ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ৩১ আগস্টের মধ্যে ডাকে অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
গ্রুপ এ, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেশিন অপারেটর মিল রাইট (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেশিন অপারেটর মিল রাইট (ক্রেইন, লিফট) (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার স্টোরস (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার অ্যাসকেলেটর (৬ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার পি-ওয়ে (৭ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ট্রাক মেশিনারি (২ জন) ও অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টোর কিপার (১ জন)।
গ্রুপ বি, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (৬ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, ডোর) (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, বগি) (৫ জন) ও সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, নিউমেটিকস) (৪ জন)।
গ্রুপ সি, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, এয়ারকন) (৫ জন)।
গ্রুপ ডি, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (৯ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন মনিটরিং) (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইলেকট্রিক্যাল) (৫ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইলেকট্রিক্যাল) (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওসিএস (৭ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সাবস্টেশন অ্যান্ড সুইচগিয়ার (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার আরএসএস (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার আরএসএস (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার এসসিএডিএ ওসিসি (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম ইউটিএন (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম শেওড়াপাড়া (৪ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম মতিঝিল (৪ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার লিফট (৪ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সিগন্যালিং মতিঝিল (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সিগন্যালিং ইউটিএন (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সিগন্যালিং ডিপোট ওসিসি (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার পিএসডি মতিঝিল (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার পিএসডি ইউটিএন (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার টেলিকম অ্যান্ড এএফসি ইউটিএন (৫ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার টেলিকম অ্যান্ড এএফসি মতিঝিল (৫ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার টেলিকম অ্যান্ড এএফসি ডিপোট (১ জন)।
গ্রুপ ই, বেতন স্কেল ১৬
সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস ইউটিএন (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস মিরপুর (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস ফার্মগেট (১ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস মতিঝিল (১ জন)।
গ্রুপ এফ, বেতন স্কেল ১৬
সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস প্ল্যানিং / ট্রেনিং) (১ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (১ জন)।
গ্রুপ জি, বেতন স্কেল ১৬
সেমি স্কিল্ড ড্রাইভার (সিএমভি) (১ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম ডিপোট (১ জন)।
প্রার্থীকে নতুন ফরম অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। নমুনা ফরম পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার নাম ও সিলযুক্ত) কর্তৃক সত্যায়িত করে আবেদনপত্রে সংযুক্ত করতে হবে।
ক. সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি রঙিন ছবি।
খ. জাতীয় পরিচয়পত্রের ছায়ালিপি।
গ. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ছায়ালিপি।
আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদির মূল কপি সংযুক্ত করতে হবে। ক. প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র।
খ. প্রার্থীর নিজ এলাকার স্থানীয় পরিষদ প্রধান (যেমন: সিটি করপোরেশন মেয়র বা কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র বা কমিশনার অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান) কর্তৃক প্রদত্ত স্থায়ী ঠিকানার সনদপত্র।
শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো পর্যায়ে ৩য় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ প্রাপ্তদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
পরীক্ষার ফি বাবদ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অনুকূলে ৫০০ টাকার পে-অর্ডার / ব্যাংক ড্রাফট (অফেরতযোগ্য) সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখা হতে মূল কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রে উল্লিখিত জন্মতারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। বয়সের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেফিট গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রার্থীদের ১ জুলাই ২০২১ বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর। মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ বছর।
নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ পরিপত্র অনুসরণ করা হবে। কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের সর্বশেষ সরকারি বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা (কর্মকর্তার নাম ও সিলযুক্ত) কর্তৃক সত্যায়িত করে আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই দাখিল করতে হবে। অন্যথায় কোটার সুযোগ প্রদান করা হবে না।
পদের কর্মের প্রকৃতিগত কারণে কোন কোন পদে প্রতিবন্ধী প্রার্থী নিয়োগ করা যাবে তা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
একজন প্রার্থী কেবল একটি গ্রুপের বিপরীতে যেকোনো পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থী গ্রুপের যে পদের জন্যই আবেদন করুক না কেন প্রার্থী এ গ্রুপের সকল পদের জন্য আবেদন করেছেন বলে বিবেচিত হবেন। গ্রুপের মধ্যে মেধাতালিকা ও কোটার ভিত্তিতে প্রার্থীর নির্বাচন চূড়ান্ত করা হবে।
খামের ওপর বাঁদিকে গ্রুপের নাম, পোস্ট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-৮ উল্লেখ করতে হবে।
সরকারি / আধা-সরকারি / স্বায়ত্তশাসিত / কোম্পানি / প্রকল্পে কর্মরত আগ্রহী প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কোনো অগ্রিম কপি গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর কেবল উপযুক্ত বিবেচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হবে। শুধু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের কোনো প্রকার টিএ / ডিএ প্রদান করা হবে না।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীকে কোম্পানির নির্ধারিত চিকিৎসক / চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
লিখিত পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিসহ কলম / পেনসিল / অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশপত্রে প্রদত্ত নির্দেশনা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
মৌখিক পরীক্ষার সময় অবশ্যই প্রার্থীদের সকল মূল সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই ও নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে পদসংখ্যা হ্রাস / বৃদ্ধি করতে পারবে।
যেকোনো বা সকল দরখাস্ত বা নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করার ক্ষমতা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সরকারি বিধিবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন কোনো শর্ত পরিবর্তন বা অতিরিক্ত শর্ত সংযোজন করতে পারবে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধন বা সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীকে কোম্পানিতে যোগদানের সময় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা ও মুচলেকা সম্পাদন করতে হবে।
কোনো তথ্য গোপন করে বা ভুল তথ্য প্রদান করে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নিয়োগাদেশ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যেকোনো ধরনের তদবির বা ব্যক্তিগত যোগাযোগ প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে।
আবেদনপত্র আগামী ৩১ আগস্ট ২০২১ অফিস চলাকালীন কেবল ডাকযোগে বা কুরিয়ার সার্ভিসে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, লেভেল-১৪, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১০০০-এর বরাবরে পৌঁছাতে হবে।
হাতে হাতে কোনো দরখাস্ত দাখিল করা যাবে না।
নির্ধারিত সময়ের পর প্রাপ্ত কোনো আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রার্থীকে নিজ, বর্তমান ঠিকানা স্পষ্টভাবে ৯ ইঞ্চি X ৪ ইঞ্চি আকারের খামের ওপরে লিখে বা টাইপ করে ১০ টাকা মূল্যমানের অব্যবহৃত ডাকটিকিট লাগিয়ে আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
ওপরের শর্তসমূহ পূরণকারী নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও আবেদন করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রমাণপত্রের ছায়ালিপি সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশন হতে সত্যায়িত করে আবেদনের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
ওপরের শর্তসমূহ পূরণকারী তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম ডিএমটিসিএল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীকে চাকরিতে যোগদানের সময় তিন কপি পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করে দাখিল করতে হবে।
প্রথমে দুই বছরের প্রবেশনে (শিক্ষানবিশকাল) নিয়োগ প্রদান করা হবে। শিক্ষানবিশকালে কর্মসক্ষমতা ও দক্ষতা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন সন্তোষজনক না হলে কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
প্রবেশনকাল সফলতার সাথে সম্পন্ন করলে চাকরি নিশ্চিত করে পরবর্তী ০৫ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হবে। ব্যক্তিগত কর্মসক্ষমতা ও দক্ষতা মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তীতে নিয়মিত চাকরি চুক্তি নবায়ন করা হবে।
আবেদনের ঠিকানা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, লেভেল-১৪, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১০০০।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিনকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাস্টি মনসুর আহমেদ চৌধুরী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদায়ী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
আর টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন দুই সদস্য হয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মনজুর হাসান এবং নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ তাহেরা ইয়াসমিন।
তাছাড়া টিআইবির অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফারুক আহমেদ। অডিট কমিটির অপর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কম্পট্রোলার জেনারেল, ডিফেন্স ফাইন্যান্স মোতাহার হোসেইন।
টিআইবি’র নতুন চেয়ারপারসন মনসুর আহমেদ চৌধুরী বহুল আলোচিত ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’-এর উদ্যোক্তা। মানবাধিকার বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের অধিকারের নিশ্চয়তাসহ তাদের জীবন-মানের সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজ করছেন।
‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম’ গঠনে মনসুর আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবন্ধীবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে (২০০৯-১২ মেয়াদে) দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নিরাফাত আনাম মেমোরিয়াল ইনক্লুশন পদক, সিলেট রত্ন পদক, আজীবন সম্মাননা (সিঙ্গার বাংলাদেশ ও চ্যানেল আই) এবং সিনিয়র অশোকা ফেলোশিপ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য ব্যারিস্টার মনজুর হাসান বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টিআইবির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি ব্র্যাকের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ‘অফিসার অফ দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)’ উপাধিতে ভূষিত হন।
বোর্ডের আরেক নতুন সদস্য তাহেরা ইয়াসমিন নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং সুশাসন বিশেষজ্ঞ। তিনি অক্সফাম, কেয়ার এবং জিআইজেড-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিআইজেড-এর রুল অব ল’র অপারেশন পরিচালক এবং অ্যাকসেস টু জাস্টিস ফর উইম্যান প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেসরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন খাতে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ট্রাস্টি বোর্ড টিআইবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। বোর্ডের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক; দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কোষাধ্যক্ষ।
সদস্যবৃন্দ হলেন- সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, সোসাইটি অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড)-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফিলিপ গাইন, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী বনশ্রী পাল এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব করা হয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ড. নাসিমুল গনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। চার বছর ওএসডি থাকার পর ২০১৩ সালে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্যে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।
‘৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য (লিখিত ও মৌখিক) উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদে নিয়োগবঞ্চিত ১৯১৯ জন চিকিৎসককে ন্যায্য নিয়োগ’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকরা বলেন, ২০২১ সালে ৪২তম বিসিএসের ফলাফলে পর্যাপ্ত পদ না থাকায় এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবঞ্চিত হয়ে আছেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা বৈষম্যের শিকার। স্বাস্থ্য অধিদফতর নীতিগতভাবে দ্রুত দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই এক্ষেত্রে ৪২তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
তারা বলেন, দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চরম চিকিৎসক সংকট রয়েছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
সাধারণ বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, বর্তমানে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস প্রক্রিয়াধীন। ৪২তম বিসিএসের পরে আর কোনো চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। তাই দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক সংকট নিরসনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও এবি পার্টির আহ্বায়ক মেজর (অব.) অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডা. ফারজানা সাথী, ডা. মো. রেজওয়ান কবীরসহ ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকরা।
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। তা চলবে আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রার্থীদের আবেদন ফি দুশ’ টাকা।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরুর একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অনলাইনে আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করে পিএসসি।
সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনা করতে কমিটি গঠন করেছে সরকার। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের কর্মে নিয়োজিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ‘মহার্ঘ ভাতা’ সংস্থানের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ-সচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের সই করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য