পানির সংকটে ভুগছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পিসি কালচার হাউজিংয়ের সহস্রাধিক পরিবার। বেশ কয়েক বছর ধরেই এখানে পানির সংকট চলছে। গত দুই মাসে সেই সংকট তীব্র হয়েছে। আর গত দশদিন ধরে বলতে গেলে পানিই পাচ্ছে না এখানকার সহস্রাধিক পরিবার। তারা ঢাকা ওয়াসার গাড়ির পানি কিনেও ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে পারছেন না।
ওয়াসা বলছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং গভীর নলকূপ নষ্ট হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে একটি নলকূপ সংস্কার করা হয়েছে। তাতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সহসাই এ সংকট কাটছে না।
নগরে পানি সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটি এখন তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। তাদের আশা, প্রচুর বৃষ্টি হলে গরম কমবে; তাতে করে পানির চাহিদা কমে আসবে। শীত মৌসুমও বেশি দূরে নয়। তখন চাহিদা অনেকটা কমে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেখেরটেকে অবস্থিত পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটিতে মোট ১৪টি সড়ক রয়েছে। এসব সড়ক সংলগ্ন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি পানির সংকট রয়েছে। তবে ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সড়ক এলাকায় দুই মাস ধরে পানির সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত পাঁচ ধরেই এ এলাকায় পানির সংকট বেড়েছে। বাড়তি টাকা খরচ করে ওয়াসার গাড়ির মাধ্যমে পানি নিতে হচ্ছে। কিন্তু এই সামান্য পানিতে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন তো টাকা দিয়েও ওয়াসার পানির গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ব্যবহারকারীদের নিয়মিতই দিতে হচ্ছে পানির বিল।
পানির এই সংকট নিয়ে কথা হয় পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা আসমা সারমিন লিনার সঙ্গে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ৫ বছর ধরেই পানির সংকটে আছি। দুই বছর ধরে তা তীব্র আকারে ধারণ করেছে। আর গত দুই মাস তো পানির দেখাই পাই না। অথচ প্রতি মাসেই পানির বিল দিতে হচ্ছে।
‘প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে ওয়াসা থেকে পানির গাড়ি কিনে কোনোরকমে চলছি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তা-ও আবার নিয়মিত পাই না। আরেক সমস্যা হলো, ওয়াসার গাড়ি থেকে আমরা যে পানি পাই সেটাও ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত। এই পানি দিয়ে গোছল করায় শরীরে এলার্জি দেখা দিয়েছে।’
একই সড়কের ৭৮ নম্বর বাড়ির দারোয়ান আব্দুর গফুর বলেন, ‘বাবারে, এই রোডে সন্ধ্যার পর থেকেই হাহাকার লেগে যায়। অফিস থেকে ফেরার পর যখন পানি পায় না তখন সবাই রাস্তায় নেমে আসে।’
লিনা ও আব্দুর গফুরের মতোই ৪ নম্বর সড়কের বাসিন্দা আবুল বাশার, ৭ নম্বর সড়কের হাফিস মোল্লা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে বলে, ‘ভাই, আমরা অসহায়। এই গরমে পানি না থাকলে কিভাবে বেঁচে থাকা যায়? ওয়াসাকে বার বার বলেও লাভ হয়নি। আমরা এখন মাঝে মাঝেই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গিয়ে গোছল করে আসি। আর খাওয়া ও রান্নার জন্য বোতলজাত পানি কিনি। কী করবো, নিজের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যেতেও পারি না।’
পানির এই সংকট নিয়ে কথা বলতে শ্যামলীতে অবস্থিত পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির অফিসে গিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাওয়া যায়নি।
অফিস সহকারী সুলতান আহম্মেদ বললেন, ‘আমাদের কাছে তো নিয়মিতই পানি নিয়ে অভিযোগ আসে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। আমরা তো পানি সাপ্লাই দেই না। আমরা বার বার ওয়াসাকে বলেও কিছু করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন আগেও আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াসার এমডির সঙ্গে মিটিং করেছেন। ওয়াসার এমডি বলেছেন যে তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন। এখন দেখি তারা কী ব্যবস্থা নেয়।’
তিনি জানান, মূলত রোডের পেছনের দিকের বাড়িগুলোর বাসিন্দারা বেশি পানির কষ্টে আছেন। কারণ ওয়াসা থেকে যে সামান্য পরিমাণ পানি আসে প্রথম সারির বাড়িগুলো তা মোটর দিয়ে টেনে নেয়। তাই পেছনের বাড়িগুলো পানি পায়ই না বলা যায়। সব মিলিয়ে সোসাইটির দুই থেকে আড়াইশ’ ভবনে পানির সংকট প্রকট। এসব ভবনে হাজারের বেশি পরিবার বসবাস করে।
পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি এলাকাটি ওয়াসার মডস জোন-৩ এর আওতাধীন। এর কার্যালয় লালমাটিয়ায়। এই জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূলত গরম বেড়ে যাওয়ায় পানি চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের সাপ্লাই কমে গিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে গত পরশু ওই এলাকায় আমাদের একটা নতুন কূপ চালু হয়েছে। এটা হওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সংকট পুরোপুরি কাটেনি।
‘পিসি কালচার এলাকায় মূলত ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সড়কে পানির সংকট আছে। কারণ ওই এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানির উৎপাদন কমে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু শতভাগ করতে পারছি না। তবে আমরা একটা নতুন জায়গা ঠিক করেছি পাম্প বসানোর জন্য। এটা হয়ে গেলে আশা করি ওই এলাকায় পানির সংকট কেটে যাবে। আশার কথা হলো, গত দুদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পানির চাহিদা কিছুটা কমে আসবে। আর শীত মৌসুম চলে এলে তো চাহিদা আরও কমবে।’
পানি না দিয়েও ওয়াসা পানির বিল নিচ্ছে- সোসাইটির বাসিন্দাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওয়াসার এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ বিলটা আসে মিটার দেখে। পানি ব্যবহার করলে বিল আসবে, না করলে বিল আসবে না।
‘ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখেন যাদের বিল আসছে তাদের বাসায় পানিও এসেছে। আর যদি সত্যিই এমনটা ঘটে থাকে তাহলে তারা যেন আমাদের রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কারণ পানির বিলের ব্যাপারটা আমাদের রাজস্ব বিভাগ দেখে।’
ওয়াসার গাড়ি থেকে কেনা পানিতেও ময়লা থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেন জয়ন্ত সাহা। তিনি বলেন, ‘গভীর নলকূপ থেকে তুলে সরাসরি গাড়িতে এই পানি সরবরাহ করা হয়। এখানে ময়লা থাকার সুযোগ নেই। এখানে যেটা হয় বাড়ির মালিকরা দীর্ঘদিন পানির হাউজ পরিষ্কার করেন না। সেখানে জমে থাকা আয়রন মিশে পানি ময়লা হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।
নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।
এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।
এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”
ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।
ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।
২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।
উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।
এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।
উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।
সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মন্তব্য