× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

নির্বাচন
অঙ্গীকার ভঙ্গ করে আ লীগ থেকে বহিষ্কার
google_news print-icon

অঙ্গীকার ভঙ্গ করে আ. লীগ থেকে বহিষ্কার

অঙ্গীকার-ভঙ্গ-করে-আ-লীগ-থেকে-বহিষ্কার
এ জি এম বাদশাহ। ছবি: নিউজবাংলা
বগুড়ার ধুনট পৌরসভায় এ জি এম বাদশাহ ২০১৫ সালেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জিতেন। তখন মনোনয়ন না পাওয়ার পর নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করেন। সেখানে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক দিয়েছে টিআইএম নূরুন্নবী তারিককে।

বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাবেক মেয়র এ জি এম বাদশাহকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

বুধবার এই চিঠিতে সই করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নূরুন্নবী তারিক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন।

সুপারিশপত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আফসার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়েছে টি আই এম নূরুন্নবী তারিককে।

বাদশাহ অঙ্গীকার করেছিলেন, যাকেই দল মনোনয়ন দেবে, মেনে নেবেন তিনি। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।

পাঁচ বছর আগের নির্বাচনেও বাদশাহ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে দাঁড়ান। তখন তিনি ভোট করতে দল থেকে পদত্যাগও করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বলেন, ‘এজিএম বাদশাহ্র সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আর কোন সম্পর্ক থাকল না। এছাড়া আগামীতে তার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।’

বাদশাহ্ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো চিঠি বা নোটিশ আমি পাইনি। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’

দল মনোনয়ন না দিলেও কেন বারবার নির্বাচন করছেন- এমন প্রশ্নে এই নেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পৌরবাসীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। পৌরবাসীর ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে জগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

এজিএম বাদশাহ ১৯৭৮ সালে ধুনট থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্বশীল হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।

সবশেষ তিনি ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি মেয়র পদে জয় পান। ২০১৫ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও জিতেন।

এ পৌরসভায় ভোট হবে তৃতীয় ধাপে, আগামী ৩০ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় চলছে মক ভোটিং
বরগুনায় আ. লীগ সমর্থকদের মারধর, আটক ৩
সুনামগঞ্জে আলোচনার কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী
নারায়ণগঞ্জে সংঘর্ষ: দুই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ আটক ৬
বহিষ্কারেও দমছে না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নির্বাচন
Shameem Osman now
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন

এবার শামীম ওসমানকে শোকজ

এবার শামীম ওসমানকে শোকজ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। ছবি: সংগৃহীত
একইসঙ্গে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। এ ছাড়া শামীম ওসমানের অনুসারী এক যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। একইসঙ্গে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।

শনিবার বিকেলে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। উভয় প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া শামীম ওসমানের অনুসারী এক যুবলীগ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চেয়ে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মিছিল করে তার অনুসারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জানে আলম বিপ্লবের নেতৃত্বে ফতুল্লার তল্লা এলাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে মিছিল করেন অনুসারী নেতা-কর্মীরা। প্রতীক বরাদ্দের আগে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনি আচরণবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অন্যদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় কয়েকশ’ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন লিয়াকত হোসেন খোকা। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়।

শনিবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাজী ইয়াসিন হাবীব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলাম যথাক্রমে শামীম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (ঘ) এবং ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে রোববার প্রার্থী অথবা তার প্রতিনিধিকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হলো।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের অনুসারী যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম। পরে ২ ডিসেম্বর জানে আলম বিপ্লব সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুর রহমান আকন্দ জানান, বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রার্থীদের মধ্যে যাদের নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন পাচ্ছে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের করতে কমিশন সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্র’র চ্যালেঞ্জে পড়বেন নৌকার প্রার্থী
‘নিজের ভোট নিজেকে দিতেই প্রার্থী হয়েছি’
নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি
নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি
সাকিবের দুঃখপ্রকাশ

মন্তব্য

নির্বাচন
Boat candidate will face the challenge of independent in more than half a hundred seats

অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্র’র চ্যালেঞ্জে পড়বেন নৌকার প্রার্থী

অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্র’র চ্যালেঞ্জে পড়বেন নৌকার প্রার্থী গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক নেতাই জনপ্রিয়। তারা পেশি, অর্থ বা অন্য শক্তিতে কুলাতে না পেরে দলের মনোনয়ন হারান। দল স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুযোগ রাখায় তারা এবার নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রকে বার্তাও দিতে পারবেন যে তিনিই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।’

নির্বাচন জমিয়ে তুলতে দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রেখেছে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিয়েছেন। আর দলীয় প্রধানের এ সিদ্ধান্তকে লুফে নিয়েছেন নির্বাচন করতে ইচ্ছুক দলের নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অর্ধশতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপ্রাপ্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রায় সাড়ে চারশ’ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা দলের সভাপতির এমন নির্দেশনাকে ভোটের মাঠে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৫ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী জাকির হোসেন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল অবশ্যই ত্যাগী-নিবেদিতদের মূল্যায়ন করে। কিন্তু অনেক সময় কৌশলগত কারণে মূল প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারে না। তারপরও দলের আদেশ শিরোধার্য মেনে নৌকাকে জেতাতে সর্বোচ্চ ঢেলে দিয়ে কাজ করে এসেছি। কিন্তু এবার সুযোগ এসেছে নিজের সক্ষমতা প্রমাণের। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এবার আওয়ামী লীগের তিন হাজার ৩৬২ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর বিপরীতে নৌকার টিকেট পেয়েছেন ২৯৮ জন। বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাদ পড়েছেন ৭১ জন, যাদের মধ্যে ৬৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও মনোনয়নবঞ্চিত হেভিওয়েট নেতাদের অনেকেই এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক নেতাই জনপ্রিয়। তারা পেশি, অর্থ বা অন্য শক্তিতে কুলাতে না পেরে দলের মনোনয়ন হারান। দল স্বতন্ত্র প্রার্থিতার সুযোগ রাখায় তারা এবার নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রকে বার্তাও দিতে পারবেন যে তিনিই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ঢাকা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। আর এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী হলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

জানা যায়, শাহীন আহমেদ পেশি, টাকা এমনকি স্থানীয় সাংগঠনিক সক্ষমতায় শক্তিশালী। তিনি কামরুলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবেন।

অন্যদিকে ঢাকা-১৯ আসনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর বিপরীতে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং স্থানীয়ভাবে অনেক শক্তিশালী।

ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন ওই আসনের চারবারের সংসদ সদস্য প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল।

একইভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুর-৪ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহ। বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরী। যিনি এর আগের দুই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাফর উল্লাহকে পরাজিত করেছিলেন।

ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী শামীম হক। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হা-মীম গ্রুপের মালিক এ কে আজাদ, যার সঙ্গে রয়েছে দলের একাংশ।

ফরিদপুর-১ আসনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান মনোনয়ন পেলেও চ্যালেঞ্জে পড়বেন সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনের কাছে। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

ফরিদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছেন নগরকান্দা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, যিনি স্থানীয়ভাবে বেশ জনপ্রিয়।

জামালপুর-৪ আসনে আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানও মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর বিপরীতে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন জনপ্রিয় আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। নৌকা চেয়ে না পেয়ে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন।

যশোর-৩ (সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

রংপুর-৬ আসনে আবারও নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। নৌকা না পেয়ে এখান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম।

বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে এবার প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন চিকিৎসক তৌহিদুজ্জামান তুহিন। তিনি আওয়ামী লীগের বর্ষীয়াণ নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা হলেও রাজনীতি করেননি কখনোই। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির।

চাঁদপুর-৪ আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়া।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১২ আসনে সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বদলে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তবে মাঠ ছাড়ছেন না সামশুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়বেন তিনি।

সিলেট-১ সদর আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

কুমিল্লা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া। তার পরিবর্তে এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে সুবিদ আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে গত তিন নির্বাচনে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এখানে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত চন্দ্র সরকার। রতন এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান সংসদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য।

তাদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনে মাজাহারুল হক প্রধান, গাইবান্ধা-৪ আসনে মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, নওগাঁ-৪ আসনে এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, রাজশাহী-৩ আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনে এনামুল হক, ঝিনাইদহ-৩ আসনে শফিকুল আজম খান, যশোর-৪ আসনে রণজিৎ কুমার রায়, সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোশতাক আহমেদ রবি, বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ নাথ, টাঙ্গাইল-৫ আসনে সানোয়ার হোসেন, গাজীপুর-৩ আসনে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্ত, হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-১২ আসনে শামসুল হক চৌধুরী এবং কক্সবাজার-১ আসনে জাফর আলম উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন:
নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি
সিলেটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘যন্ত্রণামুক্ত’ ৩ মন্ত্রী, ব্যতিক্রম মোমেন
সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র নৌকা লাঙ্গলের সর্বনিম্ন হারিকেনের

মন্তব্য

নির্বাচন
I became a candidate to vote for myself

‘নিজের ভোট নিজেকে দিতেই প্রার্থী হয়েছি’

‘নিজের ভোট নিজেকে দিতেই প্রার্থী হয়েছি’ মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়া আব্দুল আলী বেপারী। ছবি: নিউজবাংলা
আব্দুল আলী বেপারী বলেন, ‘আসলে মনের মতো প্রার্থী না থাকায় আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার ভোট আমাকে দিতে পারলেই আমার আত্মতৃপ্তি। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি, যাচাই ঠিকঠাক থাকলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবই। কোটি কোটি টাকা দিলেও আমি সরে দাঁড়াবো না। কারণ নির্বাচন আমার কাছে ক্যান্সারের মতো হয়ে গেছে।’

টানা তিনবার নির্বাচন করে একবারও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেননি মানিকগঞ্জের ঘিওরের ৬০ বছরের মো. আব্দুল আলী বেপারী। অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচনে লড়বেন তিনি।

হলফনামা থেকে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-১ আসনের এ এমপি প্রার্থী ঘিওর উপজেলার বেড়াডাংগা এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক। কৃষিকাজের মাধ্যমে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং তার কাছে নগদ ২ লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।

আব্দুল আলী বেপারীর স্ত্রী গৃহিনী। সংসারজীবনে তাদের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে আর ছেলেরাও চাকরি করছেন। আব্দুল বেপারীর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি স্বশিক্ষিত।

আব্দুল আলী বেপারী জানান, ইউপি নির্বাচনে মনের মতো প্রার্থী না পেয়ে তিনি ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনের মতো প্রার্থী পাননি তিনি। ফলে মানিকগঞ্জ-১ আসনে নিজেই দাঁড়িয়ে গেছেন এমপি প্রার্থী হিসেবে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে ভোট দিলে পাস করব, না দিলে কিছু করার নাই; আমার ভোট তো আমি দিতে পারব! আসলে মনের মতো প্রার্থী না থাকায় আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার ভোট আমাকে দিতে পারলেই আমার আত্মতৃপ্তি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি, যাচাই ঠিকঠাক থাকলে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবই। কোটি কোটি টাকা দিলেও আমি সরে দাঁড়াবো না। কারণ নির্বাচন আমার কাছে ক্যান্সারের মতো হয়ে গেছে।’

নির্বাচনে আসার পিছনের কারণ তুলে ধরে আব্দুল আলী বেপারী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় রাস্তা না থাকায় তৎকালীন বিএনপির চীফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কাছে যাই। রাস্তার জন্য অনেক অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তখন খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন- পারলে আমার মতো হয়ে দেখিয়ে রাস্তা করে নিও। সেই রাগ আর ক্ষোভে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছি, এখন এমপি প্রার্থী হয়েছি।’

স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সময়ই মা ও আমরা পাঁচ ভাই-বোন বাবাকে না করেছিলাম। কিন্তু তিনি কথা শুনেন নাই। এমপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময়ও বুঝিয়েছি, তাতেও লাভ হয়নি। পরে মনোনয়নপত্রে আমি প্রস্তাবকারী ও আমাদের এলাকার লিটন ইসলাম সমর্থনকারী ছিলাম। মনোয়নপত্র জমা দেয়ার সময় পরিবারের কেউ সঙ্গে ছিল না। বাবার সঙ্গে শুধুমাত্র আমার ছোট ভাগিনা ছিল। বাবা কষ্ট করে আমাদের মানুষ করেছে। তাই বাবার কথার অবাধ্য হয় নাই।’

মন্তব্য

নির্বাচন
Eminent peoples statements on election code of conduct concocted EC

নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি

নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি
নির্বাচন কমিশন বলেছে, ‘গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এতে কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়।’

নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের টকশো এবং পত্রপত্রিকায় কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এমন অভিযোগ করা হয়।

ইসি বলেছে, ‘গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনি আচরণবিধি সংক্রান্ত ধারাগুলো তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ‘নির্বাচনি আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারের বিষয়ে আচরণ বিধিমালার নির্দেশনা রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রতিপালন করতে হবে। প্রার্থী দলের মনোনীত হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন।’

বিধিমালা অনুযায়ী কোনো দল বা প্রার্থী ২১ দিনের বেশি প্রচারের সময় পাবে না উল্লেখ করে বলা হয়, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণ বিধির অর্থে প্রার্থী নন।

‘নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ হবে একটি নির্বাচনি এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের সবাই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আচরণ বিধি অনুযায়ী ২১ দিন আগে (ভোট গ্রহণের) কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো ধরনের নির্বাচনি প্রচার নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

‘১৮ ডিসেম্বরের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে এর আগে কোনো নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারেরও সুযোগ নেই।’

আরও পড়ুন:
সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র নৌকা লাঙ্গলের সর্বনিম্ন হারিকেনের
নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি
ওসিদের পর এবার সব ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
দেশের সব থানার ওসি বদলির নির্দেশ ইসির

মন্তব্য

নির্বাচন
Transfer of OC UNOs based on field level information of EC
ইসির অতিরিক্ত সচিব বললেন

মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই ওসি-ইউএনওদের বদলি

মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই ওসি-ইউএনওদের বদলি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। ফাইল ছবি
অশোক দেবনাথ বলেন, ‘নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। জেডি পিপলস নামে একটি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, যেটি ইসিতে নিবন্ধিত নয়। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে দেখা গেছে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।’

দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মাঠ প্রশাসনে এমন ব্যাপক বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া স্বতন্ত্রসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি।

কতগুলো দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে। তার মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

‘জেডি পিপলস নামে একটি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, যেটি ইসিতে নিবন্ধিত নয়। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে দেখা গেছে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি এবং একটি স্থানে দুবার জমার দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে আওয়ামী লীগ থেকে ৩০৪ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।’

যে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি, সেখানে কী হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, সেটা বাছাইয়ের সময় দেখা যাবে।

ওসি ও ইউএনওদের বদলি সরকার চেয়েছে নাকি ইসি চেয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন। তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘কমিশন অনুভব করেছে যে এই বদলি দরকার। সব তথ্য তো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছেন, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়াটার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত।’

ডিসি-এসপিদের বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে অশোক দেবনাথ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরবর্তীতে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তখন বলতে পারব। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আমি মনে করি নেই। একজন কর্মচারী যে উপজেলা বা জেলায় দায়িত্ব পালন করুন না কেন, তিনি সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন। সব বিষয়ে তাদের মেসেজ দেয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার ঘাটতিতে না ভোগে। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি খুব স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।’

সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘যদি কমিশন মনে করে, সেটার প্রয়োজনীয়তা আছে, তাহলে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এ মুহূর্তে এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই।’

আরও পড়ুন:
ওসিদের পর এবার সব ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
দেশের সব থানার ওসি বদলির নির্দেশ ইসির
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ দল, মনোনয়নপত্র জমা ২৭৪১

মন্তব্য

নির্বাচন
Withdrawal of SI congratulating boat candidate

নৌকার প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এস আই প্রত্যাহার

নৌকার প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এস আই প্রত্যাহার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এস আই জিলালুরের নৌকার প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানোর ছবি। ছবি: সংগৃহীত
এস আই জিলালুর নিউজবাংলার কাছে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে কাউকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে ছবি প্রচার করা হচ্ছে, সেটা অনেক আগের। প্রায় এক বছর আগের। প্রতিপক্ষের লোকজন এটি ছড়াচ্ছে। আমি এরই মধ্যে পুলিশ লাইনে চলে আসছি।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাজশাহী-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোয় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যাহার ওই পুলিশ কর্মকর্তা রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই জিলালুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদকে পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সদস্যরাও। ফুল দেয়ার সেই ছবি মুহূর্তেই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর তাকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়।

স্থানীদের অভিযোগ, এস আই জিলালুর রহমান ২০২২ সালে ২৭ মার্চ তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যোগদানের পর থেকেই মেয়র আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেন এবং তিনি শুরু থেকেই পক্ষপাতিত্বমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলেন।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, ‘নৌকার এক প্রার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়েছে এমন একটি ছবি নজরে এসেছে। এরপরই তাকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।’

তবে এস আই জিলালুর নিউজবাংলার কাছে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে কাউকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে ছবি প্রচার করা হচ্ছে, সেটা অনেক আগের। প্রায় এক বছর আগের। প্রতিপক্ষের লোকজন এটি ছড়াচ্ছে। আমি এরই মধ্যে পুলিশ লাইনে চলে আসছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ ভারত থেকে ফেরার পর তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছিল, সে ছবিটি এখন প্রচার করা হচ্ছে।’

মন্তব্য

নির্বাচন
EC will take action if there is disorder in the election
সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি

নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বের দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশ, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে।’

নির্বাচন নিয়ে কোথাও কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে, তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন-সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচনবিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক ভোটার উপস্থিতি হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনও অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এ জন্য তারা ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বের দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশ, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে।’

তৃণমূল বিএনপির সবাই বিএনপির লোক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সর্বনাশা ভুলনীতির জন্য দলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর হতাশ হয়ে অনেকেই নির্বাচন করেছেন। বিএনপির কেউ দল পরিবর্তন করলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ আরও অনেকে।

মন্তব্য

p
উপরে