কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (শপ) পদে ১০৫৭ জন, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (টিআর/ইলেকট্রনিকস/টেক) পদে ১০১৯ জন এবং ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (টেক/ল্যাব) পদে ১০৫ জনসহ মোট ২১৮১ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গত ২৫ মে ২০২১ শেষ হয়েছে আবেদন-প্রক্রিয়া। এবার পরীক্ষার পালা। ট্রেডভিত্তিক পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দরকার ভালো প্রস্তুতি।
পরীক্ষা যেমন হতে পারে
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষা ২০২১ সালে নেয়া হয়। তাতে দেখা যায়, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদের বাছাই ও চূড়ান্ত নিয়োগে প্রার্থীদের দুই ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। এবারের নিয়োগে একই পদ্ধতির পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবেদন যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদের প্রথমে ডাকা হবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষার জন্য। সময় ১ ঘণ্টা।
এমসিকিউ পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ এবং সংশ্লিষ্ট ট্রেডে থাকবে ২০ নম্বর। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাক পড়বে মৌখিক বা ভাইভা বা চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য।
তবে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের পরীক্ষাগুলোতে মোট তিনটি পদ্ধতির পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। সেসব পরীক্ষায় ১৫০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বরের লিখিত রচনামূলক, ৪০ নম্বরের ব্যবহারিক এবং ১০ নম্বর ছিল ভাইভায়। এতে প্রথমে লিখিত রচনামূলক পরীক্ষার ধাপ পেরোনোদের ডাক পড়েছিল ব্যবহারিকের জন্য। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নেয়া হয়েছিল ব্যবহারিক পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সবশেষে ডাকা হয়েছিল ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষায়। তবে এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষা এবং ভাইভার মাধ্যমেই নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও পদের বিপরীতে চাওয়া ট্রেডের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ওপর প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। মূলত এসব বিষয়ের ওপরই প্রার্থীদের পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্ন আসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই থেকে। এ জন্য এসএসসি ও এইচএসসির পাঠ্যবইগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে।
বাংলা
বাংলা অংশে বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। বাংলা সাহিত্যের গদ্য পদ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ নাটক, উপন্যাস অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। ব্যাকরণ অংশে সমাস, কারক, এক কথায় প্রকাশ, সন্ধি বিচ্ছেদ, বিপরীত শব্দ, ভাষা, ধ্বনি, নত্ব-বিধান, সত্ব বিধান, সামর্থক শব্দ, বাক্য রচনা, বাগধারা, প্রবাদ প্রবচন, প্রত্যয়, অব্যয় এসব বিষয়ের ওপর বেশি প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
ইংরেজি বিষয়ে গ্রামার অংশে Parts of speech, Number, Articles, Degree, Tens, Rights from of Verbs, Preposition, Sentence, Synonyms, Anatomy, Gender, corrections, Presses, Translation অধ্যায়গুলো থেকেই বেশি প্রশ্ন করা হয়। এ ছাড়া ইংরেজি সাহিত্যের অংশ থেকেও প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
গণিত
গণিত অংশে বীজগণিত, পাটিগণিত, ত্রিকোণোমিতি, পরিমিতি, জ্যামিতি, ত্রিভুজ ও বৃত্ত থেকে ক্যালকুলেটিভ প্রশ্ন করা হয়। বীজগণিত থেকে উৎপাদক, সেট, সূত্র, বর্গ এসব অধ্যায়, পাটিগণিত থেকে শতকরা, সুদকষা, ঐকিক, সরল, অনুপাত-সমানুপাত, লাভ-ক্ষতি, ক্ষেত্রফল, পরিমাপ অংশ থেকে প্রশ্ন করা হয়।
সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ের দৈনন্দিন বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, ইতিহাস, ধর্ম, আবিষ্কার, রাজনীতি, অর্থনীত, সমাজনীতিসহ বাংলাদেশের ইতিহাস সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অংশ থেকে প্রশ্ন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট ট্রেড
ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (শপ), ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (টিআর/ইলেকট্রনিকস/টেক) এবং ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (টেক/ল্যাব) পদগুলোতে ত্রিশের অধিক ট্রেড রয়েছে। প্রতিটি ট্রেডের মেজর বিষয়ের ওপরই প্রশ্ন করা হয়।
লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
লিখিত পরীক্ষার হলে প্রথমেই প্রশ্ন পেয়ে সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। টাইম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে বেশ খেয়াল রাখতে হবে। এমনভাবে সময় নির্ধারণ করতে হবে, যাতে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায়। উত্তর খুবই সাবধানে দিতে হবে। ভুল হলে পুনরায় উত্তর দেয়ার সুয়োগ নেই। কারণ বাড়তি কোনো উত্তরশিট দেয়া হয় না। বিগত ১০ বছরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং বিসিএস পরীক্ষার গত ৪ বছরের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ভালোভাবে ঘাঁটতে পারলে নিয়োগ পরীক্ষার ৮০ শতাংশ প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যাবে।
২য় শ্রেণি বা ৩য় শ্রেণির পদগুলোর সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের প্রস্তুতি থাকলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এসব পদের পরীক্ষায়ও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।
ভাইভার প্রস্তুতি
এবারের ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পদার্থ, রসায়নসহ স্নাতক বা সমমান অথবা এইচএসসিসহ (ভোকেশনাল) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২ বছরের ট্রেড কোর্স পাস এবং ৫ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে।
তাই ভাইভা বোর্ডে কর্তাব্যক্তিরা প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যদি কোনো প্রার্থী পদার্থ, রসায়নসহ স্নাতক পাস করে থাকেন, তবে তার কাছে এ দুটি বিষয়ের ওপরই জানতে চাইবে। তাতে প্রার্থীর যোগ্যতার পুরো ছবি ফুটে উঠবে।
বেসিক জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন থাকে। নিজের সম্পর্কে, দেশ, বিশ্বের নানা প্রান্তের ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই নিজেকে আপডেট রাখতে হবে পাঠ্যবিষয় ও বৈশ্বিক সাধারণ জ্ঞানের ওপর। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। নিজেকে বলতে হবে, ‘আমি পারব’।
আরও পড়ুন:বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিনকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-ট্রাস্টি মনসুর আহমেদ চৌধুরী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিদায়ী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
আর টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন দুই সদস্য হয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মনজুর হাসান এবং নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ তাহেরা ইয়াসমিন।
তাছাড়া টিআইবির অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফারুক আহমেদ। অডিট কমিটির অপর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কম্পট্রোলার জেনারেল, ডিফেন্স ফাইন্যান্স মোতাহার হোসেইন।
টিআইবি’র নতুন চেয়ারপারসন মনসুর আহমেদ চৌধুরী বহুল আলোচিত ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’-এর উদ্যোক্তা। মানবাধিকার বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের অধিকারের নিশ্চয়তাসহ তাদের জীবন-মানের সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাজ করছেন।
‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম’ গঠনে মনসুর আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবন্ধীবিষয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে (২০০৯-১২ মেয়াদে) দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি নিরাফাত আনাম মেমোরিয়াল ইনক্লুশন পদক, সিলেট রত্ন পদক, আজীবন সম্মাননা (সিঙ্গার বাংলাদেশ ও চ্যানেল আই) এবং সিনিয়র অশোকা ফেলোশিপ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সদস্য ব্যারিস্টার মনজুর হাসান বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টিআইবির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি ব্র্যাকের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ‘অফিসার অফ দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)’ উপাধিতে ভূষিত হন।
বোর্ডের আরেক নতুন সদস্য তাহেরা ইয়াসমিন নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং সুশাসন বিশেষজ্ঞ। তিনি অক্সফাম, কেয়ার এবং জিআইজেড-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জিআইজেড-এর রুল অব ল’র অপারেশন পরিচালক এবং অ্যাকসেস টু জাস্টিস ফর উইম্যান প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেসরকারি সংস্থা ও উন্নয়ন খাতে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ট্রাস্টি বোর্ড টিআইবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। বোর্ডের অন্যরা হলেন- অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক; দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কোষাধ্যক্ষ।
সদস্যবৃন্দ হলেন- সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম, অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, সোসাইটি অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (শেড)-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফিলিপ গাইন, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী বনশ্রী পাল এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব করা হয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ড. নাসিমুল গনি বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়। চার বছর ওএসডি থাকার পর ২০১৩ সালে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়।
৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগবঞ্চিত এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক তাদেরকে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্যে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।
‘৪২তম (বিশেষ) বিসিএস স্বাস্থ্য (লিখিত ও মৌখিক) উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদে নিয়োগবঞ্চিত ১৯১৯ জন চিকিৎসককে ন্যায্য নিয়োগ’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে।
সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকরা বলেন, ২০২১ সালে ৪২তম বিসিএসের ফলাফলে পর্যাপ্ত পদ না থাকায় এক হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবঞ্চিত হয়ে আছেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা বৈষম্যের শিকার। স্বাস্থ্য অধিদফতর নীতিগতভাবে দ্রুত দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই এক্ষেত্রে ৪২তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
তারা বলেন, দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চরম চিকিৎসক সংকট রয়েছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
সাধারণ বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, বর্তমানে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস প্রক্রিয়াধীন। ৪২তম বিসিএসের পরে আর কোনো চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। তাই দীর্ঘ প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক সংকট নিরসনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও এবি পার্টির আহ্বায়ক মেজর (অব.) অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডা. ফারজানা সাথী, ডা. মো. রেজওয়ান কবীরসহ ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকরা।
সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। তা চলবে আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রার্থীদের আবেদন ফি দুশ’ টাকা।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাসহ সব ধরনের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরুর একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অনলাইনে আবেদন অনিবার্য কারণে স্থগিত করে পিএসসি।
সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনা করতে কমিটি গঠন করেছে সরকার। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের কর্মে নিয়োজিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ‘মহার্ঘ ভাতা’ সংস্থানের বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ-সচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের সই করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি মহার্ঘ ভাতার প্রযোজ্যতা ও প্রাপ্যতার বিষয় পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি ও রদবদলের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর) পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিটের ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নওগাঁর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য