রাজধানীর একটি ট্রাফিক সিগন্যালে সম্প্রতি সবুজ, হলুদ ও লাল বাতি একসঙ্গে জ্বলে ওঠায় বিভ্রান্তিতে পড়েন এক গাড়িচালক। সেই দৃশ্যের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি। লেখেন, ‘আমি এই সবগুলো সিগন্যাল লাইট একসঙ্গে দেখলে কী করব? ট্রাফিক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এই সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান চাই।’
বিষয়টি নজরে এলে এই বিভ্রান্তির কারণ খুঁজতে নামে নিউজবাংলা। শুরুতেই তেজগাঁও বিভাগ ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শামীম আহমেদের কাছে তিন ধরনের বাতি একসঙ্গে জ্বলে ওঠার কারণ জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার ট্রাফিক বাতি ম্যানুয়ালি চলে। ট্রাফিক সিগন্যালগুলো সিটি করপোরেশন থেকে ইনস্টল করা হয়।’
এরপর নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (নগর ভবন) বিদ্যুৎ বিভাগে গেলে সেখানকার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাফর আহমেদ বলেন, ‘এটি আমাদের দেখার বিষয় না। এটি দেখে সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল।’
এই সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিনের কাছে গেলে বিরক্তি প্রকাশ করে নিউজবাংলার কাছে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন তিনি। বলেন, ‘আমার কাছে কে আসতে বলেছে? আমার রুম কে দেখিয়ে দিয়েছে?’
নিজেই জানতে এসেছি বলার পর কাজী বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘এটি দেখভালের দায়িত্ব বিদ্যুৎ বিভাগই নিয়েছে। আগে আমাদের দায়িত্বে থাকলেও এখন বিদ্যুৎ বিভাগই ট্রাফিক সিগন্যাল বাতির নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। আপনি সেখানকার প্রধান প্রকৌশলীর কাছে গেলে প্রকৃত তথ্য পাবেন।’
তার এমন তথ্যে এই প্রতিবেদক ফের সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) জাফর আহমেদের কাছে যান।
আপনার কাছেই নাকি প্রকৃত তথ্য- নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে ভালো বলতে পারব না। আপনি আমার বিভাগের এক্স ইঞ্জিনিয়ার (এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার) মাহতাবের কাছে যান।’
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহতাব আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশকে দিয়ে দেয়ার অর্ডার হয়েছে। এটি এখন পুলিশ দেখছে। আমাদের কাছে নেই।’
পুলিশকে দায়িত্ব দেয়ার অর্ডারের কপি আপনাদের কাছে আছে কি না, জানতে চাইলে মাহতাব বলেন, ‘এ বিষয় আমি বলার কেউ না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাই না। ইতিমধ্যে আপনাদের কারণে দুই দফায় দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন) হাজিরা দিয়েছি।
‘আমার নাকি কানাডায় বাড়ি আছে, জেলায় জেলায় সম্পদ গড়েছি। আমি ভাই আপনাদের সঙ্গে কথা বলব না। আপনি জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের কাছে যান।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের কাছে ট্রাফিক বাতির নিয়ন্ত্রণকারী কে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সিটি করপোরেশনই দেখে।’
তাহলে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের এই ঠ্যালাঠেলির কারণ কী? জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ ও ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং- এই দুই বিভাগের কর্মকর্তাদের ঠ্যালাঠেলিতেই রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালের বাতি কখনো জ্বলে, কখনো নেভে। রাস্তার গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি ব্যবহার হয় না।
তারা আরও জানান, এই ট্রাফিক বাতির কেনাকাটা, নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এটি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার কথাবার্তা চলছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এ জন্যই ট্রাফিক সিগন্যালের নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোনো বিভাগই নিতে চাইছে না। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন ইন্টারসেকশনের ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিগুলো বিনা কারণে জ্বলে উঠছে। কোথাও একেবারেই অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্পের অধীনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়। ২০০৯ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হয় ২০১৯ সালের জুন মাসে।
এ প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপদে পথচারী চলাচল, জলাবন্ধতা নিরসন ও যানজট হ্রাস করার জন্য রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাতের উন্নয়ন, বিদ্যমান ট্রাফিক সিগন্যালের উন্নয়ন ও নতুন ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা।
এর আগে ২০০১-০২ অর্থবছরে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যমান ৭০টি ইন্টারসেকশনে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় আরও ২৯টি ইন্টারসেকশনে নতুন ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়।
নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্পের অতিরিক্ত বরাদ্দের (অ্যাডিশনাল ফিন্যান্সিয়ালের) আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঢাকা মহানগরের ৪৩টি ইন্টারসেকশনে পুনরায় ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করা হয়।
২০১৯ সালের জুনে কেইস প্রকল্প সমাপ্তির পর থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকাভুক্ত ৫৩টি ইন্টারসেকশনে স্থাপিত ট্রাফিক সিগন্যালের স্থাপনাসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সে হিসেবে এখন বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অংশে বিদ্যমান ট্রাফিক সিগন্যালগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা।
তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রকল্প চলাকালীন ট্রাফিক সিগন্যালগুলো সচল অবস্থায় থাকলেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরই নানা ত্রুটি ধরা পড়তে থাকে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরের ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগন্যাল উন্নয়নকাজ চলার সময় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ট্রাফিক সিগন্যালের কাজসমূহ বাস্তবায়নে সহযোগিতা এবং উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নের পর সিগন্যালসমূহ সচল অবস্থায় কার্যকরের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে তদারকি করেছেন।
তাদের ভাষ্য, কেইস প্রকল্প বাস্তবায়নকালে প্রকল্পের আওতায় কেনা রিমোট কন্ট্রোলগুলো মাঠপর্যায়ে পরিচালনার জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে রিমোট কন্ট্রোলগুলো ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ট্রাফিক পুলিশের ভাষ্য
ট্রাফিক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, ট্রাফিক সিগন্যাল বাতির নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশন। তাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার কথাবার্তা চললেও ডিএমপির ট্রাফিক কারিগরি ইউনিট গঠিত না হওয়ায় এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না পাওয়ায় রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ ম্যানুয়ালি করা হচ্ছে।
কেইস প্রকল্পের আওতায় পুলিশের তদারকিতে কিংবা পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়ার যেসব কথাবার্তা বলা হচ্ছে, তা মোটেও ঠিক নয়। কারণ, প্রকল্পের অধীনে মাঠপর্যায়ের পুলিশের কাছে যেসব রিমোট কন্ট্রোল দেয়া হয়েছিল, তার সবই নষ্ট ছিল। এ কারণেই প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, ট্রাফিক বাতিতে না চলে ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণের ঘটনায় হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন হয়। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল, কেন ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে?
সে বিষয়েও তারা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জবাব দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত সিদ্ধান্তেই সড়কের অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের ভার পুলিশের কাছে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রাফিক সিগন্যাল বাতির নিয়ন্ত্রণ সিটি করপোরেশনের হাতে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে তাদের কেইস প্রজেক্টের আওতায় কিছু রিমোট কন্ট্রোল পরীক্ষামূলকভাবে আমাদের হাতে দিয়েছিল। দেয়ার দু-এক দিন পর থেকেই সুইচ অপারেট করতে গেলে আর চলেনি। কোথাও দুই দিন, কোথাও তিন দিন, কোথাও সর্বোচ্চ সাত দিন চলেছে। তারপর আর সেগুলো কাজ করেনি। রিমোটগুলো আমাদের হাতে দিলেও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি তো তাদের হাতে ছিল।’
সে জন্য সেগুলো ফেরত দিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে আবার কোভিড শুরু হয়ে গেল। পরে একটা গ্যাপ হয়ে গেল। প্রজেক্টের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বিষয়টি আর আমাদের কাছে পুরোপুরি বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। আমরাও বুঝে পাইনি।
‘কোভিড আসায় গ্যাপ হয়ে যাওয়ায় আগের ম্যানুয়াল সিস্টেমেই ফিরে যেতে হয়েছে। বাই দিস টাইম কিছু কিছু সিগন্যাল চালু করা হয়েছিল। কিছু কিছু সিগন্যাল একেবারেই অকার্যকর ছিল। কিছু কিছু জায়গায় সব বাতিই জ্বলে। অনিয়ন্ত্রিত সিস্টেমের জন্যই এমন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিমোট কন্ট্রোল ফেল করাতে সিগন্যাল বাতি ওন মেকানিজমে (একাই জ্বলে ওঠে, আবার একাই নিভে যায়) কাজ করছে। মেশিনের ত্রুটির কারণেই কোথাও তিনটি, কোথাও একটি বা দুটি বাতি জ্বলে থাকে। এ রকম বিবিধ সমস্যা আছে।
‘যেহেতু সমস্যা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম, সে জন্য বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ম্যানুয়াল সিস্টেম চালু করেছি।’
এখন সিটি করপোরেশন ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে জানিয়ে ট্রাফিক বিভাগের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের একটা কারিগরি টিম তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কাজ এগিয়েও গেছে। আমাদের কারিগরি টিম পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সিটি করপোরেশনের কারিগরি টিম আমাদের পূর্ণাঙ্গভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর অটোমেটিক সিস্টেমে যেতে পারব। এ জন্য সময় লাগবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওরা ঠিক করে, আবার নষ্ট হয়। ওরা যেসব জিনিসপত্র আনে, আমার ধারণা সেগুলো বেটার কোয়ালিটির আনলে এই সমস্যা হতো না। মানুষ আরও বেশি উপকার পেতেন।
‘আমি আসলে জানি না। ওরা যেসব জিনিস আনে, সেগুলো সাসটেইন করতে পারে না, এগুলো পার্টসের সমস্যা, নাকি তাদের সিস্টেমের সমস্যা, কোনো না কোনো একটা সমস্যা আছেই।’
আরও পড়ুন:ঈদুল আজহায় টানা ছুটির মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস মোটামুটি স্বাস্থ্যকর ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ আর ক্রমেই রাজধানীর পুরনো ভিড় বাড়তে থাকায় দূষণও বাড়ছে সমান তালে।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ফের শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এ সময়ে ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল বাংলাদেশের রাজধানী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর।
এ সময় ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। এ ছাড়া ১২৬ ও ১২৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার পরেই ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মিসরের কায়রো।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
রাজধানীর উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদের’ এক পরিবেশকের এক কোটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, ‘আব্দুল খালেক নয়ন নগদের একজন পরিবেশক। তিনি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি তার চারজন এমপ্লয়িকে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে বাসার পাশেই পরিবেশক অফিসে পাঠাচ্ছিলেন। সাথে এক কোটি টাকার বেশি ছিল।’
‘তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল দুটি বারো নম্বর রোড ক্রস করে যখন তেরো নম্বর রোডে ঢুকছিল, তখন ওৎপেতে থাকা একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস তাদের গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে র্যাবের পোশাক পরিহিত তিন থেকে চারজন নেমে এসে টাকার ব্যাগ বহনকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের ধাওয়া করে।’
পুলিশ আরও জানায়, এদের মধ্যে একজন আরোহী দৌড়ে পালিয়ে গেলেও তিনজনকে টাকার ব্যাগসহ তারা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরবর্তীতে তারা উত্তরা সতেরো নম্বর সেক্টরে নগদ মাইক্রোবাস থেকে তাদের ফেলে দিয়ে টাকার ব্যাগ সহ পালিয়ে যায়।
যোগাযোগ করা হলে উত্তরা ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার মইদুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ‘ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিসিটিভির ফোটেজ সংগ্রহ করেছেন। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
ঈদ উপলক্ষে লম্বা ছুটিতে বেশ কিছুদিন ধরে একপ্রকার ফাঁকা হয়ে গেছে শহর ঢাকা। সড়কগুলোতে নেই যানবাহনের চাপ; স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতও বন্ধ; রাস্তায় লোকজনও হাতেগোনা। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমে গেলেও রাজধানীর বাতাসের মানে খুব বেশি অবনতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল মাত্র ৬৬। আর দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আরও অবাক হওয়ার মতো। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিলেও ঢাকার অবস্থান আজ ৫৫তম।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ মাঝারি হলেও ‘ভালো’ থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
এই সময়ে ৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৫২তম স্থানে ছিল স্পেনের বার্সেলোনা, ৫০তম স্থানে সুইজারল্যান্ডের বেয়ার্ন, ৬৮ স্কোর নিয়ে ৪৯তম স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি, ৭০ ও ৭১ স্কোর নিয়ে ৪৪ ও ৪৩তম স্থানে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসি, ৭৩ স্কোর নিয়ে ৩৮তম স্থানে কানাডার টরেন্টো, ৮০ স্কোর নিয়ে ২৭তম দূষিত শহর শিকাগো, ৯৯ স্কোর নিয়ে ১৫তম স্থানে ইতালির রোম এবং ১২৮ স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে মিলান।
তবে ১৬৮ একিউইউ স্কোর নিয়ে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল ভারতের দিল্লি। ১৬২, ১৫৬ ও ১৩৭ স্কোর নিয়ে এর পরের তিন দূষিত শহর যথাক্রমে ইরাকের বাগদাদ, পাকিস্তানের লাহোর ও সৌদি আরবের রিয়াদ।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
এডিস মশার বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক ফল পেতে ১৪ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন(ডিএসসিসি) এলাকায় দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এডিস মশার বিস্তার রোধে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও করোনা প্রতিরোধে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে (ফগার মেশিন দ্বারা পরিচালিত) বর্তমানে ব্যবহৃত ৩০ লিটার কীটনাশকের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ লিটার কীটনাশক প্রতিদিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠন ও জনবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় মশক কর্মীদের সকাল ও বিকেলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগ যাচাই, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং মশক কর্মী দ্বারা বাড়ির ভিতর, আঙিনা ও ছাদের জমানো পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে অঞ্চল ভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া, ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ে ডিএসসিসি সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হালনাগাদ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মশক নিধনে জনবল ঘাটতি পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ ডেঙ্গু ও করোনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।
গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর পল্লবী থানার মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত ওই যুবকের নাম রাকিবুল হাসান সানি (২৯)। ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকাল সাতটার দিকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক বিক্রির আধিপত্য বিস্তার ও দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাতের আঁধারে হত্যাকারীরা কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে; তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, সানি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গেল রমজান মাসেও একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র তার ওপর হামলা চালিয়েছিল।
ঘটনার পর থেকে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এলাকায় পুলিশ ও সিআইডি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে ফের চালু হয়েছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোতে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না।
রোববার সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আজ (রোববার) প্রতি ৩০ মিনিট পরপর ট্রেন চলছে। আগামীকাল সোমবার থেকে মেট্রোরেল সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।
গত মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেট্রোরেলে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না। মেট্রো স্টেশনের প্রতিটি গেটে যাত্রীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো যাত্রীর কাছে কাঁচা বা রান্না করা মাংস পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তার মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ আটকে দেওয়া হবে। মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মীদের এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতেও বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য