× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

চাকরি-ক্যারিয়ার
করোনায় আটকে সরকারি ৬০ হাজার নিয়োগ 
google_news print-icon

করোনায় আটকে সরকারি ৬০ হাজার নিয়োগ 

করোনায়-আটকে-সরকারি-৬০-হাজার-নিয়োগ 
করোনার কারণে হচ্ছে না চাকরির কোনো পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৬০ হাজার ২২৮টি পদের নিয়োগ আটকে আছে। এ নিয়ে চরম হতাশায় আছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের অধিকাংশই বেকারত্বের বোঝা টানতে টানতে এখন ক্লান্ত।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই চাকরির বাজারে চলছে মন্দা। এই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষা গ্রহণ হচ্ছে না বললেই চলে। বিশেষ করে, সরকারি চাকরির বেশ কয়েকটি পদের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেসব স্থগিত করেছে নিজ নিজ নিয়োগ কর্তৃপক্ষ।

হিসাব করে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৬০ হাজার ২২৮টি পদের নিয়োগ আটকে আছে। এ নিয়ে চরম হতাশায় আছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের অধিকাংশই বেকারত্বের বোঝা টানতে টানতে এখন ক্লান্ত।

চার বিসিএস আটকে

৪০তম বিসিএস: ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ২৭ জানুয়ারি। এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা এখনও শুরু হয়নি। এ বিসিএসে শূন্য পদ ছিল ১ হাজার ৯০৩।

৪১তম বিসিএস: চলতি বছরের ১৯ মার্চ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এখনও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি। এই বিসিএসে পদের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৬৬টি।

৪২তম বিসিএস: স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন নিয়োগের জন্য ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। কিন্তু এই নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা আটকে আছে করোনার কারণে। ৬ জুন থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হলেও স্থগিত করা হয় ২৭ জুন থেকে। বিশেষ এই বিসিএসে পদের সংখ্যা ২ হাজার।

৪৩তম বিসিএস: ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ৩০ নভেম্বর। এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা। ইতোমধ্যে এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে পিএসসি। এক দফা পিছিয়ে প্রিলির তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ২৯ অক্টোবর।

আটকে থাকা বিসিএসগুলো নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তিনটি বিসিএসের কার্যক্রম আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই যত দ্রুত সম্ভব এ বিসিএসগুলোর কার্যক্রম শেষ করা হবে। আর অফিস খুললেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল দেয়া হবে।

করোনায় আটকে সরকারি ৬০ হাজার নিয়োগ
পরীক্ষা না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত

নন-ক্যাডারে নিয়োগ

সিনিয়র স্টাফ নার্স: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ জানুয়ারি। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৮ জন। এরপর গত ১১ জুন উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখনও লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সিনিয়র স্টাফ নার্সে পদের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০০। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আড়াই হাজার নয়, সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে পিএসসিতে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে ৮ হাজার ৫৩৪ জনের জন্য।

এ ছাড়া, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ২ মে। এ পদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২৬ জুন ও ৩ জুলাই। কিন্তু গত ২৩ মে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসি।

এর বাইরেও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাতটি সিনিয়র টেকনিশিয়ান পদের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত ৮ জুলাই। কিন্তু গত ২৩ জুন এই পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসি।

এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোষাখানা ইউনিটের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদের সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি পরীক্ষা এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরের ফোরম্যান নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষাও স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন ক্যাডার) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা হচ্ছে। আর বেশ কয়েকটি মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই স্থগিত পরীক্ষাগুলোর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।

অন্যান্য চাকরিতে নিয়োগ

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় গত ১ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৯৯০ জন নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২০ অক্টোবর। বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছু আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে পরীক্ষা নেয়ার জন্য বেশ কিছু কাজ শেষ করে রেখেছি।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত বছরের ২২ অক্টোবর প্রদর্শক, গবেষণা সহকারীসহ মোট ৪ হাজার ৩২টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ বিজ্ঞপ্তি থেকে চারটি পদের (বুক স্টার ৪৬টি পদ, নিরাপত্তা প্রহরী ২৫৫, মালী ১০০, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১৬৩) পরীক্ষা এ বছরের ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এখনও ৩ হাজার ৪৬৮টি পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পর্যায়ক্রমে পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৮ সালের ১১ জুলাই। বিজ্ঞপ্তিতে উপ-খাদ্য পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদে মোট ১ হাজার ১৬৬ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ ছিল। এর মধ্যে ১৩১টি পদের পরীক্ষা নেয়া হয় গত বছরের ৩১ অক্টোবর। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাকি ১০ পদের ১ হাজার ৩৫টি নিয়োগের পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণে ১ হাজার ৩৫টি পদের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতিই সম্পন্ন করা হয়েছে।’

সিলেট গ্যাসফিল্ডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২৪ আগস্ট। বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পদে মোট ১০৪ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ রয়েছে।

পেট্রোবাংলায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের ১৬ মে। বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী ব্যবস্থাপকসহ মোট ১১৫টি পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সহকারী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ২২ পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

কম্পটোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের অডিটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ। বিজ্ঞপ্তিতে অডিটরসহ মোট ৩২৩টি পদে নিয়োগের কথা বলা হয়। এ বছরের ২৬ জুন এ নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সব কার্যক্রম শেষ করলেও পরবর্তী সময়ে করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।

হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অডিটর, জুনিয়র অডিটরসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ৫ এপ্রিল। বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন পদে মোট ১ হাজার ৯০১টি পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের ৩ মে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৩১৭ পদে লোক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষকসহ ১২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১ হাজার ১৯৪টি পদে লোক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়ারি সার্ভিস কমিশন গত ১৯ জানুয়ারি সহকারী জজ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১০০টি পদের কথা উল্লেখ করা হয়।

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গত ২১ মে কয়েকটি পদে ১০টি গ্রুপে মোট ১ হাজার ৬০৪টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি করা হয়। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একাধিক গ্রুপ আছে। গ্রুপ অনুসারে আলাদা পরীক্ষা হবে।

এসব পরীক্ষার সবগুলোর ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শুরু হবে নিয়োগ কার্যক্রম।

চাকরিপ্রত্যাশীরা হতাশ

নিয়োগ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত না হওয়ায় চরম হতাশ চাকরিপ্রত্যাশীরা। তেমনই একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের ছাত্র মো. আবিরুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার পরও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটছে। এভাবে আর কত দিন চলবে কে জানে? পরিবারের সবাই আশা করে আছে খুব শিগগির সরকারি চাকরি হবে। কিন্তু করোনার কারণে এখন তো পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।’

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের রাশেদুল ইসলামও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার পরই চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকি; তবে করোনার কারণে এখন কোনো নিয়োগের পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এভাবে কত দিন চলবে সেটি নিয়ে চিন্তায় আছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে পাস করেছেন নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরির আশায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টাও করিনি। কিন্তু এখন বয়সও শেষ পর্যায়ে। করোনার কারণে বেশ কয়েকটি বড় নিয়োগের পরীক্ষা আটকে আছে। এভাবে আর কত দিন চলবে কে জানে?’

সরকারি চাকরিতে কত পদ খালি

প্রশাসনের ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮টি পদের মধ্যে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ শূন্য। জনপ্রশাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রকাশিত স্ট্যাটিসটিকস অফ সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২০ বই থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বইতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোতে মোট ১৭ হাজার ৭৩৯টি পদের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৬৮টি পদ।

সরকারি বিভিন্ন বিভাগে ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬২৬টি পদের অনুকূলে ফাঁকা ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৬টি পদ।

এ ছাড়া আঞ্চলিক ও ডিসি অফিসগুলোতে মোট ৪৭ হাজার ৩৩টি পদের অনুকূলে ফাঁকা রয়েছে ১৪ হাজার ৮৫১টি পদ। এই হিসাবের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় ও এসি ল্যান্ড কার্যালয়কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এর বাইরেও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনগুলোতে ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৭০টি পদের বিপরীতে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০০টি পদই এখন ফাঁকা।

এসব ফাঁকা পদের মধ্যে ৪৬ হাজার ৬০৩টি প্রথম শ্রেণির, যা মোট ফাঁকা পদের ১২ শতাংশ। মোট ফাঁকা পদের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৯ হাজার ২৮টি দ্বিতীয় শ্রেণির। ৫২ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯০২টি তৃতীয় শ্রেণির এবং ২৬ শতাংশ অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৪২২টি চতুর্থ শ্রেণির পদ রয়েছে।

আরও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ২১৮১ পদে নিয়োগের ফল প্রকাশ
প্রশাসনে ৩ লাখ ৮০ হাজার পদ ফাঁকা
চাকরির বয়স ৩৫ করতে আলটিমেটাম
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ দাবিতে সমাবেশের ডাক
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোটি ভারতীয় চাকরিহারা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

চাকরি-ক্যারিয়ার
BNP will build Rainbow Nation if it comes to power Mirza Fakhrul

ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়বে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়বে বিএনপি: মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সব জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়কে নিয়ে একটি ‘রেইনবো নেশন’ (রংধনু জাতি) গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় গারো সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে যে ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— বিএনপি একটি রেইনবো নেশন গঠন করবে। এমন একটি জাতি, যেখানে সব সম্প্রদায় অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার সুযোগ পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সরকারে এলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমস্যাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।’
গারো সম্প্রদায়ের দাবির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ কর্মসূচিতে সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠনের ঘোষণা ছিল। আগামীতে সরকারে এলে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি গঠন করা হবে। পাশাপাশি গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব সরকারিভাবে পালনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দর্শনের মূল লক্ষ্যই হলো সব সম্প্রদায়কে একই জাতীয় পরিচয়ের ছায়াতলে আনা। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেন— যেখানে শুধু বাঙালিই নয়, দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির সংরক্ষণে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘আপনারা (গারো সম্প্রদায়) নিজেদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা আপনাদের ভাই। আপনাদের দাবি ও অধিকার আদায়ে আমরা পাশে আছি এবং সংসদে আপনারা প্রতিনিধি পাঠালে আমরা তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে কথা বলব।’
সঞ্চয় নাফাকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল অ্যাকাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল ও আয়োজক কমিটির শুভজিট স্যানগমা নাকমাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Vegetable prices are still rampant

সবজির দাম এখনো লাগামহীন

সবজির দাম এখনো লাগামহীন

প্রায় তিনমাস ধরে ঊর্ধমুখী রয়েছে কাঁচাবাজার। বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকার ওপরে। বৃষ্টির অজুহাতে দাম বাড়ানো হলেও এখনো তা কমছে না। সপ্তাহখানেক আগে বিক্রেতারা বলেছিলেন— বৃষ্টি কমলে সবজির দাম কমবে। কিন্তু বাজার এখনও লাগামহীন। তবে এবার বিক্রেতারা বলছেন, মোটামুটি দুই মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজির সরবরাহ শুরু হলে দাম কমতে পারে।
শীতের সবজি বাজারে আসতে এখনো ২০–৩০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে সাধারণত এই সময়ে বাজারে শীতের আগাম কিছু সবজি আসে। ফলে অন্যান্য সবজির দাম কমতির দিকে থাকে। ফলে আগামী দুই–তিন সপ্তাহে সবজির দাম কমার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুধু সবজিই না একইসঙ্গে ঊর্ধমুখী রয়েছে মাছ, মাংস ও রসুনের দামও। এখন অবশ্য বিক্রেতারা বলছেন— ঋতু পরিবর্তন ও পণ্যের ঘাটতির কারণে দাম বাড়তি রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে সবজি, মাছসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে কয়েকটি সবজির দাম কমলেও এখনও তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি। ক্রেতারা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
গতকালের বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় টমেটো ১২০ টাকা, দেশি টমেটো ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ১৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ -১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১২০ টাকা, কালো গোল বেগুন ২০০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কাকরোল ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০- ১২০ টাকা, পটল (হাইব্রিড) ৮০ টাকা, দেশি পটল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ৩০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৮০-১০০ টাকা, চাল কুমড়া ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে।
এক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতি কেজিতে ভারতীয় টমেটো, সাদা গোল বেগুন, দেশি শসা, করল্লা, দেশি পটল, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, মূলার দাম কমেছে ২০ টাকা করে। হাইব্রিড শসা ও মিষ্টি কুমড়ার দাম কমেছে ১০ টাকা করে। আর শিমের দাম কমেছে ১৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ৪০ টাকা।
এছাড়া প্রতি কেজিতে চায়না গাজরের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা, কালো গোল বেগুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা, কাকরোলের দাম বেড়েছে ২০ টাকা, প্রতি পিসে চাল কুমড়ার দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেটে বেসরকারি চাকরিজীবী তানভীর হোসেন বলেন, সবজির বাজার যে আমাদের নাগালের মধ্যে আসছে না, আমাদের যে কষ্ট হচ্ছে...এটা দেখার কেউ নেই দেশে! মনে হয় যেন এই দায় কারোই না। দিনের পর দিন দাম বাড়তে থাকবে, আর আমরা শুধু সহ্য করে যাবো। কোনো মতে খেয়ে পড়ে বাঁচব।
মিরপুর ৬ নাম্বার কাচাবাজারে কামরুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, এই বাজার মনে হয় কেউই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। আগের সরকারগুলোও পারে নাই, এই সরকারও পারছে না। কিন্তু আমাদের মতো অল্প বেতনের মানুষগুলো হচ্ছি ভুক্তভোগী।
এদিকে সবজির দাম বাড়তি থাকা নিয়ে বিক্রেতা মো. জসিম বলেন, আসলে অসময়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে, গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই সবজির দামও বেড়ে গিয়েছে। এখন বৃষ্টি নাই, কিন্তু সিজন চেঞ্জ হচ্ছে তাই দাম কমছে না। শীত আসতে শুরু করলেই দাম কমে যাবে, আশা করি।
দেশি রসুন, চায়না রসুনের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। পাশাপাশি বেড়েছে চায়না আদার দামও। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত।
সপ্তাহে দুয়েক আগে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজকে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। আর চায়না রসুন ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার ৪০-৫০ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। এছাড়া চায়না আদা ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজকে ২০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। আর দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা করে।
আকার ও মানভেদে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। এরমধ্যে ছোট পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা করে। দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, লাল আলু ২০-২৫ টাকা, সাদা আলু ২০-২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩০-৩৫ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিক্রেতা মো. লিটন বলেন, এখন রসুনের দাম একটু বাড়তি আছে। বাজারে একটু ঘাটতি হলেই দাম বেড়ে যায়। তবে বেশিদিন বাড়তি দাম থাকবে না। নতুন রসুন এলেই দাম কমে যাবে।
শুক্রবার মাছ মাংসের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। ফের বেড়েছে কক মুরগির দাম। এছাড়া অন্যান্য মাংসের দাম রয়েছে স্থিতিশীল।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে। বয়লার মুরগি ১৭০- ১৮৫ টাকা, কক মুরগি ২৭৫- ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০-১৩০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫-১২৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৯০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেখা যায়, প্রতি কেজিতে কক মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আর দেশি মুরগির দাম কমেছে ২০ টাকা। হাঁসের ডিমের দাম প্রতি ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা করে।
আল-আমিন চিকেন হাউজের বিক্রেতা বলেন, বয়লারের দাম শীতে কমবে। আর এরমধ্যে দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নাই।
এছাড়া বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী রুই মাছের কেজি ৩৫০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০- ৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২২০-৭০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০- ১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০- ১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, কাজলী মাছ ১০০০- ১৪০০, বোয়াল মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানের পণ্যের দামে কোনও পরিবর্তন আসেনি। প্রতি কেজি প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মান ভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মুসরের ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১০৫ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেশারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা মাশকালাইয়ের ডাল ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ -১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ১০০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবংগ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
200 candidates are green this month BNP will give signal Salahuddin Ahmad

চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ

তারেক রহমান ফিরবেন নভেম্বরে * আরপিও অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে আপত্তি বিএনপির, পরিবর্তনের জন্য চিঠি দেবে
চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থীকে গ্রিন
সিগন্যাল দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে আশা করছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। পাশাপাশি তিনি জানান, চলতি মাসে অন্তত ২০০ আসনের প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেবে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন।’
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমানের দেশে ফেরার সুনির্দিষ্ট কোনও তারিখ আছে কিনা, জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব শিগগিরই নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।’
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোন কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো অবশ্যাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন— তিনি তো সেটা সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যে কোনও আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে কোন কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমরা আশা করছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন করবেন কিনা। আমরা তো চাই তিনি নির্বাচনে অংশ নেন।’
সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান, চলতি মাসে ২০০ আসনে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে।
এনসিপির সঙ্গে জোট হবে কিনা, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে। তবে বিএনপি আর এনসিপি জোটভুক্ত হবে কিনা, সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে।’ যদিও জোটভুক্ত হওয়ার বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জোটভুক্ত হলে দলগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারতেন। এটি পরিবর্তনে সম্মতি ছিল বেশিরভাগ দলের। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম, কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস হলো, তাতে আকারে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না।’
এছাড়া নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশের যে খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়েছে, তা নিয়ে বিএনপির আপত্তি রয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এই খসড়ায় পরিবর্তন আনতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে তারা চিঠি দেবে।
কোনো দল জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও নিজেদের প্রতীকে অংশ নিতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া গতকাল বৃহস্পতিবার অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত বিষয়গুলোর অনেকগুলোতে আমরা সবাই সম্মত হয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি ও আরপিওর যে খসড়াটা উত্থাপন করা হয়েছে, এটাতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে বিএনপির কোনো সম্মতি ছিল না।’
জোটবদ্ধ নির্বাচনে নিজস্ব দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হলে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘এটাতে তাদেরও (ছোট রাজনৈতিক দলগুলোরও) সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা নির্বাচন কমিশন থেকে একতরফাভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। আরপিওর অধ্যাদেশের খসড়ার ওপরে মতামত চেয়েছিলেন। আমরা মতামত জানিয়েছিলাম।’
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরামের এই নেতা বলেন, ‘অধ্যাদেশের জন্য যেসব সংশোধনী এসেছে, তার অধিকাংশের সাথে আমরা একমত। কিন্তু প্রতীকের (নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের প্রতীক নিতে পারবে না) এ বিষয়ে আমরা সম্মত হইনি কখনো। আমার মনে হয় আমাদের একটা সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ কথা আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে জানিয়েছি, আমরা হয়তো আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেব নির্বাচন কমিশনে এবং আইন উপদেষ্টার কাছে।’
উল্লেখ্য, অনুমোদিত খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিন বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না।
এছাড়া পলাতক আসামিদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না রাখা, প্রার্থীদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের বিবরণী দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা রাখা, ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার–সম্পর্কিত বিধান বিলুপ্ত, ৫০ হাজার টাকার বেশি চাঁদা বা অনুদান ব্যাংকে লেনদেনসহ আরও কিছু সংশোধনী রয়েছে অনুমোদিত খসড়ায়।
হলফনামায় বিদেশে সম্পদের উল্লেখ করা, সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা, আদালত ঘোষিত পলাতক আসামিকে নির্বাচনের অযোগ্য করা, ৫০ হাজার টাকার বেশি চাঁদা বা অনুদান ব্যাংকে লেনদেনের বিষয়ে বিএনপির আপত্তি নেই। এসবে দ্বিমত নেই জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিরও।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এর আগে নির্বাচনসংক্রান্ত আইনে বড় রকমের পরিবর্তন আনছে সরকার।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Three children drowned in Ashtagram

অষ্টগ্রামে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

অষ্টগ্রামে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় বিলের পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া শিশুরা হলো, দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর গ্রামের মাইন্না বাড়ির আবুল কালামের ছেলে মো. মিশকাত (৫), মাসুক মিয়ার ছেলে মো. মাহিন (৬) এবং সাত্তার মিয়ার ছেলে তানিল মিয়া (৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে তিন শিশু বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল। একপর্যায়ে সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশের বিলের পানিতে পড়ে যায়। পরে দীর্ঘ সময় তাদের না পেয়ে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
একপর্যায়ে বিলের পানিতে মিশকাত ও মাহিনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিলের মরদেহ উদ্ধার করেন।
মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতোই ওরা তিনজন খেলছিল। কখন যে পানিতে পড়ে গেল, কেউ বুঝতেই পারেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিলে তাদের পাওয়া যায়।’
দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘একই গ্রামের তিন শিশুর মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক। এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Rescued 44 Rohingya men and women on sea voyages lured by marriage

বিয়ের প্রলোভনে সাগরযাত্রা, ৪৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উদ্ধার

বিয়ের প্রলোভনে সাগরযাত্রা, ৪৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়,টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের পিনিস ভাঙা পাহাড়ি এলাকায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুকে জড়ো করে রাখা হয়েছে। খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন নারী, ১২ জন শিশু, ২ জন রোহিঙ্গা পুরুষ এবং ৩ জন স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা শরণার্থী, যারা টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। উদ্ধার হওয়া ২২ জন নারী জানিয়েছেন, তারা বিয়ের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
রোহিঙ্গা তরুণী আসমিদা (১৭) জানান, “আমার বাবা নেই, শুধু মা আছেন। আমাদের আত্মীয়-স্বজন মালয়েশিয়ায় থাকে। তাদের মাধ্যমে মোবাইলে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। সেই ছেলেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম।”
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্র দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় দরিদ্র মানুষদের বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করছে। তারা উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনের আশ্বাস এবং বিনা খরচে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে নারী ও শিশুদের পাহাড়ে এনে জিম্মি করে রাখে। এরপর তাদের পরিবার থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে এবং সুযোগ বুঝে সাগরপথে পাচারের পরিকল্পনা করে।
স্টেশন কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন,
“অভিযানের খবর পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশুদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
After about three months the suspension bridge became visible overflowing with tourists

প্রায় তিন মাস পর দৃশ্যমান হলো ঝুলন্ত সেতু, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

প্রায় তিন মাস পর দৃশ্যমান হলো ঝুলন্ত সেতু, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
প্রায় তিন মাস পর রাঙামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতু আবারও দৃশ্যমান হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে শুরু করায় অবশেষে ৮৬ দিন পর সেতুর পাটাতন থেকে পানি সরে গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে পর্যটক ও স্থানীয়দের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সেতু এলাকা।
সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা সেতুতে হাঁটতে ও ছবি তুলতে দেখা গেছে। বিকেলের দিকে পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এলাকায় পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
পর্যটন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু। এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ সময় অনেক দর্শনার্থী ভ্রমণে এসে আইকনিক এ স্থাপনাটি না দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন,
“প্রায় তিন মাস পর সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করেছি। আজ থেকেই সেতুটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কিছু সংস্কারের কাজ বাকি আছে, তবে পর্যটন মৌসুম সামনে থাকায় আশা করছি, গত তিন মাসের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারব।”
স্থানীয় পর্যটক রুবেল দত্ত বলেন,
“অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম সেতুটি দেখার জন্য। আজ আবার সেতু দিয়ে হাঁটতে পারছি, খুব ভালো লাগছে। ছবি তোলার সুযোগও মিলছে।”
আরেক দর্শনার্থী মমতা চাকমা বলেন,
“পরিবার নিয়ে এসেছি। অনেক দিন পর ঝুলন্ত সেতু ঘুরে দেখছি, মনে হচ্ছে রাঙামাটির পুরনো সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।”
রাঙামাটির এই বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের কাছে শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি পার্বত্য জেলার অন্যতম আকর্ষণ ও পরিচয়ের প্রতীক।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
ISKCON wants to ban students protesting Islamic universities

ইসকন নিষিদ্ধ চায় শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসকন নিষিদ্ধ চায় শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, খতিব মুহিবুল্লাহকে অপহরণ, চট্টগ্রামের আলিফ হত্যা সহ ইসকনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ‘মুসলিম শিক্ষার্থী’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে সমবেত হন এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এসময় বক্তারা বলেন, ' পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসকন নামক এই বিষফোঁড়া, ভারতের দালাল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতিসত্বর এই বাংলাদেশ থেকে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি, ফ্যাসিস্ট আমলে ইসকন এদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা ইসকনদের জায়গা করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থেকে একদম রুট-লেভেল পর্যন্ত ইসকন পরিকল্পিতভবে তাদের লোকদের ঢুকিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এই বাংলাদেশ থেকে ইসকন'কে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকনকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, এদেশের তাওহীদি জনতা এবং ছাত্র সমাজ কখনো মেনে নিবে না। 'জেন-জি' যদি একবার ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেঁটে-পড়ে তাহলে এই বাংলায় ইসকনের কবর রচিত হতে বাধ্য।'

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘ইসকন এই বিশ্বে ধর্ম প্রচার করছে না বরং তারা ধর্মের ছদ্মবেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রচার এবং প্রসার করার জন্য মাঠে নেমেছে। মুসলিম মা বোনদের নিয়ে তামাশা করছে। ইসকনের মত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। সিঙ্গাপুর আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলা হয়েছে ইসকন তাদের ধর্ম প্রচারের কোন সংগঠন না। তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচার-প্রসারের জন্য এখানে আদা জল খেয়ে নেমেছে।’

মন্তব্য

p
উপরে