প্রচার-প্রচারণা, অভিযোগ-অঙ্গীকারে জমজমাট রাজশাহী। দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর তিন পৌরসভায় হবে ভোট।
গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট, বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ ও বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় ভোটের লড়াইয়ে আছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
কাঁকনহাটে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও ভবানীগঞ্জ ও আড়ানীতে নৌকার প্রতিপক্ষ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এসব জায়গায় বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে নৌকার প্রার্থীদের।
কাঁকনহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন জন। নৌকা প্রতীক পেয়েছেন এ কে এম আতাউর রহমান খান, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন হাফিজুর রহমান, লাঙল প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন জাতীয় পার্টির রুমন হোসেন।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবে চালাচ্ছেন প্রচার।
এই পৌরসভায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাঁকনহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান মেয়র আব্দুল মজিদ। গতবার দল তাকে মনোনয়ন দিলেও এবার দিয়েছে আতাউরকে। তাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও শেষ দিন প্রত্যাহার করেছেন।
অনেক পৌরসভাতেই বিএনপি প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও এখানে বিএনপির কোনো অভিযোগ নেই।
বিএনপি প্রার্থী হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়িনি। ভালোভাবে ভোট হলে অবশ্যই আমাদের জয় হবে।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউর রহমান খান জানান, তিনি আগের মেয়রের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান। উন্নয়ন কাজে সবাইকে পাশে চান।
তিনি বলেন, ‘প্রচারে মানুষের যে সাড়া পাচ্ছি তাতে আমি বিজয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।’
আড়ানীতে মেয়র প্রার্থী চার জন। আওয়ামী লীগের মো. শহীদুজ্জামান, বিএনপির তোজাম্মেল হক, বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী ও মোবাইল ফোন প্রতীকে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী রিবন আহমেদ।
প্রচারে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীরা কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুই প্রার্থীর মধ্যে জোর লড়াই হবে।
অভিযোগও রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে।
বিএনপির প্রার্থী তোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণা চালানো যাচ্ছে না। নানাভাবে টর্চার করা হচ্ছে। বর্তমান মেয়রের লোকজন আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মারমুখী হচ্ছে।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরও অভিযোগ বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে।
তিনি জানান, তার পোস্টার বার বার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। মেয়র মুক্তার আলী ও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
ভোটারদের ভোট দিতে দিলে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তিনিও।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন ডাবগাছ প্রতীক নিয়ে দাঁড়ানো বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী।
ভোট সুষ্ঠু হলে অন্য দুই প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পাবেন বলে দাবি করেন তিনি।
জমে উঠেছে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারও। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়া মেয়র পদের জন্য লড়ছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ মামুন ও কামাল হোসেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক জনের প্রতীক জগ ও আরেক জনের নারকেল গাছ।
ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক প্রামাণিকের অভিযোগ নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলন করেও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য তিন প্রার্থীর পোস্টার নেই। রাতের বেলায় পোস্টারগুলো ছিঁড়ে গায়েব করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও মারধর করা হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক বহিরাগত নিয়ে প্রচার চালানো ছাড়াও কেন্দ্র দখলের হুমকি দেয়া হয়েছে।
তবে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুরেরও অভিযোগ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের খারাপ আবস্থা। বাসায় বাসায় গিয়ে নৌকার বাহিনী ভয় দেখাচ্ছে।
‘তারা আমার কর্মীদের বাসায় যাচ্ছে। তাদের মারধর করছে। এই নিয়ে বেশ সংকটে আছি। নির্বাচনের কোনো পরিবেশই নেই।’
‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। দুই গ্রুপ মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচনের কাজ চলছে, দাবি আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মালেকের।
১৬ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনের নির্দেশনার আলোকে আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে এরই মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছিল। এসব অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছি।’
আরও পড়ুন:ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। দেশের নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।
দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাগরিকদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে অনেক কোম্পানি বিনামূল্যে খাবার থেকে শুরু করে ফ্রিতে ট্যাক্সি পর্যন্ত অফার করেছে।
প্রতিবারই কম ভোটার উপস্থিতির জন্য খবরের শিরোনাম হয় কর্ণাটক রাজ্যের শহর বেঙ্গালুরু। তাই ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এসব সুবিধার মধ্যে ফ্রি বিয়ার, বিনামূল্যে ট্যাক্সি রাইড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো সুবিধাকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছে বিবিসি।
এছাড়া আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলে অনেক হোটেল ক্রেতাদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়াবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন না করার শর্তে স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতিকে ফ্রিতে বা বিশেষ ছাড়ে খাবার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।
এ বিষয়ে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি পিসি রাও ডেইলি মিররকে বলেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে হোটেলগুলো বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। কেউ কেউ বিনামূল্যে কফি, ডোসা দেবে। আবার কেউ কেউ গরমে ভোটারদের জুস খাওয়াবে। কিছু হোটেল তো খাবারের ওপর বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে দক্ষিণ ব্যাঙ্গালুরুতে। সেবার ওই নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারদের ৫৩.৭ শতাংশ নাগরিক ভোট দিয়েছিলেন।
ব্যাঙ্গালুরুর জনপ্রিয় পার্ক ‘ওয়ান্ডারলা’ ভোটারদের জন্য টিকিটে বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েছে। অন্যদিকে ভোট দিয়ে আসা প্রথম পঞ্চাশ জন ক্রেতাকে বিনামূল্যে বিয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘ডেক অফ ব্রুস’ নামের একটি পানশালা।
স্থানীয় রাইড শেয়ার অ্যাপ ‘ব্লু-স্মার্ট’ ভোটকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোটারদের রাইডে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া ‘র্যাপিডো’ নামের ট্যাক্সি শেয়ারিং কোম্পানি ভোটারদের বিনামূল্যে রাইড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মিস্টার ফিলি’স নামের একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ প্রথম ১০০ জন ভোটারকে বার্গার ও মিল্কশেকের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘এটি আসলে নাগরিকদের ভোটের গুরুত্ব বোঝানো এবং আমাদের গণতন্ত্র উদযাপনের উপায়।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগটি ব্যাঙ্গালুরুর নাগরিকদের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও পরিবর্তন আনতে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।’
উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হবে।
এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সাত ধাপে, চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে আগামী ১ জুন এবং ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটায় ও মুন্সীগঞ্জ সদরে নির্বাচনের আগেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন চারজন।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আগেই এমনকি প্রতীক বরাদ্দের আগেই চেয়ারম্যান নিশ্চিত হয়েছেন আইনজীবী এস এম সামশীল আরেফিন টিটু।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীর মধ্যে অপর দুজন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব।
তিনি জানান, এর আগে সোমবার বিকেলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকতার কাছে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারপত্র দেন ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা দুই প্রার্থী হলেন, হাসান মেহেদী বিদ্যুৎ এবং অপরজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আজাদ শীতল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘আজ প্রতীক বরাদ্দ শেষে দুপুরের পর তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হবে।’
নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জনসহ ১১ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলায় পুরুষ ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ জন এবং নারী এক লাখ ২১ হাজার ৫৮ জনসহ মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ১২ জন। এ ছাড়া ১০৩ টি ভোট কেন্দ্র এবং বুথ রয়েছে ৬৬১টি। উপজেলায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮। এ উপজেলায় ব্যালটে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।
মুন্সীগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তিনজন
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিষয়টি সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী থাকলেও ওই পদগুলোতে একজন করে প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’
তিনি জানান, এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী নির্বাচিত হয়েছেন।
এ কারণে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না এবং যথাসময়ে তাদের গেজেট প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি।
ষষ্ঠ ধাপের এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তর, মন্ত্রণালয় সচিব, সিনিয়র সচিব ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসেছিল কমিশন। সভার মূল বিষয় ছিল, যার যেটা করণীয় সেটা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেন যত্ন সহকারে করেন।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনী ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন তারা যাতে এই নির্বাচনটা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আরও সুন্দর ও স্বার্থকভাবে আয়োজন করেন, এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আমরা মূলত যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে থাকি, এই নির্বাচনে তার চেয়ে অধিক পরিমাণে মোতায়েনের প্রচেষ্টা করা হবে। যেহেতু উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে সম্পন্ন হবে, জেলা পর্যায়ে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রশাসনের সদস্য রয়েছে, তারা ওখানেই ধাপে ধাপে দায়িত্ব পালন করবে। তারা বলেছে, তাদের জনবলের ঘাটতি হবে না।
জাহাংগীর আলম বলেন, উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। জনবলের সংখ্যা উপজেলাভিত্তিক বাড়িয়ে দেয়া হবে।
বড় দল আসবে না, এর প্রভাব ভোটে থাকবে কি-না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেনি। দলীয় প্রতীক ছাড়া অনেক দল অংশ নিয়েছে তাই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। একই দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছে তাদেরও কিছু কিছু অনুসারীরা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাই কমিশন আশা করে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম নেয়া হবে যাতে নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি যেতে পারেন, যাতে নির্বাচনে তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়।
অন্য এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, আইনিভাবে যার ভোটে অংশ নেয়ার যোগ্যতা রয়েছে তিনি ভোটে অংশ নিতে পারেন। এখানে কোনো আইনি বাধা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধি যারা আগে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের নিকট আত্মীয়দের নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা তো আইন না, একটি দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একত্রিত করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা চাই অধিক সংখ্যক প্রার্থী আসবে। জনপ্রশাসন সমন্বিতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে। যত প্রার্থী আসবে স্থানীয় নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে বলে মনে করি।
পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ বিরোধী যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য তিনটি উপজেলাতে বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান রয়েছে। আপাতত এই তিনটি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজনের চেষ্টা করব।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়িতে আগামী ৮ মে ও রুমায় ২১ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল।
গত ২ এপ্রিল রুমার সোনালি ব্যাংকে ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হলেও পরে ছাড়া পান তিনি। পর দিন রুমায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকে দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। এরপর যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফ-এর সদস্য অভিযানে নিহতও হয়েছেন।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সভায় নির্বাচন কমিশন সদস্য, সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দুই হাজার ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে ৭৩০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৬২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় রোববার ছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এ ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। আপিল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক।
তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এ ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।
এ ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী আপিল নিষ্পত্তি রোববার শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আসন্ন তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন কে দেবে তা দলগুলোকে জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আগামী ২৯ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যানভাইস চেয়ারম্যানমহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা বর্ণিত বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।
তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে।
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।
আরও পড়ুন:নাটোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দলের এক জরুরি সভা থেকে শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী ওহিদুর রহমান শেখ এ নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, এর আগে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ‘কেন তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও সভায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ এবং ছাত্রলীগের যে সব নেতা-কর্মী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে ১৫ এপ্রিল প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে মারধর এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, তাকে দলের সভাপতি আইনজীবী ওহিদুর রহমান শেখ ফোনে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।
গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা এবং তার দুই সহযোগীকে অপহরণ এবং মারপিট করে বাড়িতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন পাশার ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
বাদী জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটির মালিকানাও লুৎফুল হাবিব রুবেলের।
সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত দুজন আসামির একজন ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, লুৎফুল হাবিব রুবেলের নির্দেশেই তারা এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য