× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

চাকরি-ক্যারিয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের আকর্ষণীয় হামফ্রে ফেলোশিপ আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ
google_news print-icon

যুক্তরাষ্ট্রের আকর্ষণীয় হামফ্রে ফেলোশিপ: আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ

যুক্তরাষ্ট্রের-আকর্ষণীয়-হামফ্রে-ফেলোশিপ-আবেদনের-সময়সীমা-শেষ-হচ্ছে-আজ
আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাাশি এ কথাও জানাতে হবে যে, তিনি কীভাবে এই ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন, যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তার নেই।

আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রদেয় আকর্ষণীয় বৃত্তি কর্মসূচি হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ ২০২২-২৩ সেশনের আবেদন গ্রহণের সময় শেষ হতে চলেছে। ওই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে আগ্রহী অনেকে এরই মধ্যে আবেদন করেছে। যারা কোনো কারণে এখনো জমা করতে পারেননি তাদের জন্য ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শেষ সময়ের কল-টাইপ একটি বার্তা প্রচার করেছে।

বার্তাটি ছিল এমন, ‘আপনি কি পেশাগত উন্নয়ন অভিজ্ঞতায় আগ্রহী মধ্যপর্যায়ের পেশাজীবীদের একজন? ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আনন্দের সাথে হিউবার্ট এইচ. হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন আহ্বান করছে যার আওতায় নেতৃত্ব বিকাশ ও পেশাগত সহযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক বছরের ডিগ্রিবিহীন অধ্যয়ন কার্যক্রম রয়েছে। আজই আবেদন করুন!’ ১ জুলাই প্রচারিত ওই ফেসবুক বার্তায় হামফ্রে ফেলোশিপের বিস্তারিত তুলে এটা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আবেদনপত্র অবশ্যই পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা ৩ জুলাই অর্থাৎ আজকের (শনিবার) মধ্যে জমা করতে হবে। নিউজবাংলার পাঠক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য হামফ্রে ফেলোশিপ-সংক্রান্ত দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিটির প্রায় হুবহু প্রকাশ করা হলো-

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেকশন আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণেচ্ছুদের বার্ষিক প্রতিযোগিতার আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হয়েছে। অদ্বিতীয় এই ফেলোশিপ এক বছর মেয়াদি এবং এটি সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও সংস্থায় কর্মরত পেশাজীবীদের জন্য উন্মুক্ত।

হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম ফুলব্রাইট কার্যক্রম; যার মাধ্যমে মেধাবী তরুণ ও মধ্যপর্যায়ের পেশাজীবীগণ যুক্তরাষ্ট্রে ডিগ্রিবিহীন এক বছরের স্নাতক-স্তরের শিক্ষা গ্রহণ, নেতৃত্বের উন্নয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পান।

এই কর্মসূচি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও নীতিনির্ধারকদের যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, সংস্কৃতি ও পেশাগত ক্ষেত্রগুলোর সঙ্গে পরিচিত করার মাধ্যমে আমেরিকানদের সঙ্গে বিদেশি পেশাজীবীদের একটি স্থায়ী ও ফলপ্রসূ সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। হামফ্রে কর্মসূচিটি প্রয়াত সিনেটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিউবার্ট এইচ হামফ্রের স্মৃতি ও কৃতিত্বের প্রতি সম্মান জানাতে ১৯৭৮ সাল থেকে চালু করা হয়েছে।

এই ফেলোশিপের জন্য জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতে কর্মরত পেশাজীবী প্রার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে বাছাই করা হয়।

ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত বিষয়/খাতসমূহ:

মানব ও প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য: অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জননীতি বিশ্লেষণ ও জনপ্রশাসন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা।

অধিকার ও স্বাধীনতা: যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা, আইন ও মানবাধিকার, মানব পাচার নীতি ও প্রতিরোধ।

টেকসই ভূমি: কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশগত নীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা।

সমৃদ্ধিশালী সম্প্রদায়: ছোঁয়াচে ও সংক্রামক রোগ, জনস্বাস্থ্য নীতি ও ব্যবস্থাপনা, এইচআইভি/এইডস, নীতি ও প্রতিরোধ, মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রশাসন, পরিকল্পনা ও নীতি, উচ্চশিক্ষা প্রশাসন, বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানো।

এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে হলে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলো পূরণ করতে হবে:

বাংলাদেশি নাগরিক এবং আবেদন করা ও আবেদনপত্র বাছাইপ্রক্রিয়া চলাকালীন বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে। দ্বৈত নাগরিক (বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যাবে না।

আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্যপর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে, যার জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এমন কেউ হতে পারবেন না।

পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (২০২২ সালের আগস্টের আগে) এবং তাদের শিক্ষা ও কাজসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নীতিগত দিকগুলোতে আগ্রহ থাকতে হবে।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা একাডেমিক গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না, তাদের অবশ্যই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবেন যদি কেউ মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক শিক্ষা, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব পালন করেন)।

২০২২ সালের আগস্ট মাসের পূর্ববর্তী সাত বছরের মধ্যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোন স্নাতক স্কুলে এক শিক্ষাবর্ষ বা তার বেশি সময়ের জন্য লেখাপড়ায় অংশ নিয়ে থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য অযোগ্য হবেন।

২০২২ সালের আগস্টের পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য যোগ্য হবেন না।

ইংরেজি লেখা ও কথা বলা উভয় ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং টোফেল স্কোর কমপক্ষে ৫২৫ (পেপারভিত্তিক) কিংবা ৭১ (ইন্টারনেটভিত্তিক) হতে হবে। প্রার্থীদের যাদের টোফেল স্কোরের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে টোফেল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। (আমেরিকান সেন্টার কেবল নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য টোফেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থীরা যদি টোফেলে কম স্কোর পান তাহলে তাদের দীর্ঘমেয়াদি ইংরেজি প্রশিক্ষণের (এলটিই) জন্য মনোনীত করা হতে পারে।

আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাাশি এ কথাও জানাতে হবে যে, তিনি কীভাবে এই ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন, যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তার নেই।

সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সফল প্রার্থীদের মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হবে।

ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।

ফেলোশিপ কর্মসূচির জন্য একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে যে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে: https://apply.iie.org/huberthhumphrey/ এই কর্মসূচি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন: https:/www.humphreyfellowship.org/

হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম এর আবেদনপত্র ব্যবহারের অনুমতি পেতে (অ্যাক্সেস পেতে) একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রথমে একটি আইআইই (IIE) অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। একজন আবেদনকারী একবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর হামফ্রে ফেলোশিপের আবেদন প্রক্রিয়ায় যতোবার দরকার হবে এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন। তিনি আবেদনপত্রের যতটুকু পূরণ করবেন, সেটা সেইভ করে লগ আউট করতে পারবেন। আবার লগ ইন করে বাকি আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন। আবেদনকারীকে আবেদনপত্র পূরণের সকল নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় মোট শব্দ-সীমার দিকে খেয়াল রেখে যতোটা সম্ভব পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

আবেদনপত্রের যাবতীয় কাজ শেষ করার পর এবং আবেদনপত্র জমা দেয়ার আগে আবেদনকারী আরেকবার সবকিছু পড়ে নিশ্চিত হবেন যে, তিনি সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করেছেন, সকল প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন এবং যে সকল কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে সংযুক্ত করেছেন। একবার আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর আবেদনকারী তার জমা দেয়া সব কাগজপত্র অনলাইনে দেখতে পারবেন ঠিকই, কিন্তু তিনি সেগুলো আর সম্পাদনা করতে পারবেন না। শুধুমাত্র নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পূরণকৃত আবেদনপত্রগুলো পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিবেচিত হবে।

পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩ জুলাই, ২০২১।

ফেলোশিপ সম্পর্কে আরও তথ্যের প্রয়োজনে অনুগ্রহপূর্বক প্রফেশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিজ সৈয়দা কাশফি চৌধুরীর সঙ্গে [email protected] ই-মেইলে যোগাযোগ করুন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

চাকরি-ক্যারিয়ার
37 workers were cheated to keep their jobs
খুলনা সিটি করপোরেশন

চাকরি স্থায়ী করতে প্রতারণার আশ্রয়, কপাল পুড়ল ৩৭ কর্মীর

চাকরি স্থায়ী করতে প্রতারণার আশ্রয়, কপাল পুড়ল ৩৭ কর্মীর
খুলনা সিট করপোরেশনের সচিব সানজিদা বেগম জানান, এসব কর্মচারী চাকরি স্থায়ী করার জন্য উচ্চ আদালতে মামলা করেন। সেখানে তারা বেশ কিছু ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতারণার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

চাকরি স্থায়ী করতে মামলা করেছিলেন উচ্চ আদালতে। আর সেই মামলায় জিততে তৈরি করেছিলেন ভুয়া নথি। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল ৩৭ জনের চাকরি জীবনে। প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ওই ৩৭ জন চতুর্থ শ্রেণির মাস্টাররোল কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।

সোমবার দুপুরে কেসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে মঙ্গলবার।

সানজিদা বেগম জানান, এসব কর্মচারী কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রে-ম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়িচালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন। সেখানে তারা বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনের কাগজ সিটি করপোরেশনের রিসিভ করা কপি হিসেবে তারা জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই কাগজপত্র সিটি করপোরেশন কখনোই রিসিভ করেনি।

তিনি বলেন, ‘ওই কাগজপত্রে সিটি করপোরেশনের যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে তা ভুয়া। প্রতারণার এই অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
The result of the third phase immediately after Eid

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল ফাইল ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতেও দেরি হবে। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই ফল প্রকাশ করতে পারব।’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ। ইতোমধ্যে সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে।

‘ফলে ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারব।’

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৭ জন প্রার্থী।

তারও আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী
৫০ জনের কম শিক্ষার্থীর স্কুল পাশের প্রাথমিকে একীভূত হবে

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Sajus appointment as a teacher in DU was blocked due to allegations of sexual harassment

যৌন হয়রানির অভিযোগ, আটকে গেল ঢাবিতে শিক্ষক পদে সাজু সাহার নিয়োগ

যৌন হয়রানির অভিযোগ, আটকে গেল ঢাবিতে শিক্ষক পদে সাজু সাহার নিয়োগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা। ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য মনোনীত সাজা সাহা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন ওই বিভাগেরই এক সাবেক ছাত্রী। বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা রোববার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাওয়া এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় ওই নিয়োগ আটকে গেছে। ইনস্টিউটটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স এই নিয়োগ আটকে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন লাউঞ্জে সোমবার বিকেল ৩টায় এই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা ওই শিক্ষকের নাম সাজু সাহা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বিভাগেরই এক সাবেক ছাত্রী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।

সম্প্রতি সাজু সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে হওয়া নিয়োগ বোর্ড সাজু সাহাসহ চারজনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করে।

সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিজি (বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স) বোর্ডে এটি পাস হওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন রোববার সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি সামনে এনে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা।

বিজি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি এখন রিভিউ করার জন্য সিলেকশন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।’

সিলেকশন বোর্ডের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘বিষয়টি আজ বোর্ড অফ গভর্ন্যান্সে উঠেছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সেখান থেকে এটি আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য।’

এর আগে রোববার নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে বলা হয়, অধ্যাপক সাজু সাহা কাউন্সেলিং করানোর নামে তাকে নিপীড়ন করেছেন উল্লেখ করে সাবেক ওই ছাত্রী বলেন, ‘তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন। আমাকে তার সঙ্গে হুক-আপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ওনার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য রেস্টুরেন্টে আমার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছেন। এসবের ট্রমায় আমি এক সেমিস্টার ক্লাসেও নিয়মিত হতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘এসব আমি এতোদিন উপস্থাপন করার সাহস পাইনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকার ঘটনার পর আমি এগুলো সামনে আনার সাহস পাই।’

সাবেক ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘সাজু সাহা ভয়ে আছেন আমার অভিযোগের ব্যাপারে। কারণ তিনি তো জানেন, তিনি আমার সাথে এসব করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও উনি নিশ্চিত একই কাজ করবেন নারী শিক্ষার্থীদের সাথে। ওনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাড়বো আমি, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’

এদিকে সোমবার এই শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে এদিন দুপুরেই ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেন অধ্যাপক সাজু সাহা।

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে নিয়োগ পাচ্ছেন জাবিতে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষক

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Canadian University of Bangladesh will take social science teacher

সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক নেবে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক নেবে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
প্রভাষক হিসেবে একজনকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

প্রভাষক হিসেবে একজনকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে।

আবেদনের যোগ্যতা: সব ক্ষেত্রে ইউজিসির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী।

আগ্রহী প্রার্থীদের পূর্ণ বায়োডাটা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট কপি, মার্কশীট, রেফারেন্স লেটার (যদি থাকে) ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ রেজিস্ট্রার বরাবর দরখাস্ত পাঠাতে হবে।

আবেদনের ঠিকানা: কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বি-২০১/১, প্রগতি সরণি, ঢাকা-১২১২

প্রয়োজনে-০১৬৭৫৪৫৭৯১১। ইমেইল[email protected]

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
EB offers exceptional bribe to VC

ইবি উপাচার্যকে ব্যতিক্রমী ঘুষের প্রস্তাব

ইবি উপাচার্যকে ব্যতিক্রমী ঘুষের প্রস্তাব ফাইল ছবি
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী৷

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিল। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লাখ টাকা দেবে।

‘এরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’

এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বিষয়টি নিয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এ সময় তার পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? এসব জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে।

‘তখন আমি বললাম, চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা তার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দেন।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে, এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে।

‘এরা আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলছি, আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি, যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
বাংলায় ক্লাস নেয়ায় বিপাকে ইবির বিদেশি শিক্ষার্থীরা, সংকট আছে আরও
সংবাদ প্রকাশে ইবির প্রথম শহিদ মিনারের শ্রী ফিরছে
ইবিতে গাছ কেটে হচ্ছে মুক্তমঞ্চ, ক্ষুব্ধ অনেকে
বাসে বসা নিয়ে ইবি শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Three women and 14 men got police jobs in Jhalkathi for Rs 120

ঝালকাঠিতে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি ১৭ জনের   

ঝালকাঠিতে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি ১৭ জনের    ঝালকাঠিতে টিআরসি পদে নিয়োগ পাওয়া তিন নারী ও ১৪ পুরুষকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা
চাকরি পাওয়া প্রত্যেকে আবেদনের সময় ব্যাংক ড্রাফটে ১২০ টাকা জমা দেন। বাছাই পরীক্ষায় তিন ধাপের পর নিজ যোগ্যতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে টিআরসি পদে স্থান পেয়েছেন তারা। কোনো রকম অর্থ লেনদেন ছাড়াই মেধা যাচাই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন।

ঝালকাঠিতে ১২০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে তিন নারী ও ১৪ জন পুরুষসহ ১৭ জন পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন।

ঝালকাঠি পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে শনিবার রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিআরসি পদে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করা হয়।

চাকরি পাওয়া প্রত্যেকে আবেদনের সময় ব্যাংক ড্রাফটে ১২০ টাকা জমা দেন। বাছাই পরীক্ষায় তিন ধাপের পর নিজ যোগ্যতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে টিআরসি পদে স্থান পেয়েছেন তারা। কোনো রকম অর্থ লেনদেন ছাড়াই মেধা যাচাই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন।

উত্তীর্ণদের পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং ও চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল।

এসপি বলেন, “‘চাকরি নয় সেবা’ স্লোগানে স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হয়। পুলিশের চাকরি পেতে টাকা-পয়সা লাগে না। সন্তানের চাকরির জন্য অভিভাবকদের জমিজমা বিক্রি করতে হবে না।

“পুলিশকে আধুনিক ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান আইজিপির চেষ্টায় পুলিশের সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি পুলিশের মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৭ জন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছেন।’

ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান আহমেদ।

নিয়োগ সংশ্লিষ্ট বরাতে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফ্রেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলা থেকে আসা ৬০৫ নারী ও পুরুষ পুলিশের টিআরসি পদের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। প্রথম ধাপে বাছাইয়ে টিকে ১৮৯ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখান থেকে ৫২ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সব পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে কোটা নির্ধারণ করে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ প্রার্থীকে চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণদের নাম ও রোল নম্বর ঘোষণার পর নিয়োগ পাওয়া ১৭ জনকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
The third phase exam for the recruitment of assistant teachers is on March 29

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ ফাইল ছবি।
প্রার্থীদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে। প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ, শুক্রবার। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আবেদনকারী প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।

তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেক্ট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো ধরনের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে