রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেই উপচে পড়া ভিড়। তবে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ‘স্বাভাবিক চাপ’ আছে সেখানে। সোমবার সকালে ২২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে টার্মিনাল থেকে। বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ঘাটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিএর বিএস আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে মোট ২২টি লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ঈদের সময় হলেও যাত্রীদের চাপ ছিল স্বাভাবিক। ভিড় বা যাত্রীর চাপ ছাড়াই লঞ্চগুলো ছেড়ে যায়।
ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা ও যাত্রীসেবার জন্য তৎপর স্বেচ্ছাসেবীরা। পুলিশ ও র্যাবের টিম নজরদারি করছে ঘাট এলাকায়। মাইকিং করে যযাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সকালে পুলিশের উপস্থিতি কম থাকায় দেখা যায় লঞ্চঘাটে অপেক্ষমাণ অনেকেই মুখে মাস্ক না লাগিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ভোলা জেলার মনপুরার বাসিন্দা আবদুল মান্নান দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘অন্য বছরের ঈদের তুলনায় এবার ঝামেলামুক্ত যেতে পারছি। ঘাটে ভিড় নেই। যাত্রীরা নিয়ম মানছেন।’
করোনা সতর্কতার কারণে যাত্রী কমিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হলেও তা দিতে রাজি নন যাত্রীরা। সে ক্ষেত্রে লঞ্চগুলো যেমন যাত্রীভেদে কম ভাড়া নিচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতি পোষাতে বহন করছে তুলনামূলক অধিক যাত্রী।
এ অনিয়ম প্রসঙ্গে পটুয়াখালীগামী পারাবত লঞ্চের ম্যানেজার মো. জসিমউদদীন বলেন, ‘মানবিক কারণে আমরা ভাড়া কম দেয়া যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছি। কাউকে তো রেখে যেতে পারি না। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমাদের চলতে হয়।’
বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির নিউজবাংলাকে বলেন, সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে যাত্রী বিবেচনায় আরও ২০-২৫টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তবে বেলা ২টার পর থেকে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে।
তিনি জানান, গার্মেন্টসকর্মীদের একটি বড় অংশ লঞ্চে বাড়ি ফিরবেন। তারা ছুটি পেলেই ঘাটে আসবেন। তখন কিছুটা চাপ থাকবে। যা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে। আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার কারণে বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা কম।
রাজধানী কুড়িল এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ইয়ামিন আহম্মদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। তিনি মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোড ও খিলক্ষেতের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন কনস্টেবল ইয়ামিন। এ সময় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় ‘পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে’ তা চিহ্নিত করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ রচিত এক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ঘটনায় মনে হয়নি বাঙালিরা মানুষ হয়েছে। তার কারণ বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তারাও বাঙালি ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে যারা সামনে থেকে গুলি করেছে, যারা স্বীকার করেছে হত্যার কথা, শুধুমাত্র তারাই কি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে? এর পেছনে অনেক বড় চক্র ছিল। এখন প্রয়োজন এর পেছনে কারা ছিল সেটি বের করা।’
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যারা ছিল তাদের শনাক্ত করতে কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
বিচার ব্যবস্থার গতি নিয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ছয় মাসে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। এটা অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল। বিচার কাজে গতি বেড়েছে, দূর্গতি কমেছে মানুষের। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, যাতে মানুষকে আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ির বারান্দায় ফেরত পাঠাতে পারি।
‘আমার কাছে রোজ ৪০ থেকে ৫০টা চিঠি আসে। প্রত্যেকটা চিঠি আমি খুলে পড়ি। বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট, দুঃখ দূর করা।’
বিশেষ অতিথি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের বিষয়ে মত দেন।
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সহ অন্যরা।
'বিচারক জীবনের কথা মুনসেফ থেকে জেলা জজ’ নামে বইটি রচনা করেছেন বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ।
আরও পড়ুন:ব্যবসা শুরু করতে নিয়ম-নীতিমালা আরও সহজ করতে চায় ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
এ জন্য ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়নের সময় এক বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার মতিঝিলের চেম্বার ভবনে ব্যবসা সহজীকরণ শিরোনামে আলোচনা সভায় এ দাবি জানান মেট্রো চেম্বার নেতারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এমসিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কামরান টি রহমান, সহ-সভাপতি হাবিবুল্লা এন করিম। এ সময় এমসিসিসিআইয় পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেট্রো চেম্বার বলেছে, ব্যবসার খরচ কমানোর অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে কিভাবে কম সময়ে ব্যবসা শুরু করা যায়। এ প্রক্রিয়ায় কিছু উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে ব্যবসা শুরু করতে বিভিন্ন সরকারি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নিতে হয়।
এমসিসিআইয়ের নেতারা বলেন, প্রায় সবক্ষেত্রে এখন এক বছরের জন্য নতুন লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়নের অনুমতি দেয়া হয়, যা পেতে অনেক সময় লাগে। এতে সময় মতো ব্যবসা শুরু করতে পারেন না উদ্যোক্তারা।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন প্রতিবছরের জন্য না করে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় বাড়ালে ব্যবসায় আরও উন্নতি হবে বলে মত দেন এমসিসিআই সভাপতি।
তৈরি পোশক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতের রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশ রাখছি। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন এবং ইস্যুর সময় ৫ বছর বাড়ালে আমরা উপকৃত হবো।’
মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা সময় বাড়াতে রাজি। তবে অন্যান্য সরকারি দপ্তর ও সংস্থা এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তা হলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য উচ্চ হারে কর এবং এবং অগ্রিম আয় কর আদায় করা হয়। এটি কমানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’
ব্যবসায়ীরা যেনো নির্বিঘ্নে লাইসেন্স পান সে জন্য তার সংস্থা থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র তাপস।
আরও পড়ুন:রাজধানীর পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক হোটেলে বুধবার সকাল ৮টায় আসেন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রেজাউল করিম। সঙ্গে ছিলেন সদ্য এমবিবিএস পাশ করা জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক। হোটেলের কক্ষটি বাইরে থেকে তালা দিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে বেরিয়ে যান রেজাউল। এরপর তিনি ফিরে আসেননি।
হোটেলটি থেকে বুধবার রাতে জান্নাতুলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর খোঁজ শুরু হয় রেজাউলের। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে র্যাব চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তবে জান্নাতুলকে হত্যার কারণসহ রহস্যজট কাটেনি প্রাথমিক তদন্তে।
হোটেল স্টাফদের দেয়া তথ্য ও ফুটেজ বিশ্লেষনে জানা যায়, রেজাউল ও জান্নাতুল হোটেলের চতুর্থ তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষে ছিলেন। রেজাউল বের হয়ে যাওয়ার পর কক্ষটি দীর্ঘ সময় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। দীর্ঘসময় কক্ষ তালাবদ্ধ দেখে রাত ৯টার দিকে কলাবাগান থানা পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ ওই কক্ষের বিছানা থেকে গলাকাটা অবস্থায় জান্নাতুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শফিকুল আলম কলাবাগান থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে রেজাউল ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের। জান্নাতুলকে কেন হত্যা করা হয়েছে, সে ব্যাপারে ধারণা দিতে পারেননি স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেজাউল করিম রেজাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব জান্নাতুল হত্যার বিস্তারিত তথ্য জানাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের পর ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষন করা হয়। ওই হোটেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভিকটিম ও আসামি ঘটনার আগেরদিনও স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে যান। তারা বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। বুধবার সকাল আটটায় তারা আবার যান সেখানে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর একা বেরিয়ে যান রেজাউল।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে নারী চিকিৎসককে হত্যা করা হয় বলে ধারণা মিলেছে। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। রেজাউলের সঙ্গে জান্নাতুল দুই দফা হোটেলটিতে যান, সে বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে।
‘রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এ দুজনের রুমে ঢোকার পর অন্য কাউকে সেখানে যেতে দেখা যায়নি। রেজাউল কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে বেরিয়ে যান।’
নিহত জান্নাতুলের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী, রেজাউল করিমের বাড়ি কক্সবাজার। তাদের দুজনের সম্পর্ক পরিবার মেনে নেয়নি বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে জান্নাতুলের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:সংবাদ সংগ্রহ করার সময় রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, কামরাঙ্গীরচরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাওয়া সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও সাজু মিয়াকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তাদের টুঁটি চেপে ধরা মানে সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরা। জড়িতদের শাস্তি না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজরা বার বার সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা করে তাদের দমিয়ে রাখতে চায়। সরকার গণমাধ্যম-বান্ধব হলেও নির্যাতনকারীদের বিচারের বিষয়ে আন্তরিক নয়।
হাসান মিসবাহ ও সাজু মিয়ার ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্য এসআই মিলনকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারেরও দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচরে এসপিএ রিভারসাইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তারের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরাপারসন সাজু মিয়া। এ ঘটনায় পরদিন হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। ওই মামলায় এসপিএ হাসপাতালের মালিক উসমানি ও জাহিদসহ গ্রেপ্তার চারজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেল থেকে নারী চিকিৎসকের গলা কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে র্যাব।
রেজাউল করিম নামের যুবককে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
রাজধানীর পান্থপথের ‘ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের হোটেল থেকে বুধবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ।
পরে পুলিশ জানায়, ২৭ বছর বয়সী ওই চিকিৎসকের নাম জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক। তিনি ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি কোর্সে পড়ছিলেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রেজাউল নামের একজনের সঙ্গে উঠেছিলেন জান্নাতুল। হোটেলটির চতুর্থ তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষের বিছানার ওপর থেকে জান্নাতুলের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব জানায়, সন্দেহভাজন যুবক রেজাউলকে আটক করা হয়েছে। তাকে জান্নাতুল হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার দিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ কোয়ার্টার্সে এক ভার্চুয়াল সভায় পুলিশ সব ইউনিটের প্রধানদের এ নির্দেশ দেন তিনি। সভায় সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপাররা যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও কূটনীতিকগণের গমনাগমন এবং অনুষ্ঠানস্থলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কেউ যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেয়ার জন্যও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সদস্য এবং অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশি টহল জোরদার এবং বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সরব উপস্থিতি ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশও দেন আইজিটি।
সেদিনের কর্মসূচি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আয়োজকদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের নির্দেশনাও দেন তিনি। সেদিন গণভোজে খাবার বিতরণকালে বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এম খুরশীদ হোসেন, ডিআইজি (অপারেশনস) হায়দার আলী খান এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য