× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

চাকরি-ক্যারিয়ার
Bangladeshi workers are going to South Korea again
google_news print-icon

আবার দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি কর্মী

আবার-দক্ষিণ-কোরিয়া-যাচ্ছে-বাংলাদেশি-কর্মী
দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের একটি দল। ছবি: সংগৃহীত
করোনায় দুই বছর বন্ধ থেকে পুনরায় চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৪৪৭ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়াতে গেছেন। চলতি মাসে বাংলাদেশি কর্মীদের আরও তিনটি ব্যাচ কোরিয়াতে যাবে।

করোনা মহামারির প্রকোপ কমায় ও করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকায় আবার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি কর্মী গ্রহণ স্থগিত করেছিল দেশটির সরকার।

সোমবার প্রবাসী শ্রমিকদের একটি দল দক্ষিণ কোরিয়ায় যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২৩ জনকে বিদায় জানান। এদের মধ্যে ১০৯ জন নবীন এবং বাকি ১৪ জন আগেও দেশটিতে গেছেন।

পুনরায় চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট এক হাজার ৪৪৭ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়াতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকার কোরিয় দূতাবাস।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোরিয়া এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে এটি ছিল কোরিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের ১৪ তম ব্যাচ।

ওই বছরের ডিসেম্বরে ১১১ জন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৩০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০৮ জন, মার্চে ২১৮ জন, এপ্রিলে ৬৫৭ জন এবং মে মাসে ১২৩ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় গেছেন।

বিদায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি বাংলাদেশি কর্মীরা তার দেশে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে বলে আশা করেন।

ইপিএস কর্মীরা কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব আরও গভীর এবং শক্তিশালী হবে।’

চলতি মাসে বাংলাদেশ কর্মীদের আরও তিনটি ব্যাচ কোরিয়াতে যাবে। ২০০৭ সালে দুই দেশের মধ্যে ইপিএস এমওইউ হওয়ার পর থেকে ইপিএস কর্মসূচির আওতায় ২৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে।

ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইপিএস কর্মী নেয়নি।

যেসব দেশ শ্রমিক পাঠায়, তাদের পাশাপাশি নিয়োগকারীদের কাছ থেকে পাওয়া ক্রমাগত অনুরোধ বিবেচনা করে দক্ষিণ কোরিয় সরকার ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে এবং পরে পুরোদমে কর্মী নিয়োগ শুরু করে।

আরও পড়ুন:
খুলল কোরিয়ার বন্ধ দুয়ারও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

চাকরি-ক্যারিয়ার
7 days jail to the young woman who was caught giving BCS proxy

বিসিএসে ছেলেবন্ধুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা, কারাগারে তরুণী

বিসিএসে ছেলেবন্ধুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা, কারাগারে তরুণী ফাইল ছবি
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই ছাত্রী তার এক ছেলে বন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি যেহেতু মেয়ে, তাই নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও তৈরি করেছিলেন। তবে হল পরিদর্শক স্বাক্ষর নেয়ার সময় দেখেন মেয়েটি ছেলের নামে স্বাক্ষর করেছেন। এতেই ধরা পড়েন তিনি।’

চট্টগ্রামে ছেলেবন্ধুর হয়ে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক তরুণী। তৎক্ষণাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডিত ওই ছাত্রীর নাম প্রিয়তি জান্নাত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পর স্বাক্ষরপত্রে গরমিল দেখে দায়িত্বরত হল পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে ওই ছাত্রীকে আটক করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি ও পরিদর্শকের সাক্ষ্য নেন। পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩-এর (১০) ধারা অনুযায়ী তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই ছাত্রী তার এক ছেলেবন্ধুর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তিনি যেহেতু মেয়ে, তাই নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও তৈরি করেছিলেন। তবে হল পরিদর্শক স্বাক্ষর নেয়ার সময় দেখেন মেয়েটি ছেলের নামে স্বাক্ষর করেছেন। এতেই ধরা পড়েন তিনি।’

জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী সব স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
46th BCS preliminaries on March 9

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ৯ মার্চ

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ৯ মার্চ ফাইল ছবি
পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।

বৃহস্পতিবার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি যার আবেদন চলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে।

আরও পড়ুন:
নিজের কাজের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অবদান রাখতে চাই
সাফল্যের গল্প শোনালেন ৪৩তম বিসিএসে ডাক ক্যাডারে প্রথম রিয়াজুল

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
I want to contribute to the country and the people of the country through my work
৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত সাজিদ হক

নিজের কাজের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অবদান রাখতে চাই

নিজের কাজের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অবদান রাখতে চাই ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত সাজিদ হক। ছবি: নিউজবাংলা
৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন সাজিদ হক। তিনি সিইউবির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের বোনের ছেলে।

সাজিদ হক। ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের বোনের ছেলে। ক্যাম্পাস ক্যারিয়ারে সাফল্যের গল্পে মা ডালিয়া চৌধুরী ডনি এবং বাবা এ. এস. এম সিরাজুল হকের সঙ্গে ছিলেন সাজিদ হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এমি জান্নাত।

নিউজবাংলা: আপনি তো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। সেখান থেকে প্রশাসন ক্যাডারে আসার জার্নিটা কেমন ছিল?

সাজিদ হক: বিসিএস জার্নিটাই অনেক লম্বা। আমি যখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করি, তার ঠিক দুই মাস পরই বিসিএস পরীক্ষা শুরু হয়। এরমধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে যাই। প্রিলিমিনারি পাস করার পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে কঠিন সময় যাচ্ছিল। নদী ভাঙন হয় সে সময়। তার পাশাপাশি পড়াশোনা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।

নিউজবাংলা: চাকরির পাশাপাশি আরেকটি সরকারি চাকরির জন্য আবার পড়াশোনা কতটা সংগ্রামের ছিল?

সাজিদ হক: যে সময়টা আমার পরীক্ষা হয়েছে সে সময় কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হতো। এর মাঝে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া আসলেই অনেক কঠিন ছিল। তবে সে সময় আমার সহকর্মীরা এবং সিনিয়র ভাইয়েরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। তারা সবসময় পাশে থেকেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে পোস্টিং হওয়ায় মা-বাবা দূরে থাকলেও তাদের সাপোর্ট সবসময় ছিল বলেই কঠিন হলেও সম্ভব হয়েছে।

নিউজবাংলা: ফলাফলের দিন অনুভূতি কেমন ছিল?

সাজিদ হক: পরীক্ষা ভালো হওয়ায় আশাবাদী ছিলাম যে ভালো কিছুই হবে। মা-বাবা তো অপেক্ষায় ছিলেন রেজাল্ট কবে দেবে। রেজাল্ট দেয়ার দিন অফিসের কাজে বেশি ব্যস্ত ছিলাম যেন টেনশন কম হয়। অপেক্ষার পালা শেষ হলো প্রশাসন ক্যাডারে নিজের রোল দেখার পর। সেই অনুভূতিটা আসলে অন্যরকম!

নিউজবাংলা: ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পরও প্রশাসনের প্রতি আগ্রহ কেন?

সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর অনেকের ড্রিম জব থাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জব করার। সেখানে থাকার পরও আমি দেখলাম, প্রশাসনে যারা আছেন তারা প্রতিটা চাকরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কো-অর্ডিনেশন থেকে শুরু করে মনিটরিং- প্রতিটা কাজে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এই বৈচিত্র‍্যময় ক্যারিয়ারটাই আমাকে আকর্ষণ করত।

নিউজবাংলা: আপনার এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি?

সাজিদ হক: সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এরপর আমার মা-বাবা তো সবসময় পাশে ছিলেন। এরকম একটা সংগ্রামে সবার সাপোর্ট দরকার হয়। সেক্ষেত্রে আমার মামা, চাচা, সহকর্মী, বন্ধু এবং সিনিয়র ভাইরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

নিউজবাংলা: প্রশাসনের ব্যক্তি হিসেবে দেশের জন্য কী অবদান রাখতে চান?

সাজিদ হক: বুয়েট থেকে পাস করার পর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি পেলেও আমার সবকিছু ঘিরে থাকত প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার স্বপ্ন। আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ফিল করেছি যে, এখানে গেলে আমি দেশের জন্য অনেক কিছুই করতে পারব। যেহেতু এখানে ডাইনামিক কাজ করার সুযোগ বেশি এবং আমি চাই দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিজের কাজের মাধ্যমে অবদান রাখতে।

নিউজবাংলা: যারা ক্যারিয়ারে সফল হতে চায়, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

সাজিদ হক: প্রথমত, লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। কনফিউজড হওয়া যাবে না। অনেকেই দেখা যায়, সকালে সরকারি চাকরির জন্য পড়ছেন। আবার বিকেলে বিদেশে যাওয়ার জন্য জিআরই পড়ছেন। আবার এর মাঝে প্রাইভেট জব করছেন। একেকটা তো একেক রকম ক্যারিয়ার। যার যেটা লক্ষ্য থাকবে, সেটাকেই ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না। তাই লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করে যেতে হবে।

ছেলের সাফল্যে মা ডালিয়া হক এবং বাবা এ.এস.এম সিরাজুল হকের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো।

নিউজবাংলা: ছেলেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন?

ডালিয়া হক: ছেলের ওপর যেন আল্লাহর রহমত থাকে। সে যেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজের জন্য যা যা করণীয়, সবটা সততার সঙ্গে করে।

নিউজবাংলা: সন্তানের সাফল্যে অনুভূতিটা কেমন?

সিরাজুল হক: আমার ছেলে শুধু পড়াশোনা করতে হবে বলে পড়েনি, সে সেটা উপভোগ করে করেছে। ওর বিনোদন ছিল পড়াশোনা। এ পর্যন্ত তার যেটা লক্ষ্য ছিল, সেটাতে সে পৌঁছেছে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। আমরা তৃপ্ত। আশা করি, বাকি দিনগুলোতে ওর প্রতি অর্পিত দায়িত্ব ও পালন করতে পারবে।

আরও পড়ুন:
৪১তম বিসিএসে নন ক্যাডারে ৩১৬৪ জনকে সুপারিশ
৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শেষ ৩১ ডিসেম্বর
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
ঘোষিত সময়েই ৪৫তম বিসিএস, আসনবিন্যাস প্রকাশ
৪৫তম বিসিএসে বাংলার লিখিত পরীক্ষা ৩০০ নম্বরে

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
The fog festival is starting from tomorrow in Jakkanibi

জাককানইবিতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে কুয়াশা উৎসব

জাককানইবিতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে কুয়াশা উৎসব কুয়াশা উৎসব-১৪৩০-এর ব্যানার।
সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।

বাংলার শীত সংস্কৃতিকে উদযাপনের মাধ্যমে শীতের কুয়াশাকে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ উৎসব অনুরাগী বিভিন্ন পেশার মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব-১৪৩০।

উৎসব-বন্ধু নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবারও উৎসব-বন্ধুদের অর্থায়নে আয়োজন করা হচ্ছে ভিন্নধর্মী এই উৎসব।

মৈমনসিংহ গীতিকার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবারের কুয়াশা উৎসব-১৪৩০ উৎসর্গ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা।

এ আয়োজনের প্রথমদিন থেকেই থাকছে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী; রাগ সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, সাহিত্য আলোচনা, রম্য বিতর্ক, নাট্য ও নৃত্য পরিবেশনা, রস উৎসব, পিঠা পার্বণ, পালাসহ আরও নানা আয়োজন।

উৎসবের দুই দিন গান পরিবেশন করতে আসছে ব্যান্ড দল সহজিয়া, মাদল, গঞ্জে ফেরেশতা। এছাড়াও গান পরিবেশন করবে মুয়ীয মাহফুজ ও কফিল আহমেদ।

কুয়াশা উৎসব আয়োজকরা যেমন বাংলার লোক সংস্কৃতিতে শীতের প্রভাবকে উদযাপন করে, তেমনি সংস্কৃতির বিবর্তন আর ভিন্নতার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চান। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।

জাককানইবিতে কাল থেকে শুরু হচ্ছে কুয়াশা উৎসব
উৎসবের প্রথম দিনের সূচি

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
46th BCS notification release application last on December 31

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শেষ ৩১ ডিসেম্বর

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শেষ ৩১ ডিসেম্বর ফাইল ছবি
আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

পিএসসির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্মসচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের কয়েকটি বিসিএসের ধারাবাহিকতায় এবারও ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পিএসসি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করা যাবে আবেদন আর এতে ফি নির্ধারিত হয়েছে ৭০০টাকা। তবে বয়সে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হয়নি।

আগামী বছরের মার্চে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

৪৬তম বিসিএসে ক্যাডার হিসেবে ৩ হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তিতে। আগের ১০টি বিসিএসের তুলনায় এবার পদ সংখ্যার বিচারে এটি রেকর্ড।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এক হাজার ৬৯৮ জন চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন এ বিসিএসে। এরপরই আছে শিক্ষা ক্যাডার। সরকারি কলেজে ৯২০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে এ বিসিএসের মাধ্যমে।

এছাড়া সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্ত ৬৫টি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ আছে ৪৬তম বিসিএস বিজ্ঞপ্তিতে।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Young volunteer organizer Hossain wants to live

বাঁচতে চান তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠক হোসাইন

বাঁচতে চান তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠক হোসাইন হাসপাতালের বিছানায় হোসাইন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হোসাইন। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

রাজধানীর ডেমরার আমিনবাগ গেট বাঁশেরপুল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ। ২৫ বছর বয়সী এ যুবক একজন স্বেচ্ছাসেবী এবং সংগঠক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফোরাম এসডিএ, উইন্টার প্রোজেক্ট, হিমু পরিবহন, আশার আলো সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।

যে বয়সে হোসাইনের পরিবারের হাল ধরার কথা, সেই বয়সে তিনি আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন (এভিএম) নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত ১২ লাখ টাকা, কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

হোসাইন গত ১২ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় তার মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

নিউরোসায়েন্স থেকে ফিরে বর্তমানে বাসায় রয়েছেন হোসাইন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যায় নিউজবাংলা। গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন। এ সময় বাঁতে আকূল হোসাইনের চোখের দুধার বেড়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।

হোসাইনকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন নিচের মাধ্যমগুলোতে

প্রাইম ব্যাংক শেরপুর, বগুড়া শাখা

  • অ্যাকাউন্টধারীর নাম: কারু (Karu)
  • অ্যাকাউন্ট নম্বর: ২২২৪১৭৯০০৪৭১১
  • সুইফট কোড: PRBLBDDH
  • রাউটিং নম্বর: ১৭০১০২৭৪৬

ইসলামী ব্যাংক যাত্রাবাড়ী শাখা, ঢাকা

  • অ্যাকাউন্টধারীর নাম: কারু (Karu)
  • অ্যাকাউন্ট নম্বর: ২০৫০৭১৭০১০০০০৯৯০১
  • সুইফট কোড: IBBLBDDHFRD
  • রাউটিং নম্বর: ১২৫২৭৩২২০

বিকাশ/নগদ (মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট)

  • পেমেন্ট নম্বর: ০১৩২২৬৬৩৬৩৬

বিকাশ/নগদ (হোসাইনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট)

  • অ্যাকাউন্ট নম্বর: ০১৯১৪৩৩৪০০৪

যেকোনো প্রয়োজনে রায়হান (০১৯৫৩৬১৯৪১৯), আশিক (০১৬১০২১৭০৬৪) ও তপুর (০১৫৬৮১০৯৯৫৩) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
BNP Jamaat will not be a party in 10 15 years Jai

১০-১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে দল থাকবে না: জয়

১০-১৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে দল থাকবে না: জয় শনিবার সাভারে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করেন। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে এরাই উস্কাচ্ছে। আর বেশিদিন নেই, মাত্র দেড় মাস। যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে।’

বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী সংগঠন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেছেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল টিকে থাকবে না। যখন এই জঙ্গিবাদী মৌলবাদী শক্তির চিহ্ন বাংলাদেশ থেকে মুছে যাবে তখন দেশে শান্তি আসবে।’

সাভারে শনিবার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে বক্তব্য দেন জয়।

নির্বাচনের সময় নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন সমস্যা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ। এই সমস্যাও কিন্তু দূর করা যায়।

‘আমরা জানি গত তিন নির্বাচন ধরে তাদের এই নির্যাতন। প্রত্যেক নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে তারা এই জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। এটার মোকাবেলা হচ্ছে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেবেন। যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দেবেন।’

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, ‘অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করেন। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উস্কাচ্ছে। আর বেশি দিন নেই, মাত্র দেড় মাস। যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে।’

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। গত ১৫ বছরে দেশে যে উন্নতি হয়েছে তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে। আমি শুরু থেকেই বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

তরুণরা নিজের উদ্যোগে নিজের কর্মসংস্থান বের করে নিতে পারেন। দুর্নীতি সমস্যার সমাধানও করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা নয়, আমরা সবাই এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে পারি।’

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সব সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘সাত শতাধিক সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’

তরুণদের উদ্দেশে জয় বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন, মানুষ ও পরিবেশের জন্য যে চিন্তা করছেন, পরিশ্রম করছেন তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল, তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। শুধু বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আমরা চিন্তা করি। আপনারা সেটা দেখিয়ে দিচ্ছেন।’

আরও পড়ুন:
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১২ সংগঠন

মন্তব্য

p
উপরে