× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
বলাৎকারের মামলায় কারাগারে শ্রীলঙ্কান নাগরিক
google_news print-icon

বলাৎকারের মামলায় কারাগারে শ্রীলঙ্কান নাগরিক

বলাৎকারের-মামলায়-কারাগারে-শ্রীলঙ্কান-নাগরিক
প্রতীকী ছবি
প্রসন্ন গোমেজের বিরুদ্ধে বলাৎকারের আরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুল। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। এসবেরও তদন্ত চলছে।’

ইউরোপ টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শ্রীলঙ্কান নাগরিক প্রসন্ন গোমেজ। তার বিরুদ্ধে ২০ বছরের এক তরুণকে বলাৎকারের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি।

প্রসন্নের বিরুদ্ধে মামলার আগে একই থানাতে এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। প্রসন্ন বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ‘মিষ্টি খাওয়ার’ জন্য টাকা নিতে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আকিব নূর প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।

ঘটনার পর প্রায় এক মাস পর গত ১৯ জুন ইউরোপ টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শ্রীলঙ্কান নাগরিক প্রসন্ন গোমেজ ও একই কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন রনির বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলাটি তদন্ত করছে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। এই মামলায় প্রসন্নকে ২০ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক রয়েছেন অপর আসামি মহিউদ্দিন রনি।

ভুক্তভোগী তরুণের মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটা আমার ছেলে প্রথমে বলেনি। ওরে থানা থেকে আকিব নূর নামে একজন এসআই ফোন করে টাকা নিয়ে আর কোনো ঝামেলা না করার কথা বলে। তখন আমার ছেলে ওই এসআইকে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলে। এরপর ওই এসআই আমাকে কল করে ঢাকায় গোমেজের অফিসে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার টাকা আনার প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হইনি।’

গোমেজের কাছ থেকে ‘মিষ্টি খাওয়ার’ জন্য টাকা নেয়ার প্রস্তাবের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই আকিব নূর। তিনি বলেন, ‘মামলার আগে একটা অভিযোগ আমরা পেয়ে তদন্ত শুরু করি। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবারকে টাকা নিয়ে মিটমাটের কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। এই অভিযোগ অসত্য।’

একই দাবি করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। ঘটনাস্থলে যাই, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলার জন্য আমরা ভুক্তভোগীর পরিবারকেও ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা আসেননি। যে কারণে তদন্ত স্থগিত থাকে। পরবর্তীতে মামলার এজাহার দেয়ায় আমরা মামলা নেই।’

প্রাথমিক অভিযোগটি এসআই আকিব নূর তদন্ত করলেও কোনো সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয়নি বলেও দাবি ওসি আখতারুজ্জামানের।

শ্রীলঙ্কান নাগরিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ

ভুক্তভোগী তরুণের মা ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। প্রসন্ন গোমেজ ও মহিউদ্দিন রনির বিরুদ্ধে করা মামলাটির বাদী তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী একজন কোরআনের হাফেজ। তিনি গত বছরের ১ নভেম্বর একটি সিকিউরিটিজ কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ শুরু করেন। কোম্পানির মাধ্যমে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কে একটি বাড়ির গার্ড হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই বাড়ির নিচ তলায় অন্য আরও তিনজন সহকর্মীর সঙ্গে থাকতেন ওই তরুণ।

একই বাড়ির সপ্তম তলায় ইউরোপ টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের একটি গেস্ট হাউজ রয়েছে। সেখানেই মাঝে মাঝে থাকতেন ওই কোম্পানি কান্টি ডিরেক্টর প্রসন্ন।

এজাহারে বলা হয়, সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ওই হাফেজ তরুণের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে প্রসন্নের। ওই তরুণকে ভাল চাকুরির আশ্বাস, মাঝে মাঝে কাপড় চোপড় উপহারও দিতেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই তরুণকে কোম্পানিতে ভাল চাকুরির দেবেন বলে জানান গোমেজ। সেজন্য টাকা চান ১ লাখ। তরুণের পরিবার ৬০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে প্রসন্নের হাতে তুলে দেন। টাকা দেয়ার সময় তরুণের সহকর্মীরাও পাশে ছিলেন।

কিন্তু চাকরি দেননি প্রসন্ন। চাকরি না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তাল বাহানা শুরু করেন শ্রীলঙ্কার এই নাগরিক।

তরুণের মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামি আমার ছেলেকে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দেয়। গত ২১ মার্চ আমার ছেলেকে ওই বাসার ছাদের ডেকে নেয় গোমেজ। তাকে জিন্সের প্যান্ট ও দুটি গেঞ্জি আরও অন্যান্য জিনিস উপহার দেয়। এক পর্যায়ে আমার ছেলের লজ্জাস্থানসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় স্পর্শ করে। তখন আমার ছেলে কোনোমতে পালিয়ে নিচে চলে আসে।

‘আমার ছেলে তার সাথে খারাপ কাজে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে ফুসলাতে থাকে। আমার ছেলে রাজি না হওয়ায় ভয় ভীতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছিল। আমার ছেলে ভয়ে এবং মান সম্মানের কথা চিন্তা করে এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলেনি।’

এজাহারে বলা হয়, ছাদের ঘটনার দুই মাস পর গত ২৬ মে ভোর ৪টার দিকে দায়িত্ব পালন করার সময় ওই তরুণকে বলাৎকার করেন প্রসন্ন গোমেজ।

এজহারে ওই তরুণের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডিউটিরত অবস্থায় আসামি প্রসন্ন গোমেজ নিচ তলায় ম্যানেজার জাকারিয়ার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার অর্থাৎ প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করে। তখন আমার ছেলের চিৎকারে সিকিউরিটি গার্ড রিমন ও ম্যানেজার জাকারিয়া আগাইয়া আসে এবং আমার ছেলেকে আসামির কবল থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে।’

ওই তরুণের মা নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনাটি কাউকে না জানাতে প্রসন্ন তার ছেলেকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এসব সহ্য করতে না পেরে চাকরি ছেড়ে ঝালকাঠি গ্রামের বাড়িতে চলে যায় তার ছেলে। লজ্জায় ঘটনাটি কাউকে জানাতেও পারছিল না।

ঘটনা চাপিয়ে যেতে ওই তরুণকে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আকিব নূর টাকা নেয়ার প্রস্তাব দেন। আর তখনই বিষয়টি মায়ের কাছে খুলে বলেন ওই তরুণ।

ঘটনাটি জেনে এবং পিবিআইয়ের একজন কর্মকর্তার সহায়তায় উত্তরা পশ্চিম থানায় গোমেজসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণের মা। মামলাটির তদন্তভার নেয় পিবিআইয়ের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ।

গোমেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আরও

গত ১৯ জুন মামলার পরদিনই উত্তরা থেকে প্রসন্ন গোমেজকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তা বাতিল করে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মামলার তদন্ত শুরুর পর প্রসন্নের বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুল।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। এসবেরও তদন্ত চলছে। উত্তরায় যে তরুণকে বলাৎকারের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকারও করেছেন প্রসন্ন গোমেজ।’

মামলার অপর আসামি মহিউদ্দিন রনি এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
শিশুকে বলাৎকার, পলাতক মাদ্রাসাশিক্ষক
মাদ্রাসার শিশুকে বলাৎকারে প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র
দুই শিশু বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা পরিচালক গ্রেপ্তার
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

রাজধানী
How did this celebrity porn star work?

কারা এই সেলিব্রেটি পর্ণ তারকা, কিভাবে কাজ করতেন?

কারা এই সেলিব্রেটি পর্ণ তারকা, কিভাবে কাজ করতেন?

আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি নেটওয়ার্ক পরিচালনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি দম্পতি হলেন চট্টগ্রামের আজিম ও মানিকগঞ্জের বৃষ্টি (ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে)। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ওয়েবসাইটে পর্নো কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে বান্দরবানে যৌথ অভিযান চালিয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) এবং এলআইসি শাখা তাদের গ্রেপ্তার করে। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কীভাবে তারা কাজ করতেন

২৮ বছর বয়সী বৃষ্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে ‘বাংলাদেশের এক নম্বর মডেল’ হিসেবে পরিচয় দিলেও বাস্তবে তিনি আন্তর্জাতিক পর্ন সাইটে সক্রিয় পারফর্মার। ২০২৪ সালের ১৭ মে তার প্রথম ভিডিও প্রকাশিত হয় এবং এখন পর্যন্ত তার আপলোড করা ১১২টি কনটেন্টে ২৬৭ মিলিয়নের বেশি ভিউ রয়েছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক মনিটরিং সূত্রে জানা গেছে।

বৃষ্টি ও আজিম বিদেশি প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি টেলিগ্রাম, টুইটার (এক্স) ও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে তাদের ভিডিওর প্রচারণা চালাতেন। শুধু অক্টোবরের শুরুর দুই সপ্তাহেই ৫০টির বেশি ফেসবুক পেজ থেকে তাদের কনটেন্টের লিংক প্রচার করা হয়েছে।

আজিম ও বৃষ্টির পরিচয়

আজিম চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যম জানায়, তিনি আগে থেকেই অপরাধচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের নথি অনুসারে, গত ২৫ আগস্ট তিনি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হলেও দ্রুত জামিনে মুক্ত হন।

বৃষ্টি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ঢাকায় চলে যান এবং পরবর্তীতে অনলাইনভিত্তিক এডাল্ট কনটেন্ট প্রোডাকশনে জড়ান। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এলেও বর্তমানে তাদের জীবনযাত্রা সামাজিক মাধ্যমে বিলাসবহুল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাব ও অর্থ আয়ের কৌশল

তদন্তে দেখা গেছে, বৃষ্টির নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়েছে, যা তারা দু’জনে যৌথভাবে পরিচালনা করেন। ওই চ্যানেলে নিয়মিত পেইড ভিডিও বিক্রি করা হতো। পাশাপাশি তারা আয়ের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে তরুণ-তরুণীদের এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। বৃষ্টির ফেসবুকে প্রায় ৪৯ হাজার এবং ইনস্টাগ্রামে ১২ হাজার অনুসারী রয়েছে।

আইনের চোখে অপরাধ

বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি তৈরি, প্রচার ও সংরক্ষণ ফৌজদারি অপরাধ। সিআইডি বলছে, এই দম্পতি শুধু অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না, বরং দেশে বসে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন এবং অন্যদেরও এই চক্রে যুক্ত করছিলেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সিআইডি দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

রাজধানী
Uncertainty in drug production can lead to loss of 4 thousand crore rupees 
শাহজালালের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড

ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা 

ওষুধ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা, ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের ওষুধ শিল্পে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। ইতোমধ্যে শীর্ষ ৪৫টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি)।

অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও ভ্যাকসিনসহ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দাবি করে বাপি বলছে, সামগ্রিকভাবে এই ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাপির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেন।

তিনি বলেন, ১৮ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের ওষুধ শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ভস্মিভূত হয়েছে। এই আকস্মিক ক্ষতি পুরো খাতকে বহুবিধ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।

ডা. জাকির বলেন, দেশে বর্তমানে ৩০৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এর মধ্যে সক্রিয়ভাবে উৎপাদনে আছে প্রায় ২৫০টি কোম্পানি। বাপির প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী, শুধু শীর্ষ ৪৫টি কোম্পানিরই প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে গেছে। অন্য কোম্পানিগুলোর ক্ষতির হিসাব যুক্ত হলে মোট ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে।

তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া কাঁচামালের মধ্যে ছিল অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন, হরমোন, ডায়াবেটিক ও ক্যান্সার জাতীয় ওষুধ তৈরির উপকরণ। শুধু তাই নয়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্পেয়ার পার্টস ও মেশিনারিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পুনরায় আমদানি করা সময়সাপেক্ষ। ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি সময়সূচিও প্রভাবিত হবে।

বাপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি মানসম্পন্ন ওষুধ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশও রয়েছে। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে উৎপাদন চেইনে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।

তিনি বলেন, দেশের ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় ৯০ শতাংশই আসে চীন, ভারত ও ইউরোপ থেকে। এসব কাঁচামালের একটি বড় অংশ জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যা সাধারণত আকাশপথে আমদানি করা হয়। কার্গো ভিলেজে আগুন লাগায় এসব দামি কাঁচামাল ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে, বিকল্প হিসেবে অন্য এয়ারপোর্টে নামানো পণ্যগুলোকেও নিয়ে উদ্বেগ আছে, কারণ সেগুলোকেও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে হয়।

আরও জটিলতা দেখা দিয়েছে নারকোটিকস বিভাগের অনুমোদন নেওয়া পণ্যগুলো নিয়ে। ডা. জাকির হোসেন বলেন, এই পণ্যগুলো পুনরায় আনা অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ, কারণ এতে ধাপে ধাপে একাধিক অনুমোদন নিতে হয়। ফলে এই দিক থেকেও বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বাপির ধারণা, এই ক্ষতির প্রভাব সরাসরি কাঁচামালের বাইরে গিয়েও বিস্তৃত হবে। ‘একটি র-ম্যাটেরিয়াল হারালে সেই উপকরণে নির্ভরশীল প্রতিটি ফিনিশড প্রোডাক্টের উৎপাদনই অনিশ্চয়তায় পড়ে। ফলে সামগ্রিকভাবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে বলে আমরা অনুমান করছি’— বলেন ডা. জাকির হোসেন।

তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি দ্রুত তদন্ত, ক্ষতিপূরণের কার্যকর ব্যবস্থা এবং বিকল্প কার্গো ব্যবস্থাপনা জোরদার করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

রাজধানী
Varsha Mahir described the plan to kill Jobaid

জোবায়েদ হত্যার পরিকল্পনার বর্ণনা দিলেন বর্ষা-মাহির

জোবায়েদ হত্যার পরিকল্পনার বর্ণনা দিলেন বর্ষা-মাহির

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসাইনকে এক মাস আগে হত্যার পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত বর্ষা ও তার প্রেমিক মাহির। অভিযুক্ত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মঙ্গলবার রাজধানীর বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তার দাবি, প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বর্ষা ও মাহির।

ওসি বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন মাহির রহমান। সম্প্রতি মেয়েটি তার টিউশন শিক্ষক জোবায়েদ হোসেনের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিষয়টি মাহিরকে জানালে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। পরে মেয়েটি জোবায়েদের প্রতিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং মাহিরকে সঙ্গে নিয়ে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।’

তিনি আরো জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুজনে মিলে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। সেদিনই দুটি সুইচগিয়ার কেনা হয়। পরিকল্পনা ছিল, দুই দিক থেকে আক্রমণ করে জোবায়েদকে হত্যা করা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত রোববার সন্ধ্যার আগে টিউশনিতে যাওয়ার পথে আরমানিটোলার নূরবক্স রোডের রৌশান ভিলার নিচে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মাহির রহমান। এ সময় তার সঙ্গে ছিল বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। আর পুরো ঘটনাটি সমন্বয় করেন ওই ছাত্রী।

ওসি রফিকুল বলেন, ‘প্রথমে মেয়েটি হত্যার কথা অস্বীকার করলেও মাহিরের মুখোমুখি করলে সত্য প্রকাশ পায়। তারা দুজনই স্বীকার করেছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেন এবং ১৯ অক্টোবর তা বাস্তবায়ন করেন।’

ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর বাসায় পড়াতে গিয়েছিলেন জোবায়েদ। বাসার গেট দিয়ে ঢুকে সিঁড়িতে ওঠার সময় সুইচগিয়ার দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরে রাতেই পুলিশ মেয়েটিকে হেফাজতে নেয়। পরদিন প্রধান আসামি মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মন্তব্য

রাজধানী
Meherpur snake bite child death

মেহেরপুর সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুর সাপে কেটে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরে মায়ের সাথে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষধর সাপের কামড়ে আলিফ নামের ৯ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সাপে কাটলে প্রথমে ওঝা ও পরে হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।

আলিফ সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মানিক হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে খোকসা গ্রামের আলিফ অন্যান্য দিনের মত সোমবার দিবাগত রাতে মায়ের সাথে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১০টার দিকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার কানে সাপে কামড়ে দেয়। এসময় শিশু আলিফের চিৎকারে তা মা জেগে উঠে এবং সাপটি দেখতে পায়। দ্রুত পরিবারের সদস্যরা আলিফকে উদ্ধার করে প্রথমে ওঝার স্বরনাপন্ন হয়ে ঝাড়ফুক দেওয়া শেষে রাতেই আবার নেওয়া হয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতাল মেহেরপুরে। হাসতাপালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে আলিফের মৃত্যু হয়। রাতেই সাপটিকে মেরে ফেলে হয়েছে।

মন্তব্য

রাজধানী
Security personnel beaten to death after complaining of rape in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ শহরে এক শিশুকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে আবু হানিফ (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে খানপুর এলাকার ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত আবু হানিফ খুলনার বাগেরহাটের খন্তাকাটা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও খানপুর এলাকার ইতু ভিলার বাড়ির দারোয়ান। গ্রামের বাড়িতে তার তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী বসবাস করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের খানপুর এলাকার ইতু ভিলা ভবনের ভাড়াটিয়া ও গার্মেন্ট কর্মীর ১১ বছর বয়সী শিশুকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে ভবনের দারোয়ান (নিরাপত্তাকর্মী) আবু হানিফের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে শিশুটি তার মাকে এ বিষয়ে জানালে তিনি সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের জানান। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে কয়েকজন স্থানীয় যুবক তাকে খানপুর জোড়া ট্যাঙ্কি এলাকায় নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, দুপুরে এলাকার স্থানীয় যুবক অভি সহ আরও কয়েকজন বাসায় এসে আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে আমাকে ধরে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকির নিচে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমার শ্যালক আবু হানিফকে আটকে মারধর করার দৃশ্য দেখতে পাই। এ সময় অভির লোকজন আমাকেও চড়-থাপ্পড় মারে এবং আমার লুঙ্গি খুলে উলঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা আমার শ্যালক হানিফকে অটোরিকশায় করে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে রাতে খবর পেয়ে খানপুর হাসপাতালে গিয়ে আমার শ্যালকের লাশ দেখতে পাই।

এ বিষয়ে খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজন যুবক হানিফকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে তার হাতে-পায়ে ক্ষত থাকায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় তারা হানিফকে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাত ৮ টার দিকে হানিফের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক হানিফকে মারধর করেছে বলে জানতে পেরেছি। পরে তার মৃত্যু হলে আমরা লাশ হাসপাতালে পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই শিশুকে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার কোন অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। তাছাড়া এটা তদন্তের বিষয়। তদন্ত শেষে নিশ্চিত করে এ বিষয়ে বলা সম্ভব হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

রাজধানী
Appeal hearing to return caretaker government begins

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করবেন।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।

মন্তব্য

p
উপরে