সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যাত্রা শুরু করে।
এটি টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ দ্বারা গঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত একটি স্বাধীন কমিশন। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের ভার এই প্রতিষ্ঠানটির উপর অর্পিত। বিটিআরসি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ-সংক্রান্ত বিষয়াবলি যেমন সেলুলার নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ, ক্যাবল ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিটিআরসির বর্তমান চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
দেশের এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ২৩ মার্চ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে।
যেসব পদে নিয়োগ দেয়া হবে
১. সহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদে ৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে টেলিকমিউনিকেশন/ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
২. সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে। তবে শিক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৩. সহকারী পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে। তবে শিক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৪. উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৫. উপসহকারী পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৬. উপসহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদে ৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত কারিগরি বোর্ড হতে টেলিকমিউনিকেশন/ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক/কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ে দ্বিতীয় বিভাগ বা শ্রেণির ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৭. ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৮. প্রশাসনিক সহকারী পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১১। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৯. অভ্যর্থনাকারী/বিএবিএক্স অপারেটর পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১১। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১০. ব্যক্তিগত সহকারী পদে ৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১২। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১১. কম্পিউটার অপারেটর পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১৩। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১২. হিসাবরক্ষক পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১৩। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক অথবা বাণিজ্য বিভাগে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
বয়স
২০২১ সালের ১ মার্চ উপসহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদের প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। অন্যান্য পদের প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এসএসসি) অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রে দেয়া জন্মতারিখ অনুসারে প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা (নাতি-নাতনি) প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে পারবে। বয়সের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যান্য শর্ত
সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এমন প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি যেসব বিধিবিধান আছে তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করবে। এসব বিধিবিধান পরবর্তীতে সংশোধন করা হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সেসবও অনুসরণ করবে। প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা শিক্ষাগত যোগ্যতার বাইরে অন্য ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য গোপন করলে আবেদন বতিল হয়ে যাবে। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ চাকরিতে নিয়োগ পেলে তার নিয়োগাদেশ বাতিল করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য টিএ/ডিএ দেয়া হবে না।
মৌখিক পরীক্ষার সময় যেসব কাগজপত্র আনতে হবে
মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র ও অনাপত্তিপত্রের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া পূরণকৃত অ্যাপ্লিকেশন ফরমসহ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সব সনদপত্রের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।
সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদের সত্যায়িত কপি, জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার মেয়র অথবা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দেয়া সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা হলে ‘আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা’ এই মর্মে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর অথবা পৌরসভার মেয়রের দেয়া সনদপত্রের কপি জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর বাবা-মায়ের নাম এবং মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার নাম উল্লেখসহ মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্কের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে সনদে উল্লেখ করতে হবে।
এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এমন প্রার্থীদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দেয়া অনাপত্তিপত্র অথবা ছাড়পত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ জারিকৃত সরকারি বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া পদের সংখ্যা কমানো-বাড়ানো এবং কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বিজ্ঞপ্তির আংশিক বা পুরো অংশ বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
সব পদের জন্য লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কেবল লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
আবেদনপত্র পূরণের নিয়ম
http://btrc.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ২০২১ সালের ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৫টার মধ্যে আবেদন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ইউজার আইডি পাওয়া প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিটের সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন।
অনলাইন আবেদনপত্রে প্রার্থী তার রঙিন ছবি (দৈর্ঘ ৩০০ পিক্সেল X প্রস্থ ৩০০ পিক্সেল) ও স্বাক্ষর (দৈর্ঘ ৩০০ পিক্সেল X প্রস্থ ৮০ পিক্সেল) স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১০০ কেবি এবং স্বাক্ষরের সাইজ সর্বোচ্চ ৮০ কেবি হতে পারবে।
অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রে দেয়া তথ্যই যেহেতু পরবর্তী সব কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে, সেহেতু অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট করার আগে প্রার্থীকে সব তথ্যের সত্যতা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
প্রার্থীর দেয়া কোনো তথ্য বা জমাকৃত কাগজপত্র জাল, মিথ্যা বা ভুয়া প্রমাণিত হলে বা পরীক্ষায় নকল করলে বা বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া যোগ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো তথ্য দাখিল করলে বা বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা লঙ্ঘন করা কোনো আবেদন পাওয়া গেলে প্রার্থীর প্রার্থিতা নিয়োগের যেকোনো পর্যায়ে বাতিল করা হবে। পাশাপাশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রার্থী অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি কপি যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য নিজের কাছে সংরক্ষণ করবেন।
এসএমএস ও পরীক্ষার ফি দেয়ার নিয়ম
অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করা হলে প্রার্থী একটি ইউজার আইডি, ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাবেন। এই কপিটি প্রার্থী প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করবেন। ইউজার আইডি ব্যবহার করে প্রার্থী টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে দুইটি এসএমএস করে পরীক্ষার ফি হিসেবে ২২৪ টাকা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেবেন।
প্রথম এসএমএস
BTRCUSER ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC ABCDEF
রিপ্লাই আসবে: Applicant's Name, Tk.224 woll be charged as application fee, Your PIN is xxxxx. To pay fee Type BTRCYESPIN and send to 16222.
দ্বিতীয় এসএমএস
BTRCYESPIN লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC YES 123456789
রিপ্লাই আসবে: Congratulations Applicant's Name, payment completed successfully for BTRC Recruitment Application for xxxxxxxxx User ID is (ABCDEF) and Password (xxxxxx).
মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আবেদনপত্রের সব অংশ পূরণ করে সাবমিট করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেয়া পর্যন্ত আবেদনপত্র গৃহীত হবে না।
এসএমএসে দেয়া ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পরে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও ভেন্যুর নাম ইত্যাদি তথ্য সংবলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। প্রিন্ট রঙিন হলে ভালো। এই প্রবেশপত্রটি সব পরীক্ষার সময় কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।
প্রবেশপত্র সংগ্রহের নোটিশ http://btrc.teletalk.com.bd/ এবং http://btrc.gov.bd/ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রবেশপত্র সংগ্রহের এসএমএস যোগ্য প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে পাঠানো হবে।
অনলাইন আবেদনপত্রে দেয়া মোবাইল নম্বরেই পরীক্ষার বিষয়ে সব যোগাযোগ করা হবে বলে সেই নম্বরটি সব সময় সচল রাখতে হবে।
শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমেই এসএমএস পাঠিয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করা যাবে।
ইউজার আইডি জানা থাকলে: BTRCHELPUSERUser ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC HELP USER ABCDEF
পিন জানা থাকলে: BTRCHELPPINPIN No লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC HELP PIN 123456789
অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে অথবা যেকোনো অপারেটরের ফোন থেকে ০১৫০০১২১১২১ নম্বরে ফোন করতে সাহায্য নিতে পারবেন। এছাড়া [email protected] এবং [email protected] ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
মেইলের সাবজেক্টে অরগানাইজেশন নেম BTRC, পদের নাম, প্রার্থীর User ID ও ফোন নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে আগেই যথেষ্ট সময় নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলা ভালো।
সুতরাং অপেক্ষা না করে এখনই অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে ফেলুন।
আরও পড়ুন:গাজীপুরের গাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় গাছা থানার ঝাজর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— হবিগঞ্জের মাজিশাইল গ্রামের মো. কাউছার মিয়া (৩৫), ময়মনসিংহের চরমদাখালী গ্রামের সাব্বির হোসেন রাজিব (২৫) এবং গাজীপুরের কোমোন গ্রামের শাখাওয়াত ওরফে সৈকত (২৬)।
পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার কাউছার ও শাখাওয়াতের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, গত সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গাছা থানাধীন ঈশ্বড্ডা এলাকায় অবস্থিত ‘আপন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের একটি কারখানায় ১০–১২ জনের একটি ডাকাত দল হানা দেয়।
ডাকাতরা কারখানাটি থেকে ১১৩ ব্যাগ প্লাস্টিক কাঁচামাল (যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬ লাখ টাকা), প্রায় ২ লাখ টাকার ৪০টি ডাইস, আইপিএস, ব্যাটারি, দুটি বড় স্ট্যান্ড ফ্যান, দুটি গ্রাইন্ডিং মেশিন, নগদ ৫ হাজার টাকা এবং ৩টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও অভিযান চালিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ঝাজর এলাকা থেকে মামলার তিন আসমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি আমিনুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর আজ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার জন্য উপস্থাপন করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত সংস্থা আবু সাঈদ হত্যার যে তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দিয়েছে, সেখানে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনাল-২ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
এই মামলায় গ্রেফতার চার আসামির মধ্যে পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে আগামী ১৮ জুন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
২০২৪ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আবু সাঈদ (২৫)। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন ছাত্র-জনতা। এতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আত্মহত্যার খবরটি সঠিক নয়। কুমিল্লা জেলার একাধিক সাংবাদিক ও মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ফ্যাক্টওয়াচকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চে ভুক্তভোগী ওই নারীর আত্মহত্যার বিষয়ে জাতীয় ও কুমিল্লার আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলোতেও দাবিটির পক্ষে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ, ফেসবুকে দাবিটি সূত্রহীনভাবেই প্রচার হচ্ছে।
পরে এ বিষয়ে অধিকতর যাচাইয়ে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে কর্মরত কুমিল্লার একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্যাক্টওয়াচ। কুমিল্লা জেলা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীর আত্মহত্যার খবরটি গুজব।
এছাড়া মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমানের সঙ্গে দাবিটি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফ্যাক্টওয়াচকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলেই আছেন। ভুক্তভোগী নারীর আত্মহত্যার দাবিটি গুজব।
ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সুনির্দিষ্ট বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে এটা নিশ্চিত যে, কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণের আলোচিত ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আত্মহত্যার দাবিটি কোনো সূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে। এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত ও প্রমাণ করছে।
দেশে বিভিন্ন বিষয়ে গুজব, অপতথ্য ও ভুল তথ্যের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিভিন্ন ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করছে।
বাংলাদেশে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে ফ্যাক্টওয়াচ। এটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় (ইউল্যাব) অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটিভেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) দ্বারা পরিচালিত।
কুড়িগ্রামের চরবেষ্টিত উপজেলা চিলমারীসহ বিভিন্ন দুর্গম স্থানে ডাকাতি ও অপরাধ প্রতিরোধে আকাশ ও নদীপথে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। দুর্গম চরাঞ্চল ও ব্রহ্মপুত্র নদের ঝুঁকিপূর্ণ রুটে পুলিশের টহল জোরদার করার পাশাপাশি আকাশে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে প্রতিনিয়ত।
বিশেষ করে, হাটের দিন চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌরুটে পুলিশের একাধিক ইউনিট—গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশ ও থানা পুলিশ সমন্বিতভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে থাকছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অতীতে বিভিন্ন সময় চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর রুটে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পর থেকেই নৌপথ ও চরাঞ্চলের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়। বর্তমানে শুধুমাত্র টহল নয়, আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চরাঞ্চলের জঙ্গলাকীর্ণ ও নজরদারির বাইরে থাকা এলাকাগুলোতেও তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
ড্রোন ক্যামেরায় চরাঞ্চলে ঝোপঝাড় কিংবা গোপন জায়গায় অপরাধীরা অবস্থান করলেও সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ডাকাতি ও মাদকপাচারের মত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।
উপজেলার জোড়গাছ এলাকায় প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার বড় হাট বসে। এসব দিনে চরাঞ্চল ও আশপাশের উপজেলা থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নৌপথে হাটে আসেন।
জেলা পুলিশ জানায়, হাটের দিনগুলোতে জোড়গাছ হাট, রমনা ঘাট, কাঁচকোল, ফকিরের হাট ও চিলমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এসব পয়েন্টে ড্রোন ব্যবহার ছাড়াও নৌপুলিশ ও থানা পুলিশের আলাদা টহল দল সক্রিয় থাকে।
চিলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আজগর আলী মণ্ডল (৬৫) বলেন, ‘আগে মাঝেমধ্যেই ডাকাতি হতো। এখন তা প্রায় নেই বললেই চলে। আকাশে ড্রোন উড়তে দেখলে বুঝি, পুলিশ সব জায়গা নজরদারি করছে। এতে নিরাপত্তা অনেক বেড়েছে।’
জোড়গাছ এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, ‘আগে হাটে আসার সময় ভয় লাগত, কিন্তু এখন নৌকায় পুলিশের টহল, নদীতে উপস্থিতি ও ড্রোন নজরদারি দেখে আমরা অনেকটাই নিশ্চিন্ত। পুলিশের এমন নজরদারির খবর ছড়িয়ে পড়ায় অপরাধীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছে। তারা অপরাধ ঘটানোর সাহস পাচ্ছে না। এতে আমরাও নিরাপদ।’
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘চিলমারী নদীবন্দর ও আশপাশের নৌরুটে অপরাধ দমনে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বক্ষণ মনিটর (পর্যবেক্ষণ) করা হচ্ছে। পুলিশের নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারির ফলে দীর্ঘদিন ধরে নৌ-ডাকাতি নেই বললেই চলে। আমরা প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশিংয়ের মাধ্যমে চিলমারীকে নিরাপদ রাখতে বদ্ধপরিকর।’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) দুইদিনব্যাপী ‘ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০২৫’ উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার ২৭ ও ২৮ জুনের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সচেতনতা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি ও সেশন আয়োজন করা হয়।
২৭ জুন সকাল থেকে দিনব্যাপী নানা কার্যক্রমে উৎসবে মুখর থাকে ক্যাম্পাস। সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ইউএনডিপি’র বিশেষ সেশন এবং দেশের খ্যাতনামা ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ আসিফ ইকবালের দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর এক্সটেম্পোর বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের চিন্তা ও বক্তব্য উপস্থাপনের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পান।
দুপুরের পর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মক ইন্টারভিউ সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাস্তব ইন্টারভিউ পরিস্থিতির অনুশীলনের সুযোগ তৈরি হয়। এরপর শুরু হয় ব্যবসায়িক কেস প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরেন। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে শেষ ভাগে ছিল আকর্ষণীয় ট্রেজার হান্ট এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাণবন্ত পরিবেশে সম্পন্ন হয় ক্যারিয়ার ফেস্টের প্রথম দিনের কার্যক্রম।
২৮ জুন ক্যারিয়ার ফেস্টের আয়োজনে দেশের বিভিন্ন খাতের অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা অংশ নেন এবং শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা তাদের আলোচনা থেকে কর্পোরেট দুনিয়া, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরির সুযোগ-চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করেন।
বিভিন্ন বিষয়ে সেশন নেন ও বক্তব্য প্রদান করেন খন্দকার তানভির আহসান, সাবেক এইচআর ও অ্যাডমিন, PLAMPAY; মাহমুদ হাসান প্রিন্স, সায়েন্টিস্ট, ইস্পাহানি গ্রুপ; ফজলে রাব্বি, সহকারী প্রোগ্রামার, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (PDBF), স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; রাহুল দত্ত, ট্রেনিং অফিসার (WIS), ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (BAT) বাংলাদেশ; মীর মোহাম্মদ আলী, সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, ফিশারিজ ও মেরিন সায়েন্স অনুষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; জাভেদ মিয়াঁদাদ, ম্যানেজার, Anticipatory Action, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ; আদনান নাসের ধ্রুব, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রফেশনাল ও উদ্যোক্তা; মো. আসিকুর রহমান আসিক, রিজিওনাল অপারেশন হেড, বিডি অ্যাপস (BDAPPS), বরিশাল বিভাগ; মাহবুবুর নাহিদ, সাহিত্যিক, কলামিস্ট, ১৭টি গ্রন্থের লেখক, নেক্সট বিডি’র নির্বাহী সম্পাদক এবং স্পোর্টস ২৪৭ মিডিয়া হাউসের সম্পাদক; এবং রুহান জুনাইদুল ইসলাম, প্রতিনিধি, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড।
দুইদিনব্যাপী ক্যারিয়ার ফেস্টে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হন এবং নিজেদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আরও সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের ক্যারিয়ার উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আরও বেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী এতে সম্পৃক্ত হতে পারেন।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (৩০ জুন) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের সই করা আবহাওয়ার সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব কিংবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে বলে বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব শান্তিসূচকে বাংলাদেশ ৩৩ ধাপ পিছিয়েছে, যার অন্যতম কারণ জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের চালানো হত্যাযজ্ঞ।
রিসার্চ টিম জানায়, অনেকে এই অবনতিকে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরছেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম ও ফটোকার্ড দেখে অনেক পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব শান্তিসূচক রিপোর্টটি এ বছর প্রকাশিত হলেও এই সূচক তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কাল বিবেচনা করে।
মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে বাংলাদেশের সূচকের এই অবনতির কারণ হিসেবে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।
মন্তব্য