× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

রাজধানী
তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাবে রাজধানী
google_news print-icon

তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাবে রাজধানী

তিন-ঘণ্টার-বৃষ্টিতেই-তলিয়ে-যাবে-রাজধানী
তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীর অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ফাইল ছবি
গত বছরের শেষে ওয়াসা থেকে খালগুলো বুঝে নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তখন বলা হয়েছিল, খালগুলো পরিষ্কার করা হলে ঢাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না। গত পাঁচ মাসে এ নিয়ে কাজ করেছে দুই সিটি করপোরেশন। তবে বর্ষার আগেই মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের রাস্তা।

তিন ঘণ্টা ধরে বৃষ্টি হলে রাজধানীতে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন নগরবিদরা। মঙ্গলবার সকালে টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টির পর নগরের জলাবদ্ধতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠে এসেছে।

নগরবিদরা জানিয়েছেন, টানা দুই থেকে তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাঁটুপানির নিচে থাকবে রাজধানী। ঢাকায় এখন যে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা রয়েছে, তাতে দুই ঘণ্টার বৃষ্টির পানি বের করে দেয়ার সক্ষমতা নেই।

তবে ঢাকায় মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে পানি জমে থাকাকে জলাবদ্ধতা বলতে রাজি নন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাবদ্ধতার কোনো সংজ্ঞা নেই। ঢাকায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেবে।

গত বছরের শেষে ওয়াসা থেকে খালগুলো বুঝে নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তখন বলা হয়েছিল, খালগুলো পরিষ্কার করা হলে ঢাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না। গত পাঁচ মাসে এ নিয়ে কাজ করেছে দুই সিটি করপোরেশন। তবে বর্ষার আগেই বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের রাস্তা।

জলাবদ্ধতার কারণ

নিউজবাংলা থেকে জানার চেষ্টা করা হয়েছে ঢাকায় কেন জলাবদ্ধতা হয় বা এর কারণ কী।

শনিবারের আকস্মিক বৃষ্টিপাত নিয়ে স্থপতি ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, সাধারণত ১০০ মিলিমিটারের নিচে যদি বৃষ্টি হয়, আর তার ফলে জল জমে থাকাকে জলজোয়ার বলা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ১০০ মিলিমিটারের উপরের দুই থেকে তিন ঘণ্টা টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।

তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাবে রাজধানী
গত মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে পানিতে ডুবে যায় রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা। ফাইল ছবি

সিটি করপোরেশনগুলোর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইকবাল হাবিব।

তিনি বলেন, এমন টানা বৃষ্টি হলে সেই পানি বের করে দেয়ার মতো সক্ষমতা বর্তমান দুই সিটির ড্রেনেজ পদ্ধতিতে নেই। এর থেকে বেশি বৃষ্টি হলে পুরো ড্রেনব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে নতুন করে ড্রেন প্রসারিত করতে হবে, যেটি এই মুহূর্তে সম্ভব না।

দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতার কারণ কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এর আগে কেউ এ ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। নগরবাসী প্রতারিত হয়েছে। প্রকল্প নেয়া হলেও তা খণ্ডিতভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসব প্রকল্পে জনসংযোগ না থাকায় কাজ শেষে জনগণের স্বার্থে কিছুই হয়নি।

একই রকম কথা জানালেন আরেক নগরবিদ আখতার মাহমুদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে জলাবদ্ধতার কোনো সংজ্ঞা নেই। তবে জল নিষ্কাশনের জন্য সময় ও বৃষ্টির পরিমাণটা বড় বিষয়।

‘মাত্র তিন ঘণ্টায় যদি ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তবে ঢাকা শহরের যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে, সেই পানি সঙ্গে সঙ্গে অপসারণের অবস্থা নেই। সে রকম ড্রেনেজ ক্যাপাসিটি এই মুহূর্তে নেই।’

দুইটি সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মূলত জলনিষ্কাশন ও কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন বেশি জরুরি। সেটি অবশ্য সিটি করপোরেশনের দায়। আজকে অনেকগুলো পকেট জায়গাতে পানি জমে ছিল। আর এর কারণ ড্রেনগুলো বন্ধ থাকে। ফলে পানি খালে গিয়ে পৌঁছাতে পারে না। যদি তারা এটি পরিষ্কার করতে পারে, তবে পানি সহজে নেমে যাবে। মূলত নালাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।’

খালগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ঢাকাতে যে খাল ও ড্রেন আছে তা অপরিষ্কার থাকার কারণে বৃষ্টির পানি খালে যেতে দেরি হয়। অনেক বেশি পানি হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সিটি করপোরেশনের এই খালগুলো পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব। তাদের কাজ হবে দুইটি। জলাবদ্ধতা নিরসন ও কঠিন বর্জ্য সরানো। এটি যদি সময়মতো করা হয়, তবে অনেক বেশি পানি না হলে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে না।

ঢাকার খালগুলোর কী অবস্থা

গত বছর ঢাকার খালগুলো নিয়ে গবেষণা করেছে গবেষণা সংস্থা রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার। তাদের দুটি জরিপে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতারকালেও ঢাকা জেলায় নদীর সংখ্যা ছিল ১৫। ঢাকা মহানগরী এলাকায় খাল ছিল ৭৫টি। এর মধ্যে আঁটি, কনাই, দোলাই, পান্ডো ও নড়াই নদীর কোনো হদিস বর্তমানে পাওয়া যায় না।

ঢাকাকে ঘিরে রাখা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও টঙ্গী নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ১৭টি খালও হারিয়ে গেছে। গত ৫০ বছরে এসব নদী ও খালের বুকের ওপর গড়ে উঠেছে বড় বড় অট্টালিকা।

তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাবে রাজধানী
বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি পেতে যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। ছবি: সাইফুল ইসলাম

রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার জলাবদ্ধতার প্রথম কারণ অপরিকল্পিতভাবে ঢাকার ওয়েট ল্যান্ডগুলো (জলাভূমি) ভরাট করা হয়। যতগুলো হাউজিং করা হয়েছে এর কোনোটাই ওয়াটার মডেলিং করা হয়নি। এটি না করার কারণে পানির জায়গাটা ভরাট হয়ে গিয়েছে।’

নতুন নতুন হাউজিং প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে এই গবেষক বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি হাউজিংগুলো ওয়েট ল্যান্ড ও খাল দখল করে করা হয়েছে। ঢাকার খালগুলো এখন অধিকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। বাকি যেগুলো আছে তার ৭০ ভাগ দখল হয়ে আছে। বৃষ্টির পানি খালে যেতে না পারার কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে।’

খাল উদ্ধারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনই দ্রুত খাল দখলমুক্ত করতে ডিমার্কেশন প্লান দিতে হবে। তা না হলে ঢাকাতে বসবাস করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। খালগুলো বক্স কালভার্ট করা হয়েছে, যার ফলে সেখানে বোতল ও পলিথিন জমে পানি আটকে থাকে।’

জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশ হিসেবে গত বছর ঢাকা ওয়াসা শহরের ২৬টি খাল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার) এবং প্রায় ৩৮৫ কিলোমিটার বড় আকারের নালা ও চারটি পাম্প স্টেশন দুই সিটিকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আগে থেকেই দুই সিটি করপোরেশন প্রায় ২ হাজার ২১১ কিলোমিটার নালা দেখাশোনা করে আসছে।

কী বলছে কর্তৃপক্ষ

গত শনিবারের জলাবদ্ধতার পর ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর ২ জানুয়ারি থেকে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর, কালুনগর খালসহ এগুলোর শাখা-প্রশাখা এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি।’

মেয়র বলেন, ‘ইতোমধ্যে এসব খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে আমরা ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য ও ৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন পলি অপসারণ করেছি। এ ছাড়া ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়া অচল দুটি পাম্প স্টেশনের তিনটি পাম্প মেশিন সচল করতে সক্ষম হয়েছি এবং বাকি তিনটি সচল করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বদ্ধ নর্দমা ও আমাদের উন্মুক্ত নর্দমাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে এবং এই জুনের মধ্যেই তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।’

মেয়র বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রমের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো দ্রুত আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। তা এখনও হয়নি। এ ছাড়া ডিএনডি বাঁধ, হাতিরঝিল প্রকল্প, মেট্রোরেলের কার্যক্রমের ফলে জলাবদ্ধতার সম্পূর্ণ সমাধান এখন পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব না হলেও অতীতের মতো ঢাকাবাসীকে কোথাও কোমরপানি বা গলাপানিতে নাজেহাল হতে হয়নি।’

এ সময় তাপস জলাবদ্ধতার সংজ্ঞা হিসেবে বলেন, ‘সাধারণত কোনো স্থানে তিন ঘণ্টার বেশি পানি জমে থাকাকে জলাবদ্ধতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়। আজকের বৃষ্টিতে আমরা তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রায় শতভাগ পানি নিষ্কাশন করতে সক্ষম হয়েছি।’

জলাবদ্ধতা নিয়ে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাকে মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠালেও কোনো জবাব আসেনি।

আরও পড়ুন:
ঢাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে মানতে নারাজ তাপস
বৃষ্টির পানিতে সয়লাব সড়ক, সাভারে দুর্ভোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

মানবদেহের স্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকি
ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মরা মুরগির বাচ্চা ও পঁচা ডিম। পুকুরের মাছকে সস্তা খাবার দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব উপায়। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদুল হক তার পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করেছেন। সেই পুকুরটি পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু সালেক। সেই পুকুরের মাছকে সাধারণ খাবারের বদলে খাওয়ানো হচ্ছে জীবন্ত, মরা মুরগির বাচ্চা ও নষ্ট-পঁচা ডিম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করে পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি ব্রেন্ডার মেশিনে সেদ্ধ করে পুকুরে মাছকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের আশেপাশে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী এই এলাকার মানুষ।

তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে পুকুরের মালিককে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এদিকে পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চার অভিযোগ পুকুরের কর্মচারিরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন পুকুর মালিক।

পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মোহন কুমার বলেন, হ্যাচারী থেকে নষ্ট ও পঁচা ডিম নিয়ে এসে মাছকে খাওয়ায়। এতে করে পুকুরের পানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গোসল করা যায়না। প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। নিষেধ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরের পাড়ে রাখা হয়। তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া এরপর যখন আগুনে জ্বাল দেওয়া হয় তখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাড়িতে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার নিষেধ করেছি, কিন্তু আমাদের কথা শোনেনা।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রিফাত ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন আমরা এই দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই পঁচা ডিম আমাদের এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

পুকুরের কর্মচারী বিশ্বনাথ চন্দ্র বলেন, আমরা জামালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারী থেকে পঁচা ডিম নিয়ে আসি। সেই ডিমের সাথে কিছু বাচ্চাও থাকে। তারপর সেগুলো ব্রেন্ডারে সেদ্ধ করে মাছকে খাওয়াই।

পুকুরের মালিক আবু সালেক বলেন, এই পুকুরটি আমি পরিচালনা করি। এখানে রুই, কাতলা, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেছি। গ্রামবাসীরা যে মরা মুরগি বা পঁচা ডিমের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, আমাদের পুষ্টির বিশাল একটা অংশ পূরণ করে মাছ। যদি মাছকে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার দেওয়া হয় তাহলে সেই মাছ খেলে মানবদেহে জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এটা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, কোথাও পরিবেশ দূষণ সংস্ক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষের ক্ষেত্রে কোন চাষী যদি সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে বা অপদ্রব্য ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কোন মাছ চাষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
Numbership Election system must pass in Parliament Amir Khasru

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।

বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিবর্তনের কথা কথা বলা হচ্ছে, তবে এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলগুলো ঐকমত্য হয়ে, সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির বিষয়ে কোন দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেড নিয়ে সংসদে আসে। যে কোন বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। এই পর্যায়ে এটা কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে না।’

সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, ইতিমধ্যে সবকিছু বলা হয়েছে। অনেকগুলো তো বিএনপি প্রস্তাব, সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবে না এসব বিএনপি'রই প্রস্তাব। সুতরাং ঐকমত্য হওয়া নয় কোথায়? তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বাকশাল করতে চাচ্ছি না। এটা বাকশাল না। সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো এখন ঐক্যমত্যের মাধ্যমে, এর বাইরে যেগুলো থাকবে প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে করতে হবে।’

লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন তো দেড় দুই মাস ছিল, তার আগে থেকে বছরের পর বছর যারা রাস্তায় ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলছি। কারণ এই ঐক্যটা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা শুধু নির্বাচন বলে কোন কথা নয়, আমাদের ৩১ দফার উপরে যে ঐকমত্য সংস্কারের বিষয়ে যে ঐকমত্য, এগুলো আমরা কীভাবে আগামী দিনে বাস্তবায়ন করব নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদেরকে রায় দেয়, সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

মন্তব্য

ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

পরকীয়ার জেরে প্রবাসী স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী জেল হাজতে
ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে প্রবাসী স্বামী আলমাস খান কে (৪০) হত্যা করার অভিয়োগ উঠেছে খোদ স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩) এর বিরুদ্ধে। গত শনিবার দিবাগত রাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ । ঘটনার পর থেকে আরেক আসামী পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখ (৫৫) রয়েছে আত্ম গোপনে ।এ নিয়ে নিহতের পিতা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়ীত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে আটকসহ তাদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার (০২ জুলাই) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এ সময় নিহতের পিতা হাতেম খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রবাসীদল ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলী সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন ।

তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়ীত থাকার সন্দেহে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম কেআটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। অতি দ্রত আলী শেখকে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান মানববন্ধন থেকে।

পরে এলাকার কয়েকশত নারীপুরুষ বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে । এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

রাজধানী
Duplex house in Keraniganj

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (০২ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন ডুপ্লেক্স বাড়িতে ছাদের মাধ্যমে ৬-৮ জনের একটি ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা ঘরের সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা বাড়ির চাবি আদায় করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।

ডাকাত দল প্রায় ৬.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকা নগদ অর্থ এবং একটি সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা নিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় বাড়ির কোনো সদস্য শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

ভুক্তভোগী ও বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ছাদের দিক থেকে কয়েকজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই আমাদের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ফেল পরে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের চাবি নিয়ে যায়। তারা ঘর তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। আল্লাহর রহমতে তারা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। তবে পরিবারের সবাই এখন আতঙ্কে আছে।

ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু, সিআইডি এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, অপরাধীদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

মন্তব্য

রাজধানী
The bodies of two children were recovered after 22 hours of disappearing in Brahmaputra

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের পাগলায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘন্টা পর নিখোঁজ দুই শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। বুধবার (০২ জুলাই) পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশুরা হলো, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় উঠেন ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পূর্বেই ডুবে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে শাপলা আক্তারের (১৫) মরদেহটি ঘটনাস্থলের খানিকটা দুর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খোঁজতে বের হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

মন্তব্য

রাজধানী
3 youths killed on the Chuadanga border

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।

নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

রাজধানী
2 arrests 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে