× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
মগবাজার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১১
google_news print-icon
বেঙ্গল মিটের আরেক কর্মীর মৃত্যু

মগবাজার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১১

মগবাজার-বিস্ফোরণে-মৃত-বেড়ে-১১
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, রাসেল বেঙ্গল মিটে চাকরি করতেন। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. রাসেল (২১) নামে বেঙ্গল মিটের আরেক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিস্ফোরণের ঘটনায় বুধবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু হয়েছিল দগ্ধ বেঙ্গল মিটের কর্মী মো. ইমরানের (২৫)।

রাসেলকে নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।

তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়ে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, রাসেল বেঙ্গল মিটে চাকরি করতেন। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, রাসেলের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায়। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহটি ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।

মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় আড়ংয়ের শোরুম ও রাশমনো হাসপাতালের উল্টা দিকের মূল সড়ক লাগোয়া ভবনে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় আহত ও দগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মানুষ।

আকস্মিক বিস্ফোরণ ও তা থেকে সৃষ্ট বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের কয়েক শ মিটার এলাকা। বেশ কিছু ভবনের কাচ ভেঙে যায় শব্দের প্রচণ্ডতায়।

বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন:
মগবাজারে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ভ্যানচালকের মৃত্যু
মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?
মগবাজারে বিস্ফোরণ: কী আছে মামলার এজাহারে
মগবাজারে বিস্ফোরণ: দগ্ধ বেঙ্গল মিট কর্মীর মৃত্যু
বেঙ্গল মিটের পেছনে ছিল শরমা হাউসের রান্নাঘর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
The current situation of Khagrachari is satisfactory Jahangir Chowdhury

খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক : জাহাঙ্গীর চৌধুরী

খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক : জাহাঙ্গীর চৌধুরী ছবি : সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, খাগড়াছড়ির বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার রাজধানীর রমনায় ডিএমপি’র পাঁচটি থানার ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খাগড়াছড়িতে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সেখানে আছেন। তিনি বিষয়টি দেখাশোনা করছেন এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে প্রতিবেশী একটি দেশের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করতে চাই না, তবে পতিত ফ্যাসিস্টদের দল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।’

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট দলটি সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যাতে চলমান দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও বাধাহীনভাবে উদযাপন করা না যায়।

দুর্গাপূজা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়েছে। কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে ও পূজা নির্বিঘ্নে আয়োজিত হয়, সেজন্য সবাইকে সহায়তা করতে হবে।

পাহাড়ে আটকে পড়া পর্যটকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আটকে পড়া পর্যটকদের অধিকাংশকেই নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএমপিতে ৫০টি থানা রয়েছে, যার অর্ধেক ভাড়া করা ভবনে আছে। আমরা সমস্ত থানাকে তাদের নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করার জন্য কাজ করছি।

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় তিনজন নিহত এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

মন্তব্য

রাজধানী
Fisheries and livestock advisers

খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, একদিকে অনেক মানুষ খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকছে, অন্যদিকে উৎপাদিত বিপুল খাদ্যের একটি বড় অংশ অপচয় হচ্ছে- যা দুঃখজনক।

উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত “Towards Zero Food Waste and Loss: Building a Sustainable Food Value Chain in Bangladesh” -শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ১৯৯৬ সাল থেকে খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছে। তখন খাদ্য প্রাপ্ততা বড় বিষয় ছিল। এখন খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে পুষ্টিও যুক্ত হয়েছে। দেশে বর্তমানে মাছের উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে যেখানে প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৬০ শতাংশ ও চাষ থেকে ৪০ শতাংশ আসতো বর্তমানে চাষ থেকে আসছে ৬০ শতাংশ ও প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৪০ শতাংশ। আর তাই প্রাকৃতিক মাছ নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের পণ্য পচনশীল হওয়ায় সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ফলে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসসহ নানা খাদ্যপণ্য অপচয়ের শিকার হচ্ছে।

মৎস্য উপদেষ্টা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য খাতে অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ জাল ব্যবহার, লক্ষ্যভিত্তিক মাছ ধরা এবং অপ্রচলিত প্রজাতি বাজারজাতের অভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ফেলে দিতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মাছের বৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে; একসময় ২৬৭ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যেত, এখন তা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এটি দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় ও ক্ষতি উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি সুরক্ষা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন করেন বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. অ্যান্ডায়ার্স কার্লসেন ( Mr. Anders Karlsen), খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর ডেপুটি প্রতিনিধি মি. দিয়া সানু ( Mr. Dia Sanou), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. জেসে উড ( Mr. Jsse Wood) । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইয়াসিন।

মন্তব্য

রাজধানী
Meeting the former CSO of Snapchat with the chief adviser Imran Khan

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও ইমরান খানের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক সিএসও ইমরান খানের সাক্ষাৎ নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা ইমরান খান সাক্ষাৎ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিনিয়োগকারী ও স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা (সিএসও) ইমরান খান সাক্ষাৎ করেছেন।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার তিনি সাক্ষাৎ করেন। এ সময়ে ইমরান খান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ইমরান খানের বর্তমানের বয়স ৪৮ বছর। তিনি ১৮ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি আলেফ হোল্ডিং-এর বোর্ড চেয়ারম্যান।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ইমরান খান বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে ইউনূসের আজীবন মিশন তাঁকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে এবং এখনই মাতৃভূমিতে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়।

তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি আপনার কাজের একজন বড় ভক্ত। আপনি আমাদের জাতীয় গর্ব।’

জেপি মরগান ও ক্রেডিট সুইসে বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা ইমরান আলিবাবার রেকর্ড ভাঙা আইপিও-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান। পরবর্তীকালে স্ন্যাপচ্যাটের সিএসও হিসেবে কয়েক মাসের মধ্যেই কোম্পানির মূল্য শূন্য থেকে ৭২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন।

আলোচনায় ইমরান খান জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁর ভাষায়, ‘সময়টি অনুকূল। নিয়ন্ত্রক পরিবেশ এখন আরও সহায়ক হয়েছে।’

তিনি বিশেষভাবে ফিনটেক খাতের দ্রুত বিকাশ নিয়ে আশা প্রকাশ করেন এবং সঠিক সুযোগ তৈরি হলে বিনিয়োগের আশ্বাস দেন। ‘বাংলাদেশ একটি ফ্রন্টিয়ার মার্কেট। এখানে ফিনটেক খাতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিপুল। তরুণ জনগোষ্ঠী বিশাল এবং সুযোগ সীমাহীন।’

ইমরান খান ২০১৮ সালে প্রাইম অ্যাসেট নামে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা মূলত প্রযুক্তি-নির্ভর রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়া খাতে বিশেষ বিনিয়োগ করে, বিশেষ করে ফিনটেক ক্ষেত্রে। তাঁর পোর্টফোলিওতে পেমেন্টস, ডিজিটাল অবকাঠামোসহ একাধিক খাত রয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস ইমরান খানকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যেন তিনি নিজে এসে বিনিয়োগ সম্ভাবনা ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পারেন। জবাবে ইমরান খান আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনার কথা জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আপনার মতো রোল মডেল প্রয়োজন। দেশে এখন উদ্দীপনামূলক সময় চলছে—আপনি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন।’

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের প্রতি তাঁদের মোট বিনিয়োগের এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসায় ব্যয় করার অথবা সমমনাদের অংশগ্রহণে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন। ইমরান খান এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এতে ভবিষ্যতে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজধানী
Signature of Bangladesh Bridge Authority and IUT Devcon JV

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইইউটি-ডেভকন জেভি এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইইউটি-ডেভকন জেভি এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে যমুনা সেতুর বর্তমান রেললেনের সঠিক ব্যবহারের জন্য ডেক সংস্কার ও সংশ্লিষ্ট কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশদ নকশা প্রণয়ন এবং ভবিষ্যতে একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইইউটি-ডেভকন জেভি-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষের মধ্যে মোট ১৪,২৯,৮৫,৪০৫.৪১ (চৌদ্দ কোটি ঊনত্রিশ লক্ষ পঁচাশি হাজার চারশত পাঁচ টাকা একচল্লিশ পয়সা) টাকার আর্থিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সচিব, সেতু বিভাগ ও নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এর পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো: ফেরদাউস এবং আইইউটি-ডেভকন জেভি-এর পক্ষে অধ্যাপক ড. শাকিল মোহাম্মদ রিফাত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইইউটি-ডেভকন জেভি-এর প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তির আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি যমুনা সেতুর ডেকের ওপর অবস্থিত সকল কম্পোনেন্ট পুনর্বিন্যাস করে বর্তমান ৬.৩১৫মিটার প্রশস্তের দুই-লেন একমুখী ট্রাফিক-কে ৭.৩০মিটার প্রশস্তের দুই-লেন একমুখী ট্রাফিক-এ পরিণত করার কাজে কারিগরী পরামর্শ প্রদান করবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমীক্ষা প্রতিবেদন ও নকশা প্রণয়নসহ কাজটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিয়োগের বিওকিউ, কারিগরী স্পেসিফিকেশনসহ দরপত্র দলিল প্রস্তুত ও নির্মাণ কাজ তদারকিতে সহায়তা গ্রহণ করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে জনদুর্ভোগ লাঘবের বিষয়ে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর সদয় নির্দেশনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সেতুর বর্তমান রেললেনের ডেক সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক কাজের যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই করে সেতুর গুরুত্বপূর্ণ অংশটিকে কার্যকর ও নিরাপদ ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হবে। এর ফলে সেতুর ওপর এবং সংযুক্ত এপ্রোচ রোডে বিশেষ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সময় যে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে সচিব আরও বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান ট্র্যাফিকের চাপ এবং পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে উন্নত ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যমুনা নদীর উপর বিদ্যমান সেতুর পাশে একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হবে। এই যাচাইয়ে নতুন সেতুর সম্ভাব্য স্থান, কারিগরি চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক প্রভাব এবং পরিবেশগত দিকগুলি নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
There has been visible progress in the construction of warehouse in Anwara
পরিদর্শনে খাদ্য উপদেষ্টা

আনোয়ারায় গুদাম নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে

আনোয়ারায় গুদাম নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আনোয়ারায় ১ হাজার মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি খাদ্যগুদাম আছে আরও ৫শ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আশাকরি আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এ সময় তিনি প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে জোর দেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আনোয়ারার সদরে নির্মাধীণ ৫০০ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে আসেন তিনি কথা বলেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নতুন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও সন্দ্বীপে ৩টি প্রজেক্টে ১০কোটি ৭৪লাখ ৩৩হাজার ৩২টাকায় তিন উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুলাই মাসে।

পরিদর্শনে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম কায়সার আলী,

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ রিয়াদ কামাল রনি, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার, আনোয়ারা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান্নাতুল আকসা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

রাজধানী
Durga Puja is nowhere in a seamless arrangement Home Advisor

দুর্গাপূজার নির্বিঘ্ন আয়োজনে কোথাও কোনো শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দুর্গাপূজার নির্বিঘ্ন আয়োজনে কোথাও কোনো শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বছর নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা নিয়ে কোথাও কোনো শঙ্কা নেই।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়া ৭০ হাজার পুলিশ, ১ লক্ষ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি'র সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

এছাড়াও প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে মনিটরিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতির সমাধানে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় থেকে অনেক স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’

এ সময় পূজাকে ঘিরে গুজব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোর কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, খাগড়াছড়ির উদ্ভূত পরিস্থিতি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ।

মন্তব্য

রাজধানী
Remittance The Chief Advisor to save the economy of Bangladesh after the mass uprising in July

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে রেমিট্যান্স: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে রেমিট্যান্স: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে অনুষ্ঠিত ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি একেবারে নিচে নেমে গিয়েছিল। আপনাদের রেমিট্যান্সই তা বাঁচিয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পেছনে আপনাদের রেমিট্যান্সই মূল চালিকা শক্তি।’

শনিবার ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে (১৫৩৫ ব্রডওয়ে) অনুষ্ঠিত ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ আয়োজনে অংশ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

তরুণদের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত তরুণ জনশক্তি রয়েছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর করে এ মানবসম্পদ কাজে লাগাতে এবং বাংলাদেশকে উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন বাংলাদেশের অংশ। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিনিয়োগ ও ধারণা নিয়ে আসুন।’

তিনি আশ্বাস দেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।

আঞ্চলিক অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নেপাল, ভুটান ও ভারতের সাত রাজ্য সমুদ্রবন্দরের অভাবে স্থলবেষ্টিত। যদি আমরা তাদের জন্য সমুদ্র উন্মুক্ত করি, সবাই উপকৃত হবে। সুযোগ নিশ্চিত হলে সবাই বাংলাদেশমুখী হবে।’

২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস জানান, ইতোমধ্যে সামুদ্রিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহু অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার-মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য প্রস্তুত।’

পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন। তিনি জানান, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। গত এক বছরে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দ্বিগুণ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আশিক চৌধুরী ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রবাসীদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ‘হারনেসিং ডায়াসপোরা অ্যাজ আ ন্যাশনাল অ্যাসেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এটি পরিচালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

আলোচনায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের সম্পদ এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তারা বড় ভূমিকা রেখেছেন।

আরেকটি প্যানেল সেশন পরিচালনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। আলোচনায় বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ নকীবুর রহমান এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ড. তাসনিম জারা বক্তব্য দেন।

তাসনিম জারা তার বক্তৃতায় নারী ও তরুণদের সম্পৃক্ত করে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার ওপর জোর দেন, যেখানে সবার অংশগ্রহণ ও মতামত থাকবে। তিনি বলেন, ‘যখন সবাই একসঙ্গে কাজ করে, ইতিহাস বদলায়। আমরা একসঙ্গে ইতিহাস বদলাবো।’

অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনও বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানটি নানা আয়োজনমুখর ছিল। এতে ছিল প্লেনারি সেশন, নতুন ডিজিটাল অ্যাপ উদ্বোধন এবং প্রবাসী সম্পৃক্ততা। এতে প্রবাসীরা তাদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও উদ্বেগ ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি নীতিনির্ধারক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরাসরি সংলাপের সুযোগ পান। অনুষ্ঠানে ‘শুভেচ্ছা অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হয়।

‘এনআরবি কানেক্ট ডে’ ছিল এক বিশেষ সমাবেশ, যেখানে ব্যবসা, একাডেমিয়া, স্বাস্থ্যসেবা, প্রযুক্তি ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি একত্রিত হন। এতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনুসন্ধান, নাগরিক সেবা গ্রহণ এবং টেকসই সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব সৃষ্টির মাধ্যমে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা জোরদারের সুযোগ তৈরি হয়।

মন্তব্য

p
উপরে