সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব।
আসন্ন ঈদুল-ফিতর উপলক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে এই ঈদ উপহার বিতরণ করে।
এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের উপদেষ্টারা।
এ ছাড়া স্কুল অফ বিজনেসের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল হক এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকির হোসাইন, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান, ক্লাব সদস্য ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
চাঁদপুরে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত বিদেশি নানা ফল চাষ করে নজির গড়েছেন হেলাল উদ্দিন। মাত্র তিন বছরের মাথায় চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় বালু ভরাট করে সেখানে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামে একটি খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে এই খামারে বিশ্বখ্যাত ৪৭ জাতের বিদেশি আম চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই উদ্যোক্তা।
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্রামে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ২০২০ সালে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ গড়ে তোলেন হেলাল উদ্দিন। এখানে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রজাতির বিদেশি উচ্চ মূল্যের ফলের আবাদ করেছেন।
শুরুর পর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন এই উদ্যোক্তা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অনেকে এই প্রকল্প দেখতে আসছেন।
উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এখানে অধিকাংশ জাতই বিদেশে উচ্চ মূল্যের ফল হিসেবে খ্যাত। আর এগুলো এদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ নতুন জাত। আমি কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না নিয়েই শখের বশে প্রথমে বিদেশি রসালো ফল রকমেলন ও মাস্কমেলন চাষ করে সফল হই।
‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে টমি অ্যাটকিনস, উতাউল্ফ, বেইলি মার্বেল, আলফনসো, গ্লেন, হেডেন, মায়া, সূর্যডিমসহ ৪৭ জাতের আমের গাছ রয়েছে। আমের পাশাপাশি স্ট্রবেরি, চেরি টমেটো, আপেল, সিডলেস আংগুর, ত্বীন ফল, ব্ল্যাকবেরি, মাল্টা, হলুদ ড্রাগনসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির বিদেশি ফলের চাষ করা হচ্ছে এখানে।’
ফ্রুটস ভ্যালি ঘুরে দেখতে আসা শরীফ আহমেদ ও মোরশেদ খান বললেন, ‘এখানে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফল চাষ করেন হেলাল উদ্দিন। এসব ফলের আবাদ দেখে সত্যিই আমরা মুগ্ধ। এবার আমাদের মন কেড়েছে দুর্লভ বিভিন্ন জাতের আমের ফলন দেখে। এভাবে ফলের বাগান করার বিষয়টি আমরাও গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি।’
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর থেকে শুনেছি হেলাল উদ্দিন বিভিন্ন ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে কৃষক ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই বিদেশি ফলের আবাদ শুরু করেছেন।
‘এ ধরনের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে অন্যান্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়। সে জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।’
আরও পড়ুন:ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়েছে সেলিম আল দীন পাঠাগার। টাঙ্গাইলের সখীপুরে সোমবার সকালে পাঠাগারের নিজস্ব কার্যালয়ে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে ‘ইসলামী কর্নার’-এরও উদ্বোধন করা হয়।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ও কলামিস্ট ড. হারুন রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ সদস্য আনোয়ার হোসেন তালুকদার। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস শিকদার, আলহাজ আ. হালিম, আতিকুর রহমান দুলাল, শাহাদত শাহজাহান, শাহীন মাহমুদ, মাইন উদ্দিন, তুষার হাসান ও ফেরদৌস আরা ডায়না।
অনুষ্ঠানে ২০ জন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকার সাত হাজারেরও বেশি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়েছেন। ঢাকাস্থ শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে রোববার সকাল থেকে দিনব্যাপী শ্রীবরদীর হাসধরা হালিমা আহসান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
সমিতির সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সমুদ্র বিজয়ের নায়ক খোরশেদ আলম কালা বিনামূল্যের চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একান্ত সচিব ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আশরাফ আলী, ইবনে সিনা হসপিটালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাকির হোসেন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শরিফুল ইসলাম ও লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।
চিকিৎসা সেবা নেয়ার পর স্থানীয় রহিমা বেগম বলেন, ‘আমরা টেহার অভাবে বালা ডাক্তার দেহাবার পাইনে। আজ দেহাইলাম। ওষুধও নিলাম। টেহা নাগে নাই। খুব খুশি অইছি।’
আরেক সেবাগ্রহীতা সাহেদা খাতুন বলেন, ‘অনেকদিন দইরে শরিরডা খারাপ। বালা ডাক্তার শ্রীবরদী নাই। আজ আমি বাড়ির কাছে বড় ডাক্তার বিনা টেহায় দেহাইলাম।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অবহেলিত এলাকায় বড় বড় ২৮ জন ডাক্তার আইসা বিনামূল্যে চিকিৎসা দিলো, ঔষধ দিলো। এতে আমরা খুব খুশি।’
ড. আশরাফ আলী বলেন, ‘আমরা অবহেলিত মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমরা বিনামূল্যের চিকিৎসা সেবা জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছাবো।’
খোরশেদ আলম কালা বলেন, ‘আমাদের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকার মানুষ অবহেলিত। তাই আমরা আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে এ অঞ্চলের ২৮ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিলাম। আমাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
শকুনকে বলা হয় প্রকৃতির ঝাড়ুদার। আবর্জনা ও মৃত প্রাণিদেহ খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখে শকুন। তবে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে শকুন বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এগুলো সাধারণত ভারতের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে। সেখানে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় চলে আসে ওরা।
বাংলাদেশে এসে অসুস্থ হয়ে পড়া শকুনগুলোর চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া জাতীয় উদ্যান বা শাল বনে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র’।
দেশের একমাত্র এই শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে বুধবার দুটি শকুন চিকিৎসা শেষে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
গত এক বছরে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ১০টি শকুন উদ্ধার করে এই কেন্দ্রে আনা হয়। চিকিৎসা শেষে দুটিকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
বুধবার শকুন অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ, দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বসির-আল মামুন, শকুন চিকিৎসা ও পরিচর্যা কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম দিপু এবং গ্লোবাল থ্রেটনেন্ট স্পাইসেস অফিসার ক্রিস বাউডেন।
জানা গেছে, কিছু শকুন শীত মৌসুমে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশে আসে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার কারণে কোনো কোনোটি অসুস্থ হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নামে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব শকুনের পরিণতি হয় মৃত্যু।
তবে আহত অবস্থায় যেগুলো উদ্ধার করা হয় সেগুলোকে নিয়ে আসা বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্টে। সিংড়া ফরেস্টে শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সিংড়া ফরেস্ট থেকে প্রতি বছর উদ্ধারকৃত ২০ থেকে ২৫টি শকুন সুস্থ করার পর অবমুক্ত করা হয়।
বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘অন্যান্য বছর অবমুক্ত করার সময় শকুনের গায়ে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হলেও চলতি বছর শকুনের গায়ে স্যাটেলাইট ট্র্যাকার লাগানো হয়েছে। এতে করে শকুন কোন কোন অঞ্চলে বিচরণ করছে এবং ওরা আবারও বাংলাদেশে ফেরত আসছে কি না তা আমরা জানতে পারব।’
শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রের মুখ্য গবেষক সারওয়ার আলম দিপু জানান, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ ও আইইউসিএন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে কেন্দ্রটি চালু করা হয়। এরপর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৪৯টি শকুন সুস্থ করে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরে প্রায় ৪০টি শকুন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চল থেকে এক বছরে ২৫টি শকুন উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ১৫টি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রঁদেভু৯৬৯৮ ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'আনন্দ পসরা' শীর্ষক একটি উদ্যোক্তা মেলা চলছে মহাখালীর রাওয়া হলে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান (ডেপুটি সেক্রেটারি, ইন্টারপ্রেনারশিপ ইকো সিস্টেম প্রোগরাম স্পেশালিস্ট, ইউএনডিপি বাংলাদেশ)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন মোহসিনা ইয়াসমিন (গ্রেড-১, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটি)। অনুষ্ঠানে আরেও অতিথি হিসেবে ছিলেন আফসানা বিন্দু (অভিনেত্রী ও ডিজাইনার), শাকুর আমিন (ডিজাইনার, আলমিরা), মো. আব্দুস সালাম সরদার (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, এসএমই ফাউন্ডেশন)।
রঁদেভু৯৬৯৮ ফাউন্ডেশন- একটি অলাভজনক অনলাইন প্লাটফর্ম, যেটি তৈরি হয়েছে 'এসএসসি ৯৬ ও এইচএইসসি ৯৮' ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে। এই ফেসবুক গ্রুপে বর্তমানে ২২ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। রঁদেভু৯৬৯৮ ফাউন্ডেশন- শিক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা, স্বাস্থ্য, শিশু ও নারী উন্নয়ন ইত্যাদি সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। ফাউন্ডেশনে রয়েছে বিভিন্ন উইং। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট, চিল্ড্রেন অ্যান্ড উইমেন উইং অন্যতম। উইমেন উইং প্লাটফর্মটি প্রতি বছর 'প্রজাপতির আড্ডা' নামে নারীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এখান থেকে বিভিন্ন সেক্টরের সফল নারীদের সম্মাননা দেয়া হয়।
এসব সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশনের ওমেন উইং থেকে এবার বড় পরিসরে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় সংগঠন ও সংগঠনের বাইরে থেকে প্রায় ৩০ জনের মতো উদ্যোক্তা অংশ নেয়। গ্রুপের নতুন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বর্তমানের সফল উদ্যোক্তাদের সামাজিক যোগাযোগ তৈরি করা এবং ব্যবসায়িক অনুপ্রেরণার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
মেলা সাজানো হয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক, জুয়েলারি, হোম ডেকর, অরগানিক ফুড, মেহেদি আর্ট, কাথা স্টিচ, মসলিন, পেইন্টের পন্য, অরগানিক বিউটি পন্য, স্কেচ আর্ট ইত্যাদি দিয়ে। মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
ছোটদের নোবেল প্রাইজখ্যাত ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ান। এবার বিশ্বের লাখ লাখ শিশু ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ বিজয়ী নির্বাচনের জন্য বৈশ্বিক ভোটাভুটিতে অংশ নেবে।
সারা বিশ্বের শিশুদের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী ইতোমধ্যে নৌকাস্কুলের উদ্ভাবক রেজোয়ানসহ শিশুদের কল্যাণে নিবেদিত আরও দুই কীর্তিমান ব্যক্তিকে ‘শিশু অধিকার নায়ক’ নির্বাচন করেছে। তারা হলেন- কানাডার সিন্ডি ব্ল্যাকস্টক ও ভিয়েতনামের থিচ নু মিন তু।
এবার লাখ লাখ শিশুর বৈশ্বিক ভোটাভুটির মাধ্যমে এই তিনজনের একজনকে সেরা নির্বাচনের পালা, যার হাতে উঠবে ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার (ডাব্লিউসিপি), ২০২৩’।
সুইডেনভিত্তিক এই পুরস্কারটিকে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে ‘ছোটদের নোবেল প্রাইজ’ আখ্যা দেয়া হয়।
এ পর্যন্ত যারা এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তারা গত প্রায় ১০০ বছর ধরে বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ান তাদেরই একজন। গত সিকি শতাব্দী ধরে তিনি বাংলাদেশে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান বন্যা ও দারিদ্র্য সত্ত্বেও সব শিশু, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত কন্যাশিশুদের স্কুলে পড়ালেখা শেখার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন।
রেজোয়ান ও তার প্রতিষ্ঠান ‘সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থা’ শিশুদের জন্য ২৬টি ভাসমান স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেগুলো দেশ-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছে রেজোয়ানের নৌকা স্কুল নামে। বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত নৌকায় ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি রয়েছে ভাসমান লাইব্রেরি ও স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক। কিশোরী-তরুণীদের জন্য রয়েছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রেজোয়ানের উদ্ভাবিত ভাসমান স্কুলের এই ধারণাটি বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর আরও কয়েকটি দেশে বাস্তবায়ন হয়েছে।
সিনডি গত ৩০ বছর ধরে আদিবাসী শিশুদের সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, ঘরে নিরাপদে বেড়ে ওঠা এবং নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করার অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছেন।
আর বৌদ্ধ নান থিচ নু এতিম ও অসহায় পরিবারের শিশুদের রক্ষায় প্রায় ৪০ বছর ধরে সংগ্রাম করে চলেছেন।
২০০০ সাল থেকে এই পুরস্কারের মাধ্যমে বিশ্বের ৪ কোটি ৬০ লাখ শিশু জেনে আসছে ‘শিশু অধিকার নায়ক’রা কীভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পরে এই শিশুরাই বৈশ্বিক ভোটাভুটিতে অংশ নিয়ে তিনজন শিশু অধিকার নায়কের মধ্য থেকে একজনকে বিশ্ব শিশু পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করে।
আগামী ৪ অক্টোবর সুইডেনের মেরিফ্রেডে গ্রিপশোলম প্রাসাদে এবারের ২০তম বিশ্ব শিশু পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মোহাম্মদ রেজোয়ানসহ তিনজন শিশু অধিকার নায়ককে সম্মাননা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানের হোস্ট হিসেবে থাকবে ১২টি দেশের শিশুরা। পুরস্কার প্রদান করার কাজে সেখানে উপস্থিত থেকে শিশুদের সহযোগিতা করবেন সুইডেনের রানী সিলভিয়া।
এই পুরস্কারের অর্থমূল্য সুইডিশ মুদ্রায় ৫ লাখ ক্রোনা, যা প্রায় ৫০ লাখ টাকার বেশি। এই অর্থ তিনজন শিশু অধিকার নায়ককে ভাগ করে দেয়া হবে, যা তাদের কাজে সহায়তা করবে। এভাবে এই অর্থ সেই ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের লাখ লাখ অসহায় শিশুর জীবনমান উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।
মর্যাদাশীল এই পুরস্কারের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে রয়েছেন মালালা ইউসুফজাই, প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলা ও ডেসমন্ড টুটু, রানী সিলভিয়াসহ সুইডেনের বেশ কয়েকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী। তাছাড়া এই ‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ প্রোগ্রামে ১২০টি দেশের ৭৬ হাজার স্কুল ও ৮৪৯টি সংগঠনের সহযোগিতা রয়েছে।
নয় লাখ টাকা কমে মিলবে হুন্দাইয়ের এসইউভি- ক্রেটা। যা গাড়ি প্রেমিদের জন্য সুখবরই বটে।
এসইউভির পূর্ণ অর্থ হচ্ছে- স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল। সহজ ভাষায়, উঁচু-নিচু রাস্তা দিয়ে সহজে যেতে পারবে গাড়িটি।
হুন্দাই এসইউভি ক্রেটার হচ্ছে ১৫০০ সিসির গাড়ি, যেটিতে চালকসহ পাঁচজন বসতে পারবেন।
এর আগে আমদানি করা এ গাড়িটির দাম ছিল ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কিন্তু দেশে উৎপাদন হওয়ায় এটি এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।
বাংলাদেশে হুন্দাইয়ের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ফেয়ার টেকনোলজি লিমিটেডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ফেয়ার টেকনোলজি পরিচালক মুতাসসিম দায়ান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এতদিন ফেয়ার গ্রুপ ইন্দোনেশিয়া থেকে এনে ‘হুন্দাই ক্রেটা’ বিক্রি করত, যা কিনতে গুণতে হতো প্রায় ৪৩ লাখ টাকা। এখন বাংলাদেশে সংযোজিত একই মডেলের গাড়ি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনা যাবে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে স্থাপিত কারখানায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে হুন্দাই গাড়ি উৎপাদন শুরু করছে ফেয়ার গ্রুপ।
ফেয়ার গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং জে এম তসলীম কবির বলেন,‘ আমাদের সব আউটলেটে আজ থেকেই এই গাড়ি পাওয়া যাবে। রেডি স্টক আছে। আমরা ১৯ জানুয়ারি কারখানা উদ্বোধন করলাম। তারপর থেকে প্রতিদিন ৮টি করে গাড়ি তৈরি হচ্ছে। এখন ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে আমরা গাড়ি দিয়ে দিতে পারব,তবে রেজিস্ট্রেশন খরচ আলাদা।’
দেশের বাজারে অন্যান্য গাড়ির তুলনায় হুন্দাইর এসইউভির দামের পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফেয়ার গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং বলেন,‘আমি কালকে খোঁজ নিলাম রিকন্ডিশন শোরুমে টয়োটা এস প্রিমিও গাড়ির দাম চাচ্ছে ৩২ লাখ টাকা। এটা কিন্তু পুরানো গাড়ি। টয়োটা ইয়ারিস বিক্রি হচ্ছে ৪২ লাখ টাকায়। আর চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলো আমাদের প্রতিযোগী না।’
তিনি আরও বলেন,‘ ভারতে গাড়িটি এখনো মুক্তি পায়নি। এর আগেই বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে।’
ফেয়ার টেকনোলজির হেড অফ বিজনেস অরিন্দম চক্রবর্তী, হেড অফ কমিউনিকেশন অ্যান্ড কর্পোরেট ফিলানথ্রপি হাসনাইন খুরশিদ, এবং ফেয়ার টেকনোলজির হেড অফ সেলস আবু নাসের মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য