× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
পঞ্চম হয়ে বিএনপিপ্রার্থী বললেন ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
google_news print-icon

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা

পঞ্চম-হয়ে-বিএনপি-প্রার্থী-বললেন-ভোট-সুষ্ঠু-বেইমান-নেতারা
নাটোরের গুরুদাসপুরে ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পঞ্চম হওয়া ধানের শীষের আজিমুল হক বুলবুলের দাবি, নিজ দলের নেতাদের বেইমানির কারণেই এই দশা তার।
নাটোরের তিনটি পৌরসভার দুটিতে তলানিতে বিএনপির ভোট। এক জন হয়েছেন তৃতীয়, এক জন পঞ্চম। ভোট নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। বরং অভিযোগ দলের লোকদের বিরুদ্ধে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পেরেছেন যিনি, তার অভিযোগ, ফল পাল্টে দিয়ে তাকে হারানো হয়েছে।

নাটোরের তিনটি পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের আশা করা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে হতাশ হতে হয়েছে। তার নিজের এই এলাকায় জয় আসেনি একটি পৌরসভায়ও। একটিতে দলের প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চম, একটিতে তৃতীয়। কেবল একটিতে বহু ব্যবধানে দ্বিতীয় হতে পেরেছেন ধানের শীষের প্রার্থী।

অতীতের নির্বাচনগুলোতে নাটোরে বিএনপির বেশ ভালোই শক্তি দেখা গেছে। সেখানে শনিবারের ভোটে এ্ই দশা কেন?

জেলা বিএনপি অভিযোগ তুলছে কারচুপির। তবে তা নাকচ করেছেন ধানের শীষে লড়া দুই প্রার্থীই। একজন কেবল অভিযোগ করেছেন ফল পাল্টে দেয়ার।

গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার ভোট হয় গুরুদাসপুর, নলডাঙ্গা ও গোপালপুর পৌরসভায়। আগের দিন জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের নেতা দুলু বলেছিলেন, সুষ্ঠু ভোট হলে তিনটিতেই জয় আসবে তাদের।

কিন্তু হয়েছে উল্টো। তিনটিতেই বড় ব্যবধানে জিতেছেন নৌকার প্রার্থীরা। শুধু নলডাঙ্গায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পেরেছেন বিএনপির প্রার্থী। গোপলপুরে চার প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় আর গুরুদাসপুরে ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পঞ্চম হয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী।

নির্বাচনে বিএনপির এমন ফলের কারণ জানতে সোমবার নিউজবাংলা কথা বলেছে দলটির তিন প্রার্থীর সঙ্গে। তাদের দুই জন বলেছেন, দলের নেতাকর্মীদের বেইমানিতে তারা হেরেছেন। তবে তিন প্রার্থীই সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

যদিও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলছেন, ‘নেতাকর্মীরা আসলে দলের প্রার্থীর পক্ষেই ছিলেন। নির্বাচনে হেরে অভিমানে কেউ নিজ দলের লোকজনের বিরোধিতার কথা বলছেন।’

গুরুদাসপুর

পৌরসভার মোট ভোটার ২৫ হাজার চার জন। নির্বাচনে ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। মেয়র পদে ছয় জন লড়েন।

আওয়ামী লীগের শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা সাত হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী আরিফুল ইসলাম বিপ্লব পেয়েছেন চার হাজার ৯৪৫ ভোট।

বিএনপির আজিমুল হক বুলবুল পেয়েছেন সবে ৬৯২ ভোট। তার নিচে আছেন আর এক জনই।

এত কম ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বুলবুল নিউজবাংলাকে বলেন, নিজের দলের লোকজনের বেইমানির কারণেই এই ভরাডুবি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গুরুদাসপুর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। আজিজ নৌকার প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলী মোল্লার সঙ্গে গোপনে একাধিক বৈঠক করেন।

‘এছাড়া নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য বিএনপি নেতা দুলাল সরকার, থানা যুবদল সভাপতি সময় হাসানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিপক্ষ প্রার্থীর হয়ে কাজ করেন।’

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি-ধামকির কারণে দলের ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী। আবার সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি।

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
নাটোরের তিন পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা অনেক আশা নিয়ে নির্বাচন করলেও হতাশায় ডুবতে হয়েছে তাদের। ছবি: নিউজবাংলা

নলডাঙ্গা

পৌরসভায় ভোটার আট হাজার ৬২৫ জন। এই নির্বাচনে নয়টি কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হয়। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিন জন।

আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মনির নৌকা প্রতীকে তিন হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্বাস আলী নান্নু পেয়েছেন এক হাজার ৯১০ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহেব আলী পেয়েছেন এক হাজার ১৭৯ ভোট।

পরাজয়ের কারণ জানতে চাইলে নান্নু বলেন, ‘কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। বিএনপির ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে সরকার দলীয় সমর্থকরা।’

তার অভিযোগ, ফল নিজের পক্ষে থাকলেও কারচুপির মাধ্যমে তাকে হারানো হয়েছে।

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
বিএনপির আব্বাস আলী নান্নু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারলেও বিজয়ী থেকে তার ভোটের ব্যবধান অনেক

পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সারাদিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। শেষে ফলাফল পাল্টে দিয়েছে।’

এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আছলাম। তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। নাটোরের নলডাঙায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হয়েছে। আর ইভিএমে ফল পাল্টানোর কোনো সিস্টেমই নেই।’

গোপালপুর

মোট ভোটার ১৭ হাজার ৫৩৫ জন। ভোট হয় নয়টি কেন্দ্রে। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন চার জন।

আওয়ামী লীগের রোকসানা মোর্ত্তজা লিলি ছয় হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম বিমল পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৫২ ভোট। বিএনপির আবদুল্লা আল মামুন কচি এক হাজার ১২২ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়।

এত কম ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী কচি জানান, জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর ১২ দিন হাসপাতালে ছিলেন। ভোটের আগে মাত্র চার দিন গণসংযোগ করতে পেরেছেন।

পঞ্চম হয়ে বিএনপি প্রার্থী বললেন, ভোট সুষ্ঠু বেইমান নেতারা
নলডাঙায় তৃতীয় হন বিএনপি মেয়র প্রার্থী আবদুল্লা আল মামুন কচি

অসুস্থতার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী বিমল তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছেন বলেও দাবি করেন কচি। বলেন, ‘বিএনপির তৃণমূল নেতারা অন্য প্রার্থীর কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন।’

তবে নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা ভালো ছিল বলে মনে করেন বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেখে-শুনেই প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে সরকার দলীয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতির কারণে বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্র যায়নি।

‘একই কারণে বিএনপির প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারেননি। ভোট কারচুপি তো ছিলই। বিএনপির নেতাকর্মীরা আসলে দলের প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করেছেন। নির্বাচনে হেরে অভিমানে কেউ নিজ দলের লোকজনের বিরোধিতার কথা বলছেন, যা সত্যি নয়।’

আরও পড়ুন:
গোলাপগঞ্জে দুই ‘বিদ্রোহী’কে বহিষ্কার করল আ. লীগ
ভোট ভালো মানুষের জন্য না, হেরে গিয়ে বললেন কাউন্সিলর প্রার্থী
কী জাদু বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীরে
সন্দ্বীপে বাজেয়াপ্ত বিএনপি প্রার্থীর জামানত
জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে দিনাজপুরের সাত মেয়র প্রার্থীর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
Rescued 44 Rohingya men and women on sea voyages lured by marriage

বিয়ের প্রলোভনে সাগরযাত্রা, ৪৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উদ্ধার

বিয়ের প্রলোভনে সাগরযাত্রা, ৪৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়,টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের পিনিস ভাঙা পাহাড়ি এলাকায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুকে জড়ো করে রাখা হয়েছে। খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন নারী, ১২ জন শিশু, ২ জন রোহিঙ্গা পুরুষ এবং ৩ জন স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা শরণার্থী, যারা টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। উদ্ধার হওয়া ২২ জন নারী জানিয়েছেন, তারা বিয়ের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
রোহিঙ্গা তরুণী আসমিদা (১৭) জানান, “আমার বাবা নেই, শুধু মা আছেন। আমাদের আত্মীয়-স্বজন মালয়েশিয়ায় থাকে। তাদের মাধ্যমে মোবাইলে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। সেই ছেলেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম।”
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্র দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দরিদ্র মানুষদের বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করছে। তারা উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনের আশ্বাস এবং বিনা খরচে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে নারী ও শিশুদের পাহাড়ে এনে জিম্মি করে রাখে। এরপর তাদের পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে এবং সুযোগ বুঝে সাগরপথে পাচারের পরিকল্পনা করে।
স্টেশন কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন,
“অভিযানের খবর পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশুদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য

নির্বাচন
After about three months the suspension bridge became visible overflowing with tourists

প্রায় তিন মাস পর দৃশ্যমান হলো ঝুলন্ত সেতু, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

প্রায় তিন মাস পর দৃশ্যমান হলো ঝুলন্ত সেতু, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
প্রায় তিন মাস পর রাঙামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতু আবারও দৃশ্যমান হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে শুরু করায় অবশেষে ৮৬ দিন পর সেতুর পাটাতন থেকে পানি সরে গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে পর্যটক ও স্থানীয়দের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সেতু এলাকা।
সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা সেতুতে হাঁটতে ও ছবি তুলতে দেখা গেছে। বিকেলের দিকে পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এলাকায় পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
পর্যটন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু। এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ সময় অনেক দর্শনার্থী ভ্রমণে এসে আইকনিক এ স্থাপনাটি না দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন,
“প্রায় তিন মাস পর সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করেছি। আজ থেকেই সেতুটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কিছু সংস্কারের কাজ বাকি আছে, তবে পর্যটন মৌসুম সামনে থাকায় আশা করছি, গত তিন মাসের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব।”
স্থানীয় পর্যটক রুবেল দত্ত বলেন,
“অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম সেতুটি দেখার জন্য। আজ আবার সেতু দিয়ে হাঁটতে পারছি, খুব ভালো লাগছে। ছবি তোলার সুযোগও মিলছে।”
আরেক দর্শনার্থী মমতা চাকমা বলেন,
“পরিবার নিয়ে এসেছি। অনেক দিন পর ঝুলন্ত সেতু ঘুরে দেখছি, মনে হচ্ছে রাঙামাটির পুরনো সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।”
রাঙামাটির এই বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের কাছে শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি পার্বত্য জেলার অন্যতম আকর্ষণ ও পরিচয়ের প্রতীক।

মন্তব্য

নির্বাচন
ISKCON wants to ban students protesting Islamic universities

ইসকন নিষিদ্ধ চায় শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসকন নিষিদ্ধ চায় শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিবুল্লাহকে অপহরণ, চট্টগ্রামের আলিফ হত্যা সহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ‘মুসলিম শিক্ষার্থী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে সমবেত হন এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এসময় বক্তারা বলেন, ' পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসকন নামক এই বিষফোঁড়া, ভারতের দালাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতিসত্বর এই বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট আমলে ইসকন এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ইসকনদের জায়গা করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থেকে একদম রুট-লেভেল পর্যন্ত ইসকন পরিকল্পিতভবে তাদের লোকদের ঢুকিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এই বাংলাদেশ থেকে ইসকন'কে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকনকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, এদেশের তাওহীদি জনতা এবং ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নিবে না। 'জেন-জি' যদি একবার ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে-পড়ে তাহলে এই বাংলায় ইসকনের কবর রচিত হতে বাধ্য।'

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘ইসকন এই বিশ্বে ধর্ম প্রচার করছে না বরং তারা ধর্মের ছদ্মবেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রচার এবং প্রসার করার জন্য মাঠে নেমেছে। মুসলিম মা বোনদের নিয়ে তামাশা করছে। ইসকনের মত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সিঙ্গাপুর আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হয়েছে ইসকন তাদের ধর্ম প্রচারের কোন সংগঠন না। তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার-প্রসারের জন্য এখানে আদা জল খেয়ে নেমেছে।’

মন্তব্য

নির্বাচন
Awami League will not be able to participate in the elections Press Secretary

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রেস সচিব

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রেস সচিব

আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের উপর দেশি-বিদেশি কোন চাপ নেই। তারা গণহত্যার জন্য এখনো ভুল স্বীকার করেনি।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফ্রী ফেয়ার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে সব দল একসাথে অংশগ্রহণ করবে।
বিগত শেখ হাসিনার সময়ের প্রতিটি নির্বাচনে তাদের পছন্দমত প্রার্থী কেনাবেচা হয়েছে। তাতে জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না।
শুক্রবার সকালে মাগুরা শহরের নবগঙ্গা পার্কে জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজ।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ঐক্যমত পোষণ করেছে। যে কয়েকটি দল এখনো স্বাক্ষর করেনি, তাদেরও সম্মতি রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যমতের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে বা পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, “জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারিতে। আরপিওতে ‘না ভোট’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে একক প্রার্থী থাকলেও জনগণ প্রয়োজনে তাকে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পায়।

মন্তব্য

নির্বাচন
A joyous procession at Patuakhali in gratitude and thanks to the interim government

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে পটুয়াখালীতে আনন্দ শোভাযাত্রা

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে পটুয়াখালীতে আনন্দ শোভাযাত্রা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ১৫% বাড়ী ভাড়া প্রজ্ঞাপণ জারী হওয়ায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র‌্যালী করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকগণ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের পৌরসভা চত্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক আয়োজনে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পটুয়াখালী সদর উপজেলা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট আহবায়ক মো. অহিদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশীজোট পটুয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক এবং আনুষ্ঠানের সভাপতি সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছোটবিঘাই মোক্তার ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ কামরূল আহসান, ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, হাজীখালী আলিম মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ ফারুকুজ্জামান, খাসেরহাট স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ রশির উদ্দিন,জেলা শাখার সমন্বয়ক মোঃ সাজেদুল ইসলাম বাহাদুর, আবদুল কাউয়ুম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,আলহামদুলিল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট শতকোটি শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই প্রিয় অধ্যক্ষ আজিজুল হক স্যারকে এবং পটুয়াখালী জেলার শিক্ষক ভাইদের যারা কষ্ট করে আমাদের আন্দোলন কে সফল করেছেন।যাদের নাম না বললেই নয়। সৈয়দ কাইয়ুম ভাই, বশির স্যার,শফিক স্যার,মুস্তাফিজ স্যার,অহিদ সারওয়ার স্যার,মাসুম ছোট ভাই সাখাওয়াত, মাসুদ, জলিল স্যার সহ অনেক অনেক স্যারদের।সবাই দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে শিক্ষকের যে কোন নায্য দাবি আদায় করতে সবাই একসাথে কাজ করতে পারি।

মন্তব্য

নির্বাচন
Courtesy meeting of Pakistani High Commissioner with Foreign Adviser

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনার ইমরান হায়দার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পাকিস্তানি হাইকমিশন

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সাক্ষাৎকালে দু’দেশের সাম্প্রতিক যোগাযোগ ও মন্ত্রী পর্যায়ের সফরের প্রশংসা করেন উভয়পক্ষ। এর মধ্যে গত আগস্টে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।

গত এপ্রিলে রাজধানীতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সভা সফলভাবে হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। এছাড়া দীর্ঘ বিরতির পর আগামী ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠককেও স্বাগত জানান উভয় পক্ষ।

উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, সম্প্রতি ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উভয় দেশ অগ্রগতি লাভ করেছে।

এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি একাধিক খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।বাসস

মন্তব্য

নির্বাচন
Ban on the exodus of the accused in the Salman Shah murder case

সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তাধীন থাকায় আসামিরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য রমনা থানা থেকে সংশ্লিষ্ট সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে।
তাই কোনো আসামি যেন দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। তবে এতে দ্বিমত পোষণ করে সালমান শাহর পরিবার।
তাদের দাবি, সালমান শাহকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২৯ বছর পর অভিনেতা সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেওয়া নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রিজভী আহমেদ ফরহাদ।

মন্তব্য

p
উপরে