গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীকে রাজধানীর ভাটারা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া গৃহকর্ত্রীর নাম মাহফুজা রহমান।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুন ভাটারা-কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় আসাদুর রহমান তার বাসার ১৪ বছর বয়সী গৃহকর্মী কুলসুমা আক্তারকে অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগীর বোন ফাতেমা বেগমের কাছে রেখে দিয়ে চলে যান।
এসময় কুলসুমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়া-ক্ষতসহ বিভিন্ন দাগ দেখতে পান ফাতেমা। চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কুলসুমাকে।
ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই ঘটনায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে দ্রুততম সময়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ায়।
সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার র্যাব-১ এবং র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্মী নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী মাহফুজা রহমানকে গ্রেপ্তার করে। কুলসুমা আক্তারকে নির্যাতনের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে র্যাব জানায়, কুলসুমা আক্তার ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর মাহফুজা রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার পর থেকে সামান্য বিষয়ে কুলসুমাকে মারধর করতেন মাহফুজা। কাজে সামান্য ভুল করলেই মাহফুজা তাকে লাঠি দিয়ে মারধর, প্লাস দিয়ে চুল ধরে টান দেয়া, রান্নার কাজে ব্যবহৃত খুন্তি আগুনে গরম করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করাসহ বিভিন্ন উপায়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
গত ১৫ জুন সকাল আনুমানিক ১০টায় বিবাদীর বাসায় ঘর পরিস্কার করতে দেরি হওয়ায় বিবাদীর স্বামী আসাদুর রহমান লাঠি দিয়ে কুলসুমার পায়ের উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং মাহফুজা রহমান গৃহকর্মীর চুলের মুঠি ধরে মেঝেতে ফেলে মারধর করতে থাকেন।
মারধরের একপর্যায়ে আসাদুর রহমান গ্যাসের চুলার আগুনে রড গরম করে কুলসুমার ডান পায়ের হাটুর নিচের অংশে চেপে ধরেন এবং মাহফুজা রহমান ভিকটিমের হাত গরম পানিতে চেপে ধরেন।
এতে কুলসুমার হাটুর নিচে আগুনে পোড়া ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং হাতের তালুতে ফোসকা পড়ে। এভাবে শারীরিক নির্যাতনের কারণে কুলসুমা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার বোনের কাছে দিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগীর বোনের করা মামলায় আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফকে দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেন ভাটারা থানার নারী ও শিশু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফাত আরা সুলতানা।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে আসাদুর রহমান আরিফ এবং তার স্ত্রী মাহফুজা রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেয়েটির ওপর কয়েক মাস ধরে নির্যাতন চালাচ্ছিলেন গৃহকর্তা আরিফ ও তার স্ত্রী।
তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
জোয়ার সাহারার এল এম টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে গৃহকর্তাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানার পুলিশ।
ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল হক নিউজবাংলাকে বলেন গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ আসাদুর রহমানের জোয়ার সাহারার বাসায় কাজ করত এই ভুক্তভোগী।
গত বছরের ১২ নভেম্বর মেয়েটি ওই বাসায় কাজ শুরু করে।
তবে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের বাসার গৃহকর্মী ভিকটিমকে আগুনে লোহার খুন্তি ও রড গরম করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
এতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩০ জুন সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে ভিকটিমকে তার বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেয় বাসার মালিক আরিফ।
খবর পেয়ে ভাটারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী বাসার মালিককে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?
নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।
তদন্ত কমিটি
এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
মন্তব্য