× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
অতিকায় গরু হাটে নেই
google_news print-icon

অতিকায় গরু হাটে নেই

অতিকায়-গরু-হাটে-নেই
গত এক মাস ধরে গণমাধ্যমে ২০ থেকে ৩০ মণের গরুর খবর এসেছে। তবে রাজধানীর হাটে এত বড় গরুর দেখা মেলে না বললেই চলে। ছবি: নিউজবাংলা/সাইফুল ইসলাম
শুক্রবার রাজধানীর আফতাবনগর হাট ঘুরে দেখা যায়, বিক্রি সেভাবে হচ্ছে না। গরুর দাম আকার ভেদে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৪ লাখ টাকা চাচ্ছেন ব্যাপারিরা। তবে ক্রেতারা দাম বলছেন কম। ছাগলের দাম চাইতে দেখা গেছে আট থেকে ১৫ হাজার টাকা।

দূর থেকে মাইকে ভেসে আসছিল, ‘বিরাট গরু ছাগলের হাট’। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর গরুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে এ বছরের হাটগুলোতে বড় গরু ওভাবে চোখে পড়ছে না। সর্বোচ্চ ১৪ থেকে ১৫ মণের গরু চোখে পড়েছে।

গত এক মাস ধরে গণমাধ্যমে ২০ থেকে ৩০ মণের গরুর খবর এসেছে। তবে হাটে এত বড় গরুর দেখা মেলে না বললেই চলে।

বিক্রেতারা বললেন, এত বড় গরু সাধারণত খামার থেকেই বিক্রি হয়ে যায়। তাছাড়া এই গরু হাটে আনাতেও রয়েছে নানা ঝামেলা। যানবাহনে আনা-নেয়া, গরম সব মিলিয়ে ব্যাপারি ও খামারিরা এসব গরু হাটে আনতে চান না।

শুক্রবার বেলা ২টার দিকে ঢাকার সাভারে যানজটে আটকা পড়ে ও ‘প্রচণ্ড গরমে’ পাবনা থেকে আনা ২৭ মণের একটি অতিকায় গরু মারা গেছে। অসুস্থ আরও পাঁচটি গরু।

গরুটির মালিক মুকুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ছয়টা গরু নিয়া পাবনার সাঁথিয়া থাইকা ঢাকায় আসতেছিলাম। পথে টাঙ্গাইল থেকে অনেক যানজট শুরু হয়। ৫-৭ ঘণ্টার পথ ১৫ ঘণ্টা লাগছে বাইপাইল আসতে। পরে এখানে আইসা ২৭ মণের একটা গরু গরমে অসুস্থ হইয়া ট্রাকের মধ্যেই মারা যায়। অসুস্থ হইছে আরও পাঁচটা গরু। এলাকায় গরুটার দাম উঠছিল সাড়ে ৫ লাখ টাকা। আমি ভালো দামে বেচব বইলা ঢাকায় আনছি।’

সারাদেশ থেকে খামারি ও ব্যাপারিরা ট্রাক ও ট্রলারে করে গরু নিয়ে এসেছে। কেউ কেউ এখনও আসছেন গরু নিয়ে।

অতিকায় গরু হাটে নেই

সারাদেশ থেকে খামারি ও ব্যাপারিদের কেউ কেউ এখনও ট্রলার ও ট্রাকে করে গরু রাজধানীর হাটগুলোতে নিয়ে আসছেন ।ছবি: নিউজবাংলা/সাইফুল ইসলাম

ব্যাপারিরা বলছেন, সবে মাত্র গরু নিয়ে আসছে সবাই। হাট ভালোভাবে মিলতে রোব-সোমবার। এখনো অনেকে গরু নিয়ে পৌঁছায় নাই।

শুক্রবার রাজধানীর আফতাবনগর হাট ঘুরে দেখা যায়, খামারি ও ব্যাপারিরা পশু এনে নিজ নিজ যায়গায় রেখেছেন। তবে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি।

৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৪ লাখ টাকা চাচ্ছেন ব্যাপারিরা। তবে ক্রেতারা দাম বলছেন কম। ছাগলের দাম চাইতে দেখা গেছে আট থেকে ১৫ হাজার টাকা।

মোহাম্মদপুর বসিলা গার্ডেন সিটিতে বসেছে হাট। সেখানে কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে এসেছেন ব্যাপারি আজিম মণ্ডল।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘২৩ টা গরু আনছি আমরা। লাখের উপর থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকার গরু আছে এখানে। বাড়ি বাড়ি মানুষ গরু পালে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিনে আনি। আবার নিজেও পালি। বাড়ি থেইকাই গরু ২৫ হাজার টাকা মণ পড়ে।’

বেচাকেনা কেমন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখনও গরু বিক্রি হয় নাই। হাট তো মাত্র শুরু হইছে। যারা আসতেছে তারা এক লাখ টাকার গরুর দাম কয় ৫০ হাজার। আল্লা জানে কী হয়?’

এরশাদ আলি এসেছেন পাবনার সাঁথিয়া থেকে। গরু এনেছেন ২৪ টা। এর ১২টি নিজে পেলেছেন। বাকিগুলো কিনে এনেছেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দুই ট্রাকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে গরু ঢাকায় আনছি। এখানে খাওয়া-দাওয়ায় খুব কষ্ট হচ্ছে। যে খাবার পাওয়া যায় তা মানসম্মত না। এখনো কোনো বিক্রি হয় নাই। যারা আসতেছে তারা যে দাম বলে তা কেনা দামেরও কম।’

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানার চেষ্টা করতেছি। মাস্ক পরার অভ্যাস নাই। মাস্ক মুখে দিলেই গরম লাগে। পকেটে রাখছি।’

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

বসিলা গার্ডেন সিটির হাট ঘুরে দেখা যায় ব্যাপারিরা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ভেতরে পানির চৌবাচ্চা করা হয়েছে। সেখানে ১৫-২০ জনকে একসঙ্গে গোসল করতে দেখা যায়। কাউকেই মাস্ক পরতে দেখা যায় না। অনেক স্বেচ্ছাসেবকেও দেখা যায় মুখে মাস্ক ছাড়া।

ব্যাপারি গোল হয়ে আড্ডা দিয়ে অলস সময় পার করছেন।

হাটের সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে হাটের তত্ত্বাবধায়ক মো. রনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৪ তারিখ থেকে গরু আসা শুরু হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ হাজার গরু এই হাটে রাখার যায়গা আছে। এখন পর্যন্ত গরু এসেছে সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো। ব্যাপারিদের পানি, টয়লেট, সিসি ক্যামেরা, ডাক্তারসহ সকল ব্যবস্থা রয়েছে।’

স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে, ‘সরকারের সকল নিয়ম মেনে হাট বসেছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ব্যাপারিদেরও মাস্ক পরা লাগবে। সিটি করপোরেশন থেকে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সেটাই মেনে নেব।’

বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাম থেকে জারা এসেছেন, তারা অনেক সময় সিগারেট খান। গরুকে খাওয়ানোর সময় তারা আসলে মাস্ক পরে করতে পারেন না। এ জন্য আমাদের একটা টিম করা আছে। ভলেন্টিয়ারদের মাস্ক অনেক সময় হারিয়ে যায়, অনেক সময় ছিড়ে যায়।

অতিকায় গরু হাটে নেই
বসিলা গার্ডেন সিটির হাট ঘুরে দেখা যায় ব্যাপারিরা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ছবি: নিউজবাংলা

ইজারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্রেতাদের কাছ থেকে শতকরা ৫ শতাংশ ইজারা নেয়া হয়। যারা গরু নিয়ে এসেছেন তাদের কোনো খরচ নাই।

হাটের বাইরে রয়েছে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা দুটি বুথ। হাটের আইনশৃঙ্খলার জন্য তারা নিয়োজিত আছেন।

র‍্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখনও তাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।

স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, স্বাস্থবিধির বিষয়ে তাদের কোনো হাত নেই। এটার দায়িত্ব হাট কর্তৃপক্ষের। এর দায়ভার তাদের।

আরও পড়ুন:
মানুষে মানুষে একাকার পশুর হাট
ঢাকায় পশুর হাট তদারকিতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
তিন দিন আগেই হাটে গরু, দামও চড়া
পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে শাস্তি
ঈদের চার দিন আগে ঢাকায় পশুর হাট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
5 in the country in 24 hours in the dengue

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩৮ জন আক্রান্ত

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩৮ জন আক্রান্ত

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন।

মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

রাজধানী
BSF pushed 12 more people in Meherpur of Bangladesh

আরো ১২ জনকে বাংলাদেশের মেহেরপুরে ঠেলে দিলো বিএসএফ

আরো ১২ জনকে বাংলাদেশের মেহেরপুরে ঠেলে দিলো বিএসএফ

মেহেরপুর মুজিবনগরে আবারো নারী পুরুষ শিশুসহ ১২ জনকে পুশ ইন করলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

আজ মঙ্গলবার ভোররাতে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত পিলার ১০১ কাগমারী মাঠ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ।

তারা সীমান্ত পার হয়ে আসলে আনন্দবাস বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা আনন্দবাস মাঠ থেকে তাদের আটক করে।

পরে তাদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের থানা হেফাজতে নেই।

আটকৃত হল

১। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪২), পিতা- মৃত রহমত আলী, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।

২। মোছাঃ শাহাজাদী খাতুন (৩০), পিতাঃ মৃত শাফেলা ব্যাপারী, সাং- চৌধুরীটারি, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৩। মোঃ মিরাজ আলী (১৫), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।

৪। মোঃ হাছেন আলী(২০), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৫। মোহাঃ জান্নাতী (১৮), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।

৬। মোছাঃ হাসিনা খাতুন (১০ দিন), পিতা- মোঃ হাছেন আলী, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৭। মোছাঃ লাভলী খাতুন (৪২), স্বামী- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৮। মোঃ বাবুল হোসেন (২৪), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৯। মোছাঃ জেসমিন খাতুন (২০), স্বামী- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

১০। মোঃ জাহিদ হোসেন (০৩), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

১১। মোঃ জাকের হোসেন (০১), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

১২। মোঃ ইয়াছিন হোসেন (২৫), পিতা- মৃত আজিজুল, সাং- আর্ডিয়েন্স, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম।

অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া মানুষদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক দীর্ঘ ১২/১৪ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করত এবং সেখানে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করে জীবন জাপন করে আসছিলো।

হঠাৎ গত ছয়-সাত দিন আগে তাদেরকে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা থেকে আটক করে গাড়ি করে নিয়ে এসে সোমবার ভোরবেলায় সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুজিবনগর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএফএস তাদেরকে সীমান্তের কাঁটাতার পার করে দেয় পরে বিজিবি তাদের আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তারা এখন থানা হেফাজতে আছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
Rangamati on Eid holidays
কাপ্তাইয়ের প্রকৃতির টানে মুগ্ধ ভ্রমণপিপাসুরা

ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল

ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল

ঈদের ছুটিকে ঘিরে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাহাড়, হ্রদ আর ঝরনার টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঈদের ছুটির চতুর্থ দিনেও পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ের জনপ্রিয় বিনোদন স্পটগুলোতে শত শত পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙামাটির পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, কাপ্তাই হ্রদ, পর্যটন ঝুলন্ত সেতু, আসামবস্তি কাপ্তাই সড়ক এবং শুভলং ঝরনায় পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝরনা ও নিসর্গ রিভার ভ্যালিসহ পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। হোটেল-মোটেলেও ৭০-৮০% বুকিং আছে।

রাঙামাটি হোটেল কসমস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে আমাদের হোটেলে আগামী শনিবার পর্যন্ত রুম পুরোপুরি বুকিং আছে।

হেটেল হিল অ্যাম্বাসেডর এর রায়হান বলেন, আমাদের হোটেলে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ রুম বুকিং আছে আগামী কয়েকদিন।

রাঙামাটি পলওয়েল পার্কে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বল পার্ক এলাকারজুড়ে শতশত পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। পলওয়েল পার্কের টুরিস্টরা ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই লেকে ভ্রমণ ও পলওয়েল পার্কের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।

পলওয়েল পার্কে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নিখিল দাশ দম্পতি বলেন, এখানকার কাপ্তাই লেক ও পলওয়েল পার্ক খুবই সুন্দর। আমরা এখানকার প্রাকৃতিক রুপ দেখে খুবই বিমোহিত।

এদিকে, কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অসংখ্য পর্যটকের উপস্থিতি। চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকা থেকে আসা পর্যটক আলাউদ্দিন ও টিপু বলেন, ‘কাপ্তাইয়ে আমরা বন্ধুরা ঘুরতে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা বোট রাইডিং করেছি, অসাধারণ প্রকৃতি।’

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা এলাকা থেকে আসা জাহাঙ্গীর, নাছির, ফারুক সিকদার ও তৌহিদ জানান, ‘কাপ্তাই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। পরিবেশ দারুণ। পর্যটন শিল্পে কাপ্তাইয়ে প্রচুর উন্নতি হয়েছে।’

নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসের পরিচালক মো. আফসার উদ্দিন জানান, ‘ঈদের টানা ছুটিতে আমাদের বিনোদন কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক এসেছে। আমাদের ১৭টি কটেজ ঈদের দিন থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুরোপুরি বুকিং। পাশাপাশি, আমাদের নিসর্গ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে দেড় থেকে দুই শতাধিক মানুষ খাবার উপভোগ করছেন।’

এদিকে, কাপ্তাই নৌবাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে গিয়েও দেখা গেছে পর্যটকের ভিড়। কাপ্তাই লেকের এক বোট চালক মো. জাহাঙ্গীর জানান, ‘এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছে। অনেকে বোট নিয়ে কাপ্তাই লেক ঘুরছেন।’

এছাড়া কাপ্তাই ৪১ বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, কাপ্তাই রিভার ভিউ পার্ক, সেনাবাহিনী পরিচালিত জীবতলি লেকশোর ও লেকভিউ আইল্যান্ড, ফ্লোটিং প্যারাডাইস, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অসংখ্য পর্যটক ঈদের ছুটি উপভোগ করছেন।

চট্টগ্রামের পর্যটক সাবরিনা সুলতানা জানান, শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি আর কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এখানকার পরিবেশও বেশ পরিচ্ছন্ন। খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি।’

রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আজকে রাঙামাটি পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুতে প্রচুর পর্যটক ভ্রমণ করছেন। মোটেলেও আাগামী ১৩ জুন পর্যন্ত রুম বুকিং আছে। এই ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে প্রচুর টুরিস্ট ভ্রমণ করছেন।

মন্তব্য

রাজধানী
A special operation in Mohammadpur was arrested

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।

গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

রাজধানী
The body of a student of the Faculty of Fine Arts in Manikganj is recovered

মানিকগঞ্জে ঢাবি চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ঢাবি চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ করে পুলিশ।

নিহত শাকিল ঢাবির চারুকলা অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জামশা গ্রামের নাসিরুদ্দিন আহমেদের ছেলে।

সিঙ্গাইর পুলিশ জানায়, প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অন্যের পোস্টে ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্য করেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি কমেন্ট মুছে ফেলেন। এরপর গত সোমবার ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে শাকিলকে অনেকে হুমকি দেন। সোমবার রাতে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন বাড়িতে গিয়ে শাকিলকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজধানী
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

রাজধানী
The death of a student after breaking the mural under construction at Sakhipur school

সখীপুরে বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ম্যুরাল ভেঙ্গে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সখীপুরে বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ম্যুরাল ভেঙ্গে শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিহত সাদিয়া আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ম্যুরাল ভেঙে সাদিয়া আক্তার (১১) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার তক্তারচালা পূর্বপাড়া পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাদিয়া আক্তার (১১) ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে পাটজাগ গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা জালাল উদ্দিনের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় চত্বরে ম্যুরাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। ঈদের সাত দিন আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়। সোমবার বিকেলে সাদিয়া, আমেনা ও নেহা ওই স্কুল মাঠে খেলছিল। সন্ধ্যার আগে ওই তিনজন নির্মাণাধীন স্থাপনার ওপর ওঠে। একপর্যায়ে সেটি ধসে পড়লে সাদিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হয়। আমেনা ও নেহা সামান্য আহত হয়।

সাদিয়ার মা আসমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সামনেই ঘটনা ঘটছে। পুলিশ লাশের জন্যে আসছিল, আমি দেই নাই। তবু আমার মেয়ের লাশ নিয়ে যায় পুলিশ।

পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের বলেন, এটা নিছক একটি দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ভুঞা বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে