করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা আদৌ কোনো কাজে আসছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সড়কপথে রাজধানীতে আসতে হলে যে চার জেলার সড়ক পাড়ি দিতে হয়, সেই মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে পারছে না কোনো গাড়ি।
গাজীপুরের পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উত্তরার আবদুল্লাহপুর, মানিকগঞ্জের পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাবতলী, নারায়ণগঞ্জের পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাইনবোর্ড এবং মুন্সিগঞ্জের পথে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে জুরাইন ব্রিজ ও কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার ব্রিজ অতিক্রম করতে পারছে না কোনো গাড়ি।
গত মঙ্গলবার থেকেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানেই পুলিশ সেতুর আগে ও পরে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। পুরো সড়কেই দেয়া হয়েছে বার।
কিন্তু এই বাধা অতিক্রম করে মানুষ যার যার মতো করে হেঁটে আসছেন, আবার যারা উল্টো পথে যেতে চান, তারা ঠিকই একইভাবে ফিরছেন।
এই মানুষগুলো আবার হাঁটছেন দল বেঁধে, গাড়িতে উঠছেন গাদাগাদি করে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেনিন চৌধুরীর চোখেও পড়েছে এই বিষয়টি। তিনি বলেছেন, গাড়িতে করে না আসলে করোনা সংক্রমণ হয় না, এমনটি তো নয়। কাজেই বিধিনিষেধ যদি দেয়া হয়, তাহলে সেটি কার্যকরভাবেই দেয়া উচিত।
অন্যদিকে যারা রাজধানী লাগোয়া জনপদ থেকে ঢাকায় আসেন, তাদের প্রশ্ন, তাদের চাকরির কী হবে। অফিসে বা ব্যবসার জন্য রাজধানীতে আসতেই হয়। তাদের কেন বাধা দেয়া হবে।
সাভার থেকে প্রতিদিন ঢাকায় অফিস করেন এস এম নুরুজ্জামান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সাভার কিন্তু ঢাকার বাইরে নয়। তাই বাস সাভার পর্যন্ত চলাচল করা উচিত। অন্যদিকে কাউকেই কিন্তু আটকে রাখা যাচ্ছে না। ব্রিজের এই পাশে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে আবার ঢাকায় ঢুকতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে। করোনার ঝুঁকি কমছে না।’
ছয় প্রবেশপথে একই চিত্র
নারায়ণগঞ্জ থেকে যেসব গাড়ি আসে, সেগুলো সাইনবোর্ড এলাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু ঢাকায় প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক মানুষকে ব্যবসা, চাকরি, চিকিৎসা অথবা অন্য কোনো কারণে আসতে হয়।
গত মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিনই শত শত গাড়ি এসেছে সাইনবোর্ড পর্যন্ত। কিন্তু আর আগাতে না পারার কারণে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।
কিন্তু সেখান থেকে ফিরে যেতে দেখা যায়নি কাউকে। গাড়ি থেকে নেমে আধা কিলোমিটারের মতো হেঁটে যাত্রাবাড়ীর কাছাকাছি আসেন মানুষজন। সেখান থেকে ইজিবাইক, পিকআপ বা মোটরচালিত রিকশায় করে ভেতরের সড়ক দিয়ে ধুপখোলা মাঠ হয়ে সায়েদাবাদের দিকে আসেন।
জুরাইন ব্রিজ এলাকাতেও একই চিত্র। গাড়ি আটকে দিলে হেঁটে সেতু পার হয়ে এপারে কোনো একটি বাহনে করে চলে আসেন তারা যাত্রাবাড়ীর দিকে।
বাবুবাজার ব্রিজের চিত্রটিও একই রকম। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে সেতু পার হতে হয় না। বিপুলসংখ্যক ভ্যানগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে, আরও আছে ইজিবাইক, রিকশা। এগুলো দিয়ে তারা বিনা বাধায় আসেন তাঁতীবাজারের দিকে। পরে গুলিস্তানের দিকে বা অন্য যেকোনো গন্তব্যে যান।
যারা ঢাকা ছেড়ে উল্টোপথে যেতে চান, তারাও এই তিন পথে ব্যারিকেড পর্যন্ত গিয়ে হেঁটে সেটি পার হন। এরপর সেখান থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে টেম্পো বা বাসে করে চাষাঢ়ার দিকে যান। আর যারা কাঁচপুরের দিকে প্রথমে ইজিবাইক বা অন্য কোনো বাহনে চড়েন। এরপর আরও একটি তল্লাশিচৌকির আগে থামেন। সেটি পার হয়ে আবার বাহনে চড়েন।
ঢাকা-সাভার সড়কে যেতে বাধা গাবতলী ব্রিজের আগে। সেখানেও সেই একই চিত্র। কোনো যানবাহন পার হতে পারে না আমিনবাজার হয়ে। কিন্তু হেঁটে ঢাকায় যাওয়া বা আসার পথে বাধা দেয়া হয় না কাউকে।
হেঁটে সেতু পার হয়ে আরও কিছুটা পথ এগিয়ে গেলে কোনো না কোনো বাহন পাওয়া যায়। আর সেভাবেই ঢাকা ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। একইভাবে ঢুকছেন হাজারো মানুষ।
রাজধানীতে আসা এই মানুষদের একটি অংশ সাভারের, আবার দূরের জেলারও আছে যারা ভেঙে ভেঙে তল্লাশিচৌকি হেঁটে কোনো না কোনো বাহনে করে এগিয়েছেন।
ঢাকা-গাজীপুর সড়ক ধরে এগোতে চাইলে বা ঢাকায় আসতে হলে আব্দুল্লাহপুরের টঙ্গী ব্রিজের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয়। সেখানেও এই ভোগান্তি ছাড়া আর যেটা হয়, সেটি হলো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে চলতে হচ্ছে মানুষকে। আবার সেই সব বাহনে ভিড় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি, আর বেশি ভিড় মানেই করোনা সংক্রমণের বাড়তি ঝুঁকি।
এই এলাকায় ঢাকার আরেকটি প্রবেশমুখ সাভারের বেড়িবাঁধ এলাকায়। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কটি দিয়ে যানবাহন বেড়িবাঁধ হয়ে একদিকে মিরপুর ও অপরদিক দিয়ে আব্দুল্লাহপুর প্রবেশ করে থাকে।
কিন্তু লকডাউন শুরুর প্রথম দিন থেকে বেড়িবাঁধের কিছু আগেই ঢাকা জেলার শেষ সীমানায় যানবাহন থামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। পরে রাজধানীমুখী যাত্রীরা ৫ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাচ্ছেন ডিএমপির সীমানায়। সেখান থেকে রাজধানীর অভ্যন্তরে চলাচলরত বাসে তারা ঢুকে পড়ছেন ঢাকায়।
আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে বলিয়ারপুর পর্যন্ত হেঁটে অথবা রিকশায় যাওয়া যাচ্ছে। সেখানে কিছু ছোট লোকাল বাসে উঠে সাভার ও এর আশপাশে পৌঁছানো যায়।
হাঁটার পর বাড়তি ভাড়া
আবদুল্লাহপুর টঙ্গী ব্রিজ পার হলে গাজীপুর যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে গাজীপুরমুখী বাসগুলো আব্দুল্লাহপুর এসে ঘুরিয়ে নিলেও সাধারণ যাত্রীরা এই পাশে এসে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গাজীপুর চৌরাস্তা যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভাড়া ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
একটি অটোরিকশায় তোলা হয় পাঁচজন। পেছনে তিনজন, আর সামনে চালকের দুই পাশে দুইজন।
যারা সাভারের দিকে যেতে চান, তারা আমিনবাজার সেতু পার হয়ে বলিয়ারপুর পর্যন্ত হেঁটে বা রিকশায় গিয়ে চড়েন বাসে। স্বাভাবিক সময়ে এই রুটের ভাড়া ২০ টাকা হলেও এখন আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। আর দেড় কিলোমিটার কেউ রিকশায় চড়লে ভাড়া দিতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা। মঙ্গলবার বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার পর এটুকু পথ পাড়ি দিতে এক চালককে ২৫০ টাকা ভাড়া হাঁকতে দেখা যায়।
বাবুবাজার ব্রিজ স্বাভাবিক সময়ে ভ্যানগাড়িতে ১০ টাকা ভাড়া নেয়া হলেও এখন নেয়া হয় ২০ টাকা। আর ইজিবাইক ৫০ টাকা নেয় ন্যূনতম।
জুরাইন থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। যাত্রী তোলা হচ্ছে পাঁচজন। আর পিকআপে যাত্রী তোলা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ জন, ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা।
এই রুটে বাস বন্ধ আছে।
পরিবহনসংশ্লিষ্টরা কী বলছেন
আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বাস আশুলিয়ার নবীনগর থেকে ছাইড়া যায়। পরে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ধউরের একটু আগে বাস থামায় দেয় পুলিশ। মূলত ওইটায় ঢাকা জেলার শেষ সীমানা। পরে ওখান থাইকা পাঁচ মিনিট হাঁটলেই ডিএমপির এলাকা শুরু। যাত্রীরা পরে ওখান থাইকা ঢাকার ভেতরের বাস দিয়া যার যার মতো চলে যায়।’
ওয়েলকাম পরিবহনের পরিচালক জি এম মিন্টু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন দিন ধরেই আমিনবাজার থেকে আমাদের গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সালেহপুর ব্রিজ পার হলেই ইউটার্ন থেকে গাড়ি ঘোরাতে হয়। ঢাকার মধ্যে কোনো গাড়ি পুলিশ ঢুকতে দেয় না। তবে যাত্রীরা ওখান থেকে যে যার মতো পায়ে হেঁটে ঢাকায় যান।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ যা বলছেন
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লেনিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে আমাদের আগে বুঝতে হবে করোনা সংক্রমণ হয় মানুষ থেকে মানুষে। মানুষ যারা এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে, সেটা কি গাড়ি কি পায়ে হেঁটে, তাতে সংক্রমণ ছড়ানো বা না ছড়ানোর কিছু নেই। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় মানুষের চলাচলকে সীমিত করার জন্য। তবে মানুষের চলাচল যদি সীমিত করা না হয় তবে কোনো ফল আসবে না।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে তাহলে যান চলাচল সীমিত করা অর্থহীন। যে করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। বাস্তবে তাই দেখা যাচ্ছে।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো লকডাউন কেন সফল হচ্ছে না তা নিয়ে কোনো গবেষণা কিন্তু হচ্ছে না। কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধান করা হচ্ছে না। যারা সাভার বা মানিকগঞ্জ থেকে অফিস করে তাদের কী হবে সেটি কিন্তু জানানো হয়নি।’
কী বলছে কর্তৃপক্ষ
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আমিনবাজারে কিছুই করছি না। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যা করার করছে।’
টঙ্গীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘দেখেন আপনি তো এভাবে কোনো মানুষকে আটকাতে পারবেন না। একটা লোককে তো রাস্তায় রেখে যেতে পারব না। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তাদের তো বের হওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু তারা বের হয়েছে। এটা অন্যায় করেছেন তারা।’
প্রজ্ঞাপনে গাড়ির সঙ্গে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। তবে মানুষের চলাচল কে নিয়ন্ত্রণ করবে তা জানা নেই কারও।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এই বিষয়ে জানান, ‘বাস্তবায়নকারী সংস্থা কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী নয়, সেটা হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা রিকোয়েস্ট করছে তারা যেন এই কাজটি করে। সে অনুযায়ী আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজটি করছে। তারা যেখানে যেভাবে লকডাউন করার কথা বলে, পুলিশ সেখানে সহযোগিতা করে থাকে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।
মন্তব্য