× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে ঢাকায় গ্রেপ্তার ৩২০
google_news print-icon

শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে ঢাকায় গ্রেপ্তার ৩২০

শাটডাউনের-দ্বিতীয়-দিনে-ঢাকায়-গ্রেপ্তার-৩২০
শাটডাউনের দ্বিতীয় দিন মোবাইল কোর্টে জরিমানা করে হয়েছে ২০৮ জনকে। এ ছাড়া, ট্রাফিক পুলিশ ৬৮টি গাড়িকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

রাজধানীতে শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ।

শাটডাউনের দ্বিতীয় দিন মোবাইল কোর্টে জরিমানা করে হয়েছে ২০৮ জনকে। এ ছাড়া, ট্রাফিক পুলিশ ২১৯টি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এসব মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা।

ডিএমপির পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, ডিএমপির অর্ডিন্যান্সে ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক পুলিশের ৮টি বিভাগে ৬৮টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন হিসেবে।

এ সময়ে জরুরি পরিষেবার দপ্তর ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস।

সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা যারা মানছে না তাদের পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে শাটডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার প্রায় ছয় শ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি। মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয় ২১২ জনকে। মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ৩১৯ জনকে।

ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যরা মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে আসায় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।’

শাটডাউন শুরুর আগের দিন গত বুধবার মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘কেউ অকারণে বের হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব, প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ব্যবস্থা নেব। অকারণে বের হলেই আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। যানবাহন ব্যবহার করলে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেব।’

বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের শাটডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগেরবার করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ চালু থাকার সময়ও সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়ন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।’

আরও পড়ুন:
শাস্তির চেয়ে সচেতনতায় মনোযোগী সেনাবাহিনী
অমান্য শাটডাউন, ফরিদপুরে একদিনে ৯ মৃত্যু
সড়ক ফাঁকা, বাজারে গাদাগাদি
শাটডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য: ঢাকায় আটক বেড়ে ৫৫০
শাটডাউনে লুকোচুরির কাঁচাবাজার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
Ansar VDP development banks firm steps in establishing transparency and good governance

স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের দৃঢ় পদক্ষেপ

স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের দৃঢ় পদক্ষেপ বাহিনী প্রধান ও চেয়ারম্যান, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক

আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক সম্প্রতি সংস্কার উদ্যোগের আওতায় নিজস্ব বিশেষ অডিট কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০২০-২৫ সালের নোয়াখালী ও সেনবাগ শাখার কিছু আর্থিক অনিয়মের প্রাথমিক তথ্য উদঘাটন করেছে। প্রায় ১১ কোটি টাকার অনিয়মের এই তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দুটি বিশেষ অডিট টিম গঠন করেছে, যারা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে কাজ করছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বাহিনীর মহাপরিচালক ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, “আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে বাহিনীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পরিতাপের বিষয়, আনসার ভিডিপি’র তৃণমূল সদস্যদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটি অতীতে কাঙ্ক্ষিতভাবে সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। তবে, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—সুশাসন, স্বচ্ছতা ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাংকটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।” মহাপরিচালক আরও বলেন, “অতীতে ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং, অডিট তদারকি ও ঋণ প্রদানে কিছু ঘাটতি ছিল। বর্তমানে এসব ঘাটতি চিহ্নিত করে আমরা কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (CBS) প্রবর্তনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অনৈতিকভাবে ব্যাংকের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “কর্মকর্তা পদোন্নতির ক্ষেত্রে এখন সততা, দক্ষতা ও ব্যাংকের আর্থিক স্বচ্ছতা রক্ষায় অবদানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করছি।”

বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, “দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক একটি সুশাসনভিত্তিক, জনগণের আস্থাভাজন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে বাহিনীর অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করার ফলে ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান।” ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।

১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক বর্তমানে ২৫৯টি শাখার মাধ্যমে দেশের আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যাংকটি আরও সক্ষম ও আধুনিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে।

আজকের এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মীর মোফাজ্জল হোসেনসনহ বাহিনীর ও এই ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

রাজধানী
The construction of a 74 foot bridge over a 22 foot canal in Kotalipara has been accused of widespread irregularities and corruption

কোটালীপাড়ায় ২২ ফুট খালে ৭৪ ফুট ব্রিজ নির্মাণ, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

কোটালীপাড়ায় ২২ ফুট খালে ৭৪ ফুট ব্রিজ নির্মাণ, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ২২ ফুট প্রস্থের ছোট এক খালে নির্মিত হচ্ছে ৭৪ ফুট গার্ডার ব্রিজ। এদিকে ব্রিজ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দরখাস্ত দিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোকারীরা জানান, পবনার পাড় গ্রামে গ্রামীণ সড়কে ব্রিজ নির্মাণের জন্য পাইল তৈরিতে রিং কম দেওয়াসহ নানা অনিয়ম হয়েছে ও পাইলের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে বাকি অর্ধেকে পাইলের রড কেটে বিক্রি করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প (২য় সংশোধিত) এর আওতায় উপজেলার মান্দ্রা খেয়াঘাট থেকে বাপার্ড জাঠিয়া সড়কের ৬ হাজার ৫০ মিটার চেইনেজে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২২ ফুট প্রস্থের পবনাড় পাড় খালে ৭৪ ফুট (২২ মিটার) আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মেসার্স সৌরভ ট্রেডার্স।

নির্মীয়মাণ ব্রিজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এলাকাবাসী বারবার উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে অভিযোগ জানানোর পরও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় অভিযোগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ নির্মাণে কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না। ঠিকাদারের লোকজন নির্মীয়মাণ পাইলিং থেকে রড খুলে বিক্রি করে দিচ্ছে। পাইল তৈরিতে নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির আশ্রয়। পাইলে নিম্নমানের পাথর, অর্ধেক পরিমাণ রিং ও পরিমাণের চেয়ে কম সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাইল। যে কারণে মাটির নিচে অর্ধেক পাইল ঢুকতেই পাইলের বাকি অংশ ভেঙে পড়ছে। পরবর্তীতে ঠিকাদারের লোকজন বাকি অর্ধেক পাইলের রড কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে।

দুর্নীতির নির্মাণাধীন ব্রিজসংলগ্ন বাসিন্দা মফিজুল বলেন, মানুষের হাঁটা-চলাচলের জন্য জাঠিয়া থেকে রাধাগঞ্জ গ্রামীণ এলাকায় শৈলদা নদীর পাড়ে মাটির রাস্তা হচ্ছে। সেই রাস্তাটিতে ৬টি সরু খালে ব্রিজ নির্মাণ করছে এলজিইডি। পবনার পাড়ের ২২ ফুট খালটিতে এলজিইডি ২২ মিটার (৭৪ ফুট) ব্রিজ নির্মাণ করছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে। ছোট এই খালে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার এক একটি কালভার্ট দিলেই হতো সেখানে ৩ কোটি টাকার বিশাল গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে কখনও বাস গাড়ি চলাচলের সুযোগ নেই। তাহলে এত বড়ো ব্রিজ কাদের স্বার্থে? অন্যদিকে এই ব্রিজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। এলজিইডি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ব্রিজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মুরসালিন সৌরভের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানান।

এদিকে কাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পবনার গ্রামের মামুন শেখ বলেন, গত বছরের ১৬ অক্টোবর এই ব্রিজের কাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে। অথচ নির্মাণ কাজের ১০ ভাগ এখনও সম্পন্ন হয়নি।

কাজের অনিয়মেয়র বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, ব্রিজের পাইল থেকে রড কেটে নেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে। ব্রিজের নির্মাণ মেয়াদ শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন, ব্রিজের অনিয়মের অভিযোগটি উপজেলা প্রকৌশলীকে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

এলজিইডি গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
Allegations of irregularities in road construction in Pabna

পাবনায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

পাবনায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কেশবপুর থেকে বালুঘাটা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ করছে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। গত বছর কাজটি শুরু হলেও কাজে অনিয়মের কারণে পুরো এক বছর কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পুনরায় কাজ শুরু হলেও বন্ধ হয়নি অনিয়ম- বরং পুরোনো অনিয়মই এখন নতুন রূপে ফিরে এসেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত এক বছর কাজ বন্ধ ছিল কাজে অনিয়মের কারণে। এখন আবার সেই একই রকম অনিয়ম হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের এলাকার রাস্তার কাজ যেন ঠিকভাবে হয়।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাবিশ দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। পুরোনো ভাঙা ইট দেওয়া হয়েছে। এমন ইট ব্যবহার হচ্ছে যা দিতেই ভেঙে যাচ্ছে। দুর্নীতি এখানে চরমে পৌঁছেছে। প্রতিবাদ করতে গেলেও উপর মহলের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’

মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আগেও রাবিশ দিয়ে কাজ চলছিল। এবারও দুই নম্বর মালপত্র দিয়ে কাজ করছে। আমরা তখনই বলেছিলাম- এইভাবে কাজ করলে সমস্যা হবে। তারা তখন কোনো উত্তর দেয়নি।’

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকাদারের সাথে টাকার বিনিময়ে হাত মিলিয়ে এই ধরনের দুর্নীতির কাজ করাচ্ছেন। টাকা না খেলে কেউ এমন পচা খোয়া, রাবিশ আর পোড়া মবিল দিয়ে কাজ করার সাহস পেত না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম শুধু ঠিকাদারি ব্যবসাই করছেন না তিনি আইডিয়াল নামক একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং একই সঙ্গে সংবাদপত্রেও কাজ করেন। এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে জড়িত থেকে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলছেন এবং সেই সুযোগে সরকারি কাজ নিয়ে নানা নয়-ছয় করছেন, এর ভুক্তভোগী এখন সাধারণ জনগণ।

উপজেলা প্রকৌশলী বাকি বিল্লাহ কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি, পরে আপনাকে কল দেব।

মন্তব্য

রাজধানী
Kazi Shah Newaz was selected as the best officer in charge of Netrakona

কাজী শাহ নেওয়াজ নেত্রকোনার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

কাজী শাহ নেওয়াজ নেত্রকোনার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

নেত্রকোনা জেলায় ষষ্ঠবারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ নেওয়াজ। গত রোববার জেলা পুলিশ লাইন্সে সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ সভায় মাদক উদ্ধার, মামলা নিষ্পত্তি, চোরাচালান নিরোধ, ওয়ারেন্ট তামিল, বিট পুলিশিং, সর্বোপরি অপরাধ পর্যালোচনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় এ শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। নেত্রকোনা পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ- (ওসি) হিসেবে শাহ নেওয়াজের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ (পিপিএম)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সজল কুমার সরকারসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। মডেল থানার ষষ্ঠবারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, পুলিশ সুপার স্যারের দিকনির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং জনগণের সেবায় আমি সবসময়ই অবিচল। আমি কাজ ও দায়িত্বকে ভালোবাসি বিধায় পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কাজের প্রতি আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। আর ভালো কাজের সবসময়ই মূল্যায়ন আছে। তাই এবার আমি আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমার মডেল থানার সকল সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মন্তব্য

রাজধানী
Farmers benefit from Hazari gourd cultivation in Narsingdi

নরসিংদীতে ‘হাজারি লাউ’ চাষে লাভবান কৃষকেরা

নরসিংদীতে ‘হাজারি লাউ’ চাষে লাভবান কৃষকেরা

চলতি শীত মৌসুমে প্রথমবারের মতো হাজারি জাতের উচ্চ ফলনশীল লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন নরসিংদীর প্রান্তিক কৃষকেরা। বাজারে এ লাউয়ের চাহিদা থাকায় ভালো দাম পেয়ে খুশি তারা। কম খরচে এবং কম সময়ে ফলন আসায় হাজারি লাউ চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ১০ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে লাউ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার রায়পুরা উপজেলার অলীপুরা ইউনিয়নের কাঙ্গালীমারা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন তার বাড়ির আঙিনায় ২০ শতাংশ জমিতে এ লাউ চাষ করেছেন। মাচায় ঝুলছে লম্বা সবুজ রঙের অসংখ্য লাউ। যেদিকে তাকানো যায়, শুধু লাউ আর লাউ। বাগানের এসব সবুজ কচি লাউ দেখলে যেকোনো মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়। আলী হোসেন জানান, তিনি জৈব সারের সঙ্গে সামান্য রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছেন। এতে কীটনাশক ও রোগবালাইনাশক ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। এ জন্য বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি বাগানের লাউ খেতে যেমন সুস্বাদু, বাজারেও এর চাহিদা অনেক বেশ। তিনি আরও জানান, বাড়ির আঙিনায় ২০ শতাংশ জায়গা সারা বছরই পড়ে থাকত। তার এক নিকটতম আত্মীয়ের পরামর্শে এ বছর স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে প্রথমবার হাজারি জাতের লাউ চাষ শুরু করেন। বাজার থেকে লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করে গত শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে জমিতে রোপণ করেন।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, হাজারি লাউ একটি উচ্চ ফলনশীল জাত। এ জাতের লাউ রোপনের ৫-৭ দিনের মধ্যে চারা হয় এবং ৪২-৪৫ দিনের মধ্যে ফুল ধরতে শুরু করে। এছাড়া ৬০-৭০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যায়। এ লাউ দেখতে খুব সুন্দর ও তরতাজা। খেতেও খুব সুস্বাসু। এছাড়া বাজারে এর চাহিদা এবং ফলন বেশি হওয়ায় এ লাউ চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এ বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

রাজধানী
18000 bighas of land is uncultivable due to waterlogging in Bhavadah

ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে ১৮ হাজার বিঘা জমি অনাবাদি

জলাবদ্ধতার কারণে ১২ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি
ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে ১৮ হাজার বিঘা জমি অনাবাদি

কেশবপুর উপজেলায় যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ১৮ হাজার বিঘা জমিতে এবার আমন আবাদ করতে পারেননি কৃষকেরা। এসব জমিতে ১২ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কৃষি বিভাগের। আমন আবাদ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বৃষ্টি ও নদ-নদীর পানি এসব বিলে ঢুকে পড়ায় কৃষিকাজ বন্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধতার পেছনে অপরিকল্পিত মাছের ঘের ও নদ-নদী পলিতে ভরাট হয়ে পানি সরতে না পারা কারণ হিসেবে দেখছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এই উপজেলায় ৭১ হাজার ৬২৫ বিঘা জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৬ হাজার ৫৫০ টন; যার বাজারমূল্য ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে এবারের আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ৫৩ হাজার ৭০০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ হয়। অনাবাদি থেকে যায় ১৭ হাজার ৯২৫ বিঘা জমি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুম শুরুর আগেই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া অপরিকল্পিত মাছের ঘের, নদীর নাব্যতা না থাকাসহ মানবসৃষ্ট জলাবদ্ধতায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্ষার পানি শুষ্ক মৌসুমেও নামতে পারেনি। এতে বিস্তীর্ণ জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের বিলগুলোতে আমন আবাদ করতে ব্যর্থ হন কৃষকেরা।

উপজেলার মজিদপুর গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন জানান, বুড়িভদ্রা নদীর পাশে তার প্রায় দেড় বিঘা জমি জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এ কারণে তিনি এবার আমন আবাদ করতে পারেননি। অপরিকল্পিত মাছের ঘের ও নদ-নদী পলিতে ভরাট হয়ে পানি সরতে না পারায় তার মতো অনেক কৃষক আমন আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পৌরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়ার কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিলে এখনো হাঁটুসমান পানি। জলাবদ্ধতার কারণে আমার সাত বিঘা জমিতে আমন আবাদ করতে পারিনি।

একই এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নোনামাঠেল বিলে জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকেরা এবার আমন আবাদ করতে পারেননি।

মজিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, মজিদপুর, বাগদহ, দেউলী, হিজলতলাসহ অধিকাংশ এলাকার নিম্নাঞ্চলের বিলগুলো জলাবদ্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন দৈনিক বাংলা পত্রিকাকে বলেন, ভবদহের প্রভাবে জলাবদ্ধতায় নিম্নাঞ্চলের বিলগুলোতে আমন আবাদ হয়নি। এ জন্য এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। কৃষকেরা ১১ হাজার ৯৫০ টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে আমনের আবাদ ভালো হয়েছে।

যশোর জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে ভবদহের অবস্থান। চার দশক ধরে এখানকার ৩৩০ কিলোমিটার এলাকার ৩ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন।

মন্তব্য

রাজধানী
Ban on AI disinformation and use of drones in elections

নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ

নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সুসংহত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এবার নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও নির্বাচনি এলাকায় গোপনীয়তার স্বার্থে ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।

এছাড়া, নির্বাচনকালীন পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই প্রযুক্তিনির্ভর ভুল তথ্য প্রচার রোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা কাঠামো, ৩ পর্যায়ের নিরাপত্তা কৌশল

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূলত তিনটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

তফসিল ঘোষণার পূর্বে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।



তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত : অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সকল প্রার্থীর নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আমর্ড পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, কোস্টগার্ড এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রম : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধে নির্বাচনের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা বা ২ দিন পর্যন্ত স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এই সময়ে আইনগত নির্দেশনা প্রদানের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংক্ষিপ্ত বিচার কাজের জন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।

প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ও বিশেষ পদক্ষেপগুলো বর্তমানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। চলমান প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠান বাছাই।

এছাড়াও, ইসি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার কর্মপরিকল্পনা : তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের কয়েক দিন পর পর্যন্ত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও দেশের সার্বিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমন্বয় সাধন ও সুসংহতকরণ : নির্বাচনে সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পল্লী এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গ্রাম পুলিশ/চৌকিদার/দফাদার নিয়োগের পাশাপাশি ইউপি সচিবদেরও সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা : সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অন্তর্ঘাতমূলক বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রোধে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ : সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ব্যবহারকারীদের দমনের লক্ষ্যে যৌথ অভিযান জোরদার করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।

এআই নির্ভর ভুল তথ্য প্রচার রোধ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা অন্য কোনোভাবে বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচার রোধে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের প্রয়োজন হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা : নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশ থেকে আগত পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তার জন্য সব প্রকার আইনানুগ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাপনা : প্রবাসী ও পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে যোগ্যদের জন্য পোস্টাল ব্যালট পেপার নিরাপত্তার সঙ্গে ডাকবিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে প্রেরণ এবং ফেরত আসার সময় নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা : In Aid to the Civil Power অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যেও ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনি এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনসহ এ বিষয়ক বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।

ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ : নিরাপত্তার ঝুঁকি, গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং অননুমোদিত ব্যবহারের কারণে নির্বাচনি এলাকায় ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হবে।

মন্তব্য

p
উপরে