বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ক্ষুদ্রঋণ, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষি, আইটিসহ নানামুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে প্রায়ই দক্ষ কর্মীর খোঁজ করে। তাতে এন্ট্রি লেভেলের পদগুলোতে এইচএসসি বা স্নাতক পাস ফ্রেশারদের সুযোগ বেশি দেয়া হয়। ব্যবস্থাপক বা ঊর্ধ্বতন পদগুলোতে অভিজ্ঞদের প্রাধান্যই বেশি। এনজিওর কাজে যোগ দেবার প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিষয়ে জানুন আজকের লেখা থেকে।
কর্মী নিয়োগে এগিয়ে যারা
বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণের সরকারি সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অর্থরিটির (এমআরএ) বেসিক ইনফরমেশন অব এনজিও-এমএফআইএসের ৩০ জুন ২০১৯ তথ্যমতে, সারা দেশে মোট ৭৫৮টি সংস্থায় শুধু ঋণ কর্মসূচিতে নানান পদে কর্মরত রয়েছে ১,৬২,১৭৫ জন কর্মী।
ব্র্যাকের ২০১৬ সালের তথ্যমতে মোট কর্মীর সংখ্যা ৯৭,৭৪২ জন। ঋণ কার্যক্রম, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানামুখী উন্নয়নকাজে প্রতিবছর শিক্ষানবিশ বা এন্ট্রি লেভেলে কর্মী নিয়োগে ব্র্যাক সবচেয়ে এগিয়ে।
জুনিয়র শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা, দাবি, কর্মসূচি সংগঠক (প্রগতি) এবং (দাবি) এসব পদেই সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ দেয় ব্র্যাক।
এমআরএর তথ্যমতে, আশায় ঋণ কার্যক্রমে কর্মরত আছে ২৪,৯২৬ জন। টিএমএসএসে নানান খাতে কর্মরত আছেন প্রায় ১৩,০৪৮ জন কর্মী।
ব্যুরো বাংলাদেশের রয়েছে ৯,৭৮২ জন কর্মী। অপরদিকে কর্মী নিয়োগে এগিয়ে আছেন সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস (এসএসএস), জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, সাজিদা ফাউন্ডেশন, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, উদ্দীপন, পল্লি মঙ্গল কর্মসূচি, শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিস-অ্যাডভানটেজড উইমেন, গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি (গাক), আরডিআরএস, ব্রিজ, পপীসহ এমআরএ সনদপ্রাপ্ত আরও বেশ কিছু সংস্থা।
প্রতিষ্ঠানভেদে যোগ্যতা
জুনিয়র শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা (দাবি), কর্মসূচি সংগঠক (দাবি ও প্রগতি) এসব পদে সবচেয়ে বেশি লোকবল নিয়োগ দেয় ব্র্যাক।
জুনিয়র লোন অফিসার (জুএলও) পদে লোকবল বেশি নেয় আশা।
ব্যুরো বাংলাদেশ কর্মসূচি সংগঠক পদে, টিএমএসএস ক্রেডিট অফিসার পদে, সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস (এসএসএস) অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (ক্রেডিট) পদে, শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিস-অ্যাডভানটেজড উইমেন ক্রেডিট অফিসার পদে এন্ট্রি লেভেলে লোকবল নিয়ে থাকে।
সাজিদা ফাউন্ডেশন ফিল্ড অফিসার পদে এবং জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন অফিসার পদে এন্ট্রি লেভেলে লোকবল নেয়।
এসব প্রতিষ্ঠানে কাজের যোগ্যতা চাওয়া হয় ন্যূনতম স্নাতক পাস।
কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে এন্ট্রি লেভেলে কর্মী নিয়ে থাকে মানবিক সাহায্য সংস্থা। যোগ্যতা থাকতে হয় স্নাতক।
উদ্দীপন ফাস্ট ক্রেডিট অফিসার পদে যোগ্যতা চেয়ে থাকে এইচএসসি পাস। মধ্যম লেভেলের অনেক প্রতিষ্ঠান এন্ট্রি লেভেলের পদগুলোতে এইচএসসি পাস ব্যক্তিদের সুযোগ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া শাখা ব্যবস্থাপক, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য পদগুলোতে স্নাতকোত্তর পাসের পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে থাকে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ।
আবেদনের আগে ভাবুন
গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচির (গাক) পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এন্ট্রি লেভেলে ঋণ সংস্থায় যোগদানের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাঠখড় পোড়ানোর কিছু নেই। স্নাতক পাসের সঙ্গে বেসিক জ্ঞানটা ভালো থাকলে সুযোগ মিলবে কাজের।
তবে সবচেয়ে বড় কথা, সত্যিকার অর্থেই কাজটাকে ভালোবেসে যোগদান করলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
কোথায় পড়ালেখা করে যোগদান করছেন তার চেয়েও বড় হলো, কাজটাকে কতটা আপন মনে করতে পেরেছেন। কাজের সুযোগ পাওয়াটা এখানে সহজ হলেও টিকে থাকা এবং এগিয়ে যাওয়াটাও তুলনামূলকভাবে কঠিন।
কারণ, এখানে নিত্যদিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে টিকে থাকতে হয়। তাই আগে ঠিক করুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তেই কি এই পেশায় আসতে চান? নাকি অন্য কোনো চাকরির সুযোগ না পেয়ে শুধু কিছু আয়-রোজগারে আশায় এই পেশায় আসতে চান।’
এন্ট্রি লেভেলে পরীক্ষা যেমন
টিএমএসএসের পরিচালক (এইচআর-এম অ্যান্ড অ্যাডমিন) শাহাজাদী বেগম জানান ‘এন্ট্রি লেভেলের পদে যোগ্য কর্মী বাছাই ও নির্বাচনে প্রতিষ্ঠানভেদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
অনেক প্রতিষ্ঠান আবার শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমেই যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করে থাকে। এন্ট্রি লেভেলের লিখিত পরীক্ষায় আবার অনেকে রচনামূলক পদ্ধতিতে আবার অনেকে এমসিকিউ (শর্ট) পদ্ধতির পরীক্ষা নিয়ে থাকে।’
জানা যায় লিখিত পরীক্ষায় এনজিও-সম্পর্কিত বিষয়ে নানা ধরনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তবে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করতে হবে, এমন পদগুলোতে ঋণ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়েই বেশি প্রশ্ন আসে।
নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ঋণ কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাধারণত এক ঘণ্টার লিখিত রচনামূলক প্রশ্ন করে থাকে।
লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, সাধারণ গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। বাংলা বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ নানান দিক, বিশেষ করে গদ্য, পদ্য, সাহিত্য এবং নাটক অংশ থেকে অনেক সময় প্রশ্ন করা হয়। এ ছাড়া ব্যাকরণের কমন কিছু অংশ থেকে প্রশ্ন করা হয়।
অনেকে ভাবসম্প্রসারণ, আবার অনেকে রচনা, পত্র ও দরখাস্ত লিখতে দিতে পারে। তাই এসব আগে থেকেই দখলে রাখতে হবে।
হিসাব-সংক্রান্ত কাজ বেশি করতে হবে তাই হিসাববিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়েও ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে।
পাটিগণিতের শতকরা, শতাংশ, সরল, সুদকষা এসবের সঙ্গে হিসাববিজ্ঞানে খুঁটিনাটি বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি বিষয়ে আইকিউ যাচাইয়ে গ্রামার পার্টের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকে প্রশ্ন করে থাকে।
সাধারণ জ্ঞানের নিজের দখল যত ভালো থাকবে তত বেশি নম্বর পাওয়া যাবে।
ভাইভা বোর্ডে করণীয়
মানবিক সাহায্য সংস্থার এইচআরএম বিভাগের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, ‘মৌখিক পরীক্ষায় একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, ঋণ কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক, অর্থনীতির নানান দিক, হিসাবের বিভিন্ন দিক, আর্থসামাজিক বিষয়, দারিদ্র্য বিমোচন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, আইকিউ, প্রেজেন্টেশন স্কিল, মাঠকর্মী হিসেবে কাজের বিষয়, নিজের সম্পর্কে এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। দেখা হয় নিয়মানুবর্তিতাও।
ঋণ কার্যক্রম প্রোগ্রাম বিষয়ে বেশি জানাশোনা থাকতে হবে। ভাইভা বোর্ডে আরও দেখা হয় কাজের আগ্রহ। কেন কাজ করতে চায়, কাজের মানসিকতা, যোগাযোগদক্ষতা, অন্যকে বোঝানোর ক্ষমতা, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাসহ নানান দিক।’
সিনিয়র লেভেলের পদে করনীয়
রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ) এর পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শাখা ব্যবস্থাপক বা তর্ধোধ্ব পদগুলোতে সরাসরি ভাইভার মাধ্যমেই কর্মী নিয়োগ করে থাকে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। তবে কোন কোন প্রতিষ্ঠান লিখিত পরীক্ষাও নিয়ে থাকে।
পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে হিসাবরক্ষক, শাখা ব্যবস্থাপক, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, সহকারী পরিচালকসহ তর্ধোধ্ব পর্যায়ের পদগুলোতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে কাজ করেছেন এমন প্রার্থীদেরই নির্বাচন করা হয়।
কারণ এসব পদে অধিকতর যোগ্য ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। তাই যারা এ নিয়ে কাজ করেছেন তাদের কাজের অংশগুলোই আমরা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যাচাই করি।
এসব পদের প্রার্থীদের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার খুর্টিনাটি বিষয়গুলোর উপর স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে।’
শাহজাদী বেগম জানান, ‘ম্যানেজার পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় ঋণ কার্যক্রম, শাখার হিসাব নিকাশ, উন্নয়ন কার্যক্রম, সুপারভিশন, মনিটরিং, মাইক্রোফিন্যান্স, এমএফআই টার্মস, এনজিও নীতিমালা, পরিচালন, ব্যবস্থাপনা, ইংরেজি এবং সমসাময়িক ইস্যু বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ম্যানেজার লেভেলের পদগুলোর জন্য ঋণ কার্যক্রমের সামগ্রিক বিষয়গুলোর উপর সব সময় ভাল দখল রাখতে হবে। নিয়োগ কর্তারা এখানে ঋণ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকে প্রশ্ন করতে পারে। তেমনি ভাইভা বোর্ডে ঋণ কার্যক্রমের নানা দিক নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে কাজের দক্ষতা জানতে চাইবে। ভাইভা র্বোডেও ঋণ কার্যক্রমের সঠিক উত্তর দেয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।’
বেতন-ভাতা যেমন হয়
প্রতিষ্ঠান ও খাত ভেদে বেতন ভাতা ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষানবিশকালে প্রতিষ্ঠান ভেদে মাসিক শুরু ন্যূনতম ১৫০০০ থেকে।
স্থায়ীকরণে প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন পাওয়া যেতে পারে ২০-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মাসিক বেতন ছাড়াও উৎসব ভাতা, সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে বিধি অনুসারে সিটি ভাতা, জীবন বীমা ভাতা দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও ঋণ কার্যক্রমের সাথে সংপৃক্ত কর্মীদের লোড অ্যালাউন্স, ক্রেডিট অ্যালাউন্স, ব্যাংকার অ্যালাউন্স, হাইপারফরম্যান্স বোনাসসহ বেশ কিছু সুবিধা দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।
মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন:চাকরি স্থায়ী করতে মামলা করেছিলেন উচ্চ আদালতে। আর সেই মামলায় জিততে তৈরি করেছিলেন ভুয়া নথি। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল ৩৭ জনের চাকরি জীবনে। প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ওই ৩৭ জন চতুর্থ শ্রেণির মাস্টাররোল কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
সোমবার দুপুরে কেসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে মঙ্গলবার।
সানজিদা বেগম জানান, এসব কর্মচারী কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রে-ম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়িচালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন। সেখানে তারা বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনের কাগজ সিটি করপোরেশনের রিসিভ করা কপি হিসেবে তারা জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই কাগজপত্র সিটি করপোরেশন কখনোই রিসিভ করেনি।
তিনি বলেন, ‘ওই কাগজপত্রে সিটি করপোরেশনের যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে তা ভুয়া। প্রতারণার এই অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ। ইতোমধ্যে সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে।
‘ফলে ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারব।’
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৭ জন প্রার্থী।
তারও আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাওয়া এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় ওই নিয়োগ আটকে গেছে। ইনস্টিউটটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স এই নিয়োগ আটকে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন লাউঞ্জে সোমবার বিকেল ৩টায় এই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা ওই শিক্ষকের নাম সাজু সাহা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বিভাগেরই এক সাবেক ছাত্রী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
সম্প্রতি সাজু সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে হওয়া নিয়োগ বোর্ড সাজু সাহাসহ চারজনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করে।
সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিজি (বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স) বোর্ডে এটি পাস হওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন রোববার সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি সামনে এনে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা।
বিজি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি এখন রিভিউ করার জন্য সিলেকশন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।’
সিলেকশন বোর্ডের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘বিষয়টি আজ বোর্ড অফ গভর্ন্যান্সে উঠেছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সেখান থেকে এটি আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য।’
এর আগে রোববার নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে বলা হয়, অধ্যাপক সাজু সাহা কাউন্সেলিং করানোর নামে তাকে নিপীড়ন করেছেন উল্লেখ করে সাবেক ওই ছাত্রী বলেন, ‘তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন। আমাকে তার সঙ্গে হুক-আপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ওনার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য রেস্টুরেন্টে আমার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছেন। এসবের ট্রমায় আমি এক সেমিস্টার ক্লাসেও নিয়মিত হতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘এসব আমি এতোদিন উপস্থাপন করার সাহস পাইনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকার ঘটনার পর আমি এগুলো সামনে আনার সাহস পাই।’
সাবেক ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘সাজু সাহা ভয়ে আছেন আমার অভিযোগের ব্যাপারে। কারণ তিনি তো জানেন, তিনি আমার সাথে এসব করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও উনি নিশ্চিত একই কাজ করবেন নারী শিক্ষার্থীদের সাথে। ওনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাড়বো আমি, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
এদিকে সোমবার এই শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে এদিন দুপুরেই ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেন অধ্যাপক সাজু সাহা।
আরও পড়ুন:সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
প্রভাষক হিসেবে একজনকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে।
আবেদনের যোগ্যতা: সব ক্ষেত্রে ইউজিসির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী।
আগ্রহী প্রার্থীদের পূর্ণ বায়োডাটা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট কপি, মার্কশীট, রেফারেন্স লেটার (যদি থাকে) ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ রেজিস্ট্রার বরাবর দরখাস্ত পাঠাতে হবে।
আবেদনের ঠিকানা: কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বি-২০১/১, প্রগতি সরণি, ঢাকা-১২১২
প্রয়োজনে-০১৬৭৫৪৫৭৯১১। ইমেইল[email protected]
আরও পড়ুন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী৷
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিল। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লাখ টাকা দেবে।
‘এরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’
এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বিষয়টি নিয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এ সময় তার পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? এসব জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে।
‘তখন আমি বললাম, চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা তার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে, এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে।
‘এরা আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলছি, আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি, যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠিতে ১২০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে তিন নারী ও ১৪ জন পুরুষসহ ১৭ জন পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন।
ঝালকাঠি পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে শনিবার রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিআরসি পদে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করা হয়।
চাকরি পাওয়া প্রত্যেকে আবেদনের সময় ব্যাংক ড্রাফটে ১২০ টাকা জমা দেন। বাছাই পরীক্ষায় তিন ধাপের পর নিজ যোগ্যতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে টিআরসি পদে স্থান পেয়েছেন তারা। কোনো রকম অর্থ লেনদেন ছাড়াই মেধা যাচাই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন।
উত্তীর্ণদের পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং ও চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল।
এসপি বলেন, “‘চাকরি নয় সেবা’ স্লোগানে স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হয়। পুলিশের চাকরি পেতে টাকা-পয়সা লাগে না। সন্তানের চাকরির জন্য অভিভাবকদের জমিজমা বিক্রি করতে হবে না।
“পুলিশকে আধুনিক ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান আইজিপির চেষ্টায় পুলিশের সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি পুলিশের মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৭ জন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছেন।’
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান আহমেদ।
নিয়োগ সংশ্লিষ্ট বরাতে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফ্রেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলা থেকে আসা ৬০৫ নারী ও পুরুষ পুলিশের টিআরসি পদের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। প্রথম ধাপে বাছাইয়ে টিকে ১৮৯ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখান থেকে ৫২ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সব পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে কোটা নির্ধারণ করে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ প্রার্থীকে চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণদের নাম ও রোল নম্বর ঘোষণার পর নিয়োগ পাওয়া ১৭ জনকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
মন্তব্য