রাজধানীর কাফরুল এলাকা থেকে নব্য জেএমবির নেতা জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ফোরকান ভাইকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
দুই সহযোগীসহ মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন টিম।
সিটিটিসির ভাষ্য, জাহিদ পুলিশের কাছে পরিচিত ‘বোমা মিজান’ হিসেবে। সংগঠনের সদস্যরা তাকে ডাকে ‘ফোরকান ভাই’। সিটিটিসির মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ছিলেন তিনি।
কে এই জাহিদ
জাহিদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সিটিটিসির প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ আমাদেরকে জানান, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ছাত্র হিসেবে তিনি খুবই মেধাবী ছিলেন। কিন্তু জঙ্গিবাদে জড়িয়ে এবং হিজরত করার (অন্য জায়গায় যাওয়া) কারণে তিনি তার মাস্টার্স কোর্স শেষ করতে পারেননি।’
জাহিদ ২০১৬ সালে নব্য জেএমবির তৎকালীন আমির মুসার মাধ্যমে জঙ্গিবাদী জড়িয়ে যায় বলে জানান আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, জাহিদ ‘হোয়াইট হাউজের মুফতি’ নামের একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসার সঙ্গে পরিচিত হয়। মুসার কাছাকাছি থাকায় তখনকার সময়ের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিদের সঙ্গে জাহিদের সখ্য তৈরি হয়। মেধা ও দক্ষতার কারণে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিরা তাকে সামরিক শাখায় নিয়োগ দেয়।
‘এরপর অল্পসময়ের মধ্যেই তিনি বোমা ও গ্রেনেড তৈরিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তখন থেকেই ফোরকান সামরিক শাখার সদস্যদের হাতে কলমে বোমা-গ্রেনেড এবং আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন।’
জাহিদ ওরফে ফোরকানকে এতদিন কেন গ্রেপ্তার করা যায়নি, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ধারাবাহিক অভিযানে নব্য জেএমবির শীর্ষপর্যায়ের জঙ্গিরা ইতিমধ্যে মারা গেছেন অথবা গ্রেপ্তার হয়েছেন, কিন্তু ফোরকান তার মেধা এবং সাহসের কারণে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।
‘কিছুদিন ধরে নতুন আমিরের নেতৃত্বে সংগঠনকে আবারও সংগঠিত করার উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সে তার সংগঠনের সাহসী জঙ্গিদের বোমা তৈরির জন্য অনলাইনে ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল। অনলাইনে আইডি খোলার মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অত্যন্ত সাহসী ও সামরিক বিভাগে কাজ করতে আগ্রহীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের টাইম ও রিমোট কন্ট্রোল বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত ফোরকান।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও জাহিদ তৎপরতা চালাতেন বলে দাবি সিটিটিসির প্রধানের।
তিনি বলেন, ‘সংগঠনটির কার্যক্রম বিস্তৃত করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিকবার মিটিং করে সে। ফোরকান তার শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের আওতাধীন মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে কারাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।’
‘বড় নাশকতার পরিকল্পনা’
জাহিদ ওরফে ফোরকান বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, বড় কোনো রাসায়নিক সরবরাহ কোম্পানিতে চাকরি করে সেখান থেকে কেমিক্যাল নিয়ে আইইডি বানানোর পরিকল্পনা ছিল তার। সর্বশেষ তিনি ড্রোন বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ড্রোনের সঙ্গে বোমা যুক্ত করে কোনো জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। পাশাপাশি সামরিক শাখার সমন্বয়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পুলিশ বক্সে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।
সহযোগী কারা
সিটিটিসি জানিয়েছে, জাহিদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া দুই সহযোগী হলেন সাইফুল ইসলাম মারুফ ও রুম্মান হোসেন ফাহাদ। তাদের মধ্যে মারুফ দক্ষ বোমা তৈরির কারিগর। তিনি অনলাইনে জাহিদের কাছ থেকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। বেশ কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন মারুফ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মারুফ ও ফাহাদ সংগঠনের সিদ্ধান্তে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে বান্দরবান এলাকায় যান। সংগঠনের তহবিল সংগ্রহে ইলেকট্রিক শক থেরাপির মাধ্যমে অজ্ঞান করে ছিনতাই ও ডাকাতি করতে প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা। সে জন্য গাজীপুরের টঙ্গী রেলগেট এলাকায় একটি বাসাও ভাড়া করেছিলেন তারা।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।
বঙ্গোপোসাগরে জেলে সাদ্দাম হোসেনের জালে আড়াই কেজি ওজনের একটি বড় ইলিশ ধরা হড়েছে। ইলিশটি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাট মাছঘাটে ডাকে ৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে ইলিশটি সর্বোচ্চ দামে কিনে নেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেন।
জানা গেছে, ভোলার জেলে সাদ্দাম ১৫ জন সঙ্গী নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জাল ফেললে অন্যান্য ইলিশের সঙ্গে ওই বড় ইলিশটিও ধরা পড়ে। পরে মাছটি আড়তে আনা হলে ডাকে (নিলামে) ৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে মেঘনা নদীতে মাছ কম পাওয়াতে তিনি এমন চড়া দাম পেয়েছেন বলে জানান আড়ৎদার।
আড়ৎদার মো. বাবুল বলেন, জেলে সাদ্দাম অনেকগুলো মাছসহ বড় ইলিশটি আড়তে নিয়ে আসেন। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনেই একটি বড় ইলিশ আড়তে এসেছে। বেশি দামেই বিক্রি হয়েছে। সচরাচর এতো বড় ইলিশ ধরা পড়ে না।
ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, আড়াই কেজি ওজনের ইলিশটি ৯ হাজার ২০০ টাকায় কিনেছি। ঢাকার মোকামে বড় ইলিশের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সেখানে পাঠানো হবে। আশা করছি অন্তত ১১ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব।
ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো নির্বাচনকে ব্যাহত করার একটি হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
রবিবার জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত ও ফাতেহ পাঠ শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, প্রকাশনা সংস্থাটিকে স্বৈরাচারী সরকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো বই ছাপাতে হলে কলকাতা পাঠিয়ে দিতো তার বন্ধুর দেশে। সত্যিকার ঘটনাগুলো প্রকাশের সাহস এই প্রকাশনা পরিষদের ছিল না। পাঠ্যপুস্তককেও তারা (আ. লীগ) স্বৈরাচারী কায়দায় দলীকরণের যে হীন প্রচেষ্টা করেছিল তার প্রকাশ গত ১৬ বছরে আপনারা (জনগণ) দেখেছেন।
জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ যেনো নিজেরাই নিজেদের প্রকাশনা না করে দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে কথা বলেন এবং লিখেন। তাহলে আপনারা অতীতে ১৬ বছর স্বৈরাচারী কায়দায় আপনাদের প্রকাশনা পরিষদকে যেভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছে, সামনে সেটা হবে না। আপনাদের মধ্যেও গণতন্ত্র থাকতে হবে, গণতান্ত্রিক চর্চা করতে হবে, আপনাদেরই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সত্যিকার কথাগুলো লিখতে হবে।
সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফ্রেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করবো, আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ) নবনির্বাচিত কমিটি লেখার মাধ্যমে সকল পর্যায়ের জনগণের কাছে জানিয়ে দিবেন, স্বৈরাচার পালিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো নির্বাচনকে ব্যাহত করার একটি হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য আগামীতে ঘোষিত যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন যেনো শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু হয় এবং আমার ভোট আমি দিবো- এই পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারি, সেজন্য সকল প্রকাশককে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুক বলেন, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া ও পুষ্পমাল্য অর্পন করার জন্য এখানে এসেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত কমিটির সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মুক্তচিন্তাকে গলা টিপে হত্যা করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার, পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস কে বিকৃত করা হয়েছে, বাংলাদেশের বই কলকাতা থেকে চেপে এনে এই শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এ ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রকাশনা সেক্টরকে পূর্ণ জাগরণ ঘটাতে হবে এ দায়িত্ব জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশকদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা যে অবদান রেখেছে সেগুলো লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরাই হবে এই সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের কাজ আমি এই সৃজনশীল পরিষদের সফলতা কামনা করছি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই লড়াইকে লেখনীর মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এই দায়িত্ব জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশকদের ও লেখকদের।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদপ্রাপ্ত ছড়াকার আবু সালেহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল, পারফেক্ট পাবলিকেশন্স, সহ-সভাপতি মো. মনিরুল হক, অনন্যা, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, হাসি প্রকাশনী, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দীপ্তি, ইতি প্রকাশন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ, বর্ণমালা প্রকাশনী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হা. ন.ম শরীফুল হক শাহ্জী, শাহ্জী প্রকাশনী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আমিনুর রহমান, প্রান্ত প্রকাশনা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, কালিকলম প্রকাশনা, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ উমর ফারুক, ভাষাতরী প্রকাশনা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ আলম হৃদয়, বাবুই প্রকাশনী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন কলি, কলি প্রকাশনী, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, তৃণলতা প্রকাশ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মহসিন রুবেল, মেরিট ফেয়ার প্রকাশনা, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স, সেমিনার সম্পাদক সাজেদা আলী হেলেন, নব আলো পাবলিকেশন্স, সহ-সেমিনার সম্পাদক এনাম রেজা, চমন প্রকাশ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল্লাহ বিন কাসেম, নূর-কাসেম পাবলিশার্স, সহ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশোভন ইফতেখার শাওন, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, পাঠাগার সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ, দি রয়েল পাবলিশার্স, সাংস্কৃতি সম্পাদক মো. ফিরোজ মিয়া, নলেজ মিডিয়া, নির্বাহী সদস্য হলেন, ইকবাল হোসেন শানু, লাবনী, মোঃ তাজুল ইসলাম, বর্ণসাজ, ফজলুল হক মন্ডল, সূচয়নী পাবলিশার্স, মোহাম্মদ কাওসার আলম, নিউ নোভেল পাবলিকেশন্স, আবদুর রউফ বকুল, কথামেলা প্রকাশন, মোঃ জিয়া উদ্দিন জিয়া, জুঁই জেমি প্রকাশনী।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের একটি গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সকালের এ ঘটনায় দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- কারখানাটির শ্রমিক আলআমিন (৩০), আজিজুল্লা (৩২), সেলিম (৩৫), জালাল মোল্লা (৪০), নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কারখানাটির নিচ তলায় কাজ করছিলেন ওই শ্রমিকেরা। এক পর্যায়ে গ্যাস লাইন থেকে বিকট একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ছয় শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সবার অবস্থাই গুরুতর। দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর মালিবাগ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মালিবাগ রেলগেট থেকে আবুল হোসেন (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২৫ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার হেফাজত থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আবুল হোসেন একটি সংঘবদ্ধ মাদক কারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী ও ভাটারা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন ফারুক-ই-আজমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে–
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. নারী ও শিশুনির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া।
৬. গারমেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গারমেন্টস কারখানা, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর বিষয়ে আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা।
চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে মগ ভর্তি পানি পান করছে এক বিষধর খৈয়া গোখরো সাপ— এমন বিরল দৃশ্য দেখা গেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কালায়ারহাট বাদামতল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ’-এর সদস্য অয়ন মল্লিক জানান, স্থানীয় এক ওঝা সাপটি দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করছিল। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন।
অয়ন বলেন, “সাপটি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পরে আমি মগ ভর্তি পানি দিলে সেটি ধীরে ধীরে পান করতে থাকে।”
তিনি আরও জানান, ওঝা সাপটির বিষদাঁত ভেঙে ফেলে এবং ভেনম গ্ল্যান্ড (বিষ থলি) কেটে দিয়েছে। বর্তমানে সাপটি পর্যবেক্ষণে আছে। সুস্থ হলে সেটি বনে অবমুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য ,খৈয়া গোখরো সাপ সাধারণত চট্টগ্রাম অঞ্চলে খুব একটা দেখা যায় না।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফে ছেনুয়ারা বেগম (৩৫) নামে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন লম্বাবিল গ্রামের বাঘঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছেনুয়ারা বেগম স্থানীয় বাসিন্দা আক্তার হোসেনের স্ত্রী। পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছেনুয়ারার স্বামী আক্তার হোসেন বলেন, “বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ আমার স্ত্রীর পায়ে গুলি লাগে। এখন সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন। তিনি বলেন, “মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে নারী আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এ ঘটনার সময় স্থানীয় একটি দোকানের ছাউনিতেও গুলি বিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের ওপারে মংডু জেলার ঢেকুবনিয়া এলাকায় নিয়মিত গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
স্থানীয় শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, “সম্প্রতি ওপারে সংঘর্ষ বেড়েছে। আমরা সীমান্তের লোকজন আতঙ্কে আছি। প্রশাসন ও বিজিবির আরও কঠোর নজরদারি দরকার।”
বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটছে এবং এ ঘটনায় বাংলাদেশের এক নারী আহত হয়েছেন। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য