× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
On the first day of the lockdown the roads were congested
google_news print-icon

লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে সড়কে সড়কে জট

লকডাউন-শিথিলের-প্রথম-দিনে-সড়কে-সড়কে-জট
লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে রাজধানীর সড়কে সড়কে দেখা গেছে যানজট। ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পান্থপথ, কলাবাগান, মহাখালী, বনানী, মগবাজার এলাকায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছিল যানবাহনের জটলা। প্রতিটি সিগন্যালে দীর্ঘ সময় যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর বুধবার রাজধানীতে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন।

দীর্ঘদিন পর অফিস-দোকানপাট খোলায় মানুষজনের যাতায়াত ছিল সকাল থেকেই। সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কের প্রায় প্রতিটি পয়েন্টে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি।

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পান্থপথ, কলাবাগান, মহাখালী, বনানী ও মগবাজার এলাকায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছিল যানবাহনের জটলা। প্রতিটি সিগন্যালে দীর্ঘ সময় যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

অফিসগামী যাত্রীরা ধৈর্য হারিয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটেই চলেছেন অফিসে।

বেলা ১১টায় মহাখালী বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নামতে দেখা যায় আব্দুল্লাহ নোমানকে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। অফিস বাংলামোটর।

তিনি বলেন, ‘অফিস ১০টায়। ৮টায় বিশ্বরোড থেকে বাসে উঠেছি। অফিস টাইম পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। চাকরি থাকে কি না এই ভয় ছিল এত দিন। আর আজ প্রথম দিনই এত লেট। যা আছে কপালে। হেঁটেই যাই।’

আব্দুল্লাহ নোমানের মতো এমন অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা হন গন্তব্যে।

লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে সড়কে সড়কে জট
রাজধানীর মহাখালীতে বুধবার সকাল থেকে যানজট লেগেই ছিল। ছবি: নিউজবাংলা

ফার্মগেটে শিকড় পরিবহন থেকে বাচ্চা কোলে নিয়ে নেমে হাঁটা ধরেন রোকসানা বেগম। যাবেন সায়েদাবাদ। তিনি একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি করেন। প্রায় এক ঘণ্টা জ্যামে বসে থেকে নেমে গেছেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সিএনজি খুঁজতেছি। একটাও পাচ্ছি না। হাঁটা ছাড়া উপায় নাই।’

বাংলামোটরে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তা ইখতার হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাসের কারণেই মূলত জ্যাম। এলোপাতাড়ি যেখানে-সেখানে থামায়, আমরা চেষ্টা করতেছি জ্যাম ছুটানোর, কিন্তু রাস্তা তো সরু। দুই-তিন লাইনের জায়গায় এক লাইন।’

মূলত বাংলামোটরে মেট্রোরেলের কাজ চলতে থাকায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে।

দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকার পর বেশ কয়েকজনকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা যায়। তবে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে তাদেরও।

মগবাজার মোড়ে যানজটে আটকে ছিল অর্ধশতের বেশি মোটরসাইকেল। সেখানে একজন মোটরসাইকেল আরোহী কাওসার বলেন, ‘৩০ টাকার বাস ভাড়ার দূরত্বে আড়াই শ টাকা দিয়া বাইকে উঠছি, ভাবলাম আগে আগে পৌঁছাব। সেই একই হইল। জ্যামে আর সিগন্যালেই আটকে বসে আছি।’

লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে সড়কে সড়কে জট
রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল মানুষের বাড়ি ফেরার তাড়া। ছবি: সাইফুল ইসলাম

দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা রমনা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় বাস চলাচলের জন্যই মূলত সড়কে চাপ বেড়েছে। আমরা সকাল থেকেই প্রতিটি পয়েন্টে আরও বেশি এলার্ট আছি। যানজটে যেন সাধারণ মানুষকে ভুগতে না হয়, সেই চেষ্টাই করছি।’

বুধবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করে সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রোববার বিকেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট ও শপিং মল খোলা থাকবে, সেই সঙ্গে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

বুধবার থেকে দেশব্যাপী চলাচল শুরু করেছে সব ধরনের গণপরিবহন। পরিবহনের আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। সকল প্রকার শিল্প-কারখানা চালুও হয়েছে এদিন।

আরও পড়ুন:
খুলেছে হোটেল-মোটেল, পর্যটকে মানা
যেসব শর্তে উঠছে শাটডাউন
অফিস, যানবাহন, দোকান খুলছে বুধবার
শাটডাউন ফুটপাতে নামিয়েছে তাদের
কৌশলে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে চন্দ্রায় ধরা ৪০ বাস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
The Dialogue of the Committee on Important State Reform

গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগগুলোর ওপর একটি চুক্তি গঠন করতে দ্বিতীয় দফার সংলাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বুধবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজকের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ), জাতীয় সংবিধান পরিষদ গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও জাতীয় সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা আজকের সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে। এ সময় প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান উপস্থাপন করেন দলগুলোর প্রতিনিধিরা।

এর আগে, গত ২ জুন দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুহাম্মদ ইউনুস।

তার আগে, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

এরপর ২০ মার্চ থেকে প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে কমিশন। সেখানে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়। এই দফার সংলাপ শেষ হয় ১৯ মে।

দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শেষে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন আগামী মাসে একটি সংস্কার রূপরেখা, ও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

রাজধানী
The terrorist detained with weapons drugs in search of a torture cell in Kushtia

কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক

কুষ্টিয়ায় ‘টর্চার সেলের’ সন্ধান, অস্ত্র-মাদকসহ ৫ ‘সন্ত্রাসী’ আটক

কুষ্টিয়ার একটি বাড়ি থেকে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল। তারা সবাই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার-সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ফেনসিডিল জব্দ করে দলটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতনকেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। সেখানে অপহরণ করে ধরে আনা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এরপর অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।

আটকরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার বাসিন্দা রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব এবং একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও শাকিল।

স্থানীয়দের দাবি, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ।

তবে যৌথ অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অনেকে বাইরে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’

মন্তব্য

রাজধানী
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজধানী
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

রাজধানী
Green Bangladesh dreams Four decades of forestry

সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি: বনায়নের চার দশকের অগ্রযাত্রা

সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি: বনায়নের চার দশকের অগ্রযাত্রা

বাংলাদেশ আজ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে জর্জরিত। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, তাপপ্রবাহ এবং মরুকরণের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত ৪৫ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নেতৃত্বে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপিত হয়, যা সরকার ও অন্যান্য সকল অংশীদারদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে অনুপ্রাণিত ও সচেতন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘বনায়ন’ দেশজুড়ে লক্ষাধিক চারা বিতরণ করবে।

১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করা ‘বনায়ন’ পরিবেশের সুরক্ষা ও বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ১৩ কোটিরও অধিক ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, গড়ে তোলা হয়েছে ১১৯টি ঔষধি গাছের বাগান। ঢাকা, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজশাহী, লালমনিরহাট, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, যশোর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি সহ দেশের মোট ২৪টি জেলায় ‘বনায়ন’-এর কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই উদ্যোগ বার্ষিক ২৫,০০০ এরও অধিক সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছেছে, যা দেশের পরিবেশ পুনরুদ্ধারে এক বিশাল অবদান রাখছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকাতেও বনায়নের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। প্রায় ১১ লাখ উদ্বাস্তু মানুষের আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় দেড় হাজার হেক্টর বনভূমি উজাড় হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে পাহাড়। এই বিশাল ক্ষতির মুখে, সরকার, রিফিউজি, রিলিফ এবং রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশন (আরআরআরসি), ডব্লিউএফপি, এফএও, ব্র্যাক, কারিতাস এবং ‘বনায়ন’ প্রকল্প একসাথে কাজ করছে অত্র এলাকায় সবুজের ছোয়া ফিরিয়ে আনতে। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বনায়ন প্রকল্পের আওতায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩৩.৭ হেক্টর ব্লক এলাকা ও ১৮.৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশ জুড়ে ৩ লাখেরও বেশি চারা রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।

জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বনায়ন’ কর্মসূচি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচবার প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় পুরস্কার, এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩, ‘এন্টারপ্রাইজ এশিয়া’ থেকে গ্রিন লিডারশিপের জন্য ‘এশিয়া রেসপনসিবল অন্ট্রাপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং এসডিজি ইনক্লুশন ক্যাটাগরিতে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’।

একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিত করতে ‘বনায়ন’ কর্মসূচির নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকল অংশীদারের সাথে একযোগে কাজ করার এই অঙ্গীকার বাংলাদেশকে একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবছরেও বনায়ন ৩০ লাখেরও অধিক চারা বিতরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মন্তব্য

পদ্মার চরে ভাঙনে দিশেহারা আশ্রয়নসহ হাজার পরিবার

পদ্মার চরে ভাঙনে দিশেহারা আশ্রয়নসহ হাজার পরিবার

গত কয়েক মাস ধরে উজান থেকে বয়ে আসা বন্যার পানি আর অতি বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের পদ্মার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সুতালড়ী, আজিমনগর ও লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে লেছড়াগঞ্জ ইউপির ২নং ওয়ার্ডের হরিহরদিয়া, শ্রীলমপুর গ্রামসহ আশপাশের এলাকা। অসহায় হয়ে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আশ্রয়নের ঘরে থাকা ১৪০টি পরিবার। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, গত ২৪ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আশ্রয়নের ঘরে থাকা বাসিন্দাদের খবর নেয়নি কেউ।

পদ্মার প্রায় ২০০ মিটার কাছে এই আশ্রয়নের ঘরে ভাঙন আতঙ্কে অশ্রুসিক্ত নয়নে ঘুম নেই কারো। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে জয়পুর নতুন হাটবাজার, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আরও হাজার পরিবার।

পদ্মার ভয়ংকর থাবায় সবকিছু হারিয়ে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু রক্ষায় স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তারা।

সরজমিনে দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের মধ্যে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের হাত থেকে শেষ রক্ষা পেতে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। কিন্ত মাথা গোজার ঠাইটুকু মিলছে না করো।

উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া গ্রামের আঁখি বেগম জানান, আমার স্বামী রহিজ উদ্দিন ৫ বিঘা জমিতে চাষ করে ভাল ফলন ওইছিলো। এহন চোহের পলকে চইলা গেলো। এহন আমরা কি করুম?

আশ্রয়নে থাকা মেছের জানান, ‘নদীভাঙন বাড়ির কাছে চলে আসায় ঘর সরিয়ে কোথায় নেব? ভাইবা পাইতাছি না। পাশে নটাখোলা এলাকায় এক জায়গায় ৩৮ একর, আরেক জায়গায় ৩৫ একর জায়গা হার সোসাইটি নামের এনজিওর দখলে আছে। কিভাবে তারা ৭৩ একর জায়গা তাদের দখলে আছে, জানি না, তবে সেখানে আপাতত অস্থায়ী হলেও থাকার জায়গা করে দিলে অনেক উপকার হতো। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে মনে হয় বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ভিটেমাটিটুকুও থাকবে না।’

একই এলাকার আছিয়া বেগম বলেন, ‘এইবারের পদ্মার ভাঙনে শেষ সম্বল যাওয়ার পথে। লোকমুখে শুনছি, সাবেক সংসদ সদস্য, দানবীর মুন্নু মিয়ার সুযোগ্য কন্যা, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক রিতা আপা কাউরে ফিরায়ে দেয় না। রিতা আপার কাছে আমগো দাবি- আমগো মাথা গোজার ঠাঁই করে দেন। আমরা পরান ভইরা আপার জন্য দোয়া করুম।

এরমধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতার নির্দেশে ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে ভাঙন আতঙ্কে থাকা পরিবারের অনত্র সরিয়ে নেয়া এবং পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

হরিরামপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি হান্নান মৃধা জানান, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সংগ্রামী আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা আপার নির্দেশে আমরা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিএনপি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকে। তাদের সুখ দুখের ভাগিদার আমরা সবাই।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার বলেন, আমরা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য

কক্সবাজার সৈকতে বালি কেটে কৃত্রিম খাল

কক্সবাজার সৈকতে বালি কেটে কৃত্রিম খাল

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এবার বাণিজ্যিক দুই প্রতিষ্ঠান মিলেমিশে বালিয়াড়ি কেটে তৈরি হয়েছে একটি কৃত্রিম খাল। প্রাকৃতিকভাবে পানি চলাচলের স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে একটি বাঁধ তৈরি পর কৃত্রিম খালটি খনন করা হয়েছে।

এতে অবিচ্ছিন্ন সৈকত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি বালিয়াড়িতে তীব্র ভাঙ্গনের আশংকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সৈকত জুড়ে গর্ত ও গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়ে পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্রস্নানে প্রতিবন্ধকতারও আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কৃত্রিম খাল দিয়ে হোটেল-মোটেল জোনের ময়লাযুক্ত পানি সরাসরি সাগরে মিশে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ; এমনটা মন্তব্য পরিবেশবাদীদের।

গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টসংলগ্ন ডিভাইন ইকো রিসোর্টের পাশ দিয়েই দেখা মিলেছে কৃত্রিম খালটির। আশে পাশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, হোটেল-মোটেল জোনের কিছু অংশের পানি ডিভাইন ইকো রিসোর্টের পিছনের সীমানার পাশ দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি ছড়া দিয়ে চলাচল করত। ওই ছড়ার পানি প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফের সামনে দিয়ে সাগরে গিয়ে মিশত। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফে মালিক পক্ষ ছড়াটি বন্ধ করে বালির বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয় একটি বাঁধ। এতে বাঁধের কারণে ডিভাইন ইকো রিসোর্টের সামনে পানি জমে বড় ও গভীর ডোবার সৃষ্টি হয়। পরে জমে থাকা নিষ্কাষনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানার কোণ ঘেঁষে বালিয়াড়ি কেটে তৈরি করা হয় একটি কৃত্রিম খাল। এতে খালটি দিয়ে জমে থাকা পানির পাশাপাশি ভারী বর্ষণে ঢলের পানি খালটি দিয়ে প্রতিনিয়ত সাগরে মিশে যাচ্ছে। আর জোয়ার-ভাটার সময় পানি যাতায়তের কারণে খালটির দিন দিন পরিধি বাড়ছে। এতে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে অবিচ্ছিন্ন সৈকত। প্যাসিফিক বিচ লাউঞ্জ ক্যাফে ও ডিভাইন ইকো রিসোর্টের নিয়োগ করা শ্রমিকরা এই কৃত্রিম খালটি খনন করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানিয়েছেন, দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত স্বার্থে এমন বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এতে হোটেল-মোটেল জোনের ময়লাযুক্ত পানি প্রতিনিয়ত সাগরে মিশে যাওয়ার পাশাপাশি ভারী বর্ষণের খালটি বড় আকার ধারণ করছে। এ খালের কারণে পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নানের প্রতিবন্ধকতা তৈরি ছাড়াও প্রাণহানির আশংকা দেখা দিতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দায়িত্ব পালনকারি সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর জানিয়েছেন, সম্প্রতি বর্ষায় সৈকতের বিভিন্ন স্থানে গর্ত এবং গুপ্তখাল সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্র স্নানে যাওয়া ৮ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট গর্ত ও গুপ্তখাল চিহ্নিত করা খুবই কষ্ঠের।

ডিভাইন ইকো রিসোর্টের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সেলিম জানান, প্রাকৃতিকভাবে যে পথে পানি নেমে যেত যেখানে একটি বাঁধ তৈরি হয়েছে। এতে তাদের প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রচীন ভাঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখন বিকল্প পথে পানি যাচ্ছে। এটি কৃত্রিমভাবে খনন করা হলেও তারা এটার সঙ্গে জড়িত নন। কারা করেছে তাও জানেন না।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব মূলত কক্সবাজার পৌরসভা ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। তারপরও অবৈধ পন্থায় কেউ কিছু খোঁজ খবর নিয়ে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্য

p
উপরে