রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্থিত ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’টি জেলার প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের ২৯তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সপ্তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালের ১৫ জুলাই ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১’ প্রণয়ন করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজ শুরু করে। ২০০৯ সালের ৫ জুন এর আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে আছেন প্রফেসর ডক্টর এম. রুস্তম আলী।
সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে শিক্ষক নেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন বাংলাদেশি নাগরিকরা এসব পদে আবেদন করতে পারবেন।
সহযোগী অধ্যাপক
ফার্মেসি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে একজন করে সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৪। বেতন স্কেল ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা।
আগ্রহী প্রার্থীকে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্মান ও মাস্টার্স পাস হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি অথবা সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.৫ পেতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অথবা সিজিপিএ ৫.০০-এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.৫ থাকতে হবে। কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ অথবা শ্রেণি বা সিজিপিএ ২.৫০-এর কম থাকতে পারবে না।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমপক্ষে সাত বছরের শিক্ষকতার সক্রিয় অভিজ্ঞতা, কমপক্ষে তিনটি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস গবেষণা পরিচালনার অভিজ্ঞতা ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কমপক্ষে চার বছরের সক্রিয় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া স্বীকৃত জার্নালে বিষয়সংশ্লিষ্ট অন্তত পাঁচটি প্রকাশনা থাকতে হবে। এর মধ্যে তিনটি প্রকাশনা থাকতে হবে সহকারী অধ্যাপক পদে থাকাকালীন অবস্থায়।
অথবা
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমফিল ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমপক্ষে আট বছরের শিক্ষকতার সক্রিয় অভিজ্ঞতা, কমপক্ষে দুইটি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস গবেষণা পরিচালনার অভিজ্ঞতা ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কমপক্ষে চার বছরের সক্রিয় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া কোনো স্বীকৃত জার্নালে বিষয়সংশ্লিষ্ট অন্তত পাঁচটি প্রকাশনা থাকতে হবে। এর মধ্যে তিনটি প্রকাশনা থাকতে হবে সহকারী অধ্যাপক পদে থাকাকালীন অবস্থায়।
অথবা
যেসব সহকারী অধ্যাপকের উচ্চতর ডিগ্রি নেই তাদের ক্ষেত্রে ১২ বছর শিক্ষকতার সক্রিয় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কমপক্ষে পাঁচ বছর শিক্ষকতার সক্রিয় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিয়য়ে চারটি প্রকাশনা থাকতে হবে, যার মধ্যে সহকারী অধ্যাপক থাকার সময় কোনো স্বীকৃত জার্নালে দুইটি প্রকাশনা থাকতে হবে।
সহকারী অধ্যাপক
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে দুইজন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৬। বেতন স্কেল ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।
আগ্রহী প্রার্থীকে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্মান ও মাস্টার্স পাস হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি অথবা সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.৫ পেতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অথবা সিজিপিএ ৫.০০-এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.৫ থাকতে হবে। কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সিজিপিএ ২.৫০-এর কম থাকতে পারবে না।
প্রার্থীর প্রভাষক হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পিএইচডি/এমফিল ডিগ্রি থাকলে তা প্রার্থীর অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া কোনো স্বীকৃত জার্নালে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে দুটি প্রকাশনা থাকতে হবে।
প্রভাষক
ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, অর্থনীতি ও ইংরেজি বিভাগে একজন করে প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অথবা জিপিএ ৫.০০-এর মধ্যে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি এবং থিসিসসহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
সংশ্লিষ্ট অনুষদভুক্ত প্রার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অথবা বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি অথবা সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে ৩.৫০ থাকতে হবে।
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এমএসসি ডিগ্রিধারী যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী প্রার্থী দ্রুত এমএসসি করার শর্তে নেয়া হতে পারে।
মানবিক ও সামাজিক অনুষদভুক্ত বিভাগের ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি অথবা সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে যেকোনো একটিতে কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.৫০ এবং অন্যটিতে কমপক্ষে সিজিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে।
আবেদনপত্র জমাদান
আগ্রহী প্রার্থীকে আবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.pust.ac.bd দেয়া ফরমেটে অনুসরণ করতে হবে। সঙ্গে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি রঙিন ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধনের সত্যায়িত কপি, অভিজ্ঞতা সনদের সত্যায়িত কপি, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণসংশ্লিষ্ট সনদের সত্যায়িত কপি এবং ৫০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট অথবা পে-অর্ডার জমা দিতে হবে।
ব্যাংক ড্রাফট অথবা পে-অর্ডার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে জনতা ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে করতে হবে। এ ছাড়া নিজ ঠিকানা-সংবলিত ১০ টাকার ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম দিতে হবে।
যেকোনো পদের জন্য প্রার্থীকে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে আট সেট আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। শুধু ডাকে আবেদনপত্র পাঠানো যাবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: রেজিস্ট্রার, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজাপুর, পাবনা।
অন্যান্য শর্ত
চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যেকোনো একটি শর্ত শিথিল করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নির্ধারিত যোগ্যতার অতিরিক্ত প্রকাশনার জন্য বিভাগীয় প্রার্থীরা এক বছর রেয়াতি সুবিধা পাবেন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রার্থীদের সর্বশেষ সরকারি নীতিমালা অনুসারে কর্তৃপক্ষের সনদপত্রসহ আবেদনপত্র দিতে হবে। এ ছাড়া প্রার্থীর পিতা-মাতার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া সনদের সত্যায়িত কপি দিতে হবে।
স্বীকৃত জার্নাল বলতে ISSN নম্বর-সংকলিদ Peer Reviewed গবেষণা জার্নাল অথবা ISBN নম্বর-সংবলিত গবেষণাগ্রন্থ বোঝানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র বাছাইয়ের পর শুধু যোগ্য প্রার্থীদের লিখিত-মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকবে। এ জন্য কোনো ধরনের টিএ-ডিএ দেয়া হবে না।
নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্তৃপক্ষ এই বিজ্ঞপ্তি বাতিল বা সংশোধন করতে পারবে।
তাহলে আর দেরি কেন, এখনই আবেদন করে ফেলুন এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। আগামী তিন বছরের জন্য এই পদে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়। বিকেলে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন।
মোহাম্মদ ইউনুছ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সদস্য সচিব।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার (২৪ এপ্রিল)। ২০১৯ সাল থেকে দুই মেয়াদে টানা পাঁচ বছর এই পদে ছিলেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই পদে চুক্তিভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে আসছে সরকার। মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম টানা ১০ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দেয়া হয় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষকে।
চিটাগাং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ কে যুগোপযোগী করে ২৯ জুলাই ২০১৮ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনের ৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে- চেয়ারম্যান বা বোর্ড সদস্য হিসেবে কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগলাভের জন্য বলে বিবেচিত হবেন না। জহিরুল আলম দোভাষ ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম মেয়াদে দুই বছরের জন্য ও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
সিডিএ’র উপ-সচিব অমল কান্তি গুহ বলেন, ‘দুপুরে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আমরা পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী, নতুন চেয়ারম্যান মহোদয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে এরপর সিডিএ কার্যালয়ে আসবেন।’
মোহাম্মদ ইউনুছ প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভাবশিষ্য হিসেবে পরিচিত। সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ইউনুছ বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।
মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন:চাকরি স্থায়ী করতে মামলা করেছিলেন উচ্চ আদালতে। আর সেই মামলায় জিততে তৈরি করেছিলেন ভুয়া নথি। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল ৩৭ জনের চাকরি জীবনে। প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ওই ৩৭ জন চতুর্থ শ্রেণির মাস্টাররোল কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
সোমবার দুপুরে কেসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে মঙ্গলবার।
সানজিদা বেগম জানান, এসব কর্মচারী কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রে-ম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়িচালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন। সেখানে তারা বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনের কাগজ সিটি করপোরেশনের রিসিভ করা কপি হিসেবে তারা জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই কাগজপত্র সিটি করপোরেশন কখনোই রিসিভ করেনি।
তিনি বলেন, ‘ওই কাগজপত্রে সিটি করপোরেশনের যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে তা ভুয়া। প্রতারণার এই অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ। ইতোমধ্যে সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে।
‘ফলে ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারব।’
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৭ জন প্রার্থী।
তারও আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাওয়া এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় ওই নিয়োগ আটকে গেছে। ইনস্টিউটটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স এই নিয়োগ আটকে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন লাউঞ্জে সোমবার বিকেল ৩টায় এই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা ওই শিক্ষকের নাম সাজু সাহা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বিভাগেরই এক সাবেক ছাত্রী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
সম্প্রতি সাজু সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে হওয়া নিয়োগ বোর্ড সাজু সাহাসহ চারজনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করে।
সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিজি (বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স) বোর্ডে এটি পাস হওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন রোববার সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি সামনে এনে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা।
বিজি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি এখন রিভিউ করার জন্য সিলেকশন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।’
সিলেকশন বোর্ডের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘বিষয়টি আজ বোর্ড অফ গভর্ন্যান্সে উঠেছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সেখান থেকে এটি আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য।’
এর আগে রোববার নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে বলা হয়, অধ্যাপক সাজু সাহা কাউন্সেলিং করানোর নামে তাকে নিপীড়ন করেছেন উল্লেখ করে সাবেক ওই ছাত্রী বলেন, ‘তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন। আমাকে তার সঙ্গে হুক-আপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ওনার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য রেস্টুরেন্টে আমার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছেন। এসবের ট্রমায় আমি এক সেমিস্টার ক্লাসেও নিয়মিত হতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘এসব আমি এতোদিন উপস্থাপন করার সাহস পাইনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকার ঘটনার পর আমি এগুলো সামনে আনার সাহস পাই।’
সাবেক ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘সাজু সাহা ভয়ে আছেন আমার অভিযোগের ব্যাপারে। কারণ তিনি তো জানেন, তিনি আমার সাথে এসব করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও উনি নিশ্চিত একই কাজ করবেন নারী শিক্ষার্থীদের সাথে। ওনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাড়বো আমি, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
এদিকে সোমবার এই শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে এদিন দুপুরেই ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেন অধ্যাপক সাজু সাহা।
আরও পড়ুন:সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
প্রভাষক হিসেবে একজনকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে।
আবেদনের যোগ্যতা: সব ক্ষেত্রে ইউজিসির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী।
আগ্রহী প্রার্থীদের পূর্ণ বায়োডাটা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট কপি, মার্কশীট, রেফারেন্স লেটার (যদি থাকে) ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ রেজিস্ট্রার বরাবর দরখাস্ত পাঠাতে হবে।
আবেদনের ঠিকানা: কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বি-২০১/১, প্রগতি সরণি, ঢাকা-১২১২
প্রয়োজনে-০১৬৭৫৪৫৭৯১১। ইমেইল[email protected]
আরও পড়ুন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী৷
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিল। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লাখ টাকা দেবে।
‘এরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’
এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বিষয়টি নিয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এ সময় তার পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? এসব জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে।
‘তখন আমি বললাম, চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা তার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে, এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে।
‘এরা আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলছি, আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি, যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য