বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
১. পদের নাম ডকুমেন্ট কন্ট্রোল অফিসার।
পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
২. পদের নাম ইন্টারনাল অডিট অফিসার।
পদের সংখ্যা ২টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
৩. পদের নাম সহকারী পরিচালক (হিসাব ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা)
পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৪. পদের নাম পরীক্ষক (রসায়ন)।
পদের সংখ্যা ১৬টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৫. পদের নাম পরীক্ষক (পুরকৌশল, পদার্থ)।
পদের সংখ্যা ৬টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৬. পদের নাম পরীক্ষক (ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস)।
পদের সংখ্যা ৪টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৭. পদের নাম পরীক্ষক (টেক্সটাইল)।
পদের সংখ্যা ৩টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৮. পদের নাম পরীক্ষক (মেট্রোলজি)।
পদের সংখ্যা ২টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
৯. পদের নাম পরীক্ষক (মান) কৃষি ও খাদ্য।
পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
১০. পদের নাম পরীক্ষক (মান) রসায়ন।
পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
১১. পদের নাম পরীক্ষক (মান) ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও কারিগরি।
পদের সংখ্যা ২টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
১২. পদের নাম পরীক্ষক (মান) পুরকৌশল ও যন্ত্রকৌশল।
পদের সংখ্যা ২টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
১৩. পদের নাম ফিল্ড অফিসার (সার্টিফিকেশন মার্কস)।
পদের সংখ্যা ২০টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
১৪. পদের নাম পরিদর্শক (মেট্রোলজি)
পদের সংখ্যা ২৫টি। চাকরির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা। প্রার্থীর বয়স হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সকল জেলার প্রার্থী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদে আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী একটির বেশি পদে আবেদন করতে পারবেন না।
১ জুন, ২০২১ বয়সসীমা ক্রমিক নং ১ ও ২ ছাড়া অন্যান্য পদের জন্য বয়স ২১-৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা প্রতিবন্ধী প্রার্থীর জন্য বয়স ২১-৩২ বছর।
ক্রমিক নং ১ ও ২ এ বর্ণিত পদের জন্য প্রার্থীর বয়স ২১-৩৫ বছর।
প্রার্থীর বয়স কম/বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীগণের বয়সের ক্ষেত্রে কোনো এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার অতিরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে তা আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে উক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনোক্রমেই গ্রহণ করা হবে না।
এসএসসি বা সমমান, এইচএসসি বা সমমান এবং অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সিজিপিএ তথা প্রচলিত গ্রেডিং পদ্ধতির পূর্বের বিভাগ/শ্রেণির সমতাকরণ সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে।
চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতকোত্তর (সম্মান) ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের জমাকৃত সনদ/মার্কশিট/টেস্টিমোনিয়ালে যদি ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) উল্লেখ না থাকে তবে অর্জিত ডিগ্রি ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতকোত্তর (সম্মান) মর্মে বিভাগীয় প্রধান/পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই জমা দিতে হবে। অন্যথায় তাদের অর্জিত ডিগ্রি ৩ বছর মেয়াদি হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রার্থীর চাকরির অভিজ্ঞতা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে/লিড অডিটর ও ইন্টারনাল অডিটর কোর্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক দাখিল করতে হবে।
লিখিত পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় কলম, রাবার, পেনসিল, সাধারণ ক্যালকুলেটর ইত্যাদি সঙ্গে আনতে পারবে। অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। প্রার্থীর অনুকূলে প্রদেয় প্রবেশপত্রে লিপিবদ্ধ নিয়মাবলি অনুসরণ করা প্রার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক।
প্রার্থীর দাখিলকৃত কাগজপত্র জাল, মিথ্যা বা ভুয়া প্রমাণিত হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। তাছাড়া প্রার্থী কোনো তথ্য গোপন করে বা ভুল তথ্য প্রদান করে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়ী হবে না। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নিয়োগাদেশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যদি কোনো প্রার্থী বাংলাদেশি নাগরিক না হন কিংবা বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন বা করার জন্য সংকল্প করেন কিংবা কোনো ফৌজদারি আদালত কর্তৃক নৈতিক শৃঙ্খলাজনিত অভিযোগে দণ্ডিত হন কিংবা কোনো সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকরি হতে বরখাস্ত হয়ে থাকেন, তবে তিনি আবেদন করার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা কেউ কোনো পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ভেরিফিকেশনের পর তদের নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
কোনোরূপ প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের কোনো প্রকার টিএ/ডিএ দেয়া হবে না। আবেদনপত্র গ্রহণ ও বাতিল করার ক্ষেত্রে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদের সংখ্যা কম/বেশি/বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র / সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল মূল/সাময়িক সনদপত্র। সনদপত্রের এক সেট সত্যায়িত ফটোকপি (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক) দাখিল করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধনপত্রসহ প্রযোজ্য অন্যান্য সনদ, প্রত্যয়নপত্রের মূলকপি আনতে হবে। উক্ত সনদ/কাগজপত্রের এক সেট সত্যায়িত ফটোকপি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক) দাখিল করতে হবে। তাছাড়া চাকরিরত প্রার্থীদের মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংস্থার অনুমতিপত্র সাক্ষাৎকারের সময় দাখিল করতে হবে। অন্যথায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে না।
বিভাগীয়/চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের কোনো অগ্রিম কপি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা হিসেবে আবেদনকারী প্রার্থীকে পিতার/মাতার বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদের মূলকপি প্রদর্শন ও সত্যায়িত কপি জমা প্রদান করতে হবে ।
প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক/দায়িতপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রতিবন্ধী সনদের মূল কপি প্রদর্শন ও সত্যায়িত কপি জমা প্রদান করতে হবে।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনপত্র পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৬৭২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিনকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাস্টি মনসুর আহমেদ চৌধুরী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদায়ী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
আর টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন দুই সদস্য হয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মনজুর হাসান এবং নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ তাহেরা ইয়াসমিন।
তাছাড়া টিআইবির অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফারুক আহমেদ। অডিট কমিটির অপর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কম্পট্রোলার জেনারেল, ডিফেন্স ফাইন্যান্স মোতাহার হোসেইন।
টিআইবি’র নতুন চেয়ারপারসন মনসুর আহমেদ চৌধুরী বহুল আলোচিত ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’-এর উদ্যোক্তা। মানবাধিকার বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের অধিকারের নিশ্চয়তাসহ তাদের জীবন-মানের সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজ করছেন।
‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম’ গঠনে মনসুর আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবন্ধীবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে (২০০৯-১২ মেয়াদে) দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নিরাফাত আনাম মেমোরিয়াল ইনক্লুশন পদক, সিলেট রত্ন পদক, আজীবন সম্মাননা (সিঙ্গার বাংলাদেশ ও চ্যানেল আই) এবং সিনিয়র অশোকা ফেলোশিপ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য ব্যারিস্টার মনজুর হাসান বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টিআইবির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি ব্র্যাকের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ‘অফিসার অফ দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)’ উপাধিতে ভূষিত হন।
বোর্ডের আরেক নতুন সদস্য তাহেরা ইয়াসমিন নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং সুশাসন বিশেষজ্ঞ। তিনি অক্সফাম, কেয়ার এবং জিআইজেড-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিআইজেড-এর রুল অব ল’র অপারেশন পরিচালক এবং অ্যাকসেস টু জাস্টিস ফর উইম্যান প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেসরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন খাতে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ট্রাস্টি বোর্ড টিআইবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। বোর্ডের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক; দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কোষাধ্যক্ষ।
সদস্যবৃন্দ হলেন- সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, সোসাইটি অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড)-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফিলিপ গাইন, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী বনশ্রী পাল এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব করা হয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ড. নাসিমুল গনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। চার বছর ওএসডি থাকার পর ২০১৩ সালে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্যে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।
‘৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য (লিখিত ও মৌখিক) উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদে নিয়োগবঞ্চিত ১৯১৯ জন চিকিৎসককে ন্যায্য নিয়োগ’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকরা বলেন, ২০২১ সালে ৪২তম বিসিএসের ফলাফলে পর্যাপ্ত পদ না থাকায় এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবঞ্চিত হয়ে আছেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা বৈষম্যের শিকার। স্বাস্থ্য অধিদফতর নীতিগতভাবে দ্রুত দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই এক্ষেত্রে ৪২তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
তারা বলেন, দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চরম চিকিৎসক সংকট রয়েছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
সাধারণ বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, বর্তমানে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস প্রক্রিয়াধীন। ৪২তম বিসিএসের পরে আর কোনো চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। তাই দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক সংকট নিরসনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও এবি পার্টির আহ্বায়ক মেজর (অব.) অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডা. ফারজানা সাথী, ডা. মো. রেজওয়ান কবীরসহ ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকরা।
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। তা চলবে আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রার্থীদের আবেদন ফি দুশ’ টাকা।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরুর একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অনলাইনে আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করে পিএসসি।
সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনা করতে কমিটি গঠন করেছে সরকার। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের কর্মে নিয়োজিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ‘মহার্ঘ ভাতা’ সংস্থানের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ-সচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের সই করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য