বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ১৫ জুনের মধ্যে ডাকে অথবা সরাসরি আবেদনপত্র পৌঁছাতে হবে।
১. পদের নাম কমান্ডার (ফায়ার স্টেশন)
পদের সংখ্যা ১টি। চাকরির ধরন চুক্তিভিত্তিক। চাকরির গ্রেড ৮। মূল বেতন ৪২,০০০ টাকা।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ইনস্টিটিউট থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স থেকে উপসহকারী পরিচালক বা তদূর্ধ্ব পদ থেকে অবসর গ্রহণকারী হতে হবে। ২০২১ সালের ২৫ মে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৫৫ বছর হতে পারবে।
২. পদের নাম লিডার (ফায়ার স্টেশন)
পদের সংখ্যা ২টি। চাকরির ধরন চুক্তিভিত্তিক। চাকরির গ্রেড ১২। মূল বেতন ২৩,০০০ টাকা।
প্রার্থীকে ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার পদ থেকে অবসর গ্রহণকারী হতে হবে। ২০২১ সালের ২৫ মে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৫৫ বছর হতে পারবে।
৩. পদের নাম ড্রাইভার (ফায়ার স্টেশন)
পদের সংখ্যা ৪টি। চাকরির ধরন চুক্তিভিত্তিক। চাকরির গ্রেড ১২। মূল বেতন ১৮,০০০/২৩,০০০ টাকা।
প্রার্থীকে ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। সংশ্লিষ্ট কাজে ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও ভারী যানবাহন চালনায় বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী হতে হবে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, আর্মি অথবা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ড্রাইভার হিসেবে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুক কমপক্ষে ৩২ ইঞ্চি। ত্রুটিমুক্ত শারীরিক গঠন থাকতে হবে। ২০২১ সালের ২৫ মে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে পারবে।
৪. পদের নাম ফায়ার ফাইটার (ফায়ার স্টেশন)
পদের সংখ্যা ১০টি। চাকরির ধরন চুক্তিভিত্তিক। চাকরির গ্রেড ১৪। মূল বেতন ১৮,০০০ টাকা।
প্রার্থীকে ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। সিজিপিএ ৫.০০ স্কেলে কমপক্ষে ২.৫০ থাকতে হবে। প্রার্থীকে সুস্থ এবং সুঠাম দেহের অধিকারী হতে হবে। উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। বুক কমপক্ষে ৩১ ইঞ্চি (স্বাভাবিক) ও ৩৩ ইঞ্চি (সম্প্রসারিত)। ২০২১ সালের ২৫ মে প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ২২ বছর হতে পারবে।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থী বেতনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাতা, যাতায়াত ভাতাসহ অন্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্র এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন-বৃত্তান্তের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, অভিজ্ঞতার সনদ (অভিজ্ঞতার সনদ প্রদানকারী কর্মকর্তার নাম, ফোন নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে), ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, স্থায়ী ঠিকানার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা পৌর/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্বের সনদপত্র সত্যায়িত করে যুক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের অনুকূলে ১০০০ (১নং পদের জন্য) এবং ৫০০ টাকা (২, ৩ এবং ৪নং পদের জন্য) মূল্যের (অফেরতযোগ্য) পে-অর্ডার দিতে হবে।
আবেদনপত্রে নাম, ২৫.০৫.২০২১ তারিখে বয়স, স্থায়ী ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, পিতার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্ম, মোবাইল নম্বর, মাতার নাম, সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতা, জাতীয়তা, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন), করপোরেট অফিস, বিসিপিসিএল (৫ম তলা), ৮ পান্থপথ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।
১ থেকে ৩নং পদের ক্ষেত্রে অধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য। আবেদনপত্রের খামের ওপর পদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী৷
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিল। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লাখ টাকা দেবে।
‘এরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’
এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বিষয়টি নিয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এ সময় তার পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? এসব জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে।
‘তখন আমি বললাম, চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা তার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে, এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে।
‘এরা আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলছি, আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি, যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠিতে ১২০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে তিন নারী ও ১৪ জন পুরুষসহ ১৭ জন পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন।
ঝালকাঠি পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে শনিবার রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিআরসি পদে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করা হয়।
চাকরি পাওয়া প্রত্যেকে আবেদনের সময় ব্যাংক ড্রাফটে ১২০ টাকা জমা দেন। বাছাই পরীক্ষায় তিন ধাপের পর নিজ যোগ্যতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে টিআরসি পদে স্থান পেয়েছেন তারা। কোনো রকম অর্থ লেনদেন ছাড়াই মেধা যাচাই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন।
উত্তীর্ণদের পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং ও চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল।
এসপি বলেন, “‘চাকরি নয় সেবা’ স্লোগানে স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হয়। পুলিশের চাকরি পেতে টাকা-পয়সা লাগে না। সন্তানের চাকরির জন্য অভিভাবকদের জমিজমা বিক্রি করতে হবে না।
“পুলিশকে আধুনিক ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান আইজিপির চেষ্টায় পুলিশের সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি পুলিশের মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৭ জন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছেন।’
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান আহমেদ।
নিয়োগ সংশ্লিষ্ট বরাতে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফ্রেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলা থেকে আসা ৬০৫ নারী ও পুরুষ পুলিশের টিআরসি পদের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। প্রথম ধাপে বাছাইয়ে টিকে ১৮৯ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখান থেকে ৫২ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সব পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে কোটা নির্ধারণ করে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ প্রার্থীকে চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণদের নাম ও রোল নম্বর ঘোষণার পর নিয়োগ পাওয়া ১৭ জনকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ, শুক্রবার। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনকারী প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।
তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেক্ট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো ধরনের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়ন, সিলেবাস ও কারিকুলাম নিয়ে আমরা কাজ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শিক্ষক পদে যে শূন্যতা রয়েছে তা পূরণ করা হবে।
টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, ‘শিক্ষা নীতি নিয়ে আমারা কাজ করছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের স্মার্ট নীতিমালা আনতে হবে। স্মার্ট কারিকুলাম লাগবে, স্মার্ট বাচ্চা তৈরি করতে হবে যারা ভবিষ্যতে যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি হবে। আমরা তথ্য-প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
নতুন শিক্ষা নীতি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখন নতুন কোনো কিছু আসে তখন তার পক্ষ-বিপক্ষে অনেক কিছু আসে এবং কথাবার্তাও বেশি হয়। নতুন কিছুকে আমরা গ্রহণ করতে ভয় পাই। আমরা যদি জনগণকে বুঝাতে পারি এবং আপনারা যদি আমাদেরকে সাহায্য করেন তবে নিশ্চয়ই আমরা পারবো শিক্ষানীতিকে সম্পূর্ণ জায়গায় নিয়ে যেতে।’
সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাফিসা আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলম ও প্রধান অর্থনীতিবিদ মো. হাবিবুর রহমানকে ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এই দু’জনকে তিন বছরের জন্য ডেপুটি গভর্নর পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমান পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণ ও অবসর-উত্তর ছুটি স্থগিতের শর্তে তাদের ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যোগদানের তারিখ থেকে তাদের নিয়োগ কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ডেপুটি গভর্নরের চারটি পদেই নিয়োগ দেয় সরকার। ২ ফেব্রুয়ারি একেএম সাজিদুর রহমান এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের অবসরে যাওয়ায় দুটি পদ শূন্য হয়। সেই শূন্য পদে এই দুই কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হলো।
ডেপুটি গভর্নরের বাকি দুই পদে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী ছাইদুর রহমান ও নুরুন নাহার।
নতুন ডেপুটি গভর্নর খুরশীদ আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে পরে এমবিএ করেন। ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগ দেন তিনি। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে।
মো. হাবিবুর রহমানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) বৃত্তি নিয়ে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়োগিক অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেছেন।
১৯৯০ সালে গবেষণা বিভাগের সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন হাবিবুর রহমান। নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ এবং বর্তমানে মানিটারি পলিসি বিভাগে কাজ করেছেন তিনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ ধাপে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.portal.gov.bd) পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও এসএমএস পাবেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ২২ জেলার ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষায় অংশ নেন।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তিন ধাপে পরীক্ষা হবে।
গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া জরিমানা করা হয়েছে দুজনকে।
শুক্রবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে মান্দা উপজেলার মমিন শাহানা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে মিঠুন, সুলতান ও রবিউল ইসলাম নামে তিনজন চাকরিপ্রত্যাশীর কাছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া যায়। এ অপরাধে মিঠুনকে ১ মাস, সুলতানকে ১ মাস এবং রবিউল ইসলামকে ১০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই উপজেলার শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল কেন্দ্র থেকে আটক নাইমুর রহমান ও মোস্তাফিজুর বিন আমিনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
‘এ ছাড়া মান্দা থানা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আরও ৫ জনকে আটক করা হয়। যেখানে জারজিস আলমকে ১০ দিন, ফজলে রাব্বি মন্ডলকে ১ মাস, নুর আলমকে ৭ দিন, জামাল উদ্দিনকে ১০ দিন এবং আব্দুল্লাহ সাইরাফি ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সাজা পেয়েছেন।’
কিনি আরও বলেন, ‘নওগাঁ সদর উপজেলার বশির উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ (বিএমসি) কেন্দ্রে দুজনকে ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
‘সদর উপজেলার চক এনায়েত উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাহাড়পুর জিএম হাইস্কুল কেন্দ্র করে ১ জন করে মোট দুজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলায় একজনকে দেয়া হয়েছে ১৫ দিনের কারাদণ্ড।’
অন্যদিকে, বদলগাছী উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দের পর তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য