রাজধানীর একটি বাসা থেকে লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড (এলএসডি) নামের মাদক উদ্ধারের মামলায় গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক বাকী বিল্লাহ ভার্চুয়াল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই সাইফুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
রিমান্ড আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব রূপল, আসহাব ওয়াদুদ তুর্য ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র আদিন আশরাফ।
ধানমন্ডি থানায় ২৭ মে পুলিশের করা মামলায় তিন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট থানার এসআই সালাহউদ্দিন কাদের।
ওই দিন আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করে।
আজ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। কারাগার থেকে তাদের ভার্চুয়ালি হাজির করা হয়।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের অপমৃত্যুর তদন্তে নেমে এলএসডির সন্ধান পায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২৬ মে রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি নামের মাদক উদ্ধার করে ডিবির রমনা বিভাগ।
এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ওই সময় তিনজনের কাছ থেকে ২০০টি এলএসডি জব্দ করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, প্রতিটি এলএসডি তিন হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ওই তিন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ২২ ফুট প্রস্থের ছোট এক খালে নির্মিত হচ্ছে ৭৪ ফুট গার্ডার ব্রিজ। এদিকে ব্রিজ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দরখাস্ত দিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযোকারীরা জানান, পবনার পাড় গ্রামে গ্রামীণ সড়কে ব্রিজ নির্মাণের জন্য পাইল তৈরিতে রিং কম দেওয়াসহ নানা অনিয়ম হয়েছে ও পাইলের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে বাকি অর্ধেকে পাইলের রড কেটে বিক্রি করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প (২য় সংশোধিত) এর আওতায় উপজেলার মান্দ্রা খেয়াঘাট থেকে বাপার্ড জাঠিয়া সড়কের ৬ হাজার ৫০ মিটার চেইনেজে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২২ ফুট প্রস্থের পবনাড় পাড় খালে ৭৪ ফুট (২২ মিটার) আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মেসার্স সৌরভ ট্রেডার্স।
নির্মীয়মাণ ব্রিজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এলাকাবাসী বারবার উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে অভিযোগ জানানোর পরও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় অভিযোগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ নির্মাণে কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না। ঠিকাদারের লোকজন নির্মীয়মাণ পাইলিং থেকে রড খুলে বিক্রি করে দিচ্ছে। পাইল তৈরিতে নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির আশ্রয়। পাইলে নিম্নমানের পাথর, অর্ধেক পরিমাণ রিং ও পরিমাণের চেয়ে কম সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাইল। যে কারণে মাটির নিচে অর্ধেক পাইল ঢুকতেই পাইলের বাকি অংশ ভেঙে পড়ছে। পরবর্তীতে ঠিকাদারের লোকজন বাকি অর্ধেক পাইলের রড কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে।
দুর্নীতির নির্মাণাধীন ব্রিজসংলগ্ন বাসিন্দা মফিজুল বলেন, মানুষের হাঁটা-চলাচলের জন্য জাঠিয়া থেকে রাধাগঞ্জ গ্রামীণ এলাকায় শৈলদা নদীর পাড়ে মাটির রাস্তা হচ্ছে। সেই রাস্তাটিতে ৬টি সরু খালে ব্রিজ নির্মাণ করছে এলজিইডি। পবনার পাড়ের ২২ ফুট খালটিতে এলজিইডি ২২ মিটার (৭৪ ফুট) ব্রিজ নির্মাণ করছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে। ছোট এই খালে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার এক একটি কালভার্ট দিলেই হতো সেখানে ৩ কোটি টাকার বিশাল গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে কখনও বাস গাড়ি চলাচলের সুযোগ নেই। তাহলে এত বড়ো ব্রিজ কাদের স্বার্থে? অন্যদিকে এই ব্রিজ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। এলজিইডি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ব্রিজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মুরসালিন সৌরভের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানান।
এদিকে কাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পবনার গ্রামের মামুন শেখ বলেন, গত বছরের ১৬ অক্টোবর এই ব্রিজের কাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে। অথচ নির্মাণ কাজের ১০ ভাগ এখনও সম্পন্ন হয়নি।
কাজের অনিয়মেয়র বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, ব্রিজের পাইল থেকে রড কেটে নেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে। ব্রিজের নির্মাণ মেয়াদ শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন, ব্রিজের অনিয়মের অভিযোগটি উপজেলা প্রকৌশলীকে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
এলজিইডি গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কেশবপুর থেকে বালুঘাটা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ করছে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। গত বছর কাজটি শুরু হলেও কাজে অনিয়মের কারণে পুরো এক বছর কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পুনরায় কাজ শুরু হলেও বন্ধ হয়নি অনিয়ম- বরং পুরোনো অনিয়মই এখন নতুন রূপে ফিরে এসেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত এক বছর কাজ বন্ধ ছিল কাজে অনিয়মের কারণে। এখন আবার সেই একই রকম অনিয়ম হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের এলাকার রাস্তার কাজ যেন ঠিকভাবে হয়।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাবিশ দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। পুরোনো ভাঙা ইট দেওয়া হয়েছে। এমন ইট ব্যবহার হচ্ছে যা দিতেই ভেঙে যাচ্ছে। দুর্নীতি এখানে চরমে পৌঁছেছে। প্রতিবাদ করতে গেলেও উপর মহলের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আগেও রাবিশ দিয়ে কাজ চলছিল। এবারও দুই নম্বর মালপত্র দিয়ে কাজ করছে। আমরা তখনই বলেছিলাম- এইভাবে কাজ করলে সমস্যা হবে। তারা তখন কোনো উত্তর দেয়নি।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকাদারের সাথে টাকার বিনিময়ে হাত মিলিয়ে এই ধরনের দুর্নীতির কাজ করাচ্ছেন। টাকা না খেলে কেউ এমন পচা খোয়া, রাবিশ আর পোড়া মবিল দিয়ে কাজ করার সাহস পেত না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম শুধু ঠিকাদারি ব্যবসাই করছেন না তিনি আইডিয়াল নামক একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং একই সঙ্গে সংবাদপত্রেও কাজ করেন। এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে জড়িত থেকে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলছেন এবং সেই সুযোগে সরকারি কাজ নিয়ে নানা নয়-ছয় করছেন, এর ভুক্তভোগী এখন সাধারণ জনগণ।
উপজেলা প্রকৌশলী বাকি বিল্লাহ কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি, পরে আপনাকে কল দেব।
নেত্রকোনা জেলায় ষষ্ঠবারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ নেওয়াজ। গত রোববার জেলা পুলিশ লাইন্সে সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ সভায় মাদক উদ্ধার, মামলা নিষ্পত্তি, চোরাচালান নিরোধ, ওয়ারেন্ট তামিল, বিট পুলিশিং, সর্বোপরি অপরাধ পর্যালোচনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় এ শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। নেত্রকোনা পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ- (ওসি) হিসেবে শাহ নেওয়াজের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ (পিপিএম)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সজল কুমার সরকারসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। মডেল থানার ষষ্ঠবারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, পুলিশ সুপার স্যারের দিকনির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং জনগণের সেবায় আমি সবসময়ই অবিচল। আমি কাজ ও দায়িত্বকে ভালোবাসি বিধায় পুরস্কারপ্রাপ্তিতে কাজের প্রতি আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। আর ভালো কাজের সবসময়ই মূল্যায়ন আছে। তাই এবার আমি আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমার মডেল থানার সকল সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
চলতি শীত মৌসুমে প্রথমবারের মতো হাজারি জাতের উচ্চ ফলনশীল লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন নরসিংদীর প্রান্তিক কৃষকেরা। বাজারে এ লাউয়ের চাহিদা থাকায় ভালো দাম পেয়ে খুশি তারা। কম খরচে এবং কম সময়ে ফলন আসায় হাজারি লাউ চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের।
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ১০ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে লাউ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার রায়পুরা উপজেলার অলীপুরা ইউনিয়নের কাঙ্গালীমারা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন তার বাড়ির আঙিনায় ২০ শতাংশ জমিতে এ লাউ চাষ করেছেন। মাচায় ঝুলছে লম্বা সবুজ রঙের অসংখ্য লাউ। যেদিকে তাকানো যায়, শুধু লাউ আর লাউ। বাগানের এসব সবুজ কচি লাউ দেখলে যেকোনো মানুষের চোখ জুড়িয়ে যায়। আলী হোসেন জানান, তিনি জৈব সারের সঙ্গে সামান্য রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছেন। এতে কীটনাশক ও রোগবালাইনাশক ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। এ জন্য বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি বাগানের লাউ খেতে যেমন সুস্বাদু, বাজারেও এর চাহিদা অনেক বেশ। তিনি আরও জানান, বাড়ির আঙিনায় ২০ শতাংশ জায়গা সারা বছরই পড়ে থাকত। তার এক নিকটতম আত্মীয়ের পরামর্শে এ বছর স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে প্রথমবার হাজারি জাতের লাউ চাষ শুরু করেন। বাজার থেকে লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করে গত শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে জমিতে রোপণ করেন।
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, হাজারি লাউ একটি উচ্চ ফলনশীল জাত। এ জাতের লাউ রোপনের ৫-৭ দিনের মধ্যে চারা হয় এবং ৪২-৪৫ দিনের মধ্যে ফুল ধরতে শুরু করে। এছাড়া ৬০-৭০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যায়। এ লাউ দেখতে খুব সুন্দর ও তরতাজা। খেতেও খুব সুস্বাসু। এছাড়া বাজারে এর চাহিদা এবং ফলন বেশি হওয়ায় এ লাউ চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এ বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলায় যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ১৮ হাজার বিঘা জমিতে এবার আমন আবাদ করতে পারেননি কৃষকেরা। এসব জমিতে ১২ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কৃষি বিভাগের। আমন আবাদ করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বৃষ্টি ও নদ-নদীর পানি এসব বিলে ঢুকে পড়ায় কৃষিকাজ বন্ধ রয়েছে। জলাবদ্ধতার পেছনে অপরিকল্পিত মাছের ঘের ও নদ-নদী পলিতে ভরাট হয়ে পানি সরতে না পারা কারণ হিসেবে দেখছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এই উপজেলায় ৭১ হাজার ৬২৫ বিঘা জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৬ হাজার ৫৫০ টন; যার বাজারমূল্য ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে এবারের আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ৫৩ হাজার ৭০০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ হয়। অনাবাদি থেকে যায় ১৭ হাজার ৯২৫ বিঘা জমি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুম শুরুর আগেই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া অপরিকল্পিত মাছের ঘের, নদীর নাব্যতা না থাকাসহ মানবসৃষ্ট জলাবদ্ধতায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্ষার পানি শুষ্ক মৌসুমেও নামতে পারেনি। এতে বিস্তীর্ণ জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের বিলগুলোতে আমন আবাদ করতে ব্যর্থ হন কৃষকেরা।
উপজেলার মজিদপুর গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন জানান, বুড়িভদ্রা নদীর পাশে তার প্রায় দেড় বিঘা জমি জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এ কারণে তিনি এবার আমন আবাদ করতে পারেননি। অপরিকল্পিত মাছের ঘের ও নদ-নদী পলিতে ভরাট হয়ে পানি সরতে না পারায় তার মতো অনেক কৃষক আমন আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পৌরসভা এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়ার কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিলে এখনো হাঁটুসমান পানি। জলাবদ্ধতার কারণে আমার সাত বিঘা জমিতে আমন আবাদ করতে পারিনি।
একই এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নোনামাঠেল বিলে জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকেরা এবার আমন আবাদ করতে পারেননি।
মজিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, মজিদপুর, বাগদহ, দেউলী, হিজলতলাসহ অধিকাংশ এলাকার নিম্নাঞ্চলের বিলগুলো জলাবদ্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন দৈনিক বাংলা পত্রিকাকে বলেন, ভবদহের প্রভাবে জলাবদ্ধতায় নিম্নাঞ্চলের বিলগুলোতে আমন আবাদ হয়নি। এ জন্য এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। কৃষকেরা ১১ হাজার ৯৫০ টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে আমনের আবাদ ভালো হয়েছে।
যশোর জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে ভবদহের অবস্থান। চার দশক ধরে এখানকার ৩৩০ কিলোমিটার এলাকার ৩ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সুসংহত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এবার নির্বাচনে এআই অপপ্রচার ও নির্বাচনি এলাকায় গোপনীয়তার স্বার্থে ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
এছাড়া, নির্বাচনকালীন পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই প্রযুক্তিনির্ভর ভুল তথ্য প্রচার রোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সার্বিক আইনশৃঙ্খলা কাঠামো, ৩ পর্যায়ের নিরাপত্তা কৌশল
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূলত তিনটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
তফসিল ঘোষণার পূর্বে : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।
তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত : অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সকল প্রার্থীর নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আমর্ড পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, কোস্টগার্ড এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রম : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধে নির্বাচনের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা বা ২ দিন পর্যন্ত স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এই সময়ে আইনগত নির্দেশনা প্রদানের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংক্ষিপ্ত বিচার কাজের জন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।
প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ও বিশেষ পদক্ষেপগুলো বর্তমানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। চলমান প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠান বাছাই।
এছাড়াও, ইসি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার কর্মপরিকল্পনা : তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের কয়েক দিন পর পর্যন্ত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও দেশের সার্বিক পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমন্বয় সাধন ও সুসংহতকরণ : নির্বাচনে সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পল্লী এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গ্রাম পুলিশ/চৌকিদার/দফাদার নিয়োগের পাশাপাশি ইউপি সচিবদেরও সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা : সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অন্তর্ঘাতমূলক বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রোধে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ : সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ব্যবহারকারীদের দমনের লক্ষ্যে যৌথ অভিযান জোরদার করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
এআই নির্ভর ভুল তথ্য প্রচার রোধ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা অন্য কোনোভাবে বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচার রোধে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের প্রয়োজন হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা : নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশ থেকে আগত পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তার জন্য সব প্রকার আইনানুগ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।
পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাপনা : প্রবাসী ও পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে যোগ্যদের জন্য পোস্টাল ব্যালট পেপার নিরাপত্তার সঙ্গে ডাকবিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে প্রেরণ এবং ফেরত আসার সময় নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা : In Aid to the Civil Power অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যেও ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনি এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনসহ এ বিষয়ক বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ : নিরাপত্তার ঝুঁকি, গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং অননুমোদিত ব্যবহারের কারণে নির্বাচনি এলাকায় ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হবে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা করে প্রায় এক বছর আগে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পরেও, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে যাচ্ছেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ইসরাইল সরকার গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। জিম্মিদের লাশ হস্তান্তরে হামাসকে চাপ দিতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেলআবিব।
আল জাজিরার সাংবাদিক আলি হার্ব বলেন, সাহায্য বন্ধ করা যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনেরও লঙ্ঘন।
আইসিসির সংবিধান অনুযায়ী বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য জিনিসপত্র থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ। এরমধ্যে জেনেভা কনভেনশনের অধীনে ত্রাণ সরবরাহে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাছাড়া, জাতিসংঘের তদন্তকারীরা গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইল গাজায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি অবরোধের সময় যুদ্ধের নীতি হিসেবে অনাহারকে ব্যবহার করায়, শিশুদের ওপর এর ভয়ানক প্রভাব পড়েছে। যার ফলে অনাহার, তীব্র অপুষ্টির আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, কলেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অপুষ্টিতে মৃত্যু হারও বেড়েছে।
যুদ্ধবিরতির পরেও, ইসরাইল গাজায় সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে ভূখণ্ডে মানবিক সংকটের জন্য হামাস এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য পক্ষকে দায়ী করেছে তারা।
মন্তব্য