রাজধানীতে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোগীর মরদেহ আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগও তোলা হয়েছে মামলায়।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে রোববার এ মামলা করেন মৃত ডা. তৌফিক এনামের বাবা আক্তারুজ্জামান মিয়া। বিচারক বাদির জবানবন্দি নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।
মামলায় যে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ল্যাপারোস্কপিক সার্জন অধ্যাপক ডা. আবদুল ওহাব খান, ল্যাবএইড হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী।
মামলার বাদি আক্তারুজ্জামান মিয়ার ছেলে ডা. তৌফিক ছিলেন রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার।
বাদির আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরোন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ মে ডা. তৌফিক এনাম অসুস্থ হলে আখতারুজ্জামান মিয়া তাকে ডা. আবদুল ওহাব খানের কাছে নিয়ে যান। এরপর জরুরি ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে আবদুল ওহাবের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডা. ওহাব জানান, রোগীর গলব্লাডারে পাথর হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। এরপর বাদি অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পরিশোধ করেন।
এরপর গত ৫ মে ডা. আবদুল ওহাব খান অপারেশন করে পরদিন ৬ মে রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। ৯ মে সন্ধ্যার পর রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ডা. আবদুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাদী।
পরে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডা. ওহাব বলেন, ‘রোগীর অপারেশনের স্থানে কোনো জটিলতা হয়েছে কি না জানতে এমআরসিপি পরীক্ষা করতে হবে।
১১ মে পরীক্ষা করে কাগজপত্র নিয়ে গেলে ডা. আবদুল ওহাব বলেন, ‘অপারেশনের পর রোগীর কমন বিলেডাক্ট চিকন হয়ে গেছে এবং অপারেশনের সময় একটি সমস্যা হয়েছে।’
তিনি রোগীকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মানসিক চাপ সৃষ্টি ও এক প্রকার জোর করেই ডা. ওহাব রোগীকে ল্যাবএইড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল রোগীর কতগুলো পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে রোগীর ইআরসিপি উইথ স্টেনটিং করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন তিনি।
এ কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। রোগীর প্যানক্রিয়েটিটিস বাড়তে থাকে এবং তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন।
এক পর্যায়ে ডা. স্বপ্নীল রোগীকে বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলীর কাছে নিয়ে যাওয়োর পরামর্শ দেন।
এরপর আক্তারুজ্জামান মিয়া তার ছেলেকে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করলে ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রোগীর অবস্থা ভালো না। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন না করলে তাকে বাঁচানো যাবে না।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রোগীর পরিবারের সদস্যরা বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাননি। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল বা অন্য কোথাও চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরস্পর যোগসাজশে জোর করে এবং ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রোগীকে বিআরবি হাসপাতালে রেখে দেয়া হয়।
আক্তারুজ্জামান মিয়ার অভিযোগ, রোগীকে ছাড়পত্র দেয়ার জন্য ডা. মোহাম্মদ আলীকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি সাড়া দেননি। জোর করে টাকা আদায়ের জন্য সংকটাপন্ন অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় রোগীকে তিনি হাসপাতালে আটকে রাখেন।
রোগী মারা যাওয়ার পরও ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রোগী ভালো আছেন।’তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাদির কাছ থেকে টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ করা হয় মামলায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ ঘটনায় গত ১৫ জুন কলাবাগান থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
এ বিষয়ে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ল্যাপারোস্কপিক সার্জন অধ্যাপক আবদুল ওহাব খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিকিৎসক তৌফিক এনামের স্ত্রী আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক। সেই সুবাদে তৌফিক এনামের অপারেশন আমাদের হাসপাতালে করানো হয়।
‘অপারেশন খুবই পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। অপারেশনের সময় তার স্ত্রী অপারেশন থিয়েটার ছিলেন। তার স্ত্রী গোটা সময় অপারেশনটা দেখছেন। কোনো ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না। এই ধরনের অপারেশনের মাধ্যমে পিত্তথলিটা ফেলে দেয়া হয়। পিত্তথলিটাতে সমস্যা তৈরি হলে জন্ডিস হয়। এটা হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে।
‘অপারেশন পরবর্তী সময়ে যখন তিনি আমার কাছে আসলেন তখন দেখলাম তার জন্ডিস হয়েছে এবং পিত্তথলিটা ব্লক হয়ে আছে। তখন আমি বললাম, আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। আমাদের কাছে আবার আসেন আবার একটা অপারেশন করে ঠিক করে দিব। তবে পরবর্তী সময়ে উনি আর আমার কাছে আসেন নি। এর পর কী কী ঘটেছে এটা আপনারা ভালো জানেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের জটিলতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় হচ্ছে। আপনি অনলাইনে সার্চ দিলে এমন ঘোষণা অনেকগুলো পাবেন। আমিও অনেকগুলো এই ধরনের অপারেশন করেছি। সারা দেশে থেকে এমন রোগী আসে। অপারেশনের পর জটিলতা নিয়েও অনেক রোগী আসে।
‘আমরা আবার অপারেশন করে দিলে, ভালো হয়ে যায়। কিন্তু কেনো উনি (তৌফিক এনাম) আবার আসলেন না আমি বুঝতে পারছি না। আমার কাছে না এসে তিনি অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেন। অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা কী করেছেন এটা আমার জানা নেই।’
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলা না করে তিনি আমাদের কাছে এলে আমার আলোচনা করে সমাধান করতে পারতাম। তবে যেহেতু মামলা হয়েছে। সেহেতু আমার আইনিভাবে মোকাবিলা করব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমিও গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। শুনেছি আমার বিরুদ্ধে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি বাদে আরও দুই জনের নামে মামলা হয়েছে। সেই দুজনের নাম আমি এখনও জানি না।’
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হলো চিকিৎসক তৌফিক এনাম। শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তার লিভার হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস সমস্যা ছিল। যে কারণে মেডিক্যালের প্রথম বর্ষ থেকে আমার শিক্ষক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমানের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে আমার কাছেও কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর আমার সঙ্গে অনেকদিন যোগাযোগ ছিলো না।
‘গত ৪ মে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। আমাকে সেই রিপোর্টটি মোবাইলের মেসেঞ্জারে পাঠান। আমি তার রিপোর্ট দেখে বলেছিলাম, এ ধরনের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয় সেটা হলো, তার মতো পরিস্থিতিতে জন্ডিস কমিয়ে দেয়া জটিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সফল হওয়া যায় না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফল হয়।
‘তার (তৌফিক এনাম) যুক্তি ছিল, তার ক্ষেত্রে হয়ত সফল হতে পারে। এরপর আমরা একটা বড় ধরনের অপারেশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় তৌফিক এনামের স্ত্রীও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তার স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। তার একদিন পর ল্যাবএইড হসপাতালের অপারেশন না করিয়ে তাকে বিআরবি হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকেরা। এরপর থেকে আমার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই।
ডা. স্বপ্নীল বলেন, ‘১৫-২০ দিন পর রাতে চিকিৎসক তৌফিক এনাম মা কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বলেন তৌফিক মারা গেছে। তার মা বলেন, আপনার কাছে অপারেশন করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এরপর আমি ফেসবুকে দেখলাম অনেকেই আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইনিভাবে আমাকে মোকাবিলা করতে হবে।’
এ বিষয়ে বিআরবি হাসপাতালের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী ফোনে একাধিকবার ফোন করেছে নিউজবাংলা। তাদের কাছে এসএমএসও পাঠানো হয়েছে। তবে দুজনের কেউ সাড়া দেননি।
মাছের প্রজনন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মা মাছ ধরা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নদী ও সাগরে জেলেরা যেসব মাছ ধরেন, তা প্রাকৃতিক সম্পদ। এই মাছগুলো রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যতে মাছশূন্য হয়ে পড়ব। তাই মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আইন মানলে প্রকৃতপক্ষে জেলেরা নিজেরাই লাভবান হবেন।’
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১২তম জাতীয় সম্মেলন-২০২৫-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আপনারাই এই দেশের মানুষকে মাছ খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখছেন। আপনারা ক্ষুদ্র নন, বরং দেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী। আমরা শুধু ভাত খাই না- মাছ, শাক-তরকারিও খাই। মৎস্যজীবীরা যদি মাছ না ধরেন, কেউই মাছ খেতে পারব না। আপনারা পরিশ্রম করে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন- এটিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ভারত যাতে আমাদের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করতে না পারে, সে জন্য কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের সহায়তা হিসেবে ভিজিএফের চালের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সরকারে যতদিন আছি, ততদিন জেলেদের জন্য কাজ করে যাব। আগামীতে অন্তত ৫০ কেজি করে চাল দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভিজিএফের সঙ্গে আর্থিক সহায়তা যুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা চলছে।’
দীর্ঘদিনের সমস্যা দাদন প্রথা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দাদন জেলেদের দারিদ্র্যের চক্রে আবদ্ধ করে রাখে। এ সমস্যা নিরসনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, তারা বিকল্পভাবে স্বল্পসুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করবে, যাতে জেলেরা দাদনের ওপর নির্ভরশীল না থাকেন।’
প্রতিটি দুর্যোগে বহু জেলে নিখোঁজ হন বা প্রাণ হারান, এ বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানতেও পারেন না- তারা জীবিত না মৃত। ফলে কোনো সরকারি সহায়তাও পান না। এ সমস্যা সমাধানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে এমন পরিবারগুলোর জন্য কার্যকর সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।’
নদীতে চর জেগে ওঠা ও প্রজনন বাধাগ্রস্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নদীতে চর জেগে ওঠায় মাছের চলাচল ও প্রজননে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব ড্রেজিং সক্ষমতা সীমিত হলেও নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি। তারা শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।’
সম্মেলনে বক্তারা মৎস্যজীবীদের ন্যায্য অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-
*২০১৩ সালের পরিপত্র বাতিল করে ২০০৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করা।
*খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে মৎস্যজীবী প্রতিনিধির স্বাক্ষর নিশ্চিত করা।
*মৎস্যজীবীদের নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা।
*ভিজিএফ সহায়তা ৪০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৬০ কেজি চাল ও ২ হাজার টাকা নগদ বরাদ্দ দেওয়া।
*নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কোনো জেলে মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান।
*কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের অভিযানে মৎস্যজীবী সমিতির মনোনীত মাঝিকে অন্তর্ভুক্ত করা।
বক্তারা বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়িত হলে জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নত হবে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসরাইল খলিল পণ্ডিত। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. মোতালেব হোসেন, বিজিবি ট্রাইব্যুনালের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন, বরিশাল জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোসাদেক হোসেন স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেম হোসেন, জেলে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মীর এবং সদস্য তাছলিমা বেগম।
সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় বক্তারা সরকারের কাছে জেলে সম্প্রদায়ের সামাজিক নিরাপত্তা, জীবিকা রক্ষা এবং প্রজননকালীন সময়ের সহায়তা বৃদ্ধির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে এই মামলায় দুই দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ।
এদিন কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশেরে রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। এসময় আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
পরে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান ও ২০০৪ সালে আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্যদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরতে থাকেন এনায়েত করিম। তাকে দেখে সন্দেহ হলে পুলিশ তার গাড়ি থামায়। কেন তিনি ঘোরাঘুরি করছেন, জানতে চাইলে তিনি পুলিশকে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এজন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় এবং তার কাছে থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মামলা দায়ের হয়।
এ মামলায় দুই দফায় এনায়েত করিমকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তী সময় গ্রেপ্তারের পর তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদ ও যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে সবদলই অভিযোগ করে। একদল বলে ওই দলের লোক আছে, আরেক দল বলে এই দলের লোক আছে। যেহেতু সবদলই অভিযোগ করে অন্য দলের লোক আছে, তার মানে হচ্ছে আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, এটা বলেনি। বলেছে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে। আমাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা চেয়েছে। সে বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও অনৈক্য দেখা দেয়ার কারণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার দিকে গেলে এই সংশয় কেটে যাবে।
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) দাখিল ও কারিগরির ৬ষ্ঠ শ্রেণি, ৭ম শ্রেণি ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই কাজটি পেয়েছে মোট ২৯৮টি প্রতিষ্ঠান, এতে ব্যয় হবে ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৬ষ্ঠ শ্রেণি, দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও কারিগরি ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ৯৮টি দরপত্রের ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮১ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নিমিত্ত ৭৭টি প্রতিষ্ঠান৷ এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৭ম শ্রেণি, দাখিল ৭ম শ্রেণি ও কারিগরি ৭ম শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ১০০টি দরপত্রের মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নিমিত্ত ৯১টি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ০১ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৪ টাকা৷
এছাড়া বৈঠকে একই বিভাগে অপর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৮ম শ্রেণি, দাখিল ৮ম শ্রেণি ও কারিগরি ৮ম শ্রেণির বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার৷
সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো ১০০টি দরপত্রের মোট ৪ কোটি ০২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নিমিত্ত ৯০টি প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় হবে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ০৯৭ টাকা।
মেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলেও ১০০ টাকা ভাড়া কাটা হবে। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাঁকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না।
গত সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকে নতুন এই নিয়ম করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশনগুলোতেও এই নোটিশ টাঙানো হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) কারওয়ান বাজার স্টেশনে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেখা গেছে।
ডিএমটিসিএলের ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সম্মানিত যাত্রী সাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমানে একই স্টেশনে বিনা ভাড়ায় এন্ট্রি এক্সিট বন্ধ আছে। একই স্টেশনে এন্ট্রি করে এক্সিট করলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটা হবে। আদেশক্রমে—ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ।’
স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও টাকা কাটার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে যাত্রীসাধারণ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
নতুন নিয়মের বিষয়ে কারওয়ান বাজার স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, এখন থেকে স্টেশনের ভেতর দিয়ে ফ্রি এক্সিট, এন্ট্রি নেওয়া যাবে না। ২০ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সিরাজ মিয়া (৬৫) কমিউনিটি পেট্রোলিং বন টহল দলের সদস্য (সিপিজি) নিহত হয়েছেন। নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ডলুছড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ভোরে লাউয়াছড়া বন বিটের আওতাধীন জানকিছড়া ক্যাম্পের রাতের ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় দ্রুতগামী গাড়ির চাপায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়,কমলগঞ্জ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকার ডলুছড়া বন টহল দলের (সিপিজি) একজন সদস্য হিসেবে দীর্ঘ সময় থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
স্থানীয় ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত রাতের ডিউটির দায়িত্ব পালন শেষে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া এলাকায় শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ সড়কে পায়ে হেটে মো. সিরাজ মিয়া বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাকে পেছন থেকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগ, কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এবিষয়ে জানতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সহ ব্যাবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ জনক দেববর্মা বলেন, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সহ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আমরা লাউয়াছড়া সহ-ব্যাবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য ও বনবিভাগ নিহত সিরাজ মিয়ার পরিবারের পাশে আছি। এসময় তাৎক্ষণিক ভাবে সিরাজ মিয়ার পরিবারকে আর্থিক সহযোগীতা করা হয়।
বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো মাহফুজুল কবির বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
আজ বিকেল সোয়া ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এরপর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মেদ বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এই ধারাবাহিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য