রাজধানীতে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোগীর মরদেহ আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগও তোলা হয়েছে মামলায়।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে রোববার এ মামলা করেন মৃত ডা. তৌফিক এনামের বাবা আক্তারুজ্জামান মিয়া। বিচারক বাদির জবানবন্দি নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।
মামলায় যে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ল্যাপারোস্কপিক সার্জন অধ্যাপক ডা. আবদুল ওহাব খান, ল্যাবএইড হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী।
মামলার বাদি আক্তারুজ্জামান মিয়ার ছেলে ডা. তৌফিক ছিলেন রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার।
বাদির আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরোন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ মে ডা. তৌফিক এনাম অসুস্থ হলে আখতারুজ্জামান মিয়া তাকে ডা. আবদুল ওহাব খানের কাছে নিয়ে যান। এরপর জরুরি ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে আবদুল ওহাবের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডা. ওহাব জানান, রোগীর গলব্লাডারে পাথর হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। এরপর বাদি অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পরিশোধ করেন।
এরপর গত ৫ মে ডা. আবদুল ওহাব খান অপারেশন করে পরদিন ৬ মে রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। ৯ মে সন্ধ্যার পর রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ডা. আবদুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাদী।
পরে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডা. ওহাব বলেন, ‘রোগীর অপারেশনের স্থানে কোনো জটিলতা হয়েছে কি না জানতে এমআরসিপি পরীক্ষা করতে হবে।
১১ মে পরীক্ষা করে কাগজপত্র নিয়ে গেলে ডা. আবদুল ওহাব বলেন, ‘অপারেশনের পর রোগীর কমন বিলেডাক্ট চিকন হয়ে গেছে এবং অপারেশনের সময় একটি সমস্যা হয়েছে।’
তিনি রোগীকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মানসিক চাপ সৃষ্টি ও এক প্রকার জোর করেই ডা. ওহাব রোগীকে ল্যাবএইড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল রোগীর কতগুলো পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে রোগীর ইআরসিপি উইথ স্টেনটিং করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন তিনি।
এ কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। রোগীর প্যানক্রিয়েটিটিস বাড়তে থাকে এবং তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন।
এক পর্যায়ে ডা. স্বপ্নীল রোগীকে বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলীর কাছে নিয়ে যাওয়োর পরামর্শ দেন।
এরপর আক্তারুজ্জামান মিয়া তার ছেলেকে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করলে ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রোগীর অবস্থা ভালো না। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন না করলে তাকে বাঁচানো যাবে না।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রোগীর পরিবারের সদস্যরা বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাননি। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল বা অন্য কোথাও চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরস্পর যোগসাজশে জোর করে এবং ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রোগীকে বিআরবি হাসপাতালে রেখে দেয়া হয়।
আক্তারুজ্জামান মিয়ার অভিযোগ, রোগীকে ছাড়পত্র দেয়ার জন্য ডা. মোহাম্মদ আলীকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি সাড়া দেননি। জোর করে টাকা আদায়ের জন্য সংকটাপন্ন অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় রোগীকে তিনি হাসপাতালে আটকে রাখেন।
রোগী মারা যাওয়ার পরও ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রোগী ভালো আছেন।’তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাদির কাছ থেকে টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ করা হয় মামলায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ ঘটনায় গত ১৫ জুন কলাবাগান থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
এ বিষয়ে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ল্যাপারোস্কপিক সার্জন অধ্যাপক আবদুল ওহাব খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিকিৎসক তৌফিক এনামের স্ত্রী আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক। সেই সুবাদে তৌফিক এনামের অপারেশন আমাদের হাসপাতালে করানো হয়।
‘অপারেশন খুবই পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। অপারেশনের সময় তার স্ত্রী অপারেশন থিয়েটার ছিলেন। তার স্ত্রী গোটা সময় অপারেশনটা দেখছেন। কোনো ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না। এই ধরনের অপারেশনের মাধ্যমে পিত্তথলিটা ফেলে দেয়া হয়। পিত্তথলিটাতে সমস্যা তৈরি হলে জন্ডিস হয়। এটা হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে।
‘অপারেশন পরবর্তী সময়ে যখন তিনি আমার কাছে আসলেন তখন দেখলাম তার জন্ডিস হয়েছে এবং পিত্তথলিটা ব্লক হয়ে আছে। তখন আমি বললাম, আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। আমাদের কাছে আবার আসেন আবার একটা অপারেশন করে ঠিক করে দিব। তবে পরবর্তী সময়ে উনি আর আমার কাছে আসেন নি। এর পর কী কী ঘটেছে এটা আপনারা ভালো জানেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের জটিলতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় হচ্ছে। আপনি অনলাইনে সার্চ দিলে এমন ঘোষণা অনেকগুলো পাবেন। আমিও অনেকগুলো এই ধরনের অপারেশন করেছি। সারা দেশে থেকে এমন রোগী আসে। অপারেশনের পর জটিলতা নিয়েও অনেক রোগী আসে।
‘আমরা আবার অপারেশন করে দিলে, ভালো হয়ে যায়। কিন্তু কেনো উনি (তৌফিক এনাম) আবার আসলেন না আমি বুঝতে পারছি না। আমার কাছে না এসে তিনি অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেন। অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা কী করেছেন এটা আমার জানা নেই।’
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা না করে তিনি আমাদের কাছে এলে আমার আলোচনা করে সমাধান করতে পারতাম। তবে যেহেতু মামলা হয়েছে। সেহেতু আমার আইনিভাবে মোকাবিলা করব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমিও গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। শুনেছি আমার বিরুদ্ধে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি বাদে আরও দুই জনের নামে মামলা হয়েছে। সেই দুজনের নাম আমি এখনও জানি না।’
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হলো চিকিৎসক তৌফিক এনাম। শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তার লিভার হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস সমস্যা ছিল। যে কারণে মেডিক্যালের প্রথম বর্ষ থেকে আমার শিক্ষক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমানের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে আমার কাছেও কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর আমার সঙ্গে অনেকদিন যোগাযোগ ছিলো না।
‘গত ৪ মে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। আমাকে সেই রিপোর্টটি মোবাইলের মেসেঞ্জারে পাঠান। আমি তার রিপোর্ট দেখে বলেছিলাম, এ ধরনের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয় সেটা হলো, তার মতো পরিস্থিতিতে জন্ডিস কমিয়ে দেয়া জটিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সফল হওয়া যায় না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফল হয়।
‘তার (তৌফিক এনাম) যুক্তি ছিল, তার ক্ষেত্রে হয়ত সফল হতে পারে। এরপর আমরা একটা বড় ধরনের অপারেশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় তৌফিক এনামের স্ত্রীও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তার স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। তার একদিন পর ল্যাবএইড হসপাতালের অপারেশন না করিয়ে তাকে বিআরবি হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকেরা। এরপর থেকে আমার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই।
ডা. স্বপ্নীল বলেন, ‘১৫-২০ দিন পর রাতে চিকিৎসক তৌফিক এনাম মা কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বলেন তৌফিক মারা গেছে। তার মা বলেন, আপনার কাছে অপারেশন করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এরপর আমি ফেসবুকে দেখলাম অনেকেই আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইনিভাবে আমাকে মোকাবিলা করতে হবে।’
এ বিষয়ে বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী ফোনে একাধিকবার ফোন করেছে নিউজবাংলা। তাদের কাছে এসএমএসও পাঠানো হয়েছে। তবে দুজনের কেউ সাড়া দেননি।
শেরপুরের নকলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বসতবাড়ি ও মাঠে চাষযোগ্য জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী বলেন, বীজ ও সার মাঠে আবাদ না করে যদি কোনো কৃষক বিক্রির উদ্দেশ্যে অসদুপায় অবলম্বন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২৩০ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৯ প্যাকেট করে মোট ২ হাজার ৭০ প্যাকেট সবজির বীজ এবং ৪০৫ কৃষকের মাঝে মাঠে চাষযোগ্য ২০ শতাংশ জমির জন্য লাউ, বেগুন, শসা, মিষ্টিকুমড়াসহ যেকোনো সবজির ১ প্যাকেট করে বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বিজিবি জানায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উপজেলার সীমান্তবর্তী আশ্রায়ণ বিওপির আওতাধীন এলাকায় অভিযানকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া ও মদনের ঘাট এলাকায় ৩৫ হাজার কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা। পরে গত সোমবার দুপুরে এসব অবৈধ জাল ধ্বংস করেন পরিচালক (অপারেশন) যশোর সদর দপ্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ।
রাঙামাটির বিলাইছড়িতে নদীতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ হওয়ার দুঘণ্টা পর স্থানয়ীরা মাছের জাল দিয়ে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত নারী হলেন লতা মার্মা (৩৩)। তিনি কেংড়াছড়ি গ্রামের মিলন কান্তি চাকমার স্ত্রী। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত মানস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কেংড়াছড়ি থেকে নৌকাযোগে বিলাইছড়ি বাজার আসার পথে কেরণছড়ি এলাকায় এসে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মাছের জাল দিয়ে তল্লাশির পর বেলা সারে এগারটায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের স্বামী মিলন কান্তি চাকমা জানিয়েছেন তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাদের সংসারে দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
টেকসই ও উন্নত বিশ্ব গঠনে মানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুরে উদযাপিত হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস।
“সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে—মান” এই স্লোগানকে ধারণ করে দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও রংপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মজিদ আলী, রংপুর ক্যাবের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোঃ রশিদুস সুলতান বাবলু, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ গোলাম জাকারিয়া পিন্টু, এবং জেলা হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হক মুন্না। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক ও অফিস প্রধান (প্রকৌশলী) মুবিন-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে আইএসও’র সদস্যপদ লাভের পর থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্ব মান দিবস পালন করে আসছে। বর্তমানে আইএসও’র ১৭৭টি সদস্য দেশের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশও এবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করছে।
তিনি আরও জানান, গত এক বছরে রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, মান নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্পখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিএসটিআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
বক্তারা বলেন, পণ্য ও সেবার মান বজায় রাখা শুধু শিল্পোন্নয়নের জন্য নয়, বরং ভোক্তা নিরাপত্তা ও জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত।
তাঁরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে মান সচেতনতা বিস্তার এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণই টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হতে পারে।
অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ। মঙ্গলবার পূর্বের আল্টিমেটাম দেওয়া দাবির অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর সাথে সাক্ষাৎ এর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির কাছে দুই দফা দাবি দিয়েছিলাম। তার আপডেট জানতে আজ স্যারের সাথে আবারও দেখা করেছি। আমাদের দাবিগুলো হলো, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করা এবং কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মৌখিক দাবি ছিল। যেমন, ক্যাম্পাসে একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া-শান্তিডাঙ্গা এলাকায় যে বিদ্যুৎ সমস্যা আছে তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। কারণ এখানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা আশাবাদী যে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করবেন। তবে আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বা বাস্তবায়ন দেখি না।
সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ছাত্রদল যে দাবিগুলো করেছে সেগুলো প্রায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিছু কাজ চলমান। আর কিছু নীতি নির্ধারনী কাজ আছে যেগুলো মাননীয় উপাচার্য আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।
“রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও জামায়াত জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে”- এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. খায়রুল হাসান।
তিনি বলেন, “মানুষের কষ্ট লাঘব করা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা না থাকলেও দলীয়ভাবে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে জামায়াত একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এ সড়ক সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, জামায়াতের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আফতাব উদ্দিন, পৌর আমীর মাওলানা আমিমুল এহসান, পৌর নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ও সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, মো. আরিফ, মো. আবু তাহের, মনির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত নেতারা বলেন, “জামায়াত সবসময় আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জননেতা মো. খায়রুল হাসান সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান এবং শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, জামায়াতের এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ স্থানীয় উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দেশবরেণ্য সাংবাদিক মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মাদারীপুর পৌরসভার ডিজিটাল সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি শরীফ মোঃ ফায়েজুল কবীর। সঞ্চালনা করেন সংগঠনিটির জেলা শাখার সেক্রেটারী সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বেনজীর আহম্মেদ, মাদারীপুর পৌরসভা সচিব খন্দকার আবু আহম্মেদ ফিরোজ, সংস্থাটির উপদেষ্টা এবং জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুবল বিশ্বাস, নবনির্বাচিত উপদেষ্টা মিজানুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান কাজল, জাতীয় রিপোর্টার্স ক্লাব মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল মাতুব্বর, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী শরীফ মহিউদ্দিন হাফিজ, জেলা কিন্ডারগার্টেন এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট এফ,এইচ কিন্ডারগার্টেন প্রধান শিক্ষক মাহাববুর রহমান রিপন মুন্সী, মানবাধিকার প্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট (অবঃ) আঃ কুদ্দুস পান্না হাওলাদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের মতো এমন একজন দেশবরেণ্য সিনিয়র সাংবাদিকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনের জন্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, মাদারীপুর জেলা শাখার নেতারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পরে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান পিন্টুকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদানের পাশাপাশি সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
মন্তব্য