ক্ষুদ্রঋণ সংগঠক পদে জনবল নিচ্ছে আরডিআরএস বাংলাদেশ। আগ্রহী প্রার্থীকে ১৬ আগস্টের মধ্যে ডাকে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
পদের নাম ক্ষুদ্রঋণ সংগঠক।
পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। বেতন ১৮,০০০ - ২০,০০০ টাকা।
প্রার্থীকে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
এই পদে অভিজ্ঞতাহীন প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে একই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ ছাড়া কম্পিউটার জানা প্রার্থীরাও অগ্রগণ্য বলে বিবেচিত হবেন।
স্নাতক পাস আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বেতন প্রতিমাসে সর্বসাকল্যে ১৮,০০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর পাস আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বেতন প্রতিমাসে সর্বসাকল্যে ২০,০০০ টাকা।
শিক্ষানবিশকাল (৬ মাস) শেষে চাকরি নিশ্চিতকরণের পর সংস্থার বেতনস্কেল অনুযায়ী বেতন প্রদান করা হবে। তখন অন্যান্য সুবিধাদি যেমন প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, চিকিৎসাভাতা, মোবাইল বিল, ২টি উৎসবভাতা ইত্যাদি প্রদান করা হবে।
প্রতিটি উৎসবভাতা ১ মাসের মূল বেতনের সমান বা সর্বসাকল্যে বেতনের ৫০ শতাংশের সমান।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীকে যেসব কাজ করতে হবে:
১. উদ্বুদ্ধকরণ ও নিবিড় ফলোআপের মাধ্যমে ১২-১৫টি দল (ভূমিহীন, প্রান্তিক চাষি, ক্ষুদ্র চাষি, আদিবাসী ও হতদরিদ্র) তত্ত্বাবধানে রাখা এবং উক্ত দলসমূহে ক্ষুদ্রঋণ ও সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২. নীতিমালা অনুযায়ী নতুন দল গঠন বা দল পুনর্গঠন করা এবং সদস্য ভর্তি করা।
৩. বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী অর্জন নিশ্চিত করা।
৪. মোট সদস্য সংখ্যা, ঋণী সদস্য সংখ্যা, কার্যকরী ঋণস্থিতি ওটিআর ইত্যাদি সন্তোষজনক (কর্মী সদস্য অনুপাতে ১ঃ ৩৭৫, কর্মী ঋণী অনুপাত ১ঃ ৩৪০, ঋণী সদস্য অনুপাত ৯০ঃ ১০০) বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কর্মী প্রতি কার্যকরী ঋণস্থিতি বজায় রাখা এবং আর্থিক স্বয়ম্ভরতা সর্বদা ১০০ শতাংশের ওপরে নিশ্চিত করা।
৫. প্রতিদিনের ঋণের কিস্তি ও সঞ্চয় আদায় যথাসময়ে নিশ্চিত করা এবং সর্বদা ঋণ আদায় হার ১০০ শতাংশ বজায় রাখা।
৬. প্রতিদিনের শিডিউলভুক্ত দলে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে দলীয় সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা ও দলীয় সভা পরিচালনা করা এবং দলীয় রেকর্ডপত্র ও সদস্য পাসবই হাল নাগাদ রাখা।
৭. দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা বা কোনোরূপ বিঘ্ন সৃষ্টি হলে তা নিরসনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দলীয় সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ও একতা এবং সঞ্চয় ও ঋণ নীতিমালাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। উন্নয়নমূলক বিবিধ বিষয়ে সদস্যদের সচেতন করা।
৮. দল থেকে প্রতিদিনের আদায়কৃত অর্থ নীতিমালা অনুযায়ী রেকর্ডভুক্ত করে যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষক (ক্ষুদ্রঋণ)-এর নিকট জমা করা।
৯. পাসবইয়ের ব্যালান্সের সাথে কালেকশন রেজিস্টার ও এমবি শিটের ব্যালান্স নিয়মিত মিলিয়ে দেখা। কোনোরূপ অমিল থাকলে তা তাৎক্ষণিক সংশোধন করা।
১০. নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ প্রস্তাবনা তৈরি করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে বিতরণ করা।
১১. আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড নির্বাচনে সদস্যদের সহায়তা দেয়া এবং বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ফলোআপ দেয়া।
১২. সদস্য প্রোফাইলসহ দল ও সদস্যসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা।
১৩. ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় (কোর ও বাইলেটারাল ) প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে উপকারভোগী নির্বাচন করা ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
১৪. দৈনিক সঞ্চয় ও ঋণ আদায় কার্যক্রম প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা এবং রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা।
১৫. সংস্থার প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ও বহিস্থ পর্যবেক্ষক ও নিরীক্ষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া এবং বিবিধ জরিপ কাজে সহযোগিতা করা।
১৬. শাখার সাপ্তাহিক মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনায় অংশগ্রহণ করা।
১৭. কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও দাতা সংস্থার চাহিদা মোতাবেক সাপ্তাহিক ও মাসিক রিপোর্ট যথাসময়ে জমা দেয়া।
১৮. শাখার বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট তৈরিতে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করা।
১৯. সংস্থার প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট যেকোনো ধরনের কাজের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা এবং প্রদত্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা।
ক্ষুদ্রঋণ সংগঠক পদে নির্বাচিত প্রার্থীর পিতা, মাতা, অভিভাবক বা যেকোনো নিকট আত্মীয়কে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জামিনদার হিসেবে কর্মীর পক্ষে সংস্থার নিকট অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে। প্রার্থীদের বাংলাদেশের যেকোনো জেলায় কাজ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী হতে হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন নারী প্রার্থীদের আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। আরডিআরএস একটি ধূমপানমুক্ত কর্মপরিবেশ।
প্রার্থীকে আবেদনপত্রের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত (মোবাইল নম্বরসহ), ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ আগামী ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠাবার ঠিকানা:
রংপুর ও রাজশাহী ডিভিশনের বিভিন্ন জেলার আবেদনকারীদের জন্য: আরডিআরএস বাংলাদেশ, জেল রোড, রাধাবল্লভ, রংপুর।
অন্যান্য জেলার আবেদনকারীদের জন্য: আরডিআরএস বাংলাদেশ, বাড়িনং-৪৩, রোডনং-১০, সেক্টর নং-৬, উত্তরা, ঢাকা।
খামের ওপর পদের নাম স্পষ্টাক্ষরে লিখতে হবে।
আরও পড়ুন:সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আগামী রোববার ও সোমবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতির পরিবর্তে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুন রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেবেন তারা। পরের দিন সোমবার স্মারকলিপি দেবেন দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের কাছে। এছাড়া মাঠপর্যায়ে সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের মাধ্যমেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থিত সচিবালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সাংবাদিকদের কাছে নতুন কর্মসূচি তুলে ধরেন ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর, মুহা. নূরুল ইসলাম ও কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।
কর্মসূচি ঘোষণার আগে সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। কর্মবিরতি শেষে ঐক্য ফোরামের নেতারা বলেন, আগামী রোববার ও সোমবার এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে না। এর পরিবর্তে রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আর সোমবার স্মারকলিপি দেওয়া হবে দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের কাছে। মাঠপর্যায়ে সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের মাধ্যমেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এখন জাপান সফরে আছেন। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর ‘ভালো সংবাদ’ পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছেন ঐক্য ফোরামের নেতারা। তাদের প্রত্যাশা, ‘ভালো সংবাদ’ নিয়েই তাঁরা ঈদুল আজহা পালন করতে পারবেন।
জাপান সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা শনিবার দেশে ফিরলে কর্মচারীদের দাবির কথা তার কাছে তুলে ধরবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এদিকে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দিনের মতো সারাদেশে কলমবিরতি পালন করেছেন।
চলতি বছরে মে ও জুন মাসে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের রাজস্বখাতের বিভিন্ন গ্রেডের ১১টি পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৫ মে ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে করণীয় সম্পর্কে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সচিব মহোদয় স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক নিয়োগে যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে পরীক্ষার হলভিত্তিক আসনব্যবস্থা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
আগামী ৩০/০৫/২০২৫ তারিখ শুক্রবার সকাল ১০:০০টা হতে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের লিখিত পরীক্ষা এবং ৩১/০৫/২০২৫ তারিখ শনিবার বিকাল ০৩:০০টা হতে একই কেন্দ্রে কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, আগামী ২১/০৬/২০২৫ তারিখ শনিবার সকাল ১০:০০টা হতে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কানুনগো, ক্যাশিয়ার, একাউন্ট এসিস্ট্যান্ট, সার্ভেয়ার, চেইনম্যান ও অফিস সহায়ক পদে জনবল নিয়োগের নিমিত্ত লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সময়সূচি ও কেন্দ্রের তালিকা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.bba.gov.bd-এ প্রকাশ করা হয়েছে এবং সকল প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে SMS-এর মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য আরও জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ ও সময়-এ প্রার্থীদের প্রবেশপত্রে উল্লিখিত শর্তসমূহ মেনে পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের ০১ (এক) ঘণ্টা পূর্বে আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিনকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাস্টি মনসুর আহমেদ চৌধুরী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদায়ী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
আর টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন দুই সদস্য হয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মনজুর হাসান এবং নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ তাহেরা ইয়াসমিন।
তাছাড়া টিআইবির অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফারুক আহমেদ। অডিট কমিটির অপর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কম্পট্রোলার জেনারেল, ডিফেন্স ফাইন্যান্স মোতাহার হোসেইন।
টিআইবি’র নতুন চেয়ারপারসন মনসুর আহমেদ চৌধুরী বহুল আলোচিত ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’-এর উদ্যোক্তা। মানবাধিকার বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের অধিকারের নিশ্চয়তাসহ তাদের জীবন-মানের সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজ করছেন।
‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম’ গঠনে মনসুর আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবন্ধীবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে (২০০৯-১২ মেয়াদে) দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নিরাফাত আনাম মেমোরিয়াল ইনক্লুশন পদক, সিলেট রত্ন পদক, আজীবন সম্মাননা (সিঙ্গার বাংলাদেশ ও চ্যানেল আই) এবং সিনিয়র অশোকা ফেলোশিপ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য ব্যারিস্টার মনজুর হাসান বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টিআইবির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি ব্র্যাকের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ‘অফিসার অফ দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)’ উপাধিতে ভূষিত হন।
বোর্ডের আরেক নতুন সদস্য তাহেরা ইয়াসমিন নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং সুশাসন বিশেষজ্ঞ। তিনি অক্সফাম, কেয়ার এবং জিআইজেড-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিআইজেড-এর রুল অব ল’র অপারেশন পরিচালক এবং অ্যাকসেস টু জাস্টিস ফর উইম্যান প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেসরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন খাতে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ট্রাস্টি বোর্ড টিআইবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। বোর্ডের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক; দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কোষাধ্যক্ষ।
সদস্যবৃন্দ হলেন- সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, সোসাইটি অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড)-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফিলিপ গাইন, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী বনশ্রী পাল এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব করা হয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ড. নাসিমুল গনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। চার বছর ওএসডি থাকার পর ২০১৩ সালে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্যে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।
‘৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য (লিখিত ও মৌখিক) উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদে নিয়োগবঞ্চিত ১৯১৯ জন চিকিৎসককে ন্যায্য নিয়োগ’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকরা বলেন, ২০২১ সালে ৪২তম বিসিএসের ফলাফলে পর্যাপ্ত পদ না থাকায় এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবঞ্চিত হয়ে আছেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা বৈষম্যের শিকার। স্বাস্থ্য অধিদফতর নীতিগতভাবে দ্রুত দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই এক্ষেত্রে ৪২তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
তারা বলেন, দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চরম চিকিৎসক সংকট রয়েছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
সাধারণ বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, বর্তমানে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস প্রক্রিয়াধীন। ৪২তম বিসিএসের পরে আর কোনো চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। তাই দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক সংকট নিরসনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও এবি পার্টির আহ্বায়ক মেজর (অব.) অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডা. ফারজানা সাথী, ডা. মো. রেজওয়ান কবীরসহ ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকরা।
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। তা চলবে আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রার্থীদের আবেদন ফি দুশ’ টাকা।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরুর একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অনলাইনে আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করে পিএসসি।
মন্তব্য