× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

চাকরি-ক্যারিয়ার
Primary teacher recruitment test as soon as the educational institution opens
google_news print-icon

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-খুললেই-প্রাথমিক-শিক্ষক-নিয়োগ-পরীক্ষা
প্রতীকী ছবি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে জানালেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেও পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা আয়োজনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের।

পরীক্ষার ফলাফল যাতে দ্রুত প্রকাশ করা যায় সে জন্য এবার বিশেষ একটি সফটওয়্যার এনেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে জানালেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেও পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

একই কথা বললেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমও।

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে নিয়োগসংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ অনেকটা শেষ করেছি। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ।’

২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৩২ হাজার জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০টি এবং প্রাথমিকে ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

এতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন হবে ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীদের বয়স বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক (পাস) থাকতে হবে।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ
সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভাতা পরিশোধের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
পিইসি-ইবতেদায়িতে অটোপাস নয়, বাড়ির কাজ মূল্যায়ন
প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেলের রায় রোববার
বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

চাকরি-ক্যারিয়ার
Jamuna fertilizer factory is being wasted for about 20 months

প্রায় ২০ মাস ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানা, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ

প্রায় ২০ মাস ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানা, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ

গ্যাস সংকটে প্রায় ২০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। এতে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কারখানা বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। চলতি আমন মৌসুমে ইউরিয়া সার সংকটের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে কারখানার সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার।

কারখানা সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে তারাকান্দি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সার কারখানা। এ কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন সার উৎপাদন করছিল কারখানাটি। কিন্তু গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে ১ হাজার ২০০ টনে নেমে আসে। জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও উত্তরাঞ্চলের রাজবাড়ী ও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ প্রায় ২০টি জেলার আড়াই হাজার ডিলারের মাধ্যমে যমুনার সার সরবরাহ করা হয়।

গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে তিতাস গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেকার হয়ে পড়েন কারখানাসংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, পরিবহনের চালক, হেলপার, কারখানার আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল মালিকরা। দীর্ঘ ১৩ মাস পর ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্যাস সংযোগ পেয়ে পুনরায় উৎপাদনে ফিরে কারখানাটি। উৎপাদন শুরুর ৪ দিনের মাথায় ২৬ ফেব্রুয়ারি গত বুধবার রাত ৭টার পর অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ফের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে বৃহৎ এ কারখানাটি। দীর্ঘ ২০ মাস ধরে বন্ধ থাকায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকা হারে লোকসান হচ্ছে বলেও জানা যায়। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় সার সংকট হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে বৃহৎ এ শিল্প কারখানাটি সচল রাখতে না পারলে পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান যমুনা সার কারখানা পরিদর্শন করতে আসেন। এ সময় স্থানীয় শ্রমিক, ডিলার ও ব্যবসায়ীরা গ্যাস সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন করেন। পরে দ্রুত গ্যাস সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন বিসিআইসির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান।

কারখানার দৈনিক মজুরিভিত্তিক একাধিক শ্রমিক, ট্রাক পরিবহন শ্রমিকসহ একাধিক শ্রমিক বলেন, কারখানার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাক, ট্যাংক ও লড়ি পরিবহন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। কারখানা এভাবে বন্ধ থাকলে এক সময় চিনি ও পাটশিল্পের মতো এ শিল্পও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম তালুকদার বলেন, আমরা কারখানাটি চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে অতি তারাতাড়ি গ্যাস সংযোগ দেবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, ‘যমুনার সারের গুণগত মান ভালো। যমুনার সার জমিতে ব্যবহারের ফলে ফসল বৃদ্ধি পায় ও উৎপাদন ভালো হয়। গাছও সতেজ থাকে। আমদানি করা ও অন্য কারখানার সারগুলোর গুণগত মান ভালো না। আমদানিতকৃত সারগুলো দীর্ঘদিন ধরে কারখানায় মজুত করে রাখায় জমাট বেধে শক্ত হয়ে যায়। ফলে এটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। যমুনা সার কারখানাটি চালু করা অতি প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার জিএম (প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্যাস সংকটের কারণে আমাদের কারখানাটি এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা আশ্বাস পেয়েছি যে আগামী মাস নাগাদ যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। গ্যাস সংযোগ পেলে আমরা পুনরায় পুরোদমে উৎপাদনে ফিরতে পারব।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
In Madaripur Deputy Commissioner Deleted Yasmin Akhter was appointed as Joint Secretary and notification of the Ministry of Public Administration

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার-কে যুগ্ম-সচিব পদে পদায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার-কে যুগ্ম-সচিব পদে পদায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (উনি শাখা-২) ১৫/৯/'২৫ ইং তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার (১৫৭২৮)-কে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত চিঠি মোতাবেক তার বর্তমান দায়িত্ব থেকে পদায়ন করে যুগ্ম-সচিব পদে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগে বদলী করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত উক্ত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জুলাই-আগষ্ট/'২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের পরে তাকে মাদারীপুরর ডিসি হিসাবে পদায়ন করা হয়েছিলো।মাদারীপুরে যোগদানের পর থেকে তিনি সুনামের সাথে তার নিজ দায়িত্ব পালন করে মাদারীপুরবাসির মধ্যে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সরকারী দায়িত্বের পাশাপাশি অফিস টাইমের পরেও তাকে অনেক সময় কাজ করতে দেখা গেছে। তার কাছে অফিস ও জনসমস্যা সংক্রান্ত যে কোনো কাজ নিয়ে মাদারীপুরের যে কেউ গেলে তিনি তা অধীর আগ্রহে শুনতেন, ব্যবস্থা নিতেন। তার সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্য পরায়ণতাকে মানুষ পজিটিভ চোখে দেখেছে, অনেকে মনে করছেন যে, মাদারীপুরবাসি একজন অত্যন্ত দক্ষ, কর্মনিষ্ঠ ও জনবান্ধব ডিসিকে হারালো।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Bipisis rules breaking 2 cars from the depot to seize 2 cars

বিপিসির নিয়ম ভেঙে ডিপো থেকে তেল সরবরাহ, ২টি গাড়ি আটক

বিপিসির নিয়ম ভেঙে ডিপো থেকে তেল সরবরাহ, ২টি গাড়ি আটক সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে পদ্মা ডিপো। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে পদ্মা ডিপো থেকে রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে জ্বালানি তেল। বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) এর নিয়ম ভেঙে ডিপো কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে লাখ লাখ টাকার তেল চুরি হচ্ছে।

গত রোববার রাতে তেল চুরির প্রস্তুতিকালে দুটি গাড়ি আটক করে বিপিসি কর্মকর্তারা। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইলেও ডিপোতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি গণমাধ্যমকর্মীদের।

সোমবার বিকেল ৫ টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত গাড়ি দুটি ডিপোর ভেতরে আটক ছিল।

জানা গেছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানি গোদনাইল ডিপো থেকে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার ডিজেল নেওয়ার চালান করেন মাসুদ রানা ট্রেডার্স।

তখন তেল চোর হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ডিস্ট্রিবিউশন ওনার্স এসোসিয়েশন গোদনাইল পদ্মা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহম্মেদ ডিপো থেকে তেল লোড করার জন্য বশির ও কানা মাসুমের কাছ থেকে ১৮ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার দুটি ট্যাংকলরি ভাড়া করেন। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গাড়ি দুটি ডিপোতে প্রবেশ করে তেল লোড করার সময় বিপিসির একটি টিম গিয়ে গাড়ি

দুটি আটক করেন। তবে তার আগেই ১৮ হাজার লিটারের গাড়িতে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার তেল লোড করে ফেলে। ডিপো কর্তৃপক্ষ চালানে বাই মিটার (গাড়িতে যে পরিমাণ তেল লোড করা যায়) হাতে লিখে দেন। অর্থাৎ সাড়ে ১৩ হাজার লিটারের বৈধতা থাকলেও তেল লোড করা হতো ১৮ হাজার লিটার।

এ সময় র‌্যাব-১১ বাহিনীর সদস্যরা তেলের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে ডিপো কর্তৃপক্ষ চালান দেখালেও ব্যাংক পে-অর্ডার দেখাতে পারেনি।

র‌্যাব সদস্যরা কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে যাচাই-বাছাই ও বৈধ কাগজপত্র দেখতে গড়িগুলো ডিপো কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রেখে যান।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিপিসির নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ তেল লোড করার কথা ঠিক সে পরিমাণ ধারণক্ষমতার গাড়িতে তেল লোড দিতে হবে। আটককৃত গাড়িগুলোতে ছিল সাড়ে ৪ হাজার লিটার বেশি। তার মধ্যে একটি গাড়ি কোনো চালান বা পে-অর্ডার ছিলনা। গাড়ি দুটি লোড করতে পারলে সাড়ে ২২ হাজার লিটার তেল চুরি হতো। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ২২ লাখ টাকা।

র‌্যাব-১১ অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অনিয়ম তদন্তের জন্য র‌্যাব সদস্যরা ডিপোতে গিয়েছিলেন। কোনো অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনিয়ম ও তেল চুরির বিষয়ে জানতে ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. শাকিল মাসুদকে একাধিকবার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে আরেক কর্মকর্তা (পরিচালক) আব্দুর রহিম বলেন, রাতে র‌্যাব সদস্যরা এসে তদন্ত করে গেছেন। সাড়ে ১৩ হাজার লিটার তেলের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ির পরিবর্তে ১৮ হাজার লিটারের গাড়ি কেনো প্রবেশ করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের পদ্মা ডিপোর তেল চুরি ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ পেড্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান ও উর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক ও অপারেশন্স) মণি লাল দাসকে ফোন করলে রিং হলেও তারা রিসিভ করেননি।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
BGB technology matches the mysterious travel scene of the boat in Myanmar

বিজিবির প্রযুক্তিতে মিলল মিয়ানমারে নৌযানের ‘রহস্যজনক’ যাতায়াত দৃশ্য

বিজিবির প্রযুক্তিতে মিলল মিয়ানমারে নৌযানের ‘রহস্যজনক’ যাতায়াত দৃশ্য বক্তব্য রাখছেন বিজিবির কর্মকর্তা। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

বাংলাদেশের অসংখ্য নৌযান জলসীমা অতিক্রম করে ‘রহস্যজনকভাবে’ মিয়ানমারে অভ্যন্তরে যাতায়াত করছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির রামু সেক্টরের কমান্ডার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবি নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। যে পদক্ষেপে রাডার থেকে তথ্য সংগ্রহ, ড্রোন, নাইট ভিশন ডিভাইস এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই প্রযুক্তিতে ধরা পড়ছে বাংলাদেশের নৌযান জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমার যাতায়াতের দৃশ্য।

বিজিবির পর্যবেক্ষণের তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, নাফ নদী ও সাগর উপকূলীয় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও কুয়াকাটা এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালানের দুইটি অন্যতম প্রধান পথ তৈরী হয়েছে। যে পথে অধিকাংশ চোরাচালান হচ্ছে। আর ৮০ শতাংশ মাদকই সাগর উপকূলীয় এলাকা দিয়ে চোরাচালানের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বিজিবির কাছে রয়েছে। ওই রুটগুলো ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে আসা মাদকদ্রব্য শুধু বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করছে না, বরং অন্যান্য দেশেও পাচার হয়ে যাচ্ছে। যা আমাদের দেশের যুব সমাজ ও অর্থনীতির জন্য হুমকি স্বরূপ।

সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বিজিবির উর্মি রেস্ট হাউজের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবির ওই সেক্টর কমান্ডার।

সংবাদ সম্মেলনে সীমান্ত নিরাপত্তা, অনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে জানিয়ে গত ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদকদ্রব্য উদ্ধারের তথ্য অবহিত করা হয়ে।

এই দুমাসে ২৮ লাখের বেশি ইয়াবা, প্রায় ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস সহ ৮৮ কোটি টাকার বেশি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময়ে সীমান্ত দিয়ে আসা ২২ টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো মিয়ানমার থেকে আসা। দেশটির রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানে জড়িয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠিটি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গত ডিসেম্বর থেকে এই পর্যন্ত সমুদ্র থেকে আরাকান আর্মি হাতে ২২৮ জন জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আটকদের মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় ১২৪ জনকে ফেরত আনা হয়েছে। এখনও ১২ টি ট্রলার সহ ১০৪ জন জেলে আরাকান আর্মির হাতে আটক রয়েছে। যার মধ্যে ৯৫ জন বাংলাদেশি এবং ১৩৩ জন রোহিঙ্গা।

তাদের ফেরত আনতে বিজিবির নিজস্ব কৌশলে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে সেক্টর কমান্ডার বলেন, আরাকান আর্মির সাথে আমাদের অফিশিয়াল কোনো যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। নানা মাধ্যমে কৌশলে যোগাযোগ করতে গিয়ে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশের পর আটক হয়েছে। আমাদের জলসীমায় এসে আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সাহস কারও নেই।

সাগর পথে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির সক্ষমতা না থাকলেও আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের গোয়েন্দা তথ্য ও ডিজিটাল তথ্য-উপাত্য দিয়ে সাগরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ নেভী ও কোস্ট গার্ডকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিবি আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম, মাইন বিষ্ফোরন, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ, ও মাইকিং পরিচালনা করা হচ্ছে। জনমত তৈরী ও জেলেদের নাফ নদীতে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম না করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করে যাচ্ছে বিজিবি। এছাড়া বিজিবি প্রান্তিক জনসাধারণের জন্য চিকিৎসা সহায়তা, মাইন বিস্ফোরণে আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও সীমান্তের যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির রামু সেক্টরের অধীন বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অনিয়ম ও অতিরিক্ত টোল ট্যাক্স আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

অনিয়ম ও অতিরিক্ত টোল ট্যাক্স আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ রুমায় স্থানীয়দের মানববন্ধন। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

বান্দরবানে রুমা বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে টোল-ট্যাক্স (হাসিল) আদায়ে অনিয়ম ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় রুমা বাজারে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বাজার ফান্ড কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ইজারাদার মোহাম্মদ খালেদ বিন। তিনি রুমা বাজার ও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সম্প্রতি অধিকাংশ স্থানে বেআইনিভাবে টোল-ট্যাক্স আদায় করছেন। ফলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ইজারাদার কর্তৃক জোরপূর্বক জবরদস্তি করে টোল-টেক্স আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

ভুক্তভোগী ও খক্ষ্যংঝিরি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. খালেক মেম্বার অভিযোগ করে তার বক্তব্যে বলেন, খক্ষ্যংঝিরি বাজার জেলা পরিষদের বাজার ফন্দের অধীনস্থ নয়। কিন্তু বটতলী, আমতলী ও বাগানপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে জোরপূর্বক টোল-ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ সেপ্টেম্বর ও ৩ সেপ্টেম্বর রুমা উপজেলার সীমানার বাইরে রোয়াংছড়ি উপজেলায় তারাছা ইউনিয়নের ম্রোংগো বাজারে গিয়ে তাদের ট্রাক থেকে মোট ৩,৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। প্রমাণস্বরূপ দুটি রশিদও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রদর্শন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রুমা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. এদ্রিছ মিয়া, মোহাম্মদ বাবুল এবং খক্ষ্যংঝিরি বাজারের ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ খালেদসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বক্তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত পরিমাণের বাইরে ইজারাদারের নিজের ইচ্ছেমতো টোল-ট্যাক্স আদায়ের অধিকার নেই। অবিলম্বে এই অনিয়ম বন্ধ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

প্রশাসনের কাছে দাবি করে বক্তারা বলেছেন, অবৈধ টোল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং ব্যবসায়ীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

সমাপনী বক্তব্যে মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, রুমা বাজার সেডটির একটি কুচক্র ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমল থেকে নিজের সম্পদ হিসেবে দখল করে রেখেছে। ফলে হাটবাজার দিনে দূর-দূরান্ত থেকে শাকসবজি ও ফলমূল পিঠে বহন করে নিয়ে আসা নারীরা বাজার শেড স্থান না পাওয়ায় রাস্তার ধারে শাকসবজিগুলো ফেলে রেখে বিক্রি করছেন। এতে দুরকম পাহাড় থেকে শাকসবজি বিক্রি করতে আসে নর-নারীরা একদিকে ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে বিভিন্ন সময় ভোগান্তিতে শিকার হচ্ছে , অন্যদিকে দোকানদারের কাছে অশুভ আচরণে তিরস্কার শিকার হচ্ছে। এসব ভোগান্তি দূরীকরণে রুমা বাজার শেড নিচতলায় নিজের স্থায়ী সম্পত্তির মতো সবজি দোকান করা ওইসব ব্যবসায়ীদের একটা নিয়মের ভেতরে আনতে হবে যাতে উভয় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Garo Coach Women are being manufactured in the hands of women

গারো কোচ নারীদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে বাঁশের শৌখিন বাহারি পণ্য

সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি
গারো কোচ নারীদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে বাঁশের শৌখিন বাহারি পণ্য মধুপুর গড়ে গারো কোচ নারীরা তৈরি করছেন বাঁশের পণ্য। ছবি: নিউজবাংলা ২৪

কেউ গারো সম্প্রদায়ের। কেউ কোচ-বর্মণ। কারও হাতে দা-বটি। কারও হাতে বাঁশের ফালি। কেউ চটা কাটছে। কেউবা আবার করছে বুননের কাজ। তাদের নিপুণ হাতে ফুটে উঠেছে বাঁশের শৌখিন বাহারি পণ্যে। বলছিলাম টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের ফুলবাগ চালা ইউনিয়নের পীরগাছা বর্মন পল্লির কথা।

পীরগাছা গ্রামটি মধুপুর শহর থেকে ১২-১৩ কি. মি. উত্তরে অবস্থিত। এ গ্রামের সিংহভাগ বসতি গারো কোচ সম্প্রদায়ের। কোচদের বেশি বসতি গ্রাম এটিই।

এখানে তারা যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। তাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি অনেকটাই হারিয়ে গেলেও এখনো টিকে আছে বাঁশের কাজ। কোচ নারীরা বাড়িতেই কুটিরশিল্পের কাজ করে থাকে। নারী-পুরুষরা কৃষি ও বাঁশের কাজ তাদের প্রধান পেশা। কমবেশি সারা বছরই তারা বাঁশের কাজ করে থাকে। তাদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় হাত পাখা, কলমদানি, প্রিন্ট ট্রে, পেন হোল্ডারসহ নানা পণ্য তৈরি হচ্ছে।

পীরগাছা বর্মনপাড়ায় গিয়ে কোচ নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের পাড়ায় কেউ কেউ গৃহস্থালি, কেউ কেউ দিন মজুরি, কেউবা ক্ষুদ্র ব্যবসা, কেউ কেউ বাঁশের কাজও করে থাকে। এক সময় নিজের সংসারের কাজের পাশাপাশি সারা বছরই বাঁশের কাজ করত। এখন বাঁশের দাম বেড়ে যাচ্ছে। প্লাস্টিকের পণ্যের চাহিদা

ও দাপটে তাদের পণ্যের চাহিদা কমে যাচ্ছে। তাদের গ্রামের প্রায় ২৫০ ঘরের নারীরাই কমবেশি বাঁশের কাজ করে থাকে বলে জানালেন সঞ্চিতা রানী।

বিভিন্ন জেলার লোকজন এসে তাদের বাঁশের তৈরি কিনে নেয়। পুঁজির অভাবে তারা কুটিরশিল্পের কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। এ জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে সংসার চালিয়ে থাকে। প্রতি সপ্তাহেই অনেক পরিবারের কিস্তি গুণতে হয়। বাঁশের কাজ করেও তাদের অভাব থেকেই যাচ্ছে। তারা সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দাবি জানান।

উদ্যোক্তা লিটন নকরেক (৪৭) বলেন, তার পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। অর্ডার আসলে তৈরি করে দেন। সে প্রতি মাসে ৫-৬ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারে বলে জানান তিনি।

পীরগাছা গ্রামের বাঁশের কাজ করা নারী রাঁধা রানী (৪০) বলেন, ‘তার বিয়ে হয়েছে ১৫ বছর আগে। সে তার বাবার বাড়িতে থাকতেই পরিবারের সাথে বাঁশের কাজ করত। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসেও এ কাজই করছে।’

সঞ্চিতা রানী (৩০) বলেন, ‘দুই ছেলে-মেয়ের সংসার। স্বামীর সংসারে সহযোগিতার জন্য সে বাঁশের কাজ করে থাকে। তার এক মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে। ছেলে কেজিতে পড়ে। পড়াশোনা শিখে তারা যেন ভালো মানুষ হয় এমনটাই তার চাওয়া। বাঁশের কাজে উপার্জিত অর্থ স্বামীকে দিয়ে সহযোগিতা করে।’

কোচ পল্লীর অহলা রানী (৪০) বলেন, ‘সে ২০০৮ সালে কাজ শেখেন। দেখাদেখি তার কাজ শেখা। তালাই, পাখা, ধারি, গাছেক, ফুলদানিসহ বিভিন্ন শৌখিন পণ্য তৈরি করে। তার অর্জিত অর্থ দিয়ে সংসারের কাজ লাগান। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটান। জলছত্র গ্রামের মুন্নি মৃ (৪০) বলেন, ‘তার স্বামী বাঁশ-বেতের কাজ করে। বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা ভালোই। চাহিদা বেশি তবে দাম কম। পোষাতে পারে না। সংসার চলাতে কষ্ট হয়। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান তিনি।’

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘মধুপুরের নারীরা বিভিন্ন ধরনের কুটিরশিল্পের কাজ করে থাকে। তাদের তৈরিকৃত পণ্য দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে তিনি বলেন, কুটিরশিল্পে মধুপুরে কাজের সাথে জড়িতদের তালিকা ঊর্ধ্বতন অফিসে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Human bonds demanding the construction of truck terminals and safe bypass roads in Nilphamari

নীলফামারীতে ট্রাক টার্মিনাল ও নিরাপদ বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

নীলফামারীতে ট্রাক টার্মিনাল ও নিরাপদ বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

নীলফামারীতে আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল ও নিরাপদ বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন।

সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল মোহাব্বতের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন ট্রাক মালিক সমিতির নেতা ও জেলা বিএনপির সদস্য আনিছুর রহমান কোকো, জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জামিয়ার রহমান, সহসম্পাদক আব্দুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক মোফাখখারুল ইসলাম চিনু প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নীলফামারী মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হওয়ার দীর্ঘসময় পার হলেও এখনো আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়নি। জেলায়

ব্যক্তি মালিকানাধীন তিন শতাধিক ট্রাক ও ড্রাম-ট্রাক রয়েছে। এসব যানবাহন রাখার জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় চালকদের সড়কের পাশে যেখানে- সেখানে গাড়ি থামাতে হচ্ছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন চালকরা অপর দিকে ট্রাফিক পুলিশের দ্বারা জরিমানারও শিকার হচ্ছেন।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে জেলা শহরের বাইপাস সড়কটি নির্মাণ

করা হয়েছে। অনেক বড় বড় বাক থাকার ফলে ট্রাক, বাসচালক ও সাধারণ মানুষের জন্য এই বাইপাস রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে প্রাণহানি ও যানবাহনেরও ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে দ্রুত আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল ও নিরাপদ বাইপাস সড়ক নির্মাণ করতে হবে।’

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদান করেন ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। কর্মসূচিতে জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক মালিক সমিতির নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে