ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ৩১ আগস্টের মধ্যে ডাকে অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
গ্রুপ এ, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেশিন অপারেটর মিল রাইট (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেশিন অপারেটর মিল রাইট (ক্রেইন, লিফট) (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার স্টোরস (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার অ্যাসকেলেটর (৬ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার পি-ওয়ে (৭ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ট্রাক মেশিনারি (২ জন) ও অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টোর কিপার (১ জন)।
গ্রুপ বি, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (৬ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, ডোর) (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, বগি) (৫ জন) ও সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, নিউমেটিকস) (৪ জন)।
গ্রুপ সি, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস মেকানিক্যাল, এয়ারকন) (৫ জন)।
গ্রুপ ডি, বেতন স্কেল ১৬
পদের নাম সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (৯ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন মনিটরিং) (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইলেকট্রিক্যাল) (৫ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইলেকট্রিক্যাল) (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওসিএস (৭ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সাবস্টেশন অ্যান্ড সুইচগিয়ার (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার আরএসএস (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার আরএসএস (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার এসসিএডিএ ওসিসি (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম ইউটিএন (৩ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম শেওড়াপাড়া (৪ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম মতিঝিল (৪ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার লিফট (৪ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সিগন্যালিং মতিঝিল (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সিগন্যালিং ইউটিএন (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার সিগন্যালিং ডিপোট ওসিসি (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার পিএসডি মতিঝিল (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার পিএসডি ইউটিএন (২ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার টেলিকম অ্যান্ড এএফসি ইউটিএন (৫ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার টেলিকম অ্যান্ড এএফসি মতিঝিল (৫ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার টেলিকম অ্যান্ড এএফসি ডিপোট (১ জন)।
গ্রুপ ই, বেতন স্কেল ১৬
সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস ইউটিএন (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস মিরপুর (১ জন), সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস ফার্মগেট (১ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ওয়ার্কস মতিঝিল (১ জন)।
গ্রুপ এফ, বেতন স্কেল ১৬
সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস প্ল্যানিং / ট্রেনিং) (১ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার (আরএস ইন্সপেকশন) (১ জন)।
গ্রুপ জি, বেতন স্কেল ১৬
সেমি স্কিল্ড ড্রাইভার (সিএমভি) (১ জন) এবং সেমি স্কিল্ড মেনটেইনার ইঅ্যান্ডএম ডিপোট (১ জন)।
প্রার্থীকে নতুন ফরম অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। নমুনা ফরম পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদি (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার নাম ও সিলযুক্ত) কর্তৃক সত্যায়িত করে আবেদনপত্রে সংযুক্ত করতে হবে।
ক. সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি রঙিন ছবি।
খ. জাতীয় পরিচয়পত্রের ছায়ালিপি।
গ. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ছায়ালিপি।
আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত কাগজপত্রাদির মূল কপি সংযুক্ত করতে হবে। ক. প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র।
খ. প্রার্থীর নিজ এলাকার স্থানীয় পরিষদ প্রধান (যেমন: সিটি করপোরেশন মেয়র বা কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র বা কমিশনার অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান) কর্তৃক প্রদত্ত স্থায়ী ঠিকানার সনদপত্র।
শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো পর্যায়ে ৩য় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ প্রাপ্তদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
পরীক্ষার ফি বাবদ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অনুকূলে ৫০০ টাকার পে-অর্ডার / ব্যাংক ড্রাফট (অফেরতযোগ্য) সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখা হতে মূল কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রে উল্লিখিত জন্মতারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। বয়সের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেফিট গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রার্থীদের ১ জুলাই ২০২১ বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর। মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ বছর।
নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ পরিপত্র অনুসরণ করা হবে। কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের সর্বশেষ সরকারি বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা (কর্মকর্তার নাম ও সিলযুক্ত) কর্তৃক সত্যায়িত করে আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই দাখিল করতে হবে। অন্যথায় কোটার সুযোগ প্রদান করা হবে না।
পদের কর্মের প্রকৃতিগত কারণে কোন কোন পদে প্রতিবন্ধী প্রার্থী নিয়োগ করা যাবে তা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
একজন প্রার্থী কেবল একটি গ্রুপের বিপরীতে যেকোনো পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থী গ্রুপের যে পদের জন্যই আবেদন করুক না কেন প্রার্থী এ গ্রুপের সকল পদের জন্য আবেদন করেছেন বলে বিবেচিত হবেন। গ্রুপের মধ্যে মেধাতালিকা ও কোটার ভিত্তিতে প্রার্থীর নির্বাচন চূড়ান্ত করা হবে।
খামের ওপর বাঁদিকে গ্রুপের নাম, পোস্ট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-৮ উল্লেখ করতে হবে।
সরকারি / আধা-সরকারি / স্বায়ত্তশাসিত / কোম্পানি / প্রকল্পে কর্মরত আগ্রহী প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কোনো অগ্রিম কপি গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর কেবল উপযুক্ত বিবেচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হবে। শুধু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের কোনো প্রকার টিএ / ডিএ প্রদান করা হবে না।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীকে কোম্পানির নির্ধারিত চিকিৎসক / চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
লিখিত পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিসহ কলম / পেনসিল / অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশপত্রে প্রদত্ত নির্দেশনা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
মৌখিক পরীক্ষার সময় অবশ্যই প্রার্থীদের সকল মূল সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই ও নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে পদসংখ্যা হ্রাস / বৃদ্ধি করতে পারবে।
যেকোনো বা সকল দরখাস্ত বা নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করার ক্ষমতা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সরকারি বিধিবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় এমন কোনো শর্ত পরিবর্তন বা অতিরিক্ত শর্ত সংযোজন করতে পারবে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধন বা সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীকে কোম্পানিতে যোগদানের সময় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা ও মুচলেকা সম্পাদন করতে হবে।
কোনো তথ্য গোপন করে বা ভুল তথ্য প্রদান করে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নিয়োগাদেশ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যেকোনো ধরনের তদবির বা ব্যক্তিগত যোগাযোগ প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে।
আবেদনপত্র আগামী ৩১ আগস্ট ২০২১ অফিস চলাকালীন কেবল ডাকযোগে বা কুরিয়ার সার্ভিসে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, লেভেল-১৪, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১০০০-এর বরাবরে পৌঁছাতে হবে।
হাতে হাতে কোনো দরখাস্ত দাখিল করা যাবে না।
নির্ধারিত সময়ের পর প্রাপ্ত কোনো আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রার্থীকে নিজ, বর্তমান ঠিকানা স্পষ্টভাবে ৯ ইঞ্চি X ৪ ইঞ্চি আকারের খামের ওপরে লিখে বা টাইপ করে ১০ টাকা মূল্যমানের অব্যবহৃত ডাকটিকিট লাগিয়ে আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
ওপরের শর্তসমূহ পূরণকারী নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরাও আবেদন করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রমাণপত্রের ছায়ালিপি সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশন হতে সত্যায়িত করে আবেদনের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
ওপরের শর্তসমূহ পূরণকারী তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম ডিএমটিসিএল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীকে চাকরিতে যোগদানের সময় তিন কপি পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করে দাখিল করতে হবে।
প্রথমে দুই বছরের প্রবেশনে (শিক্ষানবিশকাল) নিয়োগ প্রদান করা হবে। শিক্ষানবিশকালে কর্মসক্ষমতা ও দক্ষতা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন সন্তোষজনক না হলে কোনো প্রকার কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
প্রবেশনকাল সফলতার সাথে সম্পন্ন করলে চাকরি নিশ্চিত করে পরবর্তী ০৫ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হবে। ব্যক্তিগত কর্মসক্ষমতা ও দক্ষতা মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তীতে নিয়মিত চাকরি চুক্তি নবায়ন করা হবে।
আবেদনের ঠিকানা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, লেভেল-১৪, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা-১০০০।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। আগামী তিন বছরের জন্য এই পদে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়। বিকেলে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন।
মোহাম্মদ ইউনুছ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সদস্য সচিব।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার (২৪ এপ্রিল)। ২০১৯ সাল থেকে দুই মেয়াদে টানা পাঁচ বছর এই পদে ছিলেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই পদে চুক্তিভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে আসছে সরকার। মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম টানা ১০ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দেয়া হয় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষকে।
চিটাগাং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ কে যুগোপযোগী করে ২৯ জুলাই ২০১৮ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনের ৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে- চেয়ারম্যান বা বোর্ড সদস্য হিসেবে কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগলাভের জন্য বলে বিবেচিত হবেন না। জহিরুল আলম দোভাষ ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম মেয়াদে দুই বছরের জন্য ও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
সিডিএ’র উপ-সচিব অমল কান্তি গুহ বলেন, ‘দুপুরে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আমরা পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী, নতুন চেয়ারম্যান মহোদয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে এরপর সিডিএ কার্যালয়ে আসবেন।’
মোহাম্মদ ইউনুছ প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভাবশিষ্য হিসেবে পরিচিত। সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ইউনুছ বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।
মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন:চাকরি স্থায়ী করতে মামলা করেছিলেন উচ্চ আদালতে। আর সেই মামলায় জিততে তৈরি করেছিলেন ভুয়া নথি। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল ৩৭ জনের চাকরি জীবনে। প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ওই ৩৭ জন চতুর্থ শ্রেণির মাস্টাররোল কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
সোমবার দুপুরে কেসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে মঙ্গলবার।
সানজিদা বেগম জানান, এসব কর্মচারী কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রে-ম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়িচালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন। সেখানে তারা বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনের কাগজ সিটি করপোরেশনের রিসিভ করা কপি হিসেবে তারা জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই কাগজপত্র সিটি করপোরেশন কখনোই রিসিভ করেনি।
তিনি বলেন, ‘ওই কাগজপত্রে সিটি করপোরেশনের যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে তা ভুয়া। প্রতারণার এই অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ। ইতোমধ্যে সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে।
‘ফলে ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারব।’
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৭ জন প্রার্থী।
তারও আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাওয়া এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় ওই নিয়োগ আটকে গেছে। ইনস্টিউটটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স এই নিয়োগ আটকে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন লাউঞ্জে সোমবার বিকেল ৩টায় এই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা ওই শিক্ষকের নাম সাজু সাহা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বিভাগেরই এক সাবেক ছাত্রী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
সম্প্রতি সাজু সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে হওয়া নিয়োগ বোর্ড সাজু সাহাসহ চারজনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করে।
সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিজি (বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স) বোর্ডে এটি পাস হওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন রোববার সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি সামনে এনে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা।
বিজি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি এখন রিভিউ করার জন্য সিলেকশন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।’
সিলেকশন বোর্ডের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘বিষয়টি আজ বোর্ড অফ গভর্ন্যান্সে উঠেছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সেখান থেকে এটি আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য।’
এর আগে রোববার নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে বলা হয়, অধ্যাপক সাজু সাহা কাউন্সেলিং করানোর নামে তাকে নিপীড়ন করেছেন উল্লেখ করে সাবেক ওই ছাত্রী বলেন, ‘তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন। আমাকে তার সঙ্গে হুক-আপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ওনার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য রেস্টুরেন্টে আমার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছেন। এসবের ট্রমায় আমি এক সেমিস্টার ক্লাসেও নিয়মিত হতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘এসব আমি এতোদিন উপস্থাপন করার সাহস পাইনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকার ঘটনার পর আমি এগুলো সামনে আনার সাহস পাই।’
সাবেক ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘সাজু সাহা ভয়ে আছেন আমার অভিযোগের ব্যাপারে। কারণ তিনি তো জানেন, তিনি আমার সাথে এসব করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও উনি নিশ্চিত একই কাজ করবেন নারী শিক্ষার্থীদের সাথে। ওনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাড়বো আমি, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
এদিকে সোমবার এই শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে এদিন দুপুরেই ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেন অধ্যাপক সাজু সাহা।
আরও পড়ুন:সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
প্রভাষক হিসেবে একজনকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে।
আবেদনের যোগ্যতা: সব ক্ষেত্রে ইউজিসির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী।
আগ্রহী প্রার্থীদের পূর্ণ বায়োডাটা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট কপি, মার্কশীট, রেফারেন্স লেটার (যদি থাকে) ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ রেজিস্ট্রার বরাবর দরখাস্ত পাঠাতে হবে।
আবেদনের ঠিকানা: কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বি-২০১/১, প্রগতি সরণি, ঢাকা-১২১২
প্রয়োজনে-০১৬৭৫৪৫৭৯১১। ইমেইল[email protected]
আরও পড়ুন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী৷
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিল। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লাখ টাকা দেবে।
‘এরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’
এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বিষয়টি নিয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এ সময় তার পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? এসব জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে।
‘তখন আমি বললাম, চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা তার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে, এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে।
‘এরা আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলছি, আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি, যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য