রাজধানীর কলাবাগানের বাসায় গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমানকে কারা, কেন খুন করেছে, এ বিষয়ে কোনো ক্লু পাচ্ছে না পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলাও করা হয়নি। তবে খুনিদের শনাক্ত করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
সোমবার দুপুরে চিকিৎসক সাবিরার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতে তিনি বাসায় একাই ছিলেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় সাবিরার গলা ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে তার মুখমণ্ডল ও শরীরের কিছু অংশ আগুনে পোড়ানো ছিল।
সাবিরার মরদেহটি বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে ছিল, বিছানার কিছু অংশও ছিল পোড়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিমের সন্দেহ, সাবিরাকে রোববার মধ্যরাতে হত্যা করা হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সোমবার সকালে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল।
হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে কলাবাগান থানার পুলিশ, ডিবি ও পিবিআই। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত সাবেরা হত্যার কোনো ক্লু পায়নি তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, নিহতের পরিবারের কোনো সদস্য কাউকে সন্দেহ করতে পারছেন না। পরিবারে কারও সঙ্গে চিকিৎসকের কোনো বিবাদের বিষয়ও সামনে আসছে না। বাসা থেকে কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে ওই বাসায় কোনো সিসিটিভি ক্যামেরাও ছিল না। সব মিলিয়ে হত্যাকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্লু বা মোটিভ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে এই হত্যার তদন্তে আমাদের বেগ পেতে হবে।’
ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মহানগর উত্তর বিভাগ। কোনো ধরনের ক্লু না পাওয়ার তথ্য আসে সেখান থেকেও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিবিআইয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মরদেহটি প্রাথমিক পরীক্ষা করেই বোঝা গেছে, রোববার মাঝরাতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়। সকালে বিছানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে মরদেহটি পুড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিল হত্যাকারী, যেন হত্যাকে অগ্নিদুর্ঘটনায় রূপ দেয়া যায়।
‘তাই হত্যাকারী বিছানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে দরজার লক চেপে পালিয়ে যায়। কিন্তু আগুন লাগাতে কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার না করায় বিছানায় আগুন কিছুটা জ্বলে আবার নিভে যায়। তাই মরদেহের কিছু অংশ পুড়ে গেলেও অক্ষত ছিল। এতে আমরা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাকারী ঠাণ্ডা মাথায় এ কাজ করেছে। কিন্তু প্রথামিকভাবে কে, কেন এ কাজ করল তার উত্তর পাচ্ছি না।’
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও নিহতের কোনো স্বজন অভিযোগ নিয়ে আমাদের থানায় আসেননি। তারা বলেছেন, মরদেহ দাফনের পর মামলা করবেন।
‘তারা যে অভিযোগই দেবে, আমরা সেটা গ্রহণ করব। আমরা মামলার জন্য অপেক্ষা না করে তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু জটিল বিষয় আছে, সেটা তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না। তবে সিআইডির ক্রাইম সিনসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের কিছু তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে পারব।’
তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা আশা করছেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট হত্যাকারী পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
তারা জানান, ঘটনার পর সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগ নানান আলামত সংগ্রহ করেছে। সেখানে কয়েকটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা বিশেষ নজর দিচ্ছে চিকিৎসক সাবেরার রুমের দরজার ভেতরের দিকের নবটিতে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের ওপর। কারণ হত্যার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তারা ডোরনবের লক চেপে দরজা বন্ধ করে গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জন ডিবি হেফাজতে
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মহানগরের রমনা ডিবির উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। এ ছাড়া সন্দেহের তালিকায় আরও অনেককেই রাখা হয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাব। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এর বেশি এখন বলা যাবে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাবিরার বাসায় সাবলেট থাকা একজন তরুণী ও তার দুই বন্ধু, সাবিরার বাসার খণ্ডকালীন গৃহকর্মী এবং ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
‘মঙ্গলবার সকালে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কার অবস্থান কোথায় ছিল এবং তারা কখন কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা কী কী করেছেন, প্রতিটি পদক্ষেপের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা সেগুলো লিখিত আকারে দেবেন। এরপর তাদের বর্ণনা মিলিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা। সেটা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গলা কেটে হত্যার প্রমাণ ময়নাতদন্তে
ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বাসনালি কেটে ফেলায় সাবিরার মৃত্যু হয়েছে বলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সাবিরার মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী ময়নাতদন্ত শেষে মর্গ থেকে বেরিয়ে আসেন ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মাকসুদ। কিন্তু তিনি ময়নাতদন্তের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরেনসিক বিভাগের আরেক চিকিৎসক নিউজবাংলাকে জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই চিকিৎসকের (সাবেরা) শ্বাসনালি কাটা হয়েছে। এতেই তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, তার মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় রোববার রাত। পরদিন সোমবার তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট ও কেমিক্যাল অ্যানালাইসিসের জন্য মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে “জুলাই ২০২৪: বিপ্লব ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান” শীর্ষক এক সেমিনার আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিভাগীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, জুলাই শুধু একটি গণ-অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি বৃহৎ পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার প্রতীক। এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, একারণে কাজে-কর্মে, চলনে-বলনে সর্বত্র তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য