× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
বলাৎকারের মামলায় কারাগারে শ্রীলঙ্কান নাগরিক
google_news print-icon

বলাৎকারের মামলায় কারাগারে শ্রীলঙ্কান নাগরিক

বলাৎকারের-মামলায়-কারাগারে-শ্রীলঙ্কান-নাগরিক
প্রতীকী ছবি
প্রসন্ন গোমেজের বিরুদ্ধে বলাৎকারের আরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুল। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। এসবেরও তদন্ত চলছে।’

ইউরোপ টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শ্রীলঙ্কান নাগরিক প্রসন্ন গোমেজ। তার বিরুদ্ধে ২০ বছরের এক তরুণকে বলাৎকারের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি।

প্রসন্নের বিরুদ্ধে মামলার আগে একই থানাতে এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। প্রসন্ন বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ‘মিষ্টি খাওয়ার’ জন্য টাকা নিতে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আকিব নূর প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

ঘটনার পর প্রায় এক মাস পর গত ১৯ জুন ইউরোপ টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শ্রীলঙ্কান নাগরিক প্রসন্ন গোমেজ ও একই কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন রনির বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলাটি তদন্ত করছে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। এই মামলায় প্রসন্নকে ২০ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক রয়েছেন অপর আসামি মহিউদ্দিন রনি।

ভুক্তভোগী তরুণের মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটা আমার ছেলে প্রথমে বলেনি। ওরে থানা থেকে আকিব নূর নামে একজন এসআই ফোন করে টাকা নিয়ে আর কোনো ঝামেলা না করার কথা বলে। তখন আমার ছেলে ওই এসআইকে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলে। এরপর ওই এসআই আমাকে কল করে ঢাকায় গোমেজের অফিসে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার টাকা আনার প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হইনি।’

গোমেজের কাছ থেকে ‘মিষ্টি খাওয়ার’ জন্য টাকা নেয়ার প্রস্তাবের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই আকিব নূর। তিনি বলেন, ‘মামলার আগে একটা অভিযোগ আমরা পেয়ে তদন্ত শুরু করি। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবারকে টাকা নিয়ে মিটমাটের কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। এই অভিযোগ অসত্য।’

একই দাবি করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। ঘটনাস্থলে যাই, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলার জন্য আমরা ভুক্তভোগীর পরিবারকেও ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা আসেননি। যে কারণে তদন্ত স্থগিত থাকে। পরবর্তীতে মামলার এজাহার দেয়ায় আমরা মামলা নেই।’

প্রাথমিক অভিযোগটি এসআই আকিব নূর তদন্ত করলেও কোনো সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয়নি বলেও দাবি ওসি আখতারুজ্জামানের।

শ্রীলঙ্কান নাগরিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ

ভুক্তভোগী তরুণের মা ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। প্রসন্ন গোমেজ ও মহিউদ্দিন রনির বিরুদ্ধে করা মামলাটির বাদী তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী একজন কোরআনের হাফেজ। তিনি গত বছরের ১ নভেম্বর একটি সিকিউরিটিজ কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ শুরু করেন। কোম্পানির মাধ্যমে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কে একটি বাড়ির গার্ড হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই বাড়ির নিচ তলায় অন্য আরও তিনজন সহকর্মীর সঙ্গে থাকতেন ওই তরুণ।

একই বাড়ির সপ্তম তলায় ইউরোপ টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের একটি গেস্ট হাউজ রয়েছে। সেখানেই মাঝে মাঝে থাকতেন ওই কোম্পানি কান্টি ডিরেক্টর প্রসন্ন।

এজাহারে বলা হয়, সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ওই হাফেজ তরুণের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে প্রসন্নের। ওই তরুণকে ভাল চাকুরির আশ্বাস, মাঝে মাঝে কাপড় চোপড় উপহারও দিতেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই তরুণকে কোম্পানিতে ভাল চাকুরির দেবেন বলে জানান গোমেজ। সেজন্য টাকা চান ১ লাখ। তরুণের পরিবার ৬০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে প্রসন্নের হাতে তুলে দেন। টাকা দেয়ার সময় তরুণের সহকর্মীরাও পাশে ছিলেন।

কিন্তু চাকরি দেননি প্রসন্ন। চাকরি না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তাল বাহানা শুরু করেন শ্রীলঙ্কার এই নাগরিক।

তরুণের মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামি আমার ছেলেকে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দেয়। গত ২১ মার্চ আমার ছেলেকে ওই বাসার ছাদের ডেকে নেয় গোমেজ। তাকে জিন্সের প্যান্ট ও দুটি গেঞ্জি আরও অন্যান্য জিনিস উপহার দেয়। এক পর্যায়ে আমার ছেলের লজ্জাস্থানসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় স্পর্শ করে। তখন আমার ছেলে কোনোমতে পালিয়ে নিচে চলে আসে।

‘আমার ছেলে তার সাথে খারাপ কাজে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে ফুসলাতে থাকে। আমার ছেলে রাজি না হওয়ায় ভয় ভীতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছিল। আমার ছেলে ভয়ে এবং মান সম্মানের কথা চিন্তা করে এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলেনি।’

এজাহারে বলা হয়, ছাদের ঘটনার দুই মাস পর গত ২৬ মে ভোর ৪টার দিকে দায়িত্ব পালন করার সময় ওই তরুণকে বলাৎকার করেন প্রসন্ন গোমেজ।

এজহারে ওই তরুণের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডিউটিরত অবস্থায় আসামি প্রসন্ন গোমেজ নিচ তলায় ম্যানেজার জাকারিয়ার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার অর্থাৎ প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করে। তখন আমার ছেলের চিৎকারে সিকিউরিটি গার্ড রিমন ও ম্যানেজার জাকারিয়া আগাইয়া আসে এবং আমার ছেলেকে আসামির কবল থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে।’

ওই তরুণের মা নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনাটি কাউকে না জানাতে প্রসন্ন তার ছেলেকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এসব সহ্য করতে না পেরে চাকরি ছেড়ে ঝালকাঠি গ্রামের বাড়িতে চলে যায় তার ছেলে। লজ্জায় ঘটনাটি কাউকে জানাতেও পারছিল না।

ঘটনা চাপিয়ে যেতে ওই তরুণকে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আকিব নূর টাকা নেয়ার প্রস্তাব দেন। আর তখনই বিষয়টি মায়ের কাছে খুলে বলেন ওই তরুণ।

ঘটনাটি জেনে এবং পিবিআইয়ের একজন কর্মকর্তার সহায়তায় উত্তরা পশ্চিম থানায় গোমেজসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণের মা। মামলাটির তদন্তভার নেয় পিবিআইয়ের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ।

গোমেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আরও

গত ১৯ জুন মামলার পরদিনই উত্তরা থেকে প্রসন্ন গোমেজকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তা বাতিল করে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মামলার তদন্ত শুরুর পর প্রসন্নের বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুল।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। এসবেরও তদন্ত চলছে। উত্তরায় যে তরুণকে বলাৎকারের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকারও করেছেন প্রসন্ন গোমেজ।’

মামলার অপর আসামি মহিউদ্দিন রনি এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
শিশুকে বলাৎকার, পলাতক মাদ্রাসাশিক্ষক
মাদ্রাসার শিশুকে বলাৎকারে প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র
দুই শিশু বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা পরিচালক গ্রেপ্তার
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
The Islamic Movement Bangladesh organized the Ganasatha in Netrokona

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গনসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চাাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজি, জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়িনাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না। যদি শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে, ট্যাঙ্কের সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তাহলে আজকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেনো বুক পেতে দিতে পারবো না? যদি শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, তাহলে আজকেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেনো কথা বলবো না? তিনি আরও বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না, শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারবো। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ্ এবং মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা,জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।

মন্তব্য

রাজধানী
Six days after the disappearance the body of a young man was recovered from the Meghna river in Bhairab

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বাজিতপুর থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভৈরবের লুন্দিয়া এলাকায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকেলে রাকিব বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় নিহতের ভাই রিয়াজ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভৈরবের মেঘনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করি।

এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, লুন্দিয়া এলাকা থেকে রাকিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

রাজধানী
The accused in the robbery case including the murder of Bhairab arrested the accused

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।

সে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প এর আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকায় সিএনজি ডাকাতির পর সিএনজি ড্রাইভারকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো থানার মামলা নং-০১(০১)১৫, ধারা-৩৯৬/২০১ এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে শুক্রবার শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহিত কবির জানান, হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

রাজধানী
In Kurigram the people of Teesta Para are threatening to break the water even though the water is reduced

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

এদিকে পানি কমলেও তিস্তা নদী অববাহিকায় ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পরেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় লোকজন বাড়ি সড়াতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেও জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম সর্দার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে বজরা ইউনিয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ শুরু না করায় চলতি সপ্তাহে ৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে ১০টি বাড়িসহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এরমধ্যে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামের শাহজাদি, আশরাফুল, হান্নান, মুকুল, মজিদা ও রোসনার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

ওই এলাকার সাতালষ্কার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারা জানান, কাল যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে গেছি, আজ সেই জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় দুটি স্কুল নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।

সাধুয়াদামারহাট গ্রামের ফুলবাবু জানান, নদী আমার ২ বিঘা জমি খেয়ে গেছে। আমার মতো মোফাজ্জল ও আশরাফুলের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সরকারিভাবে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চাই।

এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, আমি ভাঙন কবলিত বজরা ও থেতরাই ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৩২০টি শুকনা খাবার প্যাকেট রয়েছে। এছাড়াও জিআর’র চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে দুধকুমার নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। তবে শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কাস ইউনিয়নের ফান্দের চরে ৪ থেকে ৫টি নীচু বাড়িতে পানি উঠেছে বলে স্থানীয়রা জনিয়েছে। একইভাবে ওই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা চরে নীচু এলাকায় অবস্থিত দুটি বাড়িতে পানি উঠছে বলে স্থানীয় যুবক আশরাফুল ও কাদের জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু নিচু বাড়ি জলবন্দী রয়েছে বলে জেনেছি। তিনি আরও জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও নদী ভাঙন বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সরকার জানান, প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের কাছে ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৪৪০ মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে। নগদ টাকা রয়েছে ১৪লাখ। তালিকা পেলেই আমরা সাথে সাথে উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিয়ে দিবো। তারপরও প্রতি উপজেলায় ৩২০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার সরবরাহ করা আছে।

মন্তব্য

রাজধানী
Jhalakathi TTCs success to achieve third place across the country

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

প্রথম থেকে চতুর্থ সাইকেল পর্যন্ত "সামগ্রিক দক্ষতা" মূল্যায়নে সারা দেশের ৬৪টি টিটিসির মধ্যে ঝালকাঠি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) শতকরা ৮৭ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক এসেট (ASSET) প্রকল্পের ৫ম সাইকেল সমাপনী ও ৬ষ্ঠ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবসহ বিএমইটি'র (BMET) সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য এখানে কর্মরত সকল ট্রেড ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, অতিথি প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।'

উল্লেথ্য, 'ঝালকাঠির সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এই জেলার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং নারীরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। ঝালকাঠি টিটিসি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।

মন্তব্য

রাজধানী
Villagers humanitarian demonstration rally to bring drug dealers under the law

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের সিংগোয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামটিতে কিছুদিন আগেও মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ী ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে হাত বাড়ালেই খুব সহজে মিলছে মাদকদ্রব্য। মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র এই এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাদকে ছেয়ে গেছে এখানকার বিভিন্ন অলিগলি। এসব মাদকদ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে বেকার যুবক। এতে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই। অনেকে প্রকাশ্যেই মাদক গ্রহণ করছে এবং বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মাদকের এত ছড়াছড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

দামিহা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, কিছুদিন আগেও কাজলা গ্রামটিতে মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কেউ ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেমন বেড়েছে মাদকসেবী, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

মানবন্ধনে তাসলিমা-হাসেম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল করা যাবে না। পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে, সন্তানদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ রক্ষা করতে হবে। অন্ধকার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ। মাদকসেবী একটি মারাত্মক সমস্যা তবে সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান সম্ভব।

মানববন্ধনে শিক্ষক হাসিবুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য ইসহাক মিয়া, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়া, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

রাজধানী
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

p
উপরে