× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
পঞ্চম হয়ে বিএনপিপ্রার্থী বললেন ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
google_news print-icon

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা

পঞ্চম-হয়ে-বিএনপি-প্রার্থী-বললেন-ভোট-সুষ্ঠু-বেইমান-নেতারা
নাটোরের গুরুদাসপুরে ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পঞ্চম হওয়া ধানের শীষের আজিমুল হক বুলবুলের দাবি, নিজ দলের নেতাদের বেইমানির কারণেই এই দশা তার।
নাটোরের তিনটি পৌরসভার দুটিতে তলানিতে বিএনপির ভোট। এক জন হয়েছেন তৃতীয়, এক জন পঞ্চম। ভোট নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। বরং অভিযোগ দলের লোকদের বিরুদ্ধে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পেরেছেন যিনি, তার অভিযোগ, ফল পাল্টে দিয়ে তাকে হারানো হয়েছে।

নাটোরের তিনটি পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের আশা করা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে হতাশ হতে হয়েছে। তার নিজের এই এলাকায় জয় আসেনি একটি পৌরসভায়ও। একটিতে দলের প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চম, একটিতে তৃতীয়। কেবল একটিতে বহু ব্যবধানে দ্বিতীয় হতে পেরেছেন ধানের শীষের প্রার্থী।

অতীতের নির্বাচনগুলোতে নাটোরে বিএনপির বেশ ভালোই শক্তি দেখা গেছে। সেখানে শনিবারের ভোটে এ্ই দশা কেন?

জেলা বিএনপি অভিযোগ তুলছে কারচুপির। তবে তা নাকচ করেছেন ধানের শীষে লড়া দুই প্রার্থীই। একজন কেবল অভিযোগ করেছেন ফল পাল্টে দেয়ার।

গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার ভোট হয় গুরুদাসপুর, নলডাঙ্গা ও গোপালপুর পৌরসভায়। আগের দিন জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের নেতা দুলু বলেছিলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে তিনটিতেই জয় আসবে তাদের।

কিন্তু হয়েছে উল্টো। তিনটিতেই বড় ব্যবধানে জিতেছেন নৌকার প্রার্থীরা। শুধু নলডাঙ্গায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পেরেছেন বিএনপির প্রার্থী। গোপলপুরে চার প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় আর গুরুদাসপুরে ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পঞ্চম হয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী।

নির্বাচনে বিএনপির এমন ফলের কারণ জানতে সোমবার নিউজবাংলা কথা বলেছে দলটির তিন প্রার্থীর সঙ্গে। তাদের দুই জন বলেছেন, দলের নেতাকর্মীদের বেইমানিতে তারা হেরেছেন। তবে তিন প্রার্থীই সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

যদিও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলছেন, ‘নেতাকর্মীরা আসলে দলের প্রার্থীর পক্ষেই ছিলেন। নির্বাচনে হেরে অভিমানে কেউ নিজ দলের লোকজনের বিরোধিতার কথা বলছেন।’

গুরুদাসপুর

পৌরসভার মোট ভোটার ২৫ হাজার চার জন। নির্বাচনে ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। মেয়র পদে ছয় জন লড়েন।

আওয়ামী লীগের শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা সাত হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী আরিফুল ইসলাম বিপ্লব পেয়েছেন চার হাজার ৯৪৫ ভোট।

বিএনপির আজিমুল হক বুলবুল পেয়েছেন সবে ৬৯২ ভোট। তার নিচে আছেন আর এক জনই।

এত কম ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বুলবুল নিউজবাংলাকে বলেন, নিজের দলের লোকজনের বেইমানির কারণেই এই ভরাডুবি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গুরুদাসপুর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। আজিজ নৌকার প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলী মোল্লার সঙ্গে গোপনে একাধিক বৈঠক করেন।

‘এছাড়া নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য বিএনপি নেতা দুলাল সরকার, থানা যুবদল সভাপতি সময় হাসানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিপক্ষ প্রার্থীর হয়ে কাজ করেন।’

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি-ধামকির কারণে দলের ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী। আবার সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি।

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
নাটোরের তিন পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা অনেক আশা নিয়ে নির্বাচন করলেও হতাশায় ডুবতে হয়েছে তাদের। ছবি: নিউজবাংলা

নলডাঙ্গা

পৌরসভায় ভোটার আট হাজার ৬২৫ জন। এই নির্বাচনে নয়টি কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হয়। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিন জন।

আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মনির নৌকা প্রতীকে তিন হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্বাস আলী নান্নু পেয়েছেন এক হাজার ৯১০ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহেব আলী পেয়েছেন এক হাজার ১৭৯ ভোট।

পরাজয়ের কারণ জানতে চাইলে নান্নু বলেন, ‘কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। বিএনপির ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে সরকার দলীয় সমর্থকরা।’

তার অভিযোগ, ফল নিজের পক্ষে থাকলেও কারচুপির মাধ্যমে তাকে হারানো হয়েছে।

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
বিএনপির আব্বাস আলী নান্নু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারলেও বিজয়ী থেকে তার ভোটের ব্যবধান অনেক

পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সারাদিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। শেষে ফলাফল পাল্টে দিয়েছে।’

এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আছলাম। তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। নাটোরের নলডাঙায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হয়েছে। আর ইভিএমে ফল পাল্টানোর কোনো সিস্টেমই নেই।’

গোপালপুর

মোট ভোটার ১৭ হাজার ৫৩৫ জন। ভোট হয় নয়টি কেন্দ্রে। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন চার জন।

আওয়ামী লীগের রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি ছয় হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম বিমল পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৫২ ভোট। বিএনপির আবদুল্লা আল মামুন কচি এক হাজার ১২২ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়।

এত কম ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী কচি জানান, জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর ১২ দিন হাসপাতালে ছিলেন। ভোটের আগে মাত্র চার দিন গণসংযোগ করতে পেরেছেন।

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
নলডাঙায় তৃতীয় হন বিএনপি মেয়র প্রার্থী আবদুল্লা আল মামুন কচি

অসুস্থতার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী বিমল তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছেন বলেও দাবি করেন কচি। বলেন, ‘বিএনপির তৃণমূল নেতারা অন্য প্রার্থীর কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন।’

তবে নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা ভালো ছিল বলে মনে করেন বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেখে-শুনেই প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে সরকার দলীয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতির কারণে বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্র যায়নি।

‘একই কারণে বিএনপির প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারেননি। ভোট কারচুপি তো ছিলই। বিএনপির নেতাকর্মীরা আসলে দলের প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করেছেন। নির্বাচনে হেরে অভিমানে কেউ নিজ দলের লোকজনের বিরোধিতার কথা বলছেন, যা সত্যি নয়।’

আরও পড়ুন:
গোলাপগঞ্জে দুই ‘বিদ্রোহী’কে বহিষ্কার করল আ. লীগ
ভোট ভালো মানুষের জন্য না, হেরে গিয়ে বললেন কাউন্সিলর প্রার্থী
কী জাদু বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীরে
সন্দ্বীপে বাজেয়াপ্ত বিএনপি প্রার্থীর জামানত
জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে দিনাজপুরের সাত মেয়র প্রার্থীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
A nation of beggars has no dignity PM

ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী

ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বিটিভি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কখনও ইজ্জত থাকে না। কাজেই আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আর সেই আদর্শ নিয়েই কিন্তু আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চায় বাংলাদেশ।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে খাদ্যে ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যবস্থা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি, আমরা দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি। আর তা ছাড়া প্রাণী, পশুর খাদ্যের তো অভাবই। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। আবার ইনফ্লেশনও (মূল্যস্ফীতি) অনেক বেশি ছিল।

“এশিয়াতে তখন খাদ্যমন্দা। ওই অবস্থায় যাত্রা শুরু করে আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তার কারণ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন যে, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না। কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।’”

তিনি বলেন, ‘ভিক্ষুক জাতির কখনও ইজ্জত থাকে না। কাজেই আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। আর সেই আদর্শ নিয়েই কিন্তু আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে নববর্ষ: প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

নির্বাচন
Popular music artist Pagal Hasan including two killed and three injured

সড়কে প্রাণ গেল জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসানের

সড়কে প্রাণ গেল জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসানের সুনামগঞ্জের শিল্পী পাগল হাসান ছাতক সুরমা ব্রিজ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ছবি: সংগৃহীত
ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই পাগল হাসানসহ আরেকজন মারা যান। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি। আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ‘আসমানে যাইওনারে বন্ধু ধরতে পারব না তোমায়’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান।

সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি।

পাগল হাসান অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্তার নামের একজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।

প্রাণ হারানো পাগল হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে।

পুলিশের ভাষ্য, দোয়ারবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। খালি বাসটি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতক যাচ্ছিল। পথে সুরমা ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশায় ধাক্কা দেয় বাসটি। ওই সময় পাগল হাসান ও ছাত্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্য তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন।

ছাতক থানার ওসি শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই পাগল হাসানসহ আরেকজন মারা যান। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি।

‘আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

মন্তব্য

নির্বাচন
MV Abdullah surrounded by barbed wire may reach Dubai on April 22

কাঁটাতারে ঘেরা এমভি আবদুল্লাহ, দুবাই পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিল

কাঁটাতারে ঘেরা এমভি আবদুল্লাহ, দুবাই পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিল ফাইল ছবি
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুবাইয়ের পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে জাহাজটি ঝুঁকিমুক্ত এলাকা দিয়ে চলাচল করছে।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সুরক্ষা বাড়াতে জাহাজ ঘিরে কাঁটাতারে বেড়া দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নাবিকদের নিয়ে জাহাজটি দুবাইয়ের কঙিক্ষত বন্দরে পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিলের মধ্যে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এসব তথ্য দিয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুবাইয়ের পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে জাহাজটি ঝুঁকিমুক্ত এলাকা দিয়ে চলাচল করছে।

এমভি আবদুল্লাহ প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল স্পিডে দুবাই অভিমুখে চলছে। জাহাজটির দুই পাশে এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অগ্রসর হচ্ছে।

মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি আগামী ২২ এপ্রিল সকালে গন্তব্যস্থল দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় হাইরিস্ক এরিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে জাহাজটি।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ বাহিনীর দুটি জাহাজ এখনো এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি আছে। নেভির জাহাজের সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হওয়ার পর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে; যাতে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পার হওয়ার আগেই অন্য কোনো জলদস্যুর দল জাহাজটিতে উঠতে না পারে। একই সঙ্গে জাহাজের ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়েছে, যাতে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

এর আগে ১৩ এপ্রিল রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। আশা করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল জাহাজটি কাঙ্ক্ষিত বন্দরে পৌঁছাবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। মুক্ত হওয়ার সময় ওই জাহাজ থেকে নেমে যায় ৬৫ জন জলদস্যু। এরপর জাহাজ ও নাবিকরা মুক্ত হন।

মন্তব্য

নির্বাচন
Intense fire is spreading in six districts

তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে ছয় জেলায়

তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে ছয় জেলায় গরমে পানিতে দাপাদাপি শিশুর। ফাইল ছবি
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, ‘রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’

দেশের ছয়টি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সেটি অব্যাহত থাকতে পারে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, ‘পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।’

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, ‘রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

‘এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।’

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, ‘রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণ অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ

মন্তব্য

নির্বাচন
Anup with cancer needs financial support to survive

ক্যানসার আক্রান্ত অনুপের জন্য সহায়তা চায় পরিবার

ক্যানসার আক্রান্ত অনুপের জন্য সহায়তা চায় পরিবার অনুপ কুমার পাল
ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না।

সমাজের অনেকের মতো অনুপ কুমার পালেরও স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষে অসহায় দরিদ্র পরিবারের হাল ধরবে। কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারবে কষ্ট। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যানসার তার সেই স্বপ্নে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব পেরিয়ে অনুপের এখন চাওয়া, এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকা। সে জন্য সমাজের প্রতি সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি।

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয় গ্রামের বাসিন্দা অনুপের বয়স ২৩ বছর। তিনি ২০১৭ সালে এসএসসি পাশ করে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পরই তার বা পায়ের হাঁটুর ওপরে একটি টিউমার চোখে পড়ে।

পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে টিউমারটি অপারেশন করার পর বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার দেখানোর পর, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে ৬টি সাইকেল কেমোথেরাপি দেয়া হয়।

শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও তিনি তার পড়াশোনা ত্যাগ করেননি। ২০২২ সালে তিনি সিভিল টেকনোলজিতে সিজিপিএ ৩.৮৪ নিয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।

২০১৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ চেন্নাইয়ে নেয়া হয় এবং চিকিৎসা চলতে থাকে। সেখানে ৩৩টি রেডিও থেরাপি দেয়ার পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন।

এর পর প্রতিবছর মেডিক্যাল চেকাপের জন্য ভারতে যান এবং স্বাভাবিকভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এভাবে ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে চেকাপের ফলে জানা যায়, ক্যানসার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতে তাকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে ৩ বার কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এরপর তাকে সার্জারির জন্য সাজেস্ট করা হয়েছে। এভাবে তার এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা অসহায় পরিবারের পক্ষে এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকারও বেশি।

এখন আবার এই মাসের শেষের দিকে তার সার্জারি করা হবে ভারতের সিএমসি হাসপাতাল। এ জন্য খরচ হবে ১০ লাখেরও বেশি টাকা। পরবর্তীতে রেডিও থেরাপি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ হবে আরও প্রায় ৫ লাখ টাকা।

এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না।

এখন তার আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, তিনি পরিবারের আহার পর্যন্ত ঠিকমতো জোগাড় করকে পারছেন না। তার সকল সহায়-সম্বল, জমিজমা বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা চালানো কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না।

একজন অসহায় বাবা তার ছেলের জীবন বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। অনুপকে বাঁচতে আপনার হাত বাড়িয়ে দিন।
অনুপকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

অনুপ কুমার পাল, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ,কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 0561110010815

অধীর কুমার পাল, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 2213100000286, ডাচ বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নাম্বার:2551050039312, বিকাশ নাম্বার: 01792-639549, রকেট নাম্বার: 01792-6395492, নগদ নাম্বার: 01537-367600

মন্তব্য

নির্বাচন
Outsiders facebook live SP Rana on compulsory retirement with arsenal

অস্ত্রাগার নিয়ে ৩ বহিরাগতের ফেসবুক লাইভ, এসপি রানা বাধ্যতামূলক অবসরে

অস্ত্রাগার নিয়ে ৩ বহিরাগতের ফেসবুক লাইভ, এসপি রানা বাধ্যতামূলক অবসরে শাহেদ ফেরদৌস রানা
২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকা এসপিবিএন–১ এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালনের সময় দুজন পুলিশ পরিদর্শক ও তিনজন উপপরিদর্শকের সহায়তায় তিনজন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার পরিদর্শনের সুযোগ করে দেন।

কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শনের সুযোগ ও ফেসবুকে তা সরাসরি সম্প্রচারের ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ গত ৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।

অবসরে যাওয়া ওই কর্মকর্তা হলেন মো. শাহেদ ফেরদৌস রানা। তিনি পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে নিয়োজিত ছিলেন।

২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকা এসপিবিএন–১ এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালনের সময় দুজন পুলিশ পরিদর্শক ও তিনজন উপপরিদর্শকের সহায়তায় তিনজন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার পরিদর্শনের সুযোগ করে দেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় এসপি শাহেদ ফেরদৌস তিনজন বহিরাগত ব্যক্তিকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে তা সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

এতে বলা হয়, পরে এ ঘটনায় কয়েক দফায় তদন্ত এবং শাহেদ ফেরদৌসের জবাব নেয়া হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বিধিমতে সাক্ষ্য, সাক্ষীদের জেরা, উপস্থাপিত ভিডিওসহ সব দলিল পর্যালোচনা সরেজমিনের তদন্ত করার পর তার বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে ওই কর্মকর্তাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

মন্তব্য

নির্বাচন
Gambling police case led by UP member in Gaibandha

মেলায় জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্যের নামে মামলা

মেলায় জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্যের নামে মামলা গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরের জামালপুর ইউপি সদস্য আল-আমিনের জুয়ার আসর বসানোর ১৭ সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: নিউজবাংলা
সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কল্যাণপুরের বারুনীর মেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়াড়িকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে।’ 

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বারুনীর মেলায় রাতভর জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বুধবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউপি সদস্যের নামে সাদুল্লাপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে জুয়া আইনে মামলা করেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আল-আমিন সরকার, যিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

জামালপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুরে গত ১৫ এপ্রিল রাতে বারুনীর মেলা উপলক্ষে জামুডাঙ্গা গ্রামের গোলজারের বাড়ির সামনে জুয়া বসান আল-আমিন।

জুয়ার আসরের একটি ভিডিও এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

জুয়া খেলার সময় প্রত্যক্ষদর্শী একজনের ধারণ করা ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জুয়ার বোর্ডে বসে আল-আমিন নিজেই গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন।

ইউপি সদস্যের জুয়ার আসর বসানোর ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আল-আমিন সরকার তার নেতৃত্বে জুয়া বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি মেলা উপলক্ষে জুয়ার আসরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি জুয়ার আসরে ছিলাম, কিন্তু জুয়া আমি বসাইনি।’

মামলার বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কল্যাণপুরের বারুনীর মেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়াড়িকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

‘এই জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে, তবে ঘটনার পর থেকে আল-আমিন পলাতক। তাই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় অটোরিকশার চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার
বন কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার
সাংবাদিককে মারধর: আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনের নামে মামলা
বান্দরবানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ৪ মামলা

মন্তব্য

p
উপরে