৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন ২১ হাজার ৫৬ জন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমদ। তিনি বলেন, ‘৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশনের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।’
## রেজাল্ট পেতে ক্লিক করুন-এখানে।
এসএমএসে ফল জানতে টেলিটক মোবাইল থেকে BCS লিখে স্পেস দিয়ে ৪১ লিখে স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ১৩৫টি শূন্য পদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
এতে আবেদন করেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার জন। চলতি বছরের ১৯ মার্চ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হবে ৯১৫ জনকে। বিসিএস স্বাস্থ্যে সহকারী সার্জন হিসেবে ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন হিসেবে ৩০ জন নিয়োগ পাবেন।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হিসেবে ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী হিসেবে ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক হিসেবে ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) হিসেবে ২০ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জন নিয়োগ পাবেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) হিসেবে ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক হিসেবে ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক হিসেবে ২০ জন নিয়োগ পাবেন।
সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেলে ২ জন, মৎস্যে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ৬ জন, বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক হিসেবে ৪ জন নিয়োগ পাবেন।
এ ছাড়া, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ৪ জন, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী পদে ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে ৩৬ জন এবং সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) পদে ১৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, মোহাম্মদ তুহিন হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী ইভা আক্তার (৩০), দুই ছেলে ৯ বছরের তানভীর ও ৭ বছরের তাওহীদ।
তুহিনের শরীরের ৪৭ শতাংশ ও তানভীরের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়া তাওহীদের ৮ ও ইভা আক্তারের শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ইভা আক্তারের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, ‘তার বোনসহ পরিবারের সদস্যরা রাতে বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ রাত দেড়টার দিকে এসি বিস্ফোরণ হয়।’
জেলার সদর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে জেলার হবিগঞ্জ সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক রাকিব (২২) মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আবু কালামের পুত্র।
আহতরা হলেন; পাঁচখোলা এলাকার দবির ব্যাপারীর পুত্র সোহান ব্যাপারী, জীবন হাওলাদারের পুত্র নাঈম হাওলাদার, শহিদুল সরদারের পুত্র মো. শুভ এবং নিরঞ্জন বাড়ৈর পুত্র অজিত বাড়ৈ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুটি মটরসাইকেল নিয়ে নৌকা বাইচ দেখতে গিয়েছিল নিহত রাকিব এবং আহত নাঈম। বাড়ি ফেরার পথে হবিগঞ্জ ব্রিজের উপর দুই মটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাকিব মারা যান। মটরসাইকেলের অন্য যাত্রীরা গুরুতর আহত হন।
মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, নিহতের মরদেহ মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছেনা নিত্যপণ্যের দাম। রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও কঠিন। গত দুই মাসে দেশি পিঁয়াজ, ডাল, ডিম, মাছ ও সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও নতুন করে বেড়েছে মাছের দাম।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে আবারও সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়াতে চাইছে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোজ্যতেল পরিশধনকারী ও বিপণনকারীরা প্রতি লিটারে ১০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১ হাজার ২০০ ডলার ছুঁয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৮-২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তাই তারা দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবিত দাম অনেক বেশি। সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় তাদের প্রস্তাব অস্বাভাবিক। আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি, এরপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হবে।’
ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সাধারণত এসব প্রস্তাব যাচাই করে থাকে।
এর আগে গত ১২ আগস্ট পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে লিটারপ্রতি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে সয়াবিন তেলের দাম তখন অপরিবর্তিত থেকে ১৮৯ টাকা ছিল। এরও আগে এপ্রিল মাসে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৮৯ টাকা ও পাম তেল ১৬৯ টাকা।
এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম ও ভুট্টার তেল আমদানিতে এক শতাংশ উৎসে কর বসিয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এ ব্যবস্থাও ভোজ্যতেলের বাজারে প্রভাব ফেলছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজির কেজি ৮০ টাকার ওপরে। তবে সর্বোচ্চ দাম বেগুনের। এক মাসের বেশি সময় ধরে গোল বেগুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। একইরকম চড়া দাম কাঁচা মরিচের। গত দুমাস ধরে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।
বাজারে এখন প্রতি কেজি ঢেড়স ৮০, ঝিঙা ৮০, কচুরমুখী ৮০, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁকরোল ৭০, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০, করলা, লম্বা বেগুন, বরবটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া পটোল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি। তবে কলার হালি ৪০, ছোট লাউ ৫০, বড় লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে। আর চায়না গাজরের দাম ২০ টাকা কমে এখন ১০০ টাকা।
মিরপুর ৬ নাম্বার কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা মো. জসিম বলেন, সবজির দাম এ মাস পর্যন্ত বেশি থাকবে। বৃষ্টি কম হলেও এখনই দাম কমবে না। শীত আসার আগে আগে দাম কমবে।
চড়া দামে অস্বস্তি জানিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল হাসান বলেন, বিগত দুই/তিন মাস ধরে সবজির দাম চড়া। একটা সবজি কিনতেই ১০০ টাকা শেষ। মাছ-মাংস কেনা অনেক পরের ব্যাপার।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সরবরাহ ঘাটতি নয়, বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও তদারকির অভাবও দায়ী। বাজার তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে বাজারে ইলিশসহ চিংড়ি মাছের দাম চড়া। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এছাড়া ৭০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৪০০-৫০০ গ্রামের প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্য সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে।
এছাড়া দেশি শিং মাছের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষেরটার কেজি ৪০০ থেকে সাড়ে ৪৫০ টাকা। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশে দামও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩৫০-৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম ও মুরগীর দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
মহাখালী বাজারের একজন মুরগি বিক্রেতা বলেন, মুরগির দাম বেশি বাড়েনি। ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে মূলত মুরগির চাহিদা বেশি। মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ মুরগি বেশি নিচ্ছে। সে জন্য মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে।
রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার আসামি মো. মুশফিক উদ্দীন টগর কারাগার থেকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পাওয়ার পর ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এবার অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গত গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুর থেকে র্যাব-৩ এর হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
র্যাব জানায়, টগরকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, কাঠের পিস্তলের গ্রীপ, ১৫৫ রাউন্ড গুলি, শর্টগানের খালি কার্তুজ, দুটি মুখোশ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টগর জানিয়েছে, তিনি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করতেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লে. কর্নেল আরেফীন আরও জানান, টগর সনি হত্যা মামলায় ২০০২ সালের ২৪ জুন গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘ সাজাভোগের পর ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সরকারের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান। তবে মুক্তির পর থেকেই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
উদ্ধার হওয়া মুখোশের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে এসব মুখোশ ব্যবহার করতেন। এছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতেন কি না সেটা তদন্তে জানা যাবে।
অনলাইন জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার ক্ষেত্রে অপরাধী ব্যক্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সদ্য জারি হওয়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এ এই শাস্তির বিধান রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে একথা জানানো হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা অন্য কোনো সংস্থা সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার নিমিত্ত কোন পোর্টাল বা অ্যাপস্ বা ডিভাইস তৈরি করেন বা পরিচালনা করেন বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান করেন বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে, অনলাইনে, ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করেন তাহলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর ২০ ধারা অনুযায়ী বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এছাড়া, অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, জুয়া খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপিত করা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অপরাধ দমন ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনলাইন জুয়ার সব গেটওয়ে, অ্যাপ্লিকেশন, লিংক, ওয়েবসাইট এবং বিজ্ঞাপন জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ, ব্লক বা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অবহিত করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতুরি বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের নির্বাচনের ফলাফলকে সবাই সম্মান করতে হবে। নির্বাচনের পর বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য এটি অপরিহার্য শর্ত। সম্প্রতি ঢাকায় সফরকালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মৌনির সাতুরি বলেন, ক্ষমতা পৃথকীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, জনপরিসর ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট পরবর্তী নির্বাচিত সংসদের সঙ্গে কাজ করবে।
মৌনির সাতুরির নেতৃত্বে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপকমিটির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের আগে ইইউ অংশীদার দেশগুলোতে এ ধরনের তথ্য অনুসন্ধান মিশন পাঠানো হয়ে থাকে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইসাবেল উইসেলার-লিমা (ইপিপি, লুক্সেমবার্গ), আরকাদিউস মুলারচিক (ইসিআর, পোল্যান্ড), উরমাস পায়েত (রিনিউ ইউরোপ, এস্তোনিয়া) এবং ক্যাটারিনা ভিয়েরা (গ্রিনস/ইএফএ, নেদারল্যান্ডস)।
বাংলাদেশকে এই মুহূর্তে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে সাতৌরি বলেন, দেশটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে এবং একই সঙ্গে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এর মধ্যে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (পিসিএ) আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত।
সাতৌরি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ইইউ যখনই কোনো তৃতীয় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমরা মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন এবং মৌলিক স্বাধীনতার বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করি। কারণ এগুলো যেকোনো ইইউ চুক্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২০২৪ সালের জুলাইঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তরণের প্রসঙ্গে সাতৌরি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দৃশ্যমান প্রভাব ফেলছে। তবে তিনি বলেন, প্রক্রিয়াটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত গৃহীত সংস্কারগুলো যদি ব্যাপক সমর্থন পায় এবং নির্বাচিত সংসদ সেগুলো বাস্তবায়ন করে, তাহলে সর্বোত্তম পরিবেশে এ উত্তরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতাবৃন্দের সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে তাদের বৈঠক করা কথা রয়েছে।
সাতৌরি বলেন, সমৃদ্ধি ও মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির মধ্যে ভারসাম্য আনার উদ্দেশে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (পিসিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি অন্তর্বর্তী সরকারের পরও বহাল থাকবে এবং উভয় পক্ষকে ভবিষ্যতেও আবদ্ধ রাখবে। জনগণের উদ্বেগ ও স্বার্থ এতে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হওয়া জরুরি।
সফরকালে সাতৌরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরও পরিদর্শন করেন। তিনি গত আট বছর ধরে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ প্রশংসা করেন এবং বৈশ্বিকভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আর্থিক সহায়তার মাত্রা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বাংলাদেশকে একা এ বোঝা বহন করতে দেওয়া যায় না।
তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তা ও মিয়ানমারে রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাতৌরি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন সংকট সমাধানে বৈশ্বিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
ঢাকায় সফরকালে প্রতিনিধি দল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) দেওয়া সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। পাশাপাশি বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার বলা হয়েছে।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক বছর ধরে দুই বাহিনীর রেষারেষি নানা আলোচনার জন্ম দেয়। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভেতর থেকে তাদের অফিস পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে এভসেক।
এই বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত ঠেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে এক বৈঠকের পর এপিবিএনকে অতিসত্বর বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া এবং বিমান বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষে বাহিনীতে ফেরত পাঠানোসহ ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিয়ে সিভিল এভিয়েশনের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে চাননি। তবে ওই সভার বিবরণীর (মিটিং নোটস অন সিকিউরিটি অ্যান্ড পুলিশিং অ্যাট এয়ারপোর্ট) একটি অনুলিপি পাঠিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের অগাস্টে পট-পরিবর্তনের পর আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাজারখানেক আনসার এক রাতে দায়িত্ব ফেলে চলে যায়। তখন সেখানে নিরাপত্তা দিতে বিমান বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে অগাস্টের পর থেকে এপিবিএন সদস্যদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়।
এরপর অক্টোবরের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএনের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, টার্মিনালের ভেতরে (এয়ারসাইডে) তাদের অফিস কক্ষটির মালামাল সরিয়ে নিয়েছে এভিয়েশন সিকিউরিটি বা এভসেক সদস্যরা।
এ নিয়ে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডিও করা হয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিমানবাহিনী নির্ভর এভসেকের সঙ্গে এপিবিএন’র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য আসে। ওই সময় বিমানবন্দরে বিমানবাহিনী সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির কয়েকটি ঘটনা সমালোচিত হয়। এভসেকের পক্ষ থেকে এপিবিএনের কর্মকর্তাদের ওই ঘটনার ভিডিওগুলো গণমাধ্যমে সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে এপিবিএন অধিনায়কের বিরুদ্ধে একটি সভায় শিষ্ঠাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দেন বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল। এই দুই বাহিনীর রেষারেষি নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক ও চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত গড়ায়।
সরকার এখন দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ (এজিবি) নামে নতুন একটি বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বাহিনীর কর্মকর্তারা নতুন বাহিনী নিয়ে এর মধ্যে সভায় বসেছেন। বুধবার বেলা ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী।
সভায় পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মাহমুদুল হোসাইন খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়সাল আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অনুপ কুমার তালুকদার, বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম অংশ নেন।
সভার বিবরণীতে বলা হয়, সভার শুরুতে সভাপতি লুৎফে সিদ্দিকী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন এবং বিমানবন্দরে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথায় ও কাজের প্রতি পেশাদারিত্ব এবং সম্মান দেখাতে হবে।’ এরপর সেখানে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও পুলিশিং কার্যক্রম নিয়ে পৃথক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেন এভিয়েশন সচিব ও বেবিচক চেয়ারম্যান।
সভায় উপস্থিত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘বিমানবন্দরে পুলিশের মূল কাজ হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণ। আইনগতভাবে অন্য আর কোনো সংস্থা এই কাজগুলো করতে পারে না।’
সভায় ছয়টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দরের একক কমান্ড, রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের জন্য কার্যকর সব সংস্থা বেবিচকের একক কর্তৃত্বে কাজ করবে; এপিবিএন এবং এভসেক তাদের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। যত দ্রুত সম্ভব এপিবিএন বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কাজ শুরু করবে; আইজিপি এবং বেবিচক চেয়ারম্যান অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সভা করবেন; বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স তাদের দায়িত্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতৃ সংস্থায় ফিরে যাবে; সব বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হতে হবে; সুদূরপ্রসারী কাঠামোগত পরিবর্তনের অংশ হিসেবে বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটরের পৃথক ভূমিকায় পুনর্গঠনের বিষয়ে সুপারিশ জানাতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য