নৌপরিবহন অধিদপ্তর শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
১. পদের নাম অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর।
পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির ধরন অস্থায়ী। বেতন ১৭,৩৪৫ টাকা।
প্রার্থীকে উচ্চ মধামিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। থাকতে হবে কম্পিউটারে দক্ষতা। কম্পিউটার কম্পোজে প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৪৫ এবং বাংলায় ৩০ শব্দ টাইপের গতি থাকতে হবে।
২. পদের নাম অফিস সহায়ক।
পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির ধরন অস্থায়ী। বেতন ১৫,৮৫০ টাকা।
প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে। থাকতে হবে শারীরিক যোগ্যতা।
চাকরির জন্য আবেদন ফরম প্রার্থী কর্তৃক নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত অভ্যন্তরীণ ই-সেবাসমূহের নিচে ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ ঠিকানার মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
এখানে ক্লিক করেও আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২০২১ সালের ২৩ জুন বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা / শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ওই তারিখ অনুসারে বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত। বয়স গণনার ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা / শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ বছর পর্যন্ত। সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ছাড়পত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে।
আবেদনের সাথে প্রার্থীর সদ্য তোলা রঙিন ছবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল, ১০০ কিলোবাইটের মধ্যে) ও প্রার্থীর স্বাক্ষর (৩০০ x ৮০ পিক্সেল, ৬০ কিলোবাইটের মধ্যে) যুক্ত করতে হবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান / সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর / পৌরসভার মেয়র / কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব ও প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা প্রদত্ত চারিত্রিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা / বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা / বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র / কন্যার পুত্র-কন্যা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সনদপত্র স্ক্যান করে সংযুক্ত করতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষার সময় অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র, প্রবেশপত্রের প্রিন্ট কপি (রঙিন) এবং আবেদনের সাথে দাখিলকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, জাতীয় পরিচয়পত্র, জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রত্যয়নপত্র ও আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা হলে আবেদনকারী যে বীর মুক্তিযোদ্ধার / শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা এ মর্মে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান / সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর / পৌরসভার মেয়র / কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত সনদের মূল কপিসহ সত্যায়িত একসেট ফটোকপি প্রদর্শন / দাখিল করতে হবে।
প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত কোনো তথ্য বা দাখিলকৃত কাগজপত্র জাল, মিথ্যা বা বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া ন্যূনতম শর্তের সাথে গরমিল / অসামঞ্জস্য পাওয়া গেলে / ভুয়া প্রমাণিত হলে কিংবা পরীক্ষায় নকল / অসদুপায় অবলম্বন করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুল তথ্য / কাগজপত্র প্রদর্শিত হলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যেকোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা পরীক্ষা চলাকালীন অথবা পরবর্তীতে যেকোনো সময়ে বাতিল করার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
আবেদনকারীকে তার সর্বশেষ অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। অনলাইনের নির্দেশ মোতাবেক শর্তাবলি অসম্পূর্ণ / অপূর্ণ থাকলে আবেদপত্র অনলাইনে গৃহীত হবে না।
কোটা সম্পর্কিত সরকারি প্রচলিত নীতিমালা এবং নিয়োগ-সংক্রান্ত অন্যান্য সরকারি বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে।
পরবর্তী যোগাযোগের জন্য আবেদনকারীর বর্তমান পত্র-যোগাযোগের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর আবেদনপত্রে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
পরবর্তী সকল যোগাযোগ (নির্বাচন পরীক্ষার তথ্যাবলি) মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানানো হবে। তাই আবেদনপত্রে দেয়া নম্বরটি সার্বক্ষণিক সচল রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
অনলাইনে আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনা মোতাবেক ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করে আবেদনপত্র নিশ্চিত করে আবেদন সম্পন্ন করার পর আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষর সংবলিত আবেদনের কপি সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
ওপরে দেয়া ‘ফি প্রদান’ মেন্যু থেকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতির (নগদ, বিকাশ, রকেট, অন্যান্য ব্যাংক পেমেন্ট) মাধ্যমে ফি জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া আবেদনকারী চাইলে আবেদন করার পরেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ‘অভ্যন্তরীণ ই-সেবাসমূহ’ এর নিচে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিংকে দেয়া অনলাইন সফটওয়্যারের ‘ফি প্রদান’ মেন্যুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে ফি জমা দিতে পারবে।
১ নম্বর পদের আবেদনকারীদের ১০০ টাকা, সাথে সার্ভিস চার্জ বাবদ ফিয়ের ১০% হারে ১১০ টাকা এবং অফিস সহায়ক পদের আবেদনকারীকে ৫০ টাকা, সাথে সার্ভিস চার্জ বাবদ ফিয়ের ১০% হারে ৫৫ টাকা আবেদনের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে।
উল্লেখ্য যে, অনলাইনে আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আবেদন সম্পন্ন করলেও ফি জমা না দেয়া পর্যন্ত আবেদন গৃহীত হবে না।
প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি এসএমএসে জানিয়ে দেয়া হবে। এসএমএসে প্রদত্ত ঠিকানা থেকে বা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত অভ্যন্তরীণ ই-সেবাসমূহের নিচে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিংকে দেয়া অনলাইন সফটওয়্যারের ‘প্রবেশপত্র’মেন্যুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিনকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাস্টি মনসুর আহমেদ চৌধুরী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদায়ী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
আর টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন দুই সদস্য হয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মনজুর হাসান এবং নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ তাহেরা ইয়াসমিন।
তাছাড়া টিআইবির অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফারুক আহমেদ। অডিট কমিটির অপর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কম্পট্রোলার জেনারেল, ডিফেন্স ফাইন্যান্স মোতাহার হোসেইন।
টিআইবি’র নতুন চেয়ারপারসন মনসুর আহমেদ চৌধুরী বহুল আলোচিত ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’-এর উদ্যোক্তা। মানবাধিকার বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের অধিকারের নিশ্চয়তাসহ তাদের জীবন-মানের সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজ করছেন।
‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম’ গঠনে মনসুর আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবন্ধীবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে (২০০৯-১২ মেয়াদে) দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নিরাফাত আনাম মেমোরিয়াল ইনক্লুশন পদক, সিলেট রত্ন পদক, আজীবন সম্মাননা (সিঙ্গার বাংলাদেশ ও চ্যানেল আই) এবং সিনিয়র অশোকা ফেলোশিপ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য ব্যারিস্টার মনজুর হাসান বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টিআইবির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি ব্র্যাকের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ‘অফিসার অফ দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)’ উপাধিতে ভূষিত হন।
বোর্ডের আরেক নতুন সদস্য তাহেরা ইয়াসমিন নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং সুশাসন বিশেষজ্ঞ। তিনি অক্সফাম, কেয়ার এবং জিআইজেড-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিআইজেড-এর রুল অব ল’র অপারেশন পরিচালক এবং অ্যাকসেস টু জাস্টিস ফর উইম্যান প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেসরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন খাতে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ট্রাস্টি বোর্ড টিআইবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। বোর্ডের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক; দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কোষাধ্যক্ষ।
সদস্যবৃন্দ হলেন- সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, সোসাইটি অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড)-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফিলিপ গাইন, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী বনশ্রী পাল এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব করা হয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ড. নাসিমুল গনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। চার বছর ওএসডি থাকার পর ২০১৩ সালে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্যে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।
‘৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য (লিখিত ও মৌখিক) উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদে নিয়োগবঞ্চিত ১৯১৯ জন চিকিৎসককে ন্যায্য নিয়োগ’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকরা বলেন, ২০২১ সালে ৪২তম বিসিএসের ফলাফলে পর্যাপ্ত পদ না থাকায় এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবঞ্চিত হয়ে আছেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা বৈষম্যের শিকার। স্বাস্থ্য অধিদফতর নীতিগতভাবে দ্রুত দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই এক্ষেত্রে ৪২তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
তারা বলেন, দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চরম চিকিৎসক সংকট রয়েছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
সাধারণ বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, বর্তমানে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস প্রক্রিয়াধীন। ৪২তম বিসিএসের পরে আর কোনো চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। তাই দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক সংকট নিরসনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও এবি পার্টির আহ্বায়ক মেজর (অব.) অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডা. ফারজানা সাথী, ডা. মো. রেজওয়ান কবীরসহ ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকরা।
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। তা চলবে আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রার্থীদের আবেদন ফি দুশ’ টাকা।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরুর একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অনলাইনে আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করে পিএসসি।
সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনা করতে কমিটি গঠন করেছে সরকার। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের কর্মে নিয়োজিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ‘মহার্ঘ ভাতা’ সংস্থানের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ-সচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের সই করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য