মহামারির মধ্যে যখন চাকরি হারিয়ে বহু মানুষ বেকায়দায় পড়েছে, সে সময় বড় এক নিয়োগের পথ খুলে গেল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল বৃহস্পতিবার রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ।
সংস্থাটির সচিব এ টি এম মাহবুব-উল করিম বলেন, ‘ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এসএমএসও দেয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা থেকে প্রার্থীরা টেলিটকের এসএমসের মাধ্যমে ফল পাবেন। এ ছাড়া, এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটেও ফল প্রকাশ করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এত দিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৩ দিনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত ৩০০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। এছাড়া গত বছরের নদী ভাঙনের ফলে এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়েছে। এ বছরও একই এলাকায় গত ৩ দিন আগে থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৩ দিনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেরপুর গ্রামের তারা প্রামাণিকের ছেলে বকুল মেম্বার, আজগর আকন্দের ছেলে ফজলু আকন্দ এবং সালামুদ্দিন তরফদারের ছেলে শাহিন মিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি পরিবারের লোকজনের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে শেরপুর গুচ্ছগ্রাম ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যেখানে নদী ভাঙনের শিকার ৩০০টির বেশি পরিবারের লোকজন গত কয়েক বছর আগে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তা ছাড়া এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রাম যেকোনো সময়ে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামে বসবাসরত ২০ হাজার এলাকাবাসী। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা স্কুল, মসজিদসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম বিপু বলেন, ‘গত ৩ দিনের নদী ভাঙনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যের জমিতে অবস্থান করছেন। আমার বাড়িটিও ভাঙনের শিকার হতে যাচ্ছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন হবে। তা ছাড়া ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এখন নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। দ্রুত এখানে নদীভাঙন মোকাবিলায় কাজ না করলে আমরা একেবারেই যমুনার জলে ভেসে যাব।’
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত শেফার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা সোমবার সকালে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
উপজেলার কাঠালী এলাকায় সকাল ১০টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে প্রশাসনের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
শ্রমিকরা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া ওভারটাইম হার কমানো, টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস কমিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের কারণে তারা চরম অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি- প্রতি মাসের বেতন সময়মতো প্রদান, ওভারটাইমের হার পূর্বের মতো ৬৮ শতাংশে বহাল রাখা, টিফিন বিল বৃদ্ধি এবং অবসরোত্তর ফান্ড দ্রুত পরিশোধ করা।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে তিনি জানান।
আজ ১৩ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি ও বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর উপমহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোঃ ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া, পিএসসি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে, ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও বাজেট-সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল (উপমহাপরিচালক, অপারেশন্স), মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী (পরিচালক, অপারেশন্স), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (পরিচালক, প্রশাসন-কিউ), মোঃ জাহিদ হোসেন (পরিচালক, সিএইচটি-অপস) এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজির) উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ আমাদের প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শক্তি। ইউনিয়ন পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের নিরাপত্তা ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের দক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএলজির যুগ্ম পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ জাহিদ আখতার। তিনি বলেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে যুগপোযোগী করে গড়ে তোলার জন্য গ্রাম পুলিশদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশ রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২০টি উপজেলায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা সরকারের উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনা আক্তার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গ্রাম পুলিশ সেলিম আহমদ।
জানা গেছে, মাসব্যাপী চলা এ প্রশিক্ষণে ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বশীলতা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রশিক্ষণে ৪০ জন গ্রাম পুলিশ অংশগ্রহণ করছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিড়ি ও সিগারেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার আলীনগর ও লালারচক সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিড়ি ও সিগারেট জব্দ করা হয়।
৪৬ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে গত রোববার রাতে উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মালিকবিহীন অবস্থায় ৩ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ২৮০ প্যাকেট ভারতীয় সিগারেট ও ৯০০ প্যাকেট নাসির পাতার বিড়ি জব্দ করা হয়।
৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১১৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যরা দিবারাত্রী ২৪ ঘণ্টা টহল ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ২,৫৬৭ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ভাল ফলন হওয়ায় এবং উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে।
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ২৫৬৭ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলার ১৫৫ হেক্টর, পলাশে ১৫৩ হেক্টর, শিবপুরে ৪০০ হেক্টর, মনোহরদীতে ৮৫ হেক্টর, বেলাবতে ১১৪৪ হেক্টর এবং রায়পুরা উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির মধ্যে রয়েছে কাঁকরোল, বেগুন, ঢেঁড়শ, শশা, সিম, চাল কুমড়া, মূলা, ডাটা, মূলাশাক, ডাঁটাশাক, লাউ, পুঁইশাক, পালংশাক, পাটশাক, কলমীশাক, বরবটি, ঝিংগা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, করলা, উচ্ছে, সজিনা, পটল, কাঁচকলা, মুথীকচু, পানিকচু এবং পেঁপে ইত্যাদি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ রঙের শাকসবজিতে ভরে গেছে খেত।
গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষ করেও লাভবান হয়েছেন এখানকার কৃষকরা। গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে এই সকল শাকসবজি। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
শিবপুর উপজেলার কোন্দারপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ধান চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। তাই এ বছর গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির চাষ করেছি। বর্তমান বাজারে দামও পাচ্ছি বেশ ভাল। তিনি আরো জানান, ‘এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে শাকসবজির চাষ করেছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত আমি দুই বিঘা জমি থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি।’
রায়পুরা উপজেলার বারৈচা গ্রামের অপর এক চাষি আব্দুল জব্বার জানায়, ‘অন্যান্য ফসলের তুলনায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষ অধিক লাভজনক। আমি এক বিঘা জমিতে সবজির চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ১২ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি।’
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুল হক জানান, চলতি মৌসুমে জেলার সর্বত্র আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির ফলন খুব ভাল হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে।
“সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে "আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫” উপলক্ষে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে মহড়া, র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ) বেলা ১১টায় নান্দাইলের সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নান্দাইল, ময়মনসিংহ। সহযোগিতায় ছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, নান্দাইল এরিয়া অফিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা সাত্তার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেবেকা সুলতানা সাথী, সমূর্ত্ত জাহান মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম, প্রফেসর কামরুল হুদা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনোয়ার মাষ্টার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসানউল্লাহ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নান্দাইল স্টেশনের কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন নান্দাইল এপির ম্যানেজার সাগর জন কস্তা এবং অরপনা গাগরা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি শেষে নান্দাইল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডকালীন সময়ে করণীয় বিষয়ে বাস্তব মহড়া প্রদর্শন করেন। তারা উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণকে দুর্যোগকালে আতঙ্কিত না হয়ে কীভাবে নিরাপদে আত্মরক্ষা করতে হয়, সে বিষয়ে ব্যবহারিক নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সচেতনতা ও প্রস্তুতির বিকল্প নেই। সরকার ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমেই দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা সাত্তার বলেন,
“দুর্যোগ মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা ও প্রস্তুতি। প্রতিটি পরিবার ও প্রতিষ্ঠান যদি নিজেদের প্রস্তুত রাখে, তবে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।”
অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয় ফায়ার সার্ভিসের মহড়া প্রদর্শনের মাধ্যমে, যা উপস্থিত সবাইকে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাস্তব ধারণা প্রদান করবে।
মন্তব্য