পানির সংকটে ভুগছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পিসি কালচার হাউজিংয়ের সহস্রাধিক পরিবার। বেশ কয়েক বছর ধরেই এখানে পানির সংকট চলছে। গত দুই মাসে সেই সংকট তীব্র হয়েছে। আর গত দশদিন ধরে বলতে গেলে পানিই পাচ্ছে না এখানকার সহস্রাধিক পরিবার। তারা ঢাকা ওয়াসার গাড়ির পানি কিনেও ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে পারছেন না।
ওয়াসা বলছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং গভীর নলকূপ নষ্ট হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে একটি নলকূপ সংস্কার করা হয়েছে। তাতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সহসাই এ সংকট কাটছে না।
নগরে পানি সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটি এখন তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। তাদের আশা, প্রচুর বৃষ্টি হলে গরম কমবে; তাতে করে পানির চাহিদা কমে আসবে। শীত মৌসুমও বেশি দূরে নয়। তখন চাহিদা অনেকটা কমে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেখেরটেকে অবস্থিত পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটিতে মোট ১৪টি সড়ক রয়েছে। এসব সড়ক সংলগ্ন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি পানির সংকট রয়েছে। তবে ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সড়ক এলাকায় দুই মাস ধরে পানির সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত পাঁচ ধরেই এ এলাকায় পানির সংকট বেড়েছে। বাড়তি টাকা খরচ করে ওয়াসার গাড়ির মাধ্যমে পানি নিতে হচ্ছে। কিন্তু এই সামান্য পানিতে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন তো টাকা দিয়েও ওয়াসার পানির গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ব্যবহারকারীদের নিয়মিতই দিতে হচ্ছে পানির বিল।
পানির এই সংকট নিয়ে কথা হয় পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৪৪ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা আসমা সারমিন লিনার সঙ্গে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ৫ বছর ধরেই পানির সংকটে আছি। দুই বছর ধরে তা তীব্র আকারে ধারণ করেছে। আর গত দুই মাস তো পানির দেখাই পাই না। অথচ প্রতি মাসেই পানির বিল দিতে হচ্ছে।
‘প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে ওয়াসা থেকে পানির গাড়ি কিনে কোনোরকমে চলছি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তা-ও আবার নিয়মিত পাই না। আরেক সমস্যা হলো, ওয়াসার গাড়ি থেকে আমরা যে পানি পাই সেটাও ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত। এই পানি দিয়ে গোছল করায় শরীরে এলার্জি দেখা দিয়েছে।’
একই সড়কের ৭৮ নম্বর বাড়ির দারোয়ান আব্দুর গফুর বলেন, ‘বাবারে, এই রোডে সন্ধ্যার পর থেকেই হাহাকার লেগে যায়। অফিস থেকে ফেরার পর যখন পানি পায় না তখন সবাই রাস্তায় নেমে আসে।’
লিনা ও আব্দুর গফুরের মতোই ৪ নম্বর সড়কের বাসিন্দা আবুল বাশার, ৭ নম্বর সড়কের হাফিস মোল্লা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে বলে, ‘ভাই, আমরা অসহায়। এই গরমে পানি না থাকলে কিভাবে বেঁচে থাকা যায়? ওয়াসাকে বার বার বলেও লাভ হয়নি। আমরা এখন মাঝে মাঝেই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গিয়ে গোছল করে আসি। আর খাওয়া ও রান্নার জন্য বোতলজাত পানি কিনি। কী করবো, নিজের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যেতেও পারি না।’
পানির এই সংকট নিয়ে কথা বলতে শ্যামলীতে অবস্থিত পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির অফিসে গিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাওয়া যায়নি।
অফিস সহকারী সুলতান আহম্মেদ বললেন, ‘আমাদের কাছে তো নিয়মিতই পানি নিয়ে অভিযোগ আসে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। আমরা তো পানি সাপ্লাই দেই না। আমরা বার বার ওয়াসাকে বলেও কিছু করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন আগেও আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াসার এমডির সঙ্গে মিটিং করেছেন। ওয়াসার এমডি বলেছেন যে তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন। এখন দেখি তারা কী ব্যবস্থা নেয়।’
তিনি জানান, মূলত রোডের পেছনের দিকের বাড়িগুলোর বাসিন্দারা বেশি পানির কষ্টে আছেন। কারণ ওয়াসা থেকে যে সামান্য পরিমাণ পানি আসে প্রথম সারির বাড়িগুলো তা মোটর দিয়ে টেনে নেয়। তাই পেছনের বাড়িগুলো পানি পায়ই না বলা যায়। সব মিলিয়ে সোসাইটির দুই থেকে আড়াইশ’ ভবনে পানির সংকট প্রকট। এসব ভবনে হাজারের বেশি পরিবার বসবাস করে।
পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি এলাকাটি ওয়াসার মডস জোন-৩ এর আওতাধীন। এর কার্যালয় লালমাটিয়ায়। এই জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূলত গরম বেড়ে যাওয়ায় পানি চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের সাপ্লাই কমে গিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে গত পরশু ওই এলাকায় আমাদের একটা নতুন কূপ চালু হয়েছে। এটা হওয়ার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সংকট পুরোপুরি কাটেনি।
‘পিসি কালচার এলাকায় মূলত ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সড়কে পানির সংকট আছে। কারণ ওই এলাকায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানির উৎপাদন কমে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু শতভাগ করতে পারছি না। তবে আমরা একটা নতুন জায়গা ঠিক করেছি পাম্প বসানোর জন্য। এটা হয়ে গেলে আশা করি ওই এলাকায় পানির সংকট কেটে যাবে। আশার কথা হলো, গত দুদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পানির চাহিদা কিছুটা কমে আসবে। আর শীত মৌসুম চলে এলে তো চাহিদা আরও কমবে।’
পানি না দিয়েও ওয়াসা পানির বিল নিচ্ছে- সোসাইটির বাসিন্দাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওয়াসার এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ বিলটা আসে মিটার দেখে। পানি ব্যবহার করলে বিল আসবে, না করলে বিল আসবে না।
‘ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখেন যাদের বিল আসছে তাদের বাসায় পানিও এসেছে। আর যদি সত্যিই এমনটা ঘটে থাকে তাহলে তারা যেন আমাদের রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কারণ পানির বিলের ব্যাপারটা আমাদের রাজস্ব বিভাগ দেখে।’
ওয়াসার গাড়ি থেকে কেনা পানিতেও ময়লা থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেন জয়ন্ত সাহা। তিনি বলেন, ‘গভীর নলকূপ থেকে তুলে সরাসরি গাড়িতে এই পানি সরবরাহ করা হয়। এখানে ময়লা থাকার সুযোগ নেই। এখানে যেটা হয় বাড়ির মালিকরা দীর্ঘদিন পানির হাউজ পরিষ্কার করেন না। সেখানে জমে থাকা আয়রন মিশে পানি ময়লা হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন:ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৭০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৫৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৬টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য