচন গুলো ২৩ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ইসির। জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজের পর এ নির্বাচন হচ্ছে।

ইসি এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, ইভিএম হবে ২২ টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে এ নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেয়ার প্রয়োজন নেই; রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি; তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।

মন্তব্য

নির্বাচন
153 upazila elections may be scheduled on Thursday

১৫৩ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে বৃহস্পতিবার

১৫৩ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে বৃহস্পতিবার ফাইল ছবি
বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

প্রথম ধাপের ১৫৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হতে পারে।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, ‘কমিশন সভা রয়েছে। সভাশেষে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।’

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট হবে সেগুলো হলো সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; সিলেটের সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, গোপালগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও সরাইল; কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম; চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও চাঁদপুর সদর; ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর; চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও গুইমারা; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা; রাঙামাটির রাঙামাটি সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান পার্বত্য জেলার বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম।

এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিধিমালায় কিছু সংশোধন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এক লাখ টাকা জামানত দিতে হবে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয় পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার ‘উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪’ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে।

সংশোধিত বিধিমালায় নির্বাচনী ব্যয়ে পরিবর্তন এসেছে। আগের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ এক থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ২ লাখের বেশি ভোটার সংবলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন।

আগামী মে মাসে ৪ ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোট হবে।

মন্তব্য

নির্বাচন
Bangladesh elections could not pass the quality test
যুক্তরাষ্ট্রের দুই সংস্থার চূড়ান্ত প্রতিবেদন

বাংলাদেশের নির্বাচন গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি

বাংলাদেশের নির্বাচন গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি
সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষেবা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অসমভাবে নির্বাচনি বিধি প্রয়োগ করেছে। আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ন্যায়সঙ্গত ছিল না।

বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন সব মিলিয়ে গুণগত মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে মত ব্যক্ত করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম)।

যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা দুটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, ভোট চলাকালীন ও পরে সম্ভাব্য নির্বাচনী সহিংসতার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য এনডিআই ও আইআরআই টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রায় আড়াই মাস পর রোববার ১৭ মার্চ সংস্থা দুটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনি সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি প্রশমন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইআরআই ও এনডিআইয়ের তুলনামূলক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারের নির্বাহী ও আইন বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনের সুপারিশ প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রচার ও নির্বাচনের দিনসহ অন্য সময়ে শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা কম হয়েছে।

এক্ষেত্রে সংস্থা দুটি আগের নির্বাচনগুলোর পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছে। সহিংসতা কম হওয়ার কারণ হিসেবে তারা নির্বাচনি প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজরকে চিহ্নিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনি সহিংসতা মূলত দুটি প্রাথমিক রূপে দেখা দেয়। প্রথমটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বিরোধী দলের বয়কট প্রচেষ্টার মাধ্যমে।

প্রান্তিক গোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী এবং হিন্দুরাও নির্বাচনি সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

মিশনটি প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বাংলাদেশের আইনি কাঠামো লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।

‘নারী প্রার্থীরা মিশনকে জানিয়েছে, জনসমাগমে ও অনলাইনে তাদের অপমান ও হুমকির শিকার হতে হয়েছে। বিশেষ করে পুরুষ প্রতিপক্ষ ও তাদের সমর্থকদের কাছ থেকে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা তাদের অভিযোগের ব্যাপারে কোনও সাড়া দেননি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর কারণ হিসেবে শাসক দল ও বিরোধীদের সহিংসতা, প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন এবং বাক-স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচনি সহিংসতা মোকাবেলায় সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে ২৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য আচরণবিধি প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনি সহিংসতা সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত ও স্বাধীন বিচার এবং পর্যালোচনার জন্য আইনি কাঠামো, রাজনৈতিক নেতাদের দলে অহিংসতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, সংখ্যালঘু ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

নির্বাচনের সময় সোশাল মিডিয়ার ঘটনাবলীও পর্যবেক্ষণ করেছেন মিশনের সদস্যরা।

তাদের মতে, নির্বাচনের সময় সোশাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক বক্তব্য অব্যাহত ছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, উভয় দলের দিক থেকেই সোশাল মিডিয়ায় হিংসাত্মক বক্তব্য দেয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বেশি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন।

নির্বাচনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে অংশীজনরা মিশনকে জানিয়েছেন, সরকারের প্রতিশোধের ভয়ে সংবাদমাধ্যম সেল্ফ সেন্সরশিপে ছিল। সাংবাদিকরা নির্বাচনি প্রচার ও বিক্ষোভের সময় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় দলের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

নির্বাচনি নিরাপত্তার জন্য বাজেট বাড়ানোসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিতে সরকারের সমন্বিত ইউনিট গঠনের বিষয়ও প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে।

একইসঙ্গে সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষেবা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান অসমভাবে নির্বাচনি বিধি প্রয়োগ করেছে।

আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ন্যায়সঙ্গত ছিল না।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে মিশনের সদস্যরা বিশ্লেষক, সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ যুবক, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন চলাকালীন ও আগে-পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন বেসরকারি সংস্থা আইআরআই ও এনডিআইর প্রতিনিধিরা। তারা সম্মিলিতভাবে গত ৩০ বছরে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে দুই শতাধিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।

আরও পড়ুন:
ভারত পাশে থাকায় নির্বাচনে অন্যরা হস্তক্ষেপ করতে পারেনি: কাদের

মন্তব্য

নির্বাচন
3 million rupees embezzled by Ansar members
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারে ঘুষ নিয়ে দায়িত্ব বণ্টন

আনসার সদস্যদের ঠকিয়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ!

আনসার সদস্যদের ঠকিয়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ! ঘুষ-অনিয়মের হোতা হিসেবে উঠে এসেছে কক্সবাজার জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতির নাম। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে ৮ উপজেলার মোট ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় যেসব আনসার সদস্য ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা ঘুষ দিতে পেরেছেন তারাই নির্বাচনি দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার দায়িত্ব পালন শেষে প্রত্যেককে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলা হলেও দেয়া হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ নেয়া হয়েছে। আবার দায়িত্ব শেষে তাদেরকে নির্ধারিত ভাতার চেয়ে অনেক কম টাকা দেয়া হয়েছে। আর বিষয়টি আড়াল করতে ভাতা বিকাশের মাধ্যমে না দিয়ে হাতে হাতে দেয়া হয়েছে। এভাবে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা।

কক্সবাজার জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতির নেতৃত্বে এসব দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ করলে ভবিষ্যতে আর কোনো দায়িত্ব দেয়া হবে না- এমন হুমকির কারণে তারা নাম প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে চাননি।

বিভিন্ন অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় যেসব আনসার সদস্য ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত আগাম ঘুষ দিতে পেরেছেন তারাই নির্বাচনি দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার দায়িত্ব পালন শেষে প্রত্যেককে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলা হলেও দেয়া হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার। কাউকে কাউকে চার হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৮ উপজেলার মোট ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টনে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। ঘুষ না দেয়ায় অনেক দক্ষ আনসার সদস্যকেও রাখা হয়নি ডিউটি তালিকায়।

জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতির স্বাক্ষরে দেয়া শতাধিক কেন্দ্রের ডিউটির তালিকা ও কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি) এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন করে তালিকা তৈরি করে সিসি সম্পন্ন করা হয়। যাচাই করে দেখা যায়, সিসিতে উল্লিখিত প্রায় সব নাম, ঠিকানা ও মোবাইল বিকাশ নম্বর ভুয়া। ব্যক্তির নামের বিপরীতে বিকাশ নম্বর দেয়া হয়েছে অন্যজনের। একই ব্যক্তি বিকাশে টাকা তুলে নিয়েছেন একসঙ্গে ৪-৫ জনের।

অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার থেকে ভাতা হিসেবে কক্সবাজার জেলা আনসার ভিডিপিকে প্রতি কেন্দ্রের জন্য ৭৮ হাজার ৪৮০ টাকা করে ৫৫৬ কেন্দ্রের জন্য মোট ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮০ টাকা দেয়া হয়। টাকাটা দেয়া হয় জেলা কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতি নাগের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। আর উক্ত টাকা বিতরণে জেলা কমান্ড্যান্ট কোনো ধরনের সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করেননি।

আর এভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এবার সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল দায়িত্ব পালনকারী পিসি, এপিসি ও আনসার সদস্য-সদস্যাদের ভাতার টাকা যেন যার যার ব্যক্তিগত বিকাশ, নগদ বা রকেট একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের বেশিরভাগকে টাকা দেয়া হয়েছে হাতে হাতে। দায় এড়ানোর জন্য খুব অল্পসংখ্যক আনসার সদস্যকে মোবাইল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছে। বিকাশে টাকা প্রেরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিকাশ এজেন্ট ও ৩৯ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য খলিলুর রহমান কতজনের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি।

এসবের পেছনে সহযোগী ছিলেন প্রতিটি উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রশিক্ষক ও ইউনিয়ন দলনেতা-নেত্রীরা। তাদের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক সদস্যদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হয়। কোথাও কোথাও পিসি এবং এপিসিরাও এই অনিয়মে অংশীদার হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, উত্তোলিত ঘুষের টাকা থেকে কেন্দ্রপ্রতি ছয় হাজার টাকা করে নির্বাচনের আগেই জেলা কমান্ড্যান্ট বরাবর পৌঁছে দেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও দলনেতা-নেত্রীরা। নির্বাচনের পর পৌঁছে দেন কেন্দ্রপ্রতি আরও ছয় হাজার টাকা। দলনেতা-নেত্রীরা ঠিকাদারদের মতো কেন্দ্রগুলো ভাগবাটোয়ারা করে কিনে নেন। ফলে তাদের মর্জিমতো তৈরি করা হয় কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি)। যার কাছ থেকে ঘুষের টাকা পেয়েছেন তাকে রাখা হয়েছে তালিকায়।

ক্ষুব্ধ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বলেন, ছয় থেকে সাত হাজার টাকা করে ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য তাদের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ৮১ নম্বর কেন্দ্র ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সিসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সিসিতে উল্লিখিত ভিডিপি পুরুষ সদস্য আব্দুল আলীমের নামের পাশে উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার ইয়াছিন আরাফাতের বিকাশ নম্বর দেয়া আছে।

ইয়াছিন আরাফাতের মা জাহেদা বেগম ওই এলাকার সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য এবং ভিডিপি দলনেত্রী হওয়ায় ব্যাপক অনিয়মের সুযোগ পেয়েছেন। এই সিসিতে উল্লিখিত নারী ভিডিপি সদস্যদের নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। অথচ তাদের নামে ভাতা তুলে নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা আনসার অফিসার মোস্তফা গাজী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বললেও উল্টো ইয়াছিনের পদ রক্ষায় তোড়জোড় শুরু করেন তিনি।

মহেশখালীতে হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে (৪১ নম্বর কেন্দ্র) এপিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জালাল আহমেদ। তিনি জানান, সিসিতে উল্লিখিত বিকাশ নম্বরটি তার নয়। ফলে তিনি বিকাশে কোনো টাকা পাননি। দলনেতা আলমগীর তার হাতে চার হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন।

তিনি আরও জানান, সিসিতে দলনেতা আলমগীর তার নিজের লোকের বিকাশ নাম্বার বসিয়ে দিয়ে রেখেছেন।

৩০ বছর ধরে আনসার বাহিনীতে চাকরি করা আমিনুল হক দায়িত্ব পালন করেছেন মহেশখালীর হিন্দুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি জানান, ঘুষের টাকা দিতে না পারায় তাকে সিসিতে নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। আবার এপিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করালেও প্রাপ্য ভাতার পূর্ণাঙ্গ অংশ দেয়া হয়নি।

এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও অনেক সদস্য জানিয়েছেন, তারা কেউ বিকাশে টাকা পাননি। হাতে হাতে টাকা দেয়া হয়েছে। তা-ও ন্যায্য টাকা বুঝে পাননি। তারা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার বেশি পাননি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট অম্লান জ্যোতি নাগ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সব টাকাই বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছে। সব তথ্য আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। কেউ তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে আমরা তা দেখাব।’

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি টাকা কম পেয়ে থাকে এবং তা নিয়ে অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি দুর্নীতি বা ঘুষ গ্রহণ করেছি এমন কোনো প্রমাণ নেই। সব উপজেলায় কমিটি গঠন করে যাচাই করেও কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়নি।’

মন্তব্য

নির্বাচন
Pro BNP lawyer leader Kajal detained
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন

বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা কাজল আটক

বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতা কাজল আটক ছবি: সংগৃহীত
এর আগে গতকাল ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় আরও ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় পল্টনের চেম্বার থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

এর আগে গতকাল ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ)। মামলায় আরও ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মন্তব্য

নির্বাচন
Rashik is the youngest councilor of Barisal City

বরিশাল সিটির সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর হলেন রাশিক

বরিশাল সিটির সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর হলেন রাশিক ছবি: সংগৃহীত
দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি হবেন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। হলফনামা অনুযায়ী সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে সবথেকে কম বয়স এই প্রার্থীর।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে ২ হাজার ৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে লাটিম মার্কার প্রার্থী রাশিক হাওলাদার। তার নিকটতম প্রার্থী শামীম আহসান ঘুড়ি মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৬৫টি। মোট ভোট পড়েছে ২ হাজার ৫৩৯টি।

দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি হবেন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। হলফনামা অনুযায়ী সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে সবথেকে কম বয়স এই প্রার্থীর।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট একটানা ভোট চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এ ওয়ার্ডে মোট ৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ডটিতে মোট ভোটার ৫ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৯শ ও নারী ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৪৩৮ জন।

ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দে মেতে ওঠে লাটিম মার্কার সমর্থকরা। এ সময় জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা জানান বিজয়ী রাশিক হাওলাদার।

গত বছর ১১ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ষষ্ঠবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা সেলিম হাওলাদার। তবে ২৮ জুন ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। এর ১০ মাস পর ৯ মার্চ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে উপনির্বাচনে সংঘর্ষ, গুলিতে যুবক নিহত
বকশীগঞ্জ পৌর মেয়র হলেন বিএনপি নেতা মতিন
আমার প্রতি কখনও আস্থা হারাবে না নগরবাসী

মন্তব্য

p
উপরে