সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যাত্রা শুরু করে।
এটি টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ দ্বারা গঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত একটি স্বাধীন কমিশন। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের ভার এই প্রতিষ্ঠানটির উপর অর্পিত। বিটিআরসি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ-সংক্রান্ত বিষয়াবলি যেমন সেলুলার নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ, ক্যাবল ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিটিআরসির বর্তমান চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
দেশের এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ২৩ মার্চ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে।
যেসব পদে নিয়োগ দেয়া হবে
১. সহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদে ৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে টেলিকমিউনিকেশন/ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
২. সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে। তবে শিক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৩. সহকারী পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ৯। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকসহ দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি প্রথম শ্রেণি বা বিভাগ থাকতে হবে। তবে শিক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি শুদ্ধভাবে বলতে ও লিখতে পারতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৪. উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৫. উপসহকারী পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৬. উপসহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদে ৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত কারিগরি বোর্ড হতে টেলিকমিউনিকেশন/ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক/কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ে দ্বিতীয় বিভাগ বা শ্রেণির ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৭. ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১০। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৮. প্রশাসনিক সহকারী পদে ২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১১। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
৯. অভ্যর্থনাকারী/বিএবিএক্স অপারেটর পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১১। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১০. ব্যক্তিগত সহকারী পদে ৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১২। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১১. কম্পিউটার অপারেটর পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১৩। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
১২. হিসাবরক্ষক পদে ১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে। পদটির গ্রেড ১৩। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা বেতন।
প্রার্থীকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক অথবা বাণিজ্য বিভাগে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় কমপক্ষে ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৪০ শব্দ লিখতে পারতে হবে। কম্পিউটার চালনা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
দেশের সব জেলার প্রার্থীরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন।
বয়স
২০২১ সালের ১ মার্চ উপসহকারী পরিচালক (কারিগরি) পদের প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। অন্যান্য পদের প্রার্থীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এসএসসি) অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রে দেয়া জন্মতারিখ অনুসারে প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা (নাতি-নাতনি) প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে পারবে। বয়সের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যান্য শর্ত
সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এমন প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি যেসব বিধিবিধান আছে তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করবে। এসব বিধিবিধান পরবর্তীতে সংশোধন করা হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সেসবও অনুসরণ করবে। প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা শিক্ষাগত যোগ্যতার বাইরে অন্য ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য গোপন করলে আবেদন বতিল হয়ে যাবে। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ চাকরিতে নিয়োগ পেলে তার নিয়োগাদেশ বাতিল করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য টিএ/ডিএ দেয়া হবে না।
মৌখিক পরীক্ষার সময় যেসব কাগজপত্র আনতে হবে
মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র ও অনাপত্তিপত্রের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া পূরণকৃত অ্যাপ্লিকেশন ফরমসহ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সব সনদপত্রের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে।
সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মসনদের সত্যায়িত কপি, জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার মেয়র অথবা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দেয়া সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা হলে ‘আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা’ এই মর্মে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর অথবা পৌরসভার মেয়রের দেয়া সনদপত্রের কপি জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর বাবা-মায়ের নাম এবং মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার নাম উল্লেখসহ মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্কের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে সনদে উল্লেখ করতে হবে।
এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এমন প্রার্থীদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দেয়া অনাপত্তিপত্র অথবা ছাড়পত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ জারিকৃত সরকারি বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া পদের সংখ্যা কমানো-বাড়ানো এবং কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বিজ্ঞপ্তির আংশিক বা পুরো অংশ বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
সব পদের জন্য লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কেবল লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
আবেদনপত্র পূরণের নিয়ম
http://btrc.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ২০২১ সালের ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৫টার মধ্যে আবেদন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ইউজার আইডি পাওয়া প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিটের সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন।
অনলাইন আবেদনপত্রে প্রার্থী তার রঙিন ছবি (দৈর্ঘ ৩০০ পিক্সেল X প্রস্থ ৩০০ পিক্সেল) ও স্বাক্ষর (দৈর্ঘ ৩০০ পিক্সেল X প্রস্থ ৮০ পিক্সেল) স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১০০ কেবি এবং স্বাক্ষরের সাইজ সর্বোচ্চ ৮০ কেবি হতে পারবে।
অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রে দেয়া তথ্যই যেহেতু পরবর্তী সব কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে, সেহেতু অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট করার আগে প্রার্থীকে সব তথ্যের সত্যতা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
প্রার্থীর দেয়া কোনো তথ্য বা জমাকৃত কাগজপত্র জাল, মিথ্যা বা ভুয়া প্রমাণিত হলে বা পরীক্ষায় নকল করলে বা বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া যোগ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো তথ্য দাখিল করলে বা বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা লঙ্ঘন করা কোনো আবেদন পাওয়া গেলে প্রার্থীর প্রার্থিতা নিয়োগের যেকোনো পর্যায়ে বাতিল করা হবে। পাশাপাশি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রার্থী অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি কপি যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য নিজের কাছে সংরক্ষণ করবেন।
এসএমএস ও পরীক্ষার ফি দেয়ার নিয়ম
অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করা হলে প্রার্থী একটি ইউজার আইডি, ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাবেন। এই কপিটি প্রার্থী প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করবেন। ইউজার আইডি ব্যবহার করে প্রার্থী টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে দুইটি এসএমএস করে পরীক্ষার ফি হিসেবে ২২৪ টাকা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেবেন।
প্রথম এসএমএস
BTRCUSER ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC ABCDEF
রিপ্লাই আসবে: Applicant's Name, Tk.224 woll be charged as application fee, Your PIN is xxxxx. To pay fee Type BTRCYESPIN and send to 16222.
দ্বিতীয় এসএমএস
BTRCYESPIN লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC YES 123456789
রিপ্লাই আসবে: Congratulations Applicant's Name, payment completed successfully for BTRC Recruitment Application for xxxxxxxxx User ID is (ABCDEF) and Password (xxxxxx).
মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আবেদনপত্রের সব অংশ পূরণ করে সাবমিট করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেয়া পর্যন্ত আবেদনপত্র গৃহীত হবে না।
এসএমএসে দেয়া ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পরে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও ভেন্যুর নাম ইত্যাদি তথ্য সংবলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। প্রিন্ট রঙিন হলে ভালো। এই প্রবেশপত্রটি সব পরীক্ষার সময় কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।
প্রবেশপত্র সংগ্রহের নোটিশ http://btrc.teletalk.com.bd/ এবং http://btrc.gov.bd/ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রবেশপত্র সংগ্রহের এসএমএস যোগ্য প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে পাঠানো হবে।
অনলাইন আবেদনপত্রে দেয়া মোবাইল নম্বরেই পরীক্ষার বিষয়ে সব যোগাযোগ করা হবে বলে সেই নম্বরটি সব সময় সচল রাখতে হবে।
শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমেই এসএমএস পাঠিয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করা যাবে।
ইউজার আইডি জানা থাকলে: BTRCHELPUSERUser ID লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC HELP USER ABCDEF
পিন জানা থাকলে: BTRCHELPPINPIN No লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। যেমন BTRC HELP PIN 123456789
অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে অথবা যেকোনো অপারেটরের ফোন থেকে ০১৫০০১২১১২১ নম্বরে ফোন করতে সাহায্য নিতে পারবেন। এছাড়া [email protected] এবং [email protected] ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
মেইলের সাবজেক্টে অরগানাইজেশন নেম BTRC, পদের নাম, প্রার্থীর User ID ও ফোন নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে আগেই যথেষ্ট সময় নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলা ভালো।
সুতরাং অপেক্ষা না করে এখনই অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে ফেলুন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটি নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য তুলে ধরেন। সূত্র: ইউএনবি
তাতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেদনটি দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং নির্দিষ্ট কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি বরং অবমূল্যায়ন করেছে, যা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোবল ও কার্যকারিতার জন্য ক্ষতিকর।’
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মুখপাত্র বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন প্রতিবেদনে স্থান পায়নি। অন্যদিকে বিচ্ছিন্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।
‘প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়লে স্পষ্ট হবে যে এতে পৃথকভাবে রিপোর্ট করা বা কথিত ঘটনাগুলোর পরিপূর্ণ রেফারেন্স দেয়া হয়নি। এটি সরলীকরণ অনুমাননির্ভর তথ্যে ভরপুর।’
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার বিষয়ে উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে আশা প্রকাশ করেছে, ফিলিস্তিনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরপরাধ নারী ও শিশু হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চলমান প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে।
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘গত বছর অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন অজুহাতে এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে অস্থিরতা, সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়টি প্রতিবেদনে অনুপস্থিত।
‘বেশিরভাগই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার (বেনামী উৎসসহ) কাছ থেকে পাওয়া অনুমাননির্ভর তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমর্থিত।’
‘প্রতিবেদনটি সহজাত পক্ষপাতদুষ্ট, এটি বেশ স্পষ্ট।’
বাংলাদেশ সরকার অবশ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের অব্যাহত আগ্রহের প্রশংসা করেছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যতই প্রত্যাশা করি না কেন, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। মানবাধিকার কোনো শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তবে আর্থ-সামাজিক সীমাবদ্ধতা প্রায়ই এসব অধিকার আদায়ের গতিকে সীমাবদ্ধ করে।’
‘বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
‘যেসব ক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হয়ে বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে টানা মেয়াদে মানবাধিকার পরিস্থিতির অর্থবহ অগ্রগতি করতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিচক্ষণ পর্যবেক্ষক লক্ষ্য করবেন, এ জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, প্রবীণদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচারের সুবিধা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং আরও অনেক কিছুতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এটি বিএনপি এবং তার রাজনৈতিক মিত্রদের সহিংসতা ও ভাঙচুরের বিষয়টি তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ওইসব ঘটনা সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে এবং এর ফলে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
‘এ ধরনের পরিকল্পিত প্রচারণা থেকে জনসাধারণের জীবন, শৃঙ্খলা ও সম্পত্তি রক্ষায় আইনানুগ পদক্ষেপ এবং প্রতিকারের চেষ্টা করার রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপকেও প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে। এটি খুবই হাস্যকর।’
তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই উল্লেখ করা উচিত যে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছে এবং যেকোনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্ণ পেশাদারত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনায় সরকারের আন্তরিক সমর্থন ও পেশাদারত্বের ভিত্তিতে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টি দল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিএনপি ও অন্যান্য দলের নির্বাচন বর্জন সত্ত্বেও ৪২ শতাংশ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।’
মুখপাত্র বলেন, ‘মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেদনে বার বার বেশকিছু অভিযোগ বা অনুযোগ উঠে এসেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
‘উদাহরণস্বরূপ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শরণার্থী বা রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করা অব্যাহত রয়েছে, যা মিয়ানমারের নাগরিক বা বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতির বৈধ দাবিকে ক্ষুণ্ন করছে।’
অন্য একটি উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে দেশের সাংবিধানিক বিধানের পরিপন্থী ‘আদিবাসী জনগণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা অব্যাহত রয়েছে, যা অযৌক্তিক উত্তেজনা ও বিভাজনকে উসকে দেয়ার প্রচেষ্টার নামান্তর।
“আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবেদনটি আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিনিময় করা অকাট্য প্রমাণ বা তথ্য বাদ দিয়েছে বা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
“উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শাহীন মিয়া ও মোহাম্মদ রাজু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে, যাতে ঘটনাগুলো আইনের আওতাভুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। জেসমিন সুলতানার ক্ষেত্রে যে বিচারিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রতিবেদনে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি, বিশেষ করে চলমান যথাযথ প্রক্রিয়ার বিষয়টি।”
মুখপাত্র বলেন, ‘একইভাবে শ্রম অধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো, বিশেষত ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধকরণ ও কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে, যা বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’
‘বরাবরের মতোই প্রতিবেদনে আইনগত কর্মকাণ্ডের চিত্র ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারও কারখানা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি সম্পত্তি বা ব্যবস্থাপনা কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের নামে অযাচিত বাধা বা ভাঙচুরের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের গৃহীত আইনানুগ পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
‘প্রতিকার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গৃহীত প্রশাসনিক ও বিচারিক পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে প্রতিবেদনে মানবাধিকারের পদ্ধতিগত অপব্যবহারের অংশ হিসেবে বেসরকারি ব্যক্তি বা সংস্থার দ্বারা সংঘটিত ঘটনাগুলো প্রকাশের প্রবণতা বজায় রাখা হয়েছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘সাধারণভাবে বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সব নাগরিকের মানবাধিকারের পূর্ণ উপভোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রক্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রত্যাশায় রয়েছে।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৭ (সাত) বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দ সরাফত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
৬০ বছর বয়সী সৈয়দ সরাফত আলী রাজনগর থানার করিমপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
পিবিআই জানায়, শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।
অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গত প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পিবিআই মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে। মামলার খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রেখে নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।’
আরও পড়ুন:দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় অনলাইনে ক্লাস চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তীব্র দাবদাহে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাপমাত্রা না কমায় তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সারা দেশের সব স্কুল-কলেজে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীরে ক্লাস স্থগিত করে অনলাইনে ক্লাস চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।
মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দুহাত ভরে তার বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, শুধু প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একই সঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি (বিজ্ঞাপন), ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়।
সেগুলো হলো যথাক্রমে- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।
এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।
আরও পড়ুন:ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বিএনপি নেতারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এমনকি জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বোধগম্য হয় না যে আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে, জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। তাই জনগণকে হাতিয়ার করে নয়, জনকল্যাণের রাজনীতি করে জনগণের মন জয় করেই তাদেরকে ক্ষমতায় যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে তারা শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তারা সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ। দলটি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধ্যগ্রন্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
‘সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ নিলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালান।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।
‘সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন:আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অলিম্পিকে আটটি স্বর্ণজয়ী কিংবদন্তি জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বকাপের জন্য বোল্টকে দূত করার কথা জানায় আইসিসি।
বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে উচ্ছসিত বোল্ট। এ বিষয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে জ্যামাইকায় ক্রিকেট খেলে বেড়ে উঠা বোল্ট বলেন, ‘ক্যারিবীয় অঞ্চলে ক্রিকেট হচ্ছে জীবনের অংশ। ক্রিকেট আমার হৃদয়ে সব সময়ই এটি বিশেষ জায়গা জুড়ে আছে এবং আমি এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে সম্মানিত।
‘বিশ্বকাপে শক্তি ও উদ্যম নিয়ে কাজ করতে এবং সারা বিশ্বে খেলাটির উন্নয়নে অবদান রাখতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
এবারই প্রথম ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্রে। ৩৭ বছর বয়সী বোল্ট মনে করেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে খেলাধুলার বাজার ধরতে পারবে ক্রিকেট।’ এতে ক্রিকেট খেলাটা নতুন উচ্চতায় উঠবে বলেও বিশ্বাস তার।
তিনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যখন কোনো খেলা অনুসরণ করে, তখন তারা ওই খেলাটিকে সঠিকভাবে অনুসরণ করে এবং তারা সর্বোচ্চটা দেয়। আমার মনে হয়, যদি তারা এটি ধরতে পারে তাহলে তারা ঠিক পথেই এগোবে। আমি যেমনটা বুঝি, আমরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই উদ্যম আনতে পারি, তাহলে দারুণ হবে।’
২০২৮ সালের অলিম্পিকে ফিরবে ক্রিকেট। খেলাধুলার এ বিশ্ব আসরে প্রথম ক্রিকেট খেলা হয়েছিল ১৯০০ সালের প্যারিস আসরে এবং সেটিই অলিম্পিকে ক্রিকেটের একমাত্র প্রদর্শনী।
দীর্ঘ বিরতির পর অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরায় উচ্ছ্বসিত ১০০ ও ২০০ মিটারের বিশ্ব রেকর্ডধারী বোল্ট।
তার ভাষ্যে, ‘একটা স্বর্ণপদক পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। প্রতিটি খেলাই অলিম্পিকের অংশ হতে চেষ্টা করে। কারণ এটা বিশাল একটা ব্যাপার এবং এর পদকের মঞ্চে স্বর্ণপদক জিততে পারাটা দারুণ অনুভূতি।’
মন্তব্য