× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
উৎসবের ভোট ফিরছে তৃণমূলে
google_news print-icon

উৎসবের ভোট ফিরছে তৃণমূলে

উৎসবের-ভোট-ফিরছে-তৃণমূলে
প্রথম দফার পৌরসভার নির্বাচনে দেখা দেছে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। দ্বিতীয়ধাপেও জমেছে প্রচারণা। ছবি: নিউজবাংলা
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটারের খরা কাটিয়ে পৌর নির্বাচনের প্রথম ধাপে কেন্দ্রে দেখা গেছে বিরাট লাইন। শনিবার ৬০টি পৌরসভায় ভোটকে ঘিরে জমজমাট প্রচার হয়েছে বেশির ভাগ এলাকাতে। তবে একটি জেলায় পাওয়া গেছে বিস্তর অভিযোগ।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় প্রচারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পিছিয়ে নেই কেউ। দিনভর নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, বাড়ি বাড়ি বা লোকালয়ে লিফলেট বিতরণ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে। অপেক্ষা এখন ভোট দেয়ার।

সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন নির্বাচনে এই এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের এতটা উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি, যা দেখা যাচ্ছে পৌরসভার নির্বাচন ঘিরে।

এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গতবারের নির্বাচনে বিজয়ী পারভেজ মিয়া, বিএনপির ইসরাইল মিয়া।

ইসলামী আন্দোলন এখানে হাতপাখা প্রতীক দিয়েছে দলের নেতা নজরুল ইসলামকে। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি প্রার্থী করেছে স্বপন মিয়াকে। তবে এই দুই জনের সেভাবে জনসংযোগ চোখে পড়েনি।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল গণি ঢালী নৌকা প্রতীক না পেয়ে এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তিনি নৌকায় সমর্থন জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যালটে তার নাম রয়ে যাবে।

ভোটকে ঘিরে কিশোরগঞ্জে সহিংসতা এর আগেও সেভাবে হয়নি। এবারও পরিবেশ নিয়েও কোনো পক্ষের কোনো অভিযোগ নেই।

জেলায় নিউজবাংলার প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান রোকেল বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। প্রচারে কোনো দিক থেকেই পিছিয়ে নেই তারা। গত পৌর নির্বাচনে বিএনপি এভাবে মাঠে ছিল না।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন আসনে উপনির্বাচন বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোটারের খরা থাকলেও পৌর নির্বাচনে পাল্টে গেছে পরিস্থিতি।

গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের দীর্ঘ লাইন দীর্ঘদিন পর উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ আর দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নির্ধারিত সময় বিকাল চারটার পরেও ভোট নিতে হয়।

২৩টি এলাকায় ওই দিন ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশের কিছু বেশি এর মধ্যে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পড়ে ৮৫ শতাংশ।

উৎসবের ভোট ফিরছে তৃণমূলে
পোস্টার-ব্যানারে পৌরসভা নির্বাচন জোর প্রচারণা চালাচ্ছে প্রার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা

এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিএনপি তিনটি পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করে, একটির ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে, আরও একটি নিয়ে করে বিস্তর অভিযোগ।

বাকিগুলো নিয়ে নির্বাচনী এলাকা থেকে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি, যদিও বিএনপির কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, ভোট কারচুপি হয়েছে।

রংপুরের বদরগঞ্জে ভোটের পর বিএনপির এক নেতা বলেন, ভোট যে এমন হবে, সেটা তাদের ধারণা ছিল না। আজে বুঝলে তারা প্রচারে আরও বেশি সচেষ্ট হতেন।

ওই অভিজ্ঞতা পর ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ভোটকে কেন্দ্র করে ৬০টি পৌরসভায় ভোটের প্রচার আরও জমজমাট। অল্প কিছু ছাড়া বেশির ভাগ পৌরসভাতেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা দিন রাত প্রচার চালিয়ে এখন ভোটের অপেক্ষায়।

শনিবার ভোটাররা রায় দেবেন। ভোট হওয়ার কথা ছিল ৬১টি এলাকায়। তবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক মেয়র প্রার্থীর ‍মৃত্যুতে সেখানে স্থগিত হয়েছে নির্বাচন।

জনসংযোগে নেতা-কর্মীদের বিপুল অংশগ্রহণের পর কিছু এলাকায় সংঘাত সহিংসতাও হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সব সহিংসতাই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে।

নারায়ণগঞ্জের তাবারোতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সহিংসতায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই নিহত হওয়ার পর নদী থেকে এক প্রার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।

উৎসবের ভোট ফিরছে তৃণমূলে
বেশ কিছু পৌরসভায় ভোট হবে ইভিএমে। এই মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয় তা প্র্যাকটিস করানো হচ্ছে নাগরিকদের। ছবি: নিউজবাংলা

শীতল কুষ্টিয়ায় ভোটের উত্তাপ

দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়া জেলার চারটি পৌরসভায় ভোট হতে যাচ্ছে। এগুলো হলো- সদর, ভেড়ামারা, মিরপুর ও কুমারখালী।

সদরে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আনোয়ার আলী, বিএনপির বশিরুল আলম চাঁদ; ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগের সানাউল ইসলাম সানা, জাসদের আনোয়ারুল কবীর টুটুল, বিএনপির শামীম রেজা; মিরপুরে আওয়ামী লীগের এনামুল হক, বিএনপির রহমত আলী জব্বার ও স্বতন্ত্র আরিফুল ইসলাম এবং কুমারখালীতে আওয়ামী লীগের শামসুজ্জামান অরুণ ও বিএনপির আনিছুর রহমান লালু।

নিউজবাংলার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জাহিদুজ্জামান জানান, সবচেয়ে বেশি প্রচার আর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ভেড়ামারায়। এখানে হাসানুল হক ইনুর জাদসের বেশ শক্তিশালী অবস্থান আছে। আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউল আলম হানিফের বাড়িও এই এলাকায়। বিএনপির শক্তিতে পিছিয়ে নেই। তিন পক্ষই এখানে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে।

এখানে ভোটের প্রচারে উত্তেজনা, আওয়ামী লীগ ও জাসদ প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ পরস্পরের বিরুদ্ধে।

এই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী বা দলের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করেনি।

কুষ্টিয়া সদর পৌরসভাতে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের কর্মী সমর্থকরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে বাড়ি বাড়ি ভোট চেয়েছেন। বিএনপি প্রচারে সেই তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে। তবে বিএনপির প্রার্থী বলেছেন এটা তাদের নির্বাচনী কৌশল।

তিনি বলেছেন, ‘পরিবেশ সুষ্ঠু আছে এখন পর্যন্ত। ভোটের দিন পরিবেশ ভালো হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’

মিরপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ত্রিপক্ষীয়। জমজমাট নির্বাচনে তিন পক্ষই ব্যাপক গণসংযোগ করছে। তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এক বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিনি জনসংযোগে তার সমর্থকদের তাকে প্রকাশ্যে এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দিতে বলেছেন।

এই বিষয়টি ছাড়া ভোট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আর কোনো অভিযোগ নেই।

তবে কুমারখালীতে প্রচার চলছে একতরফা। আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলেও বিএনপির প্রার্থী সেভাবে মাঠে নেই। কেবল জেলা বিএনপির নেতারা গত ১১ জানুয়ারি এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন। সেদিনই বিএনপির প্রার্থীকে প্রথমবারের মতো গণসংযোগে দেখা যায়।

জাহিদুজ্জামান জানান, মেয়র প্রার্থীদের চেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আরও বেশি প্রচার চালাচ্ছেন। এ কারণে দীর্ঘদিন পর ভোট নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে তার জেলায়।

উৎসবের ভোট ফিরছে তৃণমূলে

হবিগঞ্জে উৎসাহে জল ঢালল পেট্রল বোমা

প্রথম ধাপে সবচেয়ে বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল যেসব পৌরসভায় তার একটি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে। এবার জেলায় ভোট হচ্ছে দুটি পৌরসভায়। একটি মাধবপুর, একটি নবীগঞ্জ।

মাধবপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শ্রীধাম দাস গুপ্ত, বিএনপির হাবিবুর রহমান মানিক। নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের গোলাম নেসুল রাহেল চৌধুরী ও বিএনটির ছাবির আহমেদ চৌধুরী।

কাজল সরকার বলেন, মাধবপুরে বিএনপির কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত নেই। তবে নবীগঞ্জে প্রচারে বাধার অভিযোগ করেছেন দলের প্রার্থী।

তবে নবীগঞ্জে অভিযোগ অন্য একটি ঘটনাকে ঘিরে। গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবসে সেখানে আওয়ামী লীগের একটি পথসভায় পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এর পরেই মূলত উত্তেজনার শুরু।

এই ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মামলা করেন বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই হন।

তবে এই এলাকায় ভোটের প্রচারে কোনো সংঘাত সহিংসতা ঘটেনি, হামলা বা বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেনি।

কাজল সরকার বলেন, ‘দুই পক্ষই পথসভার পাশাপাশি উঠান বৈঠক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে বিএনপির এত সক্রিয়তা দেখা যায়নি।’

দিনাজপুরের চিত্র যেমন

দিনাজপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রাশেদ পারভেজ, বিএনপির সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের পাশাপাশি ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন জাতীয় পার্টির আহমেদ শফি রুবেল।

বীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের নূর ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা মো. হানিফের মধ্যেই প্রধান লড়াই হবে। এখানে বিএনপির শক্তি দুর্বল। ভোটের প্রচারে দলের প্রার্থীকে সেভাবে দেখা যায়নি।

বিরামপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আক্কাস আলীকে, বিএনপি প্রতীক দিয়েছে হুমায়ুন কবিরকে।

নিউজবাংলা প্রতিনিধি কুরবান আলী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দুটি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ করছেন না। তবে দিনাজপুর পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করছেন, সেখানে বহিরাহত দিয়ে ভর্তি হয়ে আছে।

উৎসবের ভোট ফিরছে তৃণমূলে
দিনাজপুর পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীর হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। ছবি: নিউজবাংলা

ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে। দিনাজপুর সদরে ভোটার এক লাখ ৩০ হাজারের ৮০৩ জন।

তিন পক্ষই গত তিন সপ্তাহে অসংখ্য মিছিল, পথসভা, মোটর সাইকেল শোডাউন, উঠান বৈঠক, বাড়ি বাড়ি বা বাজার, মহল্লা বা অন্য জমায়েতে লিফলেট বিতরণ করেছে।

কোরবান বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে এই ধরনের কোনো নির্বাচন দেখা যায়নি এলাকায়। এমনকি জাতীয় নির্বাচনে এত উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি। বিএনপি-জাতীয় পার্টিকে এত সক্রিয় দেখিনি আমরা।’

উল্টোচিত্র সিরাজগঞ্জে

সবচেয়ে বেশি পৌরসভায় ভোট হচ্ছে সিরাজগঞ্জে। সেখানকার পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে কাজীপুরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

বাকি চার পৌরসভার মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের মুক্তা সিরাজী, বিএনপির সাইদুর রহমান বাচ্চু, বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের বেগম আশানুর বিশ্বাস, বিএনপির আলতাফ হোসেন প্রামাণিক, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাজ্জাদুল হক রেজা।

উল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম, বিএনপির আবুল কালাম আজাদ, দলের বিদ্রোহী বেলাল হোসেন এবং রায়গঞ্জে আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল পাঠান, বিএনপির জাহিদুল ইসলাম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

সিরাজগঞ্জে নিউজবাংলার প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা রুবেল জানান, বেলকুচি ছাড়া বাকি তিন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে। সমাবেশ, পথসভা, মিছিল, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ করেছে তারা।

তবে বিএনপিকে সেভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি। কারণ হিসেবে বিএনপির কর্মীরা ভোটের প্রচারে ব্যাপক বাধা পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

বেলকুচিতে বেশ হাঙ্গামা হয়েছে। তবে ঝামেলা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে। এখানে বিএনপির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।

গত ২৮ ডিসেম্বর শাহজাদপুরেও বিএনপির সমর্থকরা বাধা পাওয়ার অভিযোগ করেন। সেদিন ইভিএমেও মেয়র পদে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী।

ভোটের ফলও ছিল একতরফা। ২৫টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনির আক্তার খান তরু লোদীর নৌকায় পড়ে ২৯ হাজার ৮৭ ভোট। বিএনপির মাহমুদুল হাসান সজল ধানের শীষে পড়ে এক হাজার ৮৬৭ ভোট। এত ব্যবধান স্বাভাবিক নয় ওই এলাকার অতীতের ভোটের হিসাব ধরলে।

আরও পড়ুন:
মেয়র হলে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াব না: রেজাউল
ভোট চাইতে দিনাজপুরে মির্জা ফখরুল
মনোহরদীতে আ. লীগ প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
অঙ্গীকার ভঙ্গ করে আ. লীগ থেকে বহিষ্কার
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় চলছে মক ভোটিং

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
There is no alternative to open reservoirs to resolve the domestic fish crisis Fisheries and Livestock Advisor

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।

চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

নির্বাচন
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

নির্বাচন
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

নির্বাচন
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

নির্বাচন
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

নির্বাচন
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

নির্বাচন
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে