সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যাত্রা শুরু করে।
এটি টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ দ্বারা গঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত একটি স্বাধীন কমিশন। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের ভার এই প্রতিষ্ঠানটির উপর অর্পিত। বিটিআরসি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ-সংক্রান্ত বিষয়াবলি যেমন সেলুলার নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ, ক্যাবল ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিটিআরসির বর্তমান চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
দেশের এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ২৩ মার্চ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে।
যেসব পদে নিয়োগ দেয়া হবে
১. সহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদে ৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে টেলিকমিউনিকেশন/ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
২. সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে। তবে শিক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৩. সহকারী পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে। তবে শিক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৪. উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৫. উপসহকারী পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৬. উপসহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদে ৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত কারিগরি বোর্ড হতে টেলিকমিউনিকেশন/ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক/কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ে দ্বিতীয় বিভাগ বা শ্রেণির ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৭. ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৮. প্রশাসনিক সহকারী পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১১। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৯. অভ্যর্থনাকারী/বিএবিএক্স অপারেটর পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১১। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১০. ব্যক্তিগত সহকারী পদে ৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১২। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১১. কম্পিউটার অপারেটর পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১৩। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১২. হিসাবরক্ষক পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১৩। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক অথবা বাণিজ্য বিভাগে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
বয়স
২০২১ সালের ১ মার্চ উপসহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদের প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। অন্যান্য পদের প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এসএসসি) অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রে দেয়া জন্মতারিখ অনুসারে প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা (নাতি-নাতনি) প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে পারবে। বয়সের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যান্য শর্ত
সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এমন প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি যেসব বিধিবিধান আছে তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করবে। এসব বিধিবিধান পরবর্তীতে সংশোধন করা হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সেসবও অনুসরণ করবে। প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা শিক্ষাগত যোগ্যতার বাইরে অন্য ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য গোপন করলে আবেদন বতিল হয়ে যাবে। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ চাকরিতে নিয়োগ পেলে তার নিয়োগাদেশ বাতিল করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য টিএ/ডিএ দেয়া হবে না।
মৌখিক পরীক্ষার সময় যেসব কাগজপত্র আনতে হবে
মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র ও অনাপত্তিপত্রের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া পূরণকৃত অ্যাপ্লিকেশন ফরমসহ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সব সনদপত্রের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।
সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদের সত্যায়িত কপি, জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার মেয়র অথবা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দেয়া সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা হলে ‘আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা’ এই মর্মে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর অথবা পৌরসভার মেয়রের দেয়া সনদপত্রের কপি জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর বাবা-মায়ের নাম এবং মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার নাম উল্লেখসহ মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্কের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে সনদে উল্লেখ করতে হবে।
এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এমন প্রার্থীদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দেয়া অনাপত্তিপত্র অথবা ছাড়পত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ জারিকৃত সরকারি বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া পদের সংখ্যা কমানো-বাড়ানো এবং কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বিজ্ঞপ্তির আংশিক বা পুরো অংশ বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
সব পদের জন্য লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কেবল লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
আবেদনপত্র পূরণের নিয়ম
http://btrc.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ২০২১ সালের ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৫টার মধ্যে আবেদন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ইউজার আইডি পাওয়া প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিটের সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন।
অনলাইন আবেদনপত্রে প্রার্থী তার রঙিন ছবি (দৈর্ঘ ৩০০ পিক্সেল X প্রস্থ ৩০০ পিক্সেল) ও স্বাক্ষর (দৈর্ঘ ৩০০ পিক্সেল X প্রস্থ ৮০ পিক্সেল) স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১০০ কেবি এবং স্বাক্ষরের সাইজ সর্বোচ্চ ৮০ কেবি হতে পারবে।
অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রে দেয়া তথ্যই যেহেতু পরবর্তী সব কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে, সেহেতু অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট করার আগে প্রার্থীকে সব তথ্যের সত্যতা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
প্রার্থীর দেয়া কোনো তথ্য বা জমাকৃত কাগজপত্র জাল, মিথ্যা বা ভুয়া প্রমাণিত হলে বা পরীক্ষায় নকল করলে বা বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া যোগ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো তথ্য দাখিল করলে বা বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা লঙ্ঘন করা কোনো আবেদন পাওয়া গেলে প্রার্থীর প্রার্থিতা নিয়োগের যেকোনো পর্যায়ে বাতিল করা হবে। পাশাপাশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রার্থী অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি কপি যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য নিজের কাছে সংরক্ষণ করবেন।
এসএমএস ও পরীক্ষার ফি দেয়ার নিয়ম
অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করা হলে প্রার্থী একটি ইউজার আইডি, ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাবেন। এই কপিটি প্রার্থী প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করবেন। ইউজার আইডি ব্যবহার করে প্রার্থী টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে দুইটি এসএমএস করে পরীক্ষার ফি হিসেবে ২২৪ টাকা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেবেন।
প্রথম এসএমএস
BTRCUSER ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC ABCDEF
রিপ্লাই আসবে: Applicant's Name, Tk.224 woll be charged as application fee, Your PIN is xxxxx. To pay fee Type BTRCYESPIN and send to 16222.
দ্বিতীয় এসএমএস
BTRCYESPIN লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC YES 123456789
রিপ্লাই আসবে: Congratulations Applicant's Name, payment completed successfully for BTRC Recruitment Application for xxxxxxxxx User ID is (ABCDEF) and Password (xxxxxx).
মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আবেদনপত্রের সব অংশ পূরণ করে সাবমিট করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেয়া পর্যন্ত আবেদনপত্র গৃহীত হবে না।
এসএমএসে দেয়া ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পরে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও ভেন্যুর নাম ইত্যাদি তথ্য সংবলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। প্রিন্ট রঙিন হলে ভালো। এই প্রবেশপত্রটি সব পরীক্ষার সময় কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।
প্রবেশপত্র সংগ্রহের নোটিশ http://btrc.teletalk.com.bd/ এবং http://btrc.gov.bd/ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রবেশপত্র সংগ্রহের এসএমএস যোগ্য প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে পাঠানো হবে।
অনলাইন আবেদনপত্রে দেয়া মোবাইল নম্বরেই পরীক্ষার বিষয়ে সব যোগাযোগ করা হবে বলে সেই নম্বরটি সব সময় সচল রাখতে হবে।
শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমেই এসএমএস পাঠিয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করা যাবে।
ইউজার আইডি জানা থাকলে: BTRCHELPUSERUser ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC HELP USER ABCDEF
পিন জানা থাকলে: BTRCHELPPINPIN No লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC HELP PIN 123456789
অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে অথবা যেকোনো অপারেটরের ফোন থেকে ০১৫০০১২১১২১ নম্বরে ফোন করতে সাহায্য নিতে পারবেন। এছাড়া [email protected] এবং [email protected] ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
মেইলের সাবজেক্টে অরগানাইজেশন নেম BTRC, পদের নাম, প্রার্থীর User ID ও ফোন নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে আগেই যথেষ্ট সময় নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলা ভালো।
সুতরাং অপেক্ষা না করে এখনই অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে ফেলুন।
আরও পড়ুন:শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য দ্বিতীয় শ্রেণির পদে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগের প্রতিবাদে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের স্থায়ী কর্মচারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান কার্যালয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভকালে কর্মচারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের মূল দাবি হলো, অবিলম্বে প্রেষণে দেওয়া ওই কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য এই পদে যোগ্য দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন-এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. মওদুদুল করিম (বাবু), মুজাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মচারীরা। তারা বলেন, যে পদটি সম্পূর্ণভাবে বোর্ডের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত, সেখানে প্রেষণে প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, এটি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন করছে এবং পদোন্নতির সুযোগকে সীমিত করে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন মো. আহসান হাবিবের সমর্থকেরা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ নিয়ে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মো. আহসান হাবীব তিনি আজ সহকারী কলেজ পরিদর্শক পদে যোগদান করতে এসেছিলেন, সেটি ১০ম গ্রেডের পদ, তিনি ৯ম গ্রেডে চাকরি করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে পদটি প্রথম শ্রেণির পদ নয়। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে আমাদের কর্মচারীরা বাঁধা সৃষ্টি করে। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
চেয়ারম্যান আরও জানান, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ঘটনার জেরে শিক্ষাবোর্ডে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঝালকাঠির পৌর শ্মশানঘাটে রোববার সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্বালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় মৃত স্বজনদের পছন্দের খাবার তাদের সমাধিতে উৎসর্গ করা হয়।
ঝালকাঠি পৌর শ্মশান কমিটির সভাপতি নির্মল চন্দ্র দে তরনী জানান, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের তিথিকে ভূতচতুর্দশী তিথি বলা হয়ে থাকে। রোববার সন্ধ্যায় তিথি শুরু হয়েছে এবং আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলবে।
তিনি আরো বলেন, ‘বিকেল থেকেই সনাতনসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরাও শ্মশানঘাট প্রাঙ্গণে জমায়েত হতে থাকে। দিপাবলী উপলক্ষে প্রতি বছর এই দিনে হাজারো মানুষের পদচারণ থাকে এখানে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অলোক সাহা জানিয়েছেন, ‘দীপালি উৎসবকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার সমাধির এই শ্মশানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সদর থানা পুলিশ, র্যাবসহ সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে। পাশাপাশি আছেন শ্মশান রক্ষা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।'
বিধান রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাবার সমাধিতে মোমবাতি, আগরবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে স্মরণ করতে এসেছি। তিনি মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন, তার সমাধিতে নানা ধরনের মিষ্টি সাজিয়ে উৎসর্গ করেছি।’
শ্মশান এলাকায় অনেককে কীর্তন করতে দেখা গেছে। কেউবা অশ্রুসজল চোখে স্মরণ করেন হারানো প্রিয় মানুষটিকে।
বিকেলে অল্প সংখ্যাক লোকজন থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুগন্ধা নদীর তীরে পৌর শ্মশানঘাটে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সমাগম বাড়তে থাকে।
রাতে দিপালী উৎসব পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান এবং পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়। উৎসব চলাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোঁজ নেন পুলিশ সুপার।
এছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সদস্য সচীব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিনসহ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপিরএকটি প্রতিনিধি দল দীপালি উৎসবে এসে উপস্থিত সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবির আহ্বানে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন গিরাগাঁও বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৪০৯/২ এস সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রমজানপাড়া এলাকার শুন্যরেখায় এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মনিরুল ইসলাম ও বিজিবি, এমএস, পিএসসি, এসি ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানজির আহমেদ।
তার সঙ্গে ছিলেন স্টাফ অফিসারসহ মোট ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। অপরদিকে বিএসএফ-এর পক্ষে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ১৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট শ্রী অজয় কুমার শুকলা ও বিএসএফ ১৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট রাজেশ বোহরা।
সৌজন্য সাক্ষাতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি রক্ষা, সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ, মানব পাচার, গরু পাচার রোধ এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ, পুশইনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে চোরাকারবারীরা সুযোগ নিতে পারে। সাক্ষাতে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও চোরাচালান রোধে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতের শুরুতে বিজিবি- বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ে কুশলাদি বিনিময় করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।
এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।
খুলনার বাজারে কমছে না সবজির দাম। মাছের দামও কমেনি। সবজি ও মাছের চড়া মূল্যের কারণে ক্রেতাদের অভিযোগেরও শেষ নেই। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি সরবরাহ না থাকায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে। রোববার খুলনার নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, খালিশপুর বাজার ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো ১২০, পটল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০ ও কচুমুখী ৪০ টাকা কেজি, চায়না গাজর ১৪০, মোটা গোল বেগুন ১২০ ও শসা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০, শিম ১২০-১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৭০, চিকন বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ঢেড়স ৭০-৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২৮০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে ও খাসির মাংস ১,১৫০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, রুই মাছ আকারভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা দরে, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, পাঙাশ মাছ ১৬০-২০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। নতুন সবজি বাজারে উঠলেই দাম অনেকটা কমে যাবে। মাঝে সবজির দাম ১০-১৫ টাকা কেজিতে কমলেও বৃষ্টি হওয়ায় ফের দাম বেড়েছিল। তবে বাজারে সবজির সরবরাহ কম; কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সবুজ মোল্যা বলেন, ‘শীতকালীন কিছু সবজি উঠলেও এখন চড়া দাম। পাইকার বাজারেও দাম অনেক বেশি। এ জন্য অল্প-স্বল্প সবজি উঠাচ্ছি। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কম কম সবজি ক্রয় করছেন।’
নিউমার্কেট বাজারে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সবজি কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর মাছের দামে তো আগুন। সামুদ্রিক মাছের দামও হুহু করে বেড়েছে। এমন চড়া দামে মাছ-সবজি কেনা অনেক কষ্টকর। কোনো সবজি ৫০ টাকার নিচে নেই।’
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী কামাল মিয়া বলেন, ‘সবজির আমদানি কম থাকলে দাম একটু বেশি থাকে। আর গত কয়েক মাস ধরে তো বৃষ্টির কারণে সবজি নেই বললেই চলে বাজারে। শীতকালে একটু বাজারের পরিবেশ ঠাণ্ডা হতে পারে। তবে আমাদের সবজির দাম বেশি রাখার কোনো সুযোগ নেই।’
বাংলার গ্রামীণ কৃষিজীবনে একসময় ছিল দোন আর সেঁউতির রাজত্ব। বাঁশ, কাঠ, দড়ি ও মাটির কলস বা টিনের পাত্র দিয়ে তৈরি এই সেচযন্ত্রগুলো ছিল কৃষকের অমূল্য সম্পদ। খাল, পুকুর কিংবা নদী থেকে পানি তুলে উঁচু জমিতে ফসল ফলাতে দোন ও সেঁউতির বিকল্প ছিল না। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন সেই ঐতিহ্যবাহী সেচব্যবস্থা হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে।
মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া, বুনাগাতী, গঙ্গারামপুরসহ মাগুরার বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় দোন-সেঁউতি ছাড়া সেচ দেওয়ার কথা ভাবাই যেত না। ভোর কিংবা বিকেলে দল বেঁধে কৃষকরা যেতেন খাল বা নদীর ধারে। কেউ টানতেন সেঁউতি, কেউ চালাতেন দোন। দোলনার মতো দোন নড়াচড়া করত একদিক থেকে অন্যদিকে, আর তার সঙ্গে উঠত স্বচ্ছ পানি- যা ঢালা হতো ফসলি জমিতে।
দোনকল সাধারণত একটি লম্বা বাঁশ বা কাঠের সঙ্গে তৈরি হতো। এক প্রান্তে থাকত মাটির পাত্র বা টিনের কলস, অন্য প্রান্তে ভারসাম্য রাখার জন্য ভারী বস্তু। একজন মানুষ সহজেই এটি চালাতে পারতেন। অন্যদিকে সেঁউতি ছিল কিছুটা বড়, দোলনার মতো কাঠামো, যা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি পা দিয়ে চালাতেন।
এখন আর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায় না। বিদ্যুৎচালিত পাম্প আর ডিজেল ইঞ্জিনের আগমনে দোন-সেঁউতি হারিয়েছে জীবনের বাস্তবতা, টিকে আছে শুধু স্মৃতিতে।
শালিখার আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক শুকুর বিশ্বাস সেই দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আগেকার দিনে মেশিন তো ছিল না। আমরা দোনে পানি তুলে জমি ভরতাম। সেই সময়ের পরিশ্রম, মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ- সব হারিয়ে গেছে। এখন মেশিনে সব হয়, কিন্তু মানুষের মধ্যে সেই একতা নেই।’
বুনাগাতীর দেশমুখপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের সময়ে খাল থেকে দোনে পানি তুলে পাতোর ভুঁইতে দিতাম। একজনের কাজ শেষ হলে অন্যজনের জমিতে যেতাম। কাজটা কঠিন ছিল, কিন্তু সবাই মিলেমিশে করতাম বলে ক্লান্তি লাগত না। এখন এসব দেখে না নতুন প্রজন্ম।’
শ্রীপুর উপজেলার প্রবীণ কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে যখন মোটর বা ডিজেল পাম্প ছিল না, তখন দোন আর সেঁউতি দিয়েই আমরা জমিতে পানি দিতাম। দুজন মিলে দিনভর সেঁউতি টানলে জমি ভিজে যেত, ক্লান্তি থাকত কিন্তু তৃপ্তিও ছিল।
দোন ও সেঁউতি কেবল সেচযন্ত্র নয়- এগুলো ছিল গ্রামীণ জীবনের এক অনন্য ঐতিহ্য, যা মানুষের পরিশ্রম, সহযোগিতা আর আনন্দের প্রতীক হয়ে বেঁচে ছিল প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আজকের তরুণ কৃষকরা হয়তো জানেনই না। তাদের পূর্বপুরুষরা কীভাবে নিখুঁত দক্ষতায় জমিতে পানি দিতেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন কৃষিযন্ত্র দোন-সেঁউতি। একসময় এগুলোর ব্যাপক ব্যবহার ছিল; কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির কারণে তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
এখন দোন-সেঁউতির শব্দ আর শোনা যায় না, দেখা যায় না খালের পাড়ে দোলায় দুলতে থাকা বাঁশের দণ্ড। তবু মাটির গন্ধে, পুরোনো কৃষকের কপালের ঘামে, আর তাদের স্মৃতিচারণে এখনো বেঁচে আছে সেই সোনালি দিনের কৃষি ঐতিহ্য।
মাগুরার মাটিতে তাই এখনো লুকিয়ে আছে এক চিরচেনা গল্প- যেখানে প্রযুক্তি জয় করেছে সময়কে; কিন্তু হারিয়ে গেছে গ্রামীণ জীবনের সোনালি এক অধ্যায়।
দোন-সেঁউতির ইতিহাস: দোন-সেঁউতির ইতিহাস মূলত বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষি সেচ পদ্ধতির ইতিহাস। অতীতে, যখন আধুনিক যন্ত্র ছিল না, তখন কৃষক এই হাতে তৈরি পদ্ধতি ব্যবহার করে নদী, খাল বা জলাশয় থেকে জমিতে জলসেচ দিত। এটি একটি সরল; কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি ছিল যেখানে ‘দোন’ নামক বড় আকারের পাত্র ও ‘সেঁউতি’ নামক বিশেষ ধরনের নলের মাধ্যমে জল উত্তোলন করা হতো। প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে এখন এটি প্রায় বিলুপ্ত; কিন্তু গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এটি এখনো কিছু স্মৃতিতে বেঁচে আছে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।
তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস
মন্তব্য